Tuesday 22 October 2019

সীতার সাতকাহন সীতায়ন

সীতার সাতকাহন     সীতায়ন অসাধারণ নাটক দেখুন প্লিজ

শ্যামল সোম উপলব্ধি

বিখ্যাপত নাট্য ব্যক্তিত্ব স্নামধন্যা বিদুষী বিশ আগে
আবৃত্তি করতেন আমি নিয়মিত শুনতে যেতাম বাংলা
আমার ভীষণ প্রিয় কবি মল্লিক সেন গুপ্তা অসাম্য আবৃত্তি
রোকেয়া একটি অপূর্ব গান গেয়েছেন নাটক   শেষ শেষে গান।
কুড়ি অক্টোবর রবীন্দ্র সদনে পূর্ণ প্রেক্ষা গৃহে বহুদিনে সংগোপনে
কাঙ্খিত সীতাকথকথা শ্রবণ ও দর্শন  গৃহে  আজ শে এ
বছরের দেখলাম এ যেন সীতার সাতকাহন নারীদের বারোমাস্যা
ফুল্লরা, রুপসা, মেঘনা আয়সা, আমিনা ফতেমা একই শৃঙ্খলিত
জীবন যাপন, যোনিতে চেষটি বেল্ট দেয়, সন্দেহ পৌরুষহীন পুরুষ,
বন্ধ ঘরে শুয়ে নিসফল প্রয়াস প্রহার নারী পুরুষের সম্পদ গৃহপালিত।
ঘরে ঘরে কেন সহিছে লাঞ্ছনা নির্যাতন ধর্ষণ দংশনঞ তার আশ্রমে
সীতা আশ্রয় পেয়েছিলেন  ঐ খানে অন্য সথানে জমচ পুত্র সন্তান প্রসব
করেন, হায় লব কুশ রাজপুত্র  ভিখারি মতন জীবন যাপন শুধৃ কষ্টসাধ্য।

প্লাবন বসু নত জানু হে নারী তোমাক প্রণাম সকল মা তুজে সালাম।

লক্ষণ রামচন্দ্রের আদেশে চলেছেন বার বৈঠার  নৌকা চড়ে চলছেন।
অসম্ভব নৃত্য শৈলী নৈপুণ্য ছন্দে নেপথ্য গানে যা লাক সংগীত মার্গ সঙ্গীত
শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত পাবেন নাটকীয় মূহূর্তে বিভিন্ন রাগ আহিড় ভেরব
মালকোষ তান শুনে প্রাণ কেঁদে ওঠ যখন রোকেয়া অন্তর্জীবনের নারীর
দিকে দিকে ধর্ষিতা কস্তুরী কষ্ট গ্রামে গ্রামে শহরে পুরুষের ভক্ষণ চলছে।
যিনি তরুন নবিন যুবকের অভিনয় ক্ষমতা দন্ডবিধি কর্তা,

নাটকীয়তার মুহূর্তে রোকেয়া রায় সীতায়ান চরিত্রায়ণ বুদ্ধিমতী পুরুষ তান্ত্রিক
সমাজে বিদ্রোহী যঞসা কতব্য এ ব্রতী, স্বামী আদেশ শিরোধার্য আদর্শ নারী
চরিত্রায়ণ
পলায়ন সীতার  রক্ষাকর্তা রামের আদেশে  বার বার অগ্নি অল পর
এই সমাজ থেকে   সকল বন্ধন ছিন্ন করে,  মায়া ত্যাগ করে
তিনি অভিনয় করেছেন অসাধারণ অসম্ভব সুন্দর চরিত্রায়ণ করেছেন।
অসম্ভব অসাধারণ চরিত্রে অভিনয়ের সংলাপ লিখেছো
আমি মুগ্ধ তোমাদের আলো মঞ্চ সজ্জা, সাদে লম্বা কাপড়ে আলো 
সাদা কাপরে আলোর বিকিরণ, পোষাক ডিজাইন, সত্যি  নৃত্য প্রশিক্ষণ
বাহবা কুর্নিশ জানাই আন্তরিক প্রীতি ভালোবাসা জানাই সবাইকে অনুষ্ঠান
সাফল্যের সব কৃতিত্বের প্রাপক তিনি আমাদের সকলের ভীষণ পরিচিত
বিখ্যাত স্নামধন্য পরিচালক প্রিয় পরিশ্রমী মেধাবী নাট্য ব্যক্তিত্ব ভাল মানুষের জয় হোক। অংঅং

আত্মজার জন্য আত্মবিলাপ

আত্মজার জন্য বিলাপ

লিখনে, সৃজনে,   শ্যামল  সোম

ও বাবু মশাই ! ও বাবু মশাই ! দেইখছেন নাহি
আমার কইন্যা,  আমার জান, মহেরবানের
দান রেশমীরে, পাতলা গড়ণ, চোকা নাক মুখ
হৈ দিন শুক্রবার জুম্মা  বার, ফজরের নামায
পইড়া, হ কালে দুমুঠো পান্তা খাইয়া, সূর্যোদ্বয়ে
আগেই রসুলের নাম লইয়া বাপ বেটি দুজনে
গেছিলাম হৈ -- মাদারীপুরী হাটে,  গোটা বিশেক
হাঁস  মুরগী পঞ্চাশ খান ডিম রেশমীর  দুই হাতে
ষোল বছরের কইন্যা যেন আসমানের চাঁদের জ্যোৎস্না।

হাটে বিক্রি বাটা খতম হইলে পরে
" বাপজান "  বেটি  চপ মুড়ি  খাইতে কয়-----
এডা কথা জিগাইনি বাপ,
হৈ ঐ যে তাঁবুর ভিতর খেল হচ্ছি
মাদারি খেল দেখতে ভারি মজা, আব্বুজান চলেন গা।"

বেটি মুখ পানে চাইনা দেহি চাঁদের পানা স্বপ্ন ভাসে
চোখের তারায়,
মা মরা বেটি, বড়ই অভিমানী কইলাম ----

" মাদারি কা খেল আর দেখে কাজ নাহি রাত হই  যাবে
এত ঢা পথ আঁধার হলি শেয়াল হাইয়না শকুনের দল 
ওৎ  পাইতা থাহে,  লুকায়ে থাহে,"

মাইয়াটার  মলিন মুখ
খান দেখাইয়া পরোটা আনচান করে,
তিন বছরের
রেশমী অখন ওর আম্মু রে,
গরীবের দুখের কথা কে শুনে  হুনে, বাদ দেন বাবু মশাই !

রেশমীর অবুঝ মন ষোল বছরের মাইয়ার ছলছল
করে চোখ, আপনে কন, ওরে আমি ক্যামনে বুঝাই?
দেহি রাজকন্যা মত রূপ, মলিন হইছে  বেহেস্তের  হুরী ক্যান  জন্ম নিল ?
ক্যান হইলো কন দেহি, আমার বেগমরে দেখতি শুনতি
ভালোই ছিল।

রূপ যৌবন, ঐ হইলো সর্বনাশ মেয়ে মাইনষের রূপ
দোজগের তো শয়তানরা অভাব নাই,

সে শবেবরাত রাইত, পুঙগিরপুত আইসা  বেগমরে মুখে গামছা
বাঁইধা লুঠ কইরে লয়ে যায়,
হতবাক  আমি  বেবাক
বেকুবের মতন  ধানের গোলার আড়ালে লুইকা দেহি

রেশমীর আমমুরে জবাই করনের লাগি টাইনা হিঁচইড়ে
গরুর ছাগলের মতন।

দু-চার জন  হাত ধইরা টানতে টানতে নিয়ে  যায়।

পথ চলছি রেশমীর হাত জড়ায়ে আছে  আমার কোমড়।

অখন ঘনাইতেছে রাত, শেইয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছে  নিশুতি রাইতে
ঘরে ফেরার পথে ঘণ ঘণ জোনাক পোকা জ্বলে ঝিঁঝিঁ ডাকে
বন বাদারে রাত যত বাড়ে  আমার বুকের ভিতর ঢিব ডিপ ঢিপ
ঢিব করে।
হঠাৎই  উঠল আশ্বিনে ঝড়  ঝড়ে উড়ছে ঘরের চাল বেতালে
পড়ছে পা গাছ পালা ভাঙছে হুড়মুড়  কইড়া - বাজ
পড়লো কাছেই ঝলসে উঠল আগুন দাউ দাউ কইরে
জ্বলছে গাছ,  মাইয়া আমার লতার মতন জড়িয়ে---
আমার  মাইয়া বুকের আমার তিতির পাখির মতন উসুম বুকে
ভিতর থর থর করে কাঁপিতিছে

ঝাঁপিয়ে পড়ল বৃষ্টির পানি
বাপ বেটিতে ভিজছি অল্প দূরে ভাঙা চোরা দালান বাড়ি

বাপ বেটি দৌড়ে গিয়ে ঠাঁই পাই,
পুটলি থেইকে পলিথিনের
মোড়া গামছা খান বার কিরে মাইয়া আমার মাথা মুছায়া দেয়
দর দর কইরা দরদে চক্ষু দিয়া পানি ঝরে,

" আব্বু ক্ষুধা
লাগছে? "
মাতৃ স্নেহে মুড়ি আর তাদের পাটালি গুড় দেয়।

হোথায় হঠাৎই বাজ পড়ার আওয়াজে রেশমী ভয়ে জড়ায়ে  এ ধরে।

মশাল হাতে ওরা কারা, কেন এলো
মুখে কোলো কাপড় বাঁধা, হারে রে রে রে রে রে ঐ তিনটা যমদুত
সজোরে আমার মাথায় শক্ত লাঠি মাইরা মাথা ফাটাই  দেলে।

দৌড়ে  ছুটি আসে  রেশমীরের চোলের মুঠি ধইরা হেঁচকা টান দেয়।

রশি দিয়া বাঁইধা রেশমীরে  টানতে থাকে -- রেশমী আওয়াজ দিয়েন - অ অ অ -- আ আ আ আ

হায় হায় আল্লাহ  চোখের সামনেই আমার আদরের মাইয়া নির্যাতনে, গণ ধর্ষণ চলছে।

আর্তনাদ জবাই পশুর মতন মৃত্যুর যন্ত্রনা চিৎকার শুইনা
হায় মেহেরবান, আহ  আহ আহ এমন দৃশ্য দেখার  আমার আগে মরণ হইলো না ক্যান?

রেশমী  পৈশাচিক অত্যাচার অসহ্য হিংস্রতা জ্ঞান হাইরে মুখ থেকেই
গাঁচলা বেড় হইতেছে, গো গো শব্দ -- বধির হতবাক হই,

রেহাই নাই রেহাই নাই রেহাই করলো না শয়তান গুলান
  ওরা রেশমীরে চ্যানদোলা
কইরা কোথা নিয়ে  গেলো  কন দেহি---!
বাবুমশাই  ও বাবুমশাই  আমার রেশমী রে দেখছেন না হি
কৈ গেল কন দেহি ?
রেশমী রে -- রেশমী ---- মা আমার কৈ গেলি মা
ওরে মা তুই ফিরে আয়---- ওরে ফিরে আয়--!

Tuesday 15 October 2019

মুখপড়ি তোর ঐ মৌখিক প্রতিশ্রুত প্রেম

মুখপুড়ির তোর ঐ মৌখিক প্রতিশ্রুত প্রেম

শ্যামল  সোম

যার জন্য  এত কষ্ট  এত অশ্রুপাত হতভাগী তার জন্যই এ বিনিদ্র রাত, কত খানি সুখ
সায়রে গহীন অবগাহন,রবি সেনের লোমশ চওড়া বুকে আত্মসমর্পণ  মানবধর্ম বিসর্জন।
প্রভুর চরণে প্রেম না করলি নিবেদন পাপিষ্ঠা লাম্পট্য আড়ালে ছিল মসৃণ সুনিপুণ বলিষ্ঠ
সুঠাম দেহ সৌষ্ঠব বীরত্ব পৌরুষ প্রদর্শন ।

আর্থিক চোরা কারবারি রবি সেনের উপার্জন ঐশ্বর্য বৈভব পরিপূর্ণ সৌখিন পৌরুষের স্বয়ং
অহংকারে প্রোথিত তুই যৌনদাসি বাঁদির জীবন, রূপকথার দামাল পুরুষের শ্রুশ্রসা শয্যাসঙ্গিনী

রাজপুত্র রবিসোনা নৈসর্গিক স্বপ্নীল কাব্য প্রেমে, মসগুল ঢেউয়ের আলোড়ন শিহরণ শীৎকার
ধ্বনি উল্লাস আপ্লুত রক্তের শিরায় ধমনী রবির, আগ্রাসী আকন্ঠ চুম্বনের স্বাদ আহ্লাদিত রমনী
প্রতারিতা প্রতিশ্রুতপ্রেম অমাবস্যা জ্যোৎস্নায় প্লাবিত সে নানা রঙের দিনগুলি তোর রইল না।

ওরে হতভাগী প্রেম ভালোবাসা কাব্যের স্বপ্নের বিভোর মোহাচ্ছন্ন ন্যায় বর্জন  আকাশকুসুম
কল্পনায় কবিতায় কাব্যময় জীবনের আকাঙ্ক্ষা রবি ভালোবাসার ফাঁদে পড়ে তুই আজ ধর্ষিতা
প্রতারনায় অবাঞ্ছিত গর্ভস্থ ভ্রুণ শতসহস্র বেজন্মা
ভরে গেল দেশ দেশান্তর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত শতসহস্র শরণার্থীদের আত্মবিলাপ
হাহাকার ক্রন্দন নির্যাতন অত্যাচার অসহ্য হিংস্রতার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই শিশু নারী পাচার তোর
রবি মুখোশ ধারি ঐ মাদক ও নারী পাচারকারী মেহেরবান এর অশেষ কৃপা তাই এখন হারানো প্রেম
ভালবাসার গল্পে হাপিত্যেশ চোখে জলে নীল আঁচল ঐ গাছের ফাঁকে তাকিয়ে দেখ ময়ূরাক্ষী নদীর জলে
তোর রবির জলকেলী, কোলে ঝোলে কৃষ্ণকলি তৃষ্ণা।

বিবাহের প্রতিশ্রুতি বিনিময়ে সহবাস

সামাজিক নগ্ন অবক্ষয়ের প্রতিবেদন

বিবাহের প্রতিশ্রুতি বিনিময়ে সহবাস ?

শ্যামল  সোম

সে বছর পয়লা বৈশাখের মেলায় দেখা হোল দুজনার
একজনের পরণে নীল বালুচরী নক্সাকাটার
ঘণনীল রঙে রতনের কাঁথা শিল্পের বাহারী রেশমের পাঞ্জাবী,
নীলা তখন অষ্টাদশী তীব্র আবেগ প্রবণ সাংস্কৃতিক মনস্ক
উচ্ছল নীলপদ্ম তন্বী তরুনী দুচোখে  জ্বল জ্বল
কৌতুক হাসলেন ঢোল পড়ছে গালে একটু বেশীই চঞ্চল।
রতনের বয়স তিরিশ ছাব্বিশ মতন নিয়মিতই জীম কথা চেহারা,
নারী মহলে  চাহিদা আছে, সুখের পায়রা কাপ্তেন সৌখিন মেজাজ ঈষৎ মদ্যপ
যুবকচিত সুপুরুষ চোখে মুখে অহংকার, হায়না চোখে লালসা চাটে টোঁঠ।

বকুলতলায় রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে পঁচিশে বৈশাখের ভোরে
বহু দর্শক শ্রোতার ভীড়, প্রেমের কবি রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী
আজ যেন ভালোবাসার দিন, বৈশাখের কৃষ্ণচূড়ার গাছে গাছে
প্রেমের রঙে রাঙা রক্ত পলাশ, রঞ্জন এর সাথে রক্ত করবীর নন্দিনী
মধুর মিলনের আজ এসেছে রাঙা প্রভাত।

প্রেমময় ও প্রেমময়ী এ প্রথম সাক্ষাত,  চালচিত্র  আঁকা আছে পল্লি গ্রামে
ছায়া ছবি খরস্রোতা  নদী নিবিড় বনানী, এ হেন  মঞ্চ সজ্জা অকল্পনীয়,
সেই মঞ্চে নীলা, গাহিছে " এসো হে বৈশাখ"।

রতন গান শোনার থেকে গায়িকার রূপ লাবণ্য মসৃণ ত্বক
উজ্জ্বল বর্ণের নিটোল গড়নে দেখে জিব চাটছে, 
লিপ্সা চোখে মুখে, গলা কাঁপিয়ে মেঘমধুর উদাত্ত কন্ঠে রতনের আবৃত্তি,
"আমি গোলাপের দিকে চেয়ে বললাম সুন্দর সুন্দর হলো সে"
নীলা কন্ঠস্বরে যাদু বলিষ্ঠ সুঠাম দেহের আকর্ষণে
মন্ত্রমুগ্ধ কাব্যের লালিত্য যত না মোহাচ্ছন্না বিগলিত
রতনের পেশীবহুল চওড়া ছাতি দেখে নীলা আরক্তিম
গালে টোল পড়লো।
নীলার  বান্ধবীদের হাসাহাসি শেষে যখন প্রথম পারস্পরিক
পরিচয় পরস্পরের কাছ থেকে ঐ মুঠোফোনের নম্বর দেওয়া
নেওয়া পরে, রতনের মধুর আহ্বানে রেস্তোরাঁতে খানা পিনা
দুজনেই বেসামাল রসবশে বেশ দ্রুতই চললো দুজনার মন নেওয়া দেওয়া পালা।

গদ গদ প্রেম তাল গাছের তাড়ির মতন নেশাচ্ছন্ন ময়ূয়া না ইয়াবা নেশায়
টাল মাটাল গুটি গুটি  পায়ে, গোপনে চলছে নির্জন  নগ্ন দুপুরে গঙ্গার ধারে
কখন বোটানিকেল গার্ডেন ঝোপে ঝরে হাতে হাত চোখে চোখ অপলক দৃষ্টিকোন
থেকে  পরস্পরের কাছাকাছি আসতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে
উঠছে, অমাবস্যা চাঁদের জ্যোৎস্নায় ময়ূরাক্ষী নদীর পাড়ে মাঘ মাসে শীতার্ত
তৃষ্ণার্ত চাতক চালকের একটু উষ্ণতার খোঁজে প্রবল শীতে  ভারা করা কটেজে ঘরে
শুভ্র কোমল বিছানায় পরস্পরের কাছে প্রতিশ্রুত অসাধারণ বিশ্বাস নীলার নীল প্রেমে
বিভোর মোহাচ্ছন্ন বিমোহিত মন প্রথম প্রেম প্রবল বাঁধ ভাঙার বন্যা ভেসে চলছে মোহনায়

বিবাহের প্রস্তাব সর্ত  সাপেক্ষে সে এক অতি আশ্চর্য উষ্ণতা জন্য পরস্পরের 
আকন্ঠ চুম্বনে রক্তাক্ত ঠোঁট ঘণ আলিঙ্গনে লোমশ বুকে না নগ্ন স্তনে গোপন সুখ
সুখের সন্ধানে আত্মসম্মান জ্ঞান বুদ্ধি সম্ভ্রম মান মর্যাদা সব জলাঞ্জলি দিয়ে
পাশবিক মৈথুন সুখ সমুদ্রে সাঁতার ঢেউয়ের আলোড়নে ঝড়ের তান্ডব ভয়ঙ্কর মেঘের গর্জন

অবশেষে ঝিরঝির করে ঝরছে বৃষ্টি ব্যাকুল উদগ্রীব দুটি দেহ গহিন অরণ্যে
রোদন নীলা কাঁদছে প্রথম প্রেম সলজ্জ
চোখে চোখ পড়তেই ভূমিকম্প স্পন্দন আলোড়িত দুজনার
মন পরস্পরের পরিপূরক পরিপূর্ণ স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক নরনারী স্বেচ্ছা মিলন।

কে করবে বারণ পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন চক্ষুশূল
হেলে দুলে নীলা নদীর বহমান স্রোতে ভেসে চলছে সাগরের
মোহনায়, হঠাৎই মোহ ভঙ্গ তিন মাসের ভ্রূণ পরীক্ষার পর
গর্ভস্থ সন্তানের দায়িত্ব পালনে রতনের অস্বীকার যা খুব
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন সবাই মুখে মুখে রসালো আলাপ এর জন্য ঐ সামান্য
বিবাহের প্রতিশ্রুতি এ বিশ্বাসে সহবাস না ঐ ব্যভিচারিনী
নীলার আত্মতৃপ্তি নীরব সন্মতি ছিল ?

পুলিশ অনুসন্ধান জানা গেলো রতনে রতন চেনে বহুগামী
ভোগ বিলাস অপর্যাপ্ত  অর্থ বরাদ্দ কাস্টোমার সার্ভিসে আছে।
নীলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ডাক্তারের স্মরণাপর্ণ প্রেমের
ফসল নির্মূল করার আশু প্রয়োজন কি আত্মহনন  আত্মগ্লানি
ভারাকান্ত যৌনবতীদের সাথে লাল পাড়াতে ঘর বাঁধবে না
কলঙ্কিনী সকলের মনোরঞ্জন করে জীবন যাপন করবে কিভাবে ?

প্রেমের চিরকুট চিঠি

প্রেমের চিরকুট চিঠি

প্রমিকা  মৌমিতা

মৌমিতা স্বপ্ন নয় আমি ফিরছি ফিরে
তোমার ঐ গাঁয়ের বাড়ির পথে  ধীরে
সুস্থে রিক্সা চড়ে দুপাশে ধান ক্ষেত দূর
নীল আকাশের বাজে মেঘ খুশির সুরে।
আমার মিতা তুমি আমার ভালোবাসা
কোলকাতা তোমার এত  কাছে আশা,
তুমি ভোরের আকাশে জ্বলন্ত শুকতারা
তোমার ঐ প্রেমে পড়ে আমি দিশেহারা।
ভালোবাসা হীন এ জীবনের তীব্র দহণ
যুগল উষ্ণ আলিঙ্গনে চুম্বনে জুড়ায় মন,
জীবনের ঝরাপাতা পাতায় জীর্ণ জীবন,
মনে কোনে জমে থাকা অভিমান প্রবণ
আবেগে আত্মহত্যা পূর্ব মুহূর্তে এ শ্রবণ
আমাকে ফেরায় তোমার অমলিন কথন।
মৌমিতা স্বপ্ন দেখি নদী পাড়ে বসবাস বন্ধন
বাঁধবো প্রেমের কুড়ে ঘরে চাঁদের আলোয়
আলোয় আলোকিত প্রিয় মানুষের প্রণয়।
তুমি আর আমি  দুজনে মিলে ভালোবাসায়
আমার তোমার জীবনে ঐ স্বর্গ সুখে উত্তরণ,
চিরস্থায়ী আমাদের মাতাল পরেমের বন্ধন।

ইতি
তোমার আদরের শ্যামল সোম

আমার দূর্গা

আমার দুর্গা

শ্যামল সোম

আমার  দূর্গা কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত,
কলমের শাণিত হাতিয়ার,  ঘৃণ্য সুপ্ত
যৌন অত্যাচারে বীরপুরুষের নির্লিপ্ততা
রাজসভায় দ্রোপতি নগ্ন শরীর দর্শনের
বাসনায় লালসায় হিংস্র জন্তু উদাসীন।
মনিপুরের মা, স্তন সূর্য দায়িনী জননী,
তিন তালাক উচচারণে সন্তান নিয়ে এই
পুরুষ তান্ত্রিক সামাজিক বিধানে গৃহহীন।
আমার দূর্গা বারবনিতা পুরুষে মনোরঞ্জন
চোখে কাজল এঁকে প্রতি রাতে বাসর শয্যা,
যৌন কর্মী বেআইনি পাড়া খাল পারে লজ্জা।
আমার দূর্গা গণ ধর্ষণে বিচারষ নাহি পায়,
আমার দূর্গা আজ লাঞ্ছিতা ঘরে সংসারে
জননীরা নিয়ত  পুত্র সন্তানদের অত্যাচারে ,
আমার দূর্গা স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলা
অসহায় একটু আশ্রয় খোঁজে সন্তরণে ঢোবে।
পাড়ায় পাড়ায় মঙ্গলা বাসুন মাজে ঘরে মোজে
ঘরে নব বঁধু পণের বলি, আত্মহত্যা করে ফাঁসে।
আমার দূর্গা প্রকাশ্যে রাজ রাতে পথে নির্যাতিতা,
বিতারিতা জননী পথে পথে হাঁটে একটু আশ্রয়
খোঁজে, বাংলাদেশে আমার দূর্গা তিনি রাষ্ট্র
শাসন করে, দেশ বিদেশের বাণিজ্য,শিল্প গঠন,
শিল্প ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতি মমনেচিন্তন
মায়ের মতন শাসন করে, সে মমতাময়ী, জননী
মা মাটি মানুষের জন নেত্রী এ বাংলায় জমিনে
তিন স্তর থেকে ফোটাতে চান ফুল ফুলে ঢলে
ঢলে ফুলে ভরা থাক সম্প্রীতি সহমর্মিতা প্রেম।
ভালোবাসার নেয় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেণ,
" ধর্ম যে যার উৎসব সবার " সবার উপরে
মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই, মন ছুঁয়ে যায়
আমার দূর্গা কবি কৃষ্ণা বোস যখন উদাত্ত
দীপ্ত কন্ঠে নিজের কবিতা নিজেই আবৃত্তি
করেন, মেয়ে মানুষের লাশ, ফুল্লরার বার
মান্য মাস আমার দূর্গা স্বামী বিতারিতা হন
আপন সন্তান নিয়ে আপন জীবন সংগ্রামে
একা একা সন্তানের তরে  পিচ্ছিল  পথে চলে।