মেয়ে মানুষের লাশ
শ্যামল সোম
মরা চাঁদ গেছে বুঝি
ঐ বেনো জলে ভেসে
আধো অন্ধকারে
নয়নজুলির খালে ভাসে।
মেয়ে মাইনষের লাশ
চিত হয়ে শুয়ে আছে।
পরনে ময়ুর কন্ঠি রঙের
সিল্কের শাড়ি রক্ত
রাগ রঙে ব্লাউজ,
চুলের জড়ানো যূঁই ফুলের
মালা সবই বেসামাল
এতই এলোমেলো চুল।
ভেঙেছে খোঁপা অর্ধ নগ্ন
যৌনবতীর দংশিত
মোথিত শরীর ক্ষুধার্ত
লোলুপ হায়নার দলিত
ধর্ষণে ধর্ষণে বিহ্বল
প্রেমিকা শেষে তোড়ায় বাঁধা
ঘোড়ার ডিম হাতে পেয়ে
নিষ্ফল প্রয়াসে কান্নায়
আর্তনাদে জবাই করা
পশুর মত গোঁ গোঁ গর্জন।
যুবতীর আর্তনাদ ক্রন্দন
শুনেও শোনেনি অনেকে
বাতি নিভিয়ে দিয়ে,বিস্মৃত
শোকে দেখেও দেখেনি
তাকে, বটবৃক্ষের শাখায়
এক জোড়া দোয়েল পাখি
বিব্রত বিরক্ত ক্রোধে ঘন
ঘন ডানা ঝাপটায় নাকি?
সূর্যোদ্বয়ের আলো এসে
পড়ে পাথরের আঘাতে
থেঁতলানো ভালোবাসার
প্রত্যাশী আকাঙ্খিতা নারী,
সুন্দরীর মুখে সে মুখে
গেয়েছিল জীবন মুখি কত গান
সেই মেয়ে মাইনষের লাশ
দেখতে জমায়েতের প্রশ্নবাণ।
No comments:
Post a Comment