Tuesday, 10 July 2018

প্রশ্ন কাব্য নারীর অনধিকার চর্চা প্রবন্ধ


প্রশ্ন করা  নারীর অনধিকার চর্চা?      ( কে জানে তর্কে যাবে এ প্রবন্ধ )

শ্যামল সোম

সাম্প্রতিক বিভিন্ন দেশে দেশে
সামাজিক অবক্ষয়ের পথে শেষে
ধাবিত হচ্ছে রসাতলে নিয়ে বহু
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
পুলিশের তদন্ত চলে দীর্ঘ দিন ধরে,
চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাঝেমধ্যে চলে
চ্যানেলে প্রচারিত হয় সংবাদ যত।

লেখা প্রতি বেদন পত্রে নারী  শিশু
কিশোরী যুবতী যৌননিগ্রহ নির্যাতন
ঘরে ঘরে নিজেদের সংসার চলছে,
প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের
পোয়াতি প্রেমিকাকে খুন করা বা তখন
পালিয়ে যাওয়া সমুদ্রের ঢেউয়ে মতন
বারবার ফিরে এসে ভালোবেসে অসংখ্য
চোরাবালির স্রোতে  ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ।

প্রতারণা  থামানো যাচ্ছে না আমি  শুনি
কিশোরী আর্তনাদ অন্ধকারে চলে ভাঙা
বাড়িতে চলন্ত  গাড়িতে বা বাসে রাতের ধর্ষণ।
প্রাণের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত নারীরা মানুষ নয়
মা বোন কন্যা জায়া নাতনির জন্য আন্তরিক
কি আশ্চর্য মুকবধীর উদাসীন দায় অস্বীকার
আইন আছেই, নির্লিপ্ত নীরব ভাগ্য মেনে
নেওয়া এই কি চিরস্থায়ী  নারীদের অভিশপ্ত
জীবনের চলার পথে দুঃখের কত যুগ যুগান্তর
ধরে মাতৃ জাতির শত সহস্র এ লাঞ্ছনা প্রবঞ্চনা থেকে কবে
মুক্ত হবে।

কখন কেউ জানে না মাঝে টিভি চ্যানেল এই  সব খবরটি পঠিত
হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে জামিনে ছাড়া পায়,
প্রতিক্ষণ কতজন ধর্ষিতা হন।
হিসেব পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়?
কত শত ধর্ষনে শিকার হন, প্রতি ঘন্টায়?

নারীদের পোশাক পরা উচিত ঢেকেঢুকে
না পড়ার জন্য কামার্ত পুরুষেরা গণধর্ষণে
অবশেষে পেট্রল ও ডিজেল ঢেলে আগুন
পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বহু ঘটনা ঘটেছে প্রতি
দিন দিন প্রতিদিন প্রতি নিয়ত যৌন কামনায়
প্লাবন প্রলয় প্লাবনে ভেসে যাক সভ্যতা সংকটে
ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতির সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন
ধারার চলচ্চিত্র তৈরি হোক লেখা হোক না কেন
আগুনের রক্তের  অক্ষরে অক্ষরে লেখা পড়ে
বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে সমাজে কি সম্ভব হবে?

No comments:

Post a Comment