Sunday, 31 December 2017

কবিতা আমার আদরের পাগলি

কবিতা আমার  আদরের  পাগলী

বাঁশিওয়ালা

তুই বিশ্বাস কর পাগলী
তোকে দেখে  ভালোবেসে
কক্সবাজারে  সমুদ্র সৈকতে
পেতেছি শয্যায় শয়নে স্বপনে
জ্যোৎস্নায় আলোকিত
ঢেউয়ে ভেসে যেতে তোকে
বুকে আঁকড়ে ধরতে 
চাইছি আমার পুরোনো
প্রেমিকা কবিতাকে,
কাব্যের  আঙিনায় সে রাতে
রঙিন সামিয়ানার নীচে ,
আমার কবিতা নূতন কনে
সেজে কনকচাঁপায় সজ্জিত
সোনালী রঙের বেনারসী শাড়ির
আঁচলে  জামদানীর খোমটায়
আড়ালে লাজুক মুখে চন্দনের
কারুকার্য, কপালে,গাঢ় লালে
লাল কাঁচুলি, মেঘের বরণ চুল
ঢাকা নীল ওড়নার  আড়ালে
একজোড়া মীনাক্ষীর পলক
কাঁপে তির তির হৃদয়ে কম্পন,
কাঁপছে শরীর, কবিতা তোর
অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছায় বিবাহে
উৎসবে কাঁপিয়ে দেয় এ হৃদয়।
আমার হৃদয়ের গহ্বরে অশ্রু ঝরে
বুকে ভেতর বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি  পড়ে।
কনে সাজে কবিতা তুই যখন পরদা
আড়ালের কাজীর নিকানামা পড়ান,
জিগায়, " কবিতা বিবি 
ওমর ফারুক কে স্বামী
রূপে তুমি কি কবুল করো ?
হঠাৎই  আমার  দিকে তোর সজল
চোখে তাকিয়ে আছিস---" !
ভালোবাসার প্রতিমূর্তি গাঁথা রইলো।
তারপর বহু জল বহে খর স্রোতে
বহে গেছে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে।
পঞ্চাশ বছর ভালবাসায় কবিতা
তোর রূপের আগুনে বিদগ্ধ মনে
আজও ভালোবাসায় ভেসে যাই
প্রেমিকা কবিতা তোর খোঁজে
জানিস পাগলী আপ্রাণ চেষ্টা করছি 
অনেক চেষ্টা  শুদ্ধ কাব্য লেখার
কিন্তু  বারবার ছন্দ পতন ঘটছে, সঠিক
শব্দ চয়নে ভুল হচ্ছে, বাক্যের বিন্যাসের
যুক্তি খুঁজতে গিয়ে কাব্যের
নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি শত বিনিদ্র রাতে,
একটি বিশুদ্ধ কবিতা লিখতে না পারার
ব্যর্থতা কি ভয়ংকর ভাবে সারা রাত বিনিদ্র রাখে,
বুকের ভেতরে সমুদ্রের ঢেউ  প্রচন্ড  আঘাতে
আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাই প্রতিদিন ।
আক্ষেপ রহে গেল , সত্যিই  একটি কবিতা
যা এই বিষন্ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে
দেখি কেউই নেই, হাহাকার বাতাসে
ভেসে বেড়ায় হারোন প্রেম কবিতা
তন্ময় হয়ে পড়ি আমার পরিচিতার এক
নারীর সুখে বাসর আশ্চর্য  অসাধারণ
কাব্যময়  তাঁর লেখা ভাবের প্রকাশ অনবদ্য সৃষ্টি
কাব্যিক এক নদী কুল কুল করে
বহে যাচ্ছে হৃদয় জুড়ে যেন আমার মনের গোপন কথা,?

কবিতা আমার আদরের পাগলি

কবিতা আমার  আদরের  পাগলী

বাঁশিওয়ালা

তুই বিশ্বাস কর পাগলী
তোকে দেখে  ভালোবেসে
কক্সবাজারে  সমুদ্র সৈকতে
পেতেছি শয্যায় শয়নে স্বপনে
জ্যোৎস্নায় আলোকিত
ঢেউয়ে ভেসে যেতে তোকে
বুকে আঁকড়ে ধরতে 
চাইছি আমার পুরোনো
প্রেমিকা কবিতাকে,
কাব্যের  আঙিনায় সে রাতে
রঙিন সামিয়ানার নীচে ,
আমার কবিতা নূতন কনে
সেজে কনকচাঁপায় সজ্জিত
সোনালী রঙের বেনারসী শাড়ির
আঁচলে  জামদানীর খোমটায়
আড়ালে লাজুক মুখে চন্দনের
কারুকার্য, কপালে,গাঢ় লালে
লাল কাঁচুলি, মেঘের বরণ চুল
ঢাকা নীল ওড়নার  আড়ালে
একজোড়া মীনাক্ষীর পলক
কাঁপে তির তির হৃদয়ে কম্পন,
কাঁপছে শরীর, কবিতা তোর
অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছায় বিবাহে
উৎসবে কাঁপিয়ে দেয় এ হৃদয়।
আমার হৃদয়ের গহ্বরে অশ্রু ঝরে
বুকে ভেতর বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি  পড়ে।
কনে সাজে কবিতা তুই যখন পরদা
আড়ালের কাজীর নিকানামা পড়ান,
জিগায়, " কবিতা বিবি 
ওমর ফারুক কে স্বামী
রূপে তুমি কি কবুল করো ?
হঠাৎই  আমার  দিকে তোর সজল
চোখে তাকিয়ে আছিস---" !
ভালোবাসার প্রতিমূর্তি গাঁথা রইলো।
তারপর বহু জল বহে খর স্রোতে
বহে গেছে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে।
পঞ্চাশ বছর ভালবাসায় কবিতা
তোর রূপের আগুনে বিদগ্ধ মনে
আজও ভালোবাসায় ভেসে যাই
প্রেমিকা কবিতা তোর খোঁজে
জানিস পাগলী আপ্রাণ চেষ্টা করছি 
অনেক চেষ্টা  শুদ্ধ কাব্য লেখার
কিন্তু  বারবার ছন্দ পতন ঘটছে, সঠিক
শব্দ চয়নে ভুল হচ্ছে, বাক্যের বিন্যাসের
যুক্তি খুঁজতে গিয়ে কাব্যের
নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি শত বিনিদ্র রাতে,
একটি বিশুদ্ধ কবিতা লিখতে না পারার
ব্যর্থতা কি ভয়ংকর ভাবে সারা রাত বিনিদ্র রাখে,
বুকের ভেতরে সমুদ্রের ঢেউ  প্রচন্ড  আঘাতে
আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাই প্রতিদিন ।
আক্ষেপ রহে গেল , সত্যিই  একটি কবিতা
যা এই বিষন্ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে
দেখি কেউই নেই, হাহাকার বাতাসে
ভেসে বেড়ায় হারোন প্রেম কবিতা
তন্ময় হয়ে পড়ি আমার পরিচিতার এক
নারীর সুখে বাসর আশ্চর্য  অসাধারণ
কাব্যময়  তাঁর লেখা ভাবের প্রকাশ অনবদ্য সৃষ্টি
কাব্যিক এক নদী কুল কুল করে
বহে যাচ্ছে হৃদয় জুড়ে যেন আমার মনের গোপন কথা,?

সূর্যোদবধয়ের ভোরে কবিতা সাথে সঙ্গম

সূর্যোদ্বয়ের ভোরে
কবিতার সাথে সঙ্গম

শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা

অলকানন্দা মন্দাকিনীর
সঙ্গম স্থলে কর্ণপ্রয়াগে
প্রাতে তোমাকে মানস নেত্রে
স্বপ্নে স্বর্ণ স্তনে শব্দের
চুম্বনে চুম্বনে রক্তাক্ত ঠোঁট,
রক্ত ঝরছে কাব্য পাঠে
শিশির ভেজা উষ্ণ শয্যায়।
কবিতার সাথে আশৈশব প্রেম,
" জল পড়ে, পাতা নড়ে " !
ছন্দে অছন্দের বাহুল্য হীন
আমি বেকুবের মতন কবিতা
তোমাকে গভীর আলিঙ্গনে
জড়িয়ে ধরে আদরে
আদরে, কাব্যিক এ মন
তোলে তুফান কবিতার
উত্তপ্ত দেহে করে লেহণ।
পৌরুষ  উড্ডীন অহংকারে
প্রোথিত বৃক্ষের চারা শুকায়।
অতৃপ্ত কবিতার চাপা কান্না
প্রতিধ্বনি শুনি নপুংসক হৃদয়ে।
শব্দের লহরী স্রোতে বহমান
যৌনবতীদের আমন্ত্রণে বিনম্র
প্রত্যাখান এ ক্রুদ্ধ নারীদের
উন্মুক্ত বসনে নগ্ন যৌন
আক্রমনে সমবেত প্রয়োগে
কবিতার ধর্ষনে বিহ্বল 
নিষ্ফল লিখন প্রয়াস।
অরণ্যে  পদ্ম যোনিতে
বিশৃঙ্খল বাক্যের
বিন্যাসে অক্ষরের বীর্য
পাতে অলকানন্দা স্রোতে  
ভাসে স্ফূর্তির অস্ফুট কাব্যের ভ্রূণ।

হে নদী তুমিই সেই নারী

হে নদী তুমিই কি সেই নারী

শ্যামল সোম

হে নদী এপার ভেঙে ওপার তুমি তখন গড়
বানে বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাও সুখের ঘর
দেখ সংসার খাঁ খাঁ করে তোমার প্রত্যাখানে,
হে নারীর প্রেম বহমান স্রোতে নদীর ধারে বসে
স্নিগ্ধ শীতল হাওয়ায় আমার শরীর মন জুড়ায়।
আবার ভয়ঙ্কর প্রচন্ড সুতীব্র ক্রোধে ধ্বংস করো
শত সহস্র জনপদ গ্রাম শহর বন্দর ভেসে যায়।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে,শত সহস্র সাজানো সংসার
তোমার হাতেই এক লহমায় মূহুর্তে অভিমানে
চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে খান খান হয় ভেঙে যায় দাম্পত্য।
আত্মসম্মানে আঘাতে নির্যাতন বিরুদ্ধে রুখে
দাঁড়িয় আছো হিমালয়ের কন্যার মতন দীপ্তিময়ী
শক্তিময়ী হে নারী নদীর মতন গ্রাস করো অন্যায়
অবিচার যা কিছু অপরাধের শাস্তি দোজখে পাঠাও।
নদী তুমি কি নারী ভালবাসায় কুল কুল করে বহে
যাও আমার ভীষণ প্রিয় কবি ভালবাসায় তোমার
কাব্যে আলিঙ্গনে যমুনার ঢেউয়ে প্রবল উছ্বাসে ভেসে
যায় জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ বৃদ্ধের এ হৃদয়ে প্রেম জাগে।
তোমাদের অপূর্ব ছোঁয়ায় কাব্যের স্রোতে ভাসিয়ে
দেয় এ বৃদ্ধের জরাজীর্ণ জরাগ্রস্ত দগ্ধ  এ হৃদয় প্রাণময়।

ভালোবাসার দহণ

ভালোবাসার দহণ

শ্যামল সোম

রাধে শ্যামের এ বাঁশি থেমে গেছে রেয়াজ
নিরব বাজে না, বেহাগ বসন্ত বাহার খাম্বাজ,
একাকী নির্জন বিরোহিনী রাধা কুন্জবনে কাঁদে
তখন মহা রণে শ্যাম সুন্দর কুরুক্ষেত্রর পরিসরে,
ন্যায় সত্যর পক্ষে সামাজিক রাজকূট অবক্ষয়ের
বিরুদ্ধে চক্র সত্যের ধ্বজা উড়িয়ে চলেন তিনি
যুদ্ধে বিজয় রথ থামে, সত্য প্রতিষ্ঠা শেষে ক্লান্ত,
হঠাৎ শ্যামের কি মনে পড়ে যায় রাধাকে বিরহে?
না, অনেক দেরী হয়ে গেছে বিরহের বেলা গ্রহে
অস্তাচলে গোধূলি লগ্নে যমুনার তীরে সুখস্মৃতি
সে এক ঐসরিক স্বর্গীয় এ প্রেম জাগে সে অমৃত
লোকে রয়েছে যুগলবন্দির ভালবাসায় মধুরাতে
সহস্র যুগ যুগান্তর ও যমুনা নদীর বহমান স্রোতে।
তবু আজ কেন পোড়ে মন সামান্য মানুষ আমরা
বারে বারে দুজনেরই পরস্পরের কাছে ছলনায়
কাছাকাছি আসতে চায় মন সুখের নির্যাস আহোরণ?
শত সহস্র যোজন দূরে পরস্পরে শুধুই এ বিভাজন
দুজনেই ভালোবেসে দুঃখে জ্বলন দুজনের পোড়ে মন
প্রেম ভালোবেসে ভালোবাসার ছোঁয়ায় মমনে এ মরণ,
সুখের মন্থনেে অনুভূত এ এক ভালোবাসার অসহ্য দহণ।

রাধা তোমাকে ভালোবেসে এ আমার অহংকার

রাধা তোমারকে ভালবাসে এ আমার অহংকার

শ্যামল সোম

রাধা তুমি আমার সকাল বেলার ভৈরবী,
তুমি রাতের বেলার মালকোষ রাগের তাণ
তালে সঙ্গীতের মূর্ছনা ভালবাসার অনুরোরন
আমার হৃদয়ের গহীন অরণ্যে ছুঁয়ে আছে ঝর্ণা
আমি শঙ্খচিল মতন উড়ছি তোমার হৃদয়ের
প্রচন্ড  সমুদ্রে ঢেউ আমি প্রতিক্ষণ আলোড়ন।
তুমি আমার পদ্মাবতী আমার দূর নীপবাসিনী
প্রেমিকা ভালবাসার স্বর্গের পারিজাত অমূল্য
রতন তোমাকে ভালোবাসে ধন্য এ জীবন।
হে রাধা তোমার ভালোবাসায় আজ প্রেমে পূর্ণ
হৃদয় ভালোবাসা দুহাতে বিলাই মানুষের মাঝে,
নিজের রয়েছে এক বিশাল আকাশের মত হৃদয়
সে হৃদয়ে গহীন সীমাহীন নীল সমুদ্রের ঢেউয়ে
মতন আছড়ে পড়ে প্রেম সেই প্রেমের ব্যাকুল ঢেউয়ে
জলোচ্ছ্বাসে শতসহস্র মানুষের সকলের হৃদয় জুড়িয়ে
দিয়ে শুভ নববর্ষের  ভালোবাসা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

Wednesday, 20 December 2017

আদরিনী

20---12---2017

আদরিনী

শ্যামল সোম

মেয়ে ঠিক যেন মোমের পুতুল
ঘন কালো কোঁকড়ানো চুল
ফোলা ফোলা তুলতুলে গাল
আদরে আদরে গাল হতো লাল।
মা মরা মেয়ে, বাপ মোদোমাতাল
দিদা মামার সংসারে অনাদরে
আধ পেটা খাওয়া তবু প্রকৃতির
আপন খেয়ালে বাড় বেড়েছে।
গায়ে গতের কখন আলুর চপ
কখন চকলেট লজেন্স লোভে
চুপিচুপি আদরের ছলে বলে।
কোলে তুলে নেয় আদরে কোলে
বসেই কত আদর মাঝেমধ্যে সে
শৈশবে এ আঁচড় লাগতে ব্যথা
কঁকিয়ে উঠে আদরে আদরে।
কৈশোরে পা রেখেছে সবে শুরু
হলো আদরের ঠেলা ঠেলি, গুরু
গম্ভীর আওয়াজ ডাক ছিল মেঘ,
তুমুল ঝর বাদলে  অঝোরে ঝরছে
বৃষ্টি স্নাত সে রাতে ঝোপে আড়ালে
রক্তে অক্ষরে অক্ষরে লেখা হচ্ছে
আবহমান কাল থেকে নারীর প্রতি
অবমাননার অত্যাচারের বাকি আছে
আরো শতসহস্র বছরের ইতিহাস।
যৌন নির্যাতনের সহিংসতা গ্লানিময়
পশুর অধম চিরকালের বিকৃত মনস্ক
শয়তানের আনন্দ উল্লাস গণধর্ষণের
জনৈকা কিশোরের মৃত্যু খবরের কাগজে
পাতায় শিরোনামে, ধিক্কার জানায় সবাই
টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে প্রচারিত হয়।
মোমের পুতুলের জন্য পথে পথে হাঁটে
হাতে নিয়ে জ্বলন্ত মোমবাতির মিছিল।

শীতার্ত রাতে হাহাকার

শীতার্ত রাতে হাহাকার

শ্যামল সোম

একা একাই কাঁদি
বিনিদ্র রাত জাগে
মন ঐ তারাদের
সাথে, তারা মণ্ডলে
রাতের আকাশে,
তুমি নক্ষত্র জ্বলে
তুমি অরুন্ধতী।
তুমি চলে গেছো
অজানা সীমানায়--
ফেরা কি কখন যায়?
নন্দিনী এসো ফিরে
এসো এই নির্জন রাতে।
আকাশে বাতাসে
পৌষে শস্য শ্যামলা
মাটির ঘ্রাণ ভেসে
আসে নবান্ন উৎসবে।
তোমার ভালোবাসার
স্রোতে আজও ভাসে
মমনের ব্যথিত ব্যথা
ব্যাকুল ফিরে পেতে চায়।
অকৃপণ প্রকৃতির সাথে
সহবাসের শীতার্ত রাত
শিহরিত হয়েছিলাম
তোমার আলিঙ্গনে
তাপিত চুম্বনে চুম্বন।
সুখ স্মৃতি মনে পড়ে
যায় আমার হৃদয়ে
শূন্য অপূর্ণ সাধ জাগে
শীতার্ত রাতে উষ্ণতা
খোঁজে তপ্ত শরীর
আজ কাছে তুমি নেই,
বালিস ভিজে যায়
বহে দুচোখে অশ্রু নীর।

তুমি আমার স্বপ্নে র কবিতা স্বপ্না

তুমি আমার স্বপ্নের কবিতা স্বপ্না

শ্যামল সোম

স্বপ্না তোমার তুলনা তুমিই
আমার কাব্যের দেবী,
স্বপ্নের জ্যোৎস্নায় পরী
শব্দ চয়নে ছন্দে ধ্বনি
শুনি ঐ পায়ের নূপুরের
গুঞ্জন অভিসারএ এলে
নৃত্যের তালে তালে তন্বী
তোমার হাত ধরেই চলি
পলাশ বিছানো এ পথে।
কাব্যের কৃষ্ণচূড়ার ডালে
লালে লাল রক্তিম ঐ মুখে
তোমার ঐ আড় চোখের হাসি
তুমিই আমার আদরের সর্বনাশী।

Friday, 1 December 2017

বাংলাদেশের নিমন্ত্রণ -- মোঃ দেলোয়ার হোসেন

কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি শতসহস্র মুক্তি যুদ্ধের ভাষা
সৈনিকদের  ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর
সেনানীদের পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের  আত্মা
শান্তি কামনা করি প্রতি বছর শহীদ মিনারে।

শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি আপনাদের আমন্ত্রণে
প্রতি বছরে একুশে কবিতা উৎসবে বিভিন্ন জেলায় ও ঢাকার
কবিতা পাঠ  ও সাহিত্যের আলোচনা সভাতে নিমন্ত্রণ যাই বারে বারেে।

বাংলাদেশের বন্ধু আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

#নিমন্ত্রণ
মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
(পশ্চিম বঙ্গের কবি শ্যামল সোম শ্রদ্ধা ভাজনেষু)
___________________________________________

এই বাংলায় তুমি এসো ফিরে ফিরে।
ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে নেবো,
খুঁজে নিবো অসংখ্য মানুষের ভিরে।

যদি বাড়াও হাত, যদি আগাও কদমে।
আমি তোমারে ভালোবেশে বুকে টেনে নিবো,
তোমার'ই গাণ গাইবো দমে দমে।

এসো বন্ধু এই শ্যামল বাংলায় এসো।
এসো পদ্মা মেঘনা যমুনার বাংলায়,
এসো তুমি মুজিবের বাংলায় এসো।

অনুভুতির উত্তরিয় দিবো রেশমী কাপড় খাঁটি।
বসতে দিবো শ্রীহট্টের নকশি শীতল পাটি,
গরুর খাঁটি দুধ দেবো ভরে বাটি বাটি।

রাজশাহীর আম খাওয়াবো গৌরনদীর দধি।
সিরাজদিখানের পাতখিরার পাটিসাপটা খেও,
আমার গায়ে ঘুরে বেড়িও নিরবধি।

তোমায় আমি কবিতা দেবো স্বর্ণ থালা ভরি।
কবিজনে আসর বসাবো গল্প করবো,
হাসবো হাসাবো, ফুটাবো ছড়ার ফুলঝুরি।

তুমি বন্ধু আসবে ফিরে তোমার বাংলা শিকরে।
আমার সাধের সুন্দর বনে বাঘ দেখাবো,
বানর হরিন দেখাবো,নদীগুলো ভরা কুমিরে।

বান্দরবানের সাজেক ভ্যালী কাপ্তাইর হ্রদ।
আলুটিলার অন্ধকারচ্ছন্ন গুহা দেখাবো,
দেখাবো কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত।

ঢাকার শহর ঘুরাবা তোমায় টম টমে চড়ে।
পোড়াবাড়ির রসালো চমচম খাওয়াবো,
মুক্তাগাছার মন্ডা যতটা পেটে ধরে।

তোমার হাতে হাতটি রেখে মনে দেবো মন।
বুকের অয়োময়ে জড়িয়ে রাখবো তোমায়,
লহো লহো সুজন, লহো মোর নিমন্ত্রণ।