Sunday, 31 December 2017

কবিতা আমার আদরের পাগলি

কবিতা আমার  আদরের  পাগলী

বাঁশিওয়ালা

তুই বিশ্বাস কর পাগলী
তোকে দেখে  ভালোবেসে
কক্সবাজারে  সমুদ্র সৈকতে
পেতেছি শয্যায় শয়নে স্বপনে
জ্যোৎস্নায় আলোকিত
ঢেউয়ে ভেসে যেতে তোকে
বুকে আঁকড়ে ধরতে 
চাইছি আমার পুরোনো
প্রেমিকা কবিতাকে,
কাব্যের  আঙিনায় সে রাতে
রঙিন সামিয়ানার নীচে ,
আমার কবিতা নূতন কনে
সেজে কনকচাঁপায় সজ্জিত
সোনালী রঙের বেনারসী শাড়ির
আঁচলে  জামদানীর খোমটায়
আড়ালে লাজুক মুখে চন্দনের
কারুকার্য, কপালে,গাঢ় লালে
লাল কাঁচুলি, মেঘের বরণ চুল
ঢাকা নীল ওড়নার  আড়ালে
একজোড়া মীনাক্ষীর পলক
কাঁপে তির তির হৃদয়ে কম্পন,
কাঁপছে শরীর, কবিতা তোর
অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছায় বিবাহে
উৎসবে কাঁপিয়ে দেয় এ হৃদয়।
আমার হৃদয়ের গহ্বরে অশ্রু ঝরে
বুকে ভেতর বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি  পড়ে।
কনে সাজে কবিতা তুই যখন পরদা
আড়ালের কাজীর নিকানামা পড়ান,
জিগায়, " কবিতা বিবি 
ওমর ফারুক কে স্বামী
রূপে তুমি কি কবুল করো ?
হঠাৎই  আমার  দিকে তোর সজল
চোখে তাকিয়ে আছিস---" !
ভালোবাসার প্রতিমূর্তি গাঁথা রইলো।
তারপর বহু জল বহে খর স্রোতে
বহে গেছে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে।
পঞ্চাশ বছর ভালবাসায় কবিতা
তোর রূপের আগুনে বিদগ্ধ মনে
আজও ভালোবাসায় ভেসে যাই
প্রেমিকা কবিতা তোর খোঁজে
জানিস পাগলী আপ্রাণ চেষ্টা করছি 
অনেক চেষ্টা  শুদ্ধ কাব্য লেখার
কিন্তু  বারবার ছন্দ পতন ঘটছে, সঠিক
শব্দ চয়নে ভুল হচ্ছে, বাক্যের বিন্যাসের
যুক্তি খুঁজতে গিয়ে কাব্যের
নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি শত বিনিদ্র রাতে,
একটি বিশুদ্ধ কবিতা লিখতে না পারার
ব্যর্থতা কি ভয়ংকর ভাবে সারা রাত বিনিদ্র রাখে,
বুকের ভেতরে সমুদ্রের ঢেউ  প্রচন্ড  আঘাতে
আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাই প্রতিদিন ।
আক্ষেপ রহে গেল , সত্যিই  একটি কবিতা
যা এই বিষন্ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে
দেখি কেউই নেই, হাহাকার বাতাসে
ভেসে বেড়ায় হারোন প্রেম কবিতা
তন্ময় হয়ে পড়ি আমার পরিচিতার এক
নারীর সুখে বাসর আশ্চর্য  অসাধারণ
কাব্যময়  তাঁর লেখা ভাবের প্রকাশ অনবদ্য সৃষ্টি
কাব্যিক এক নদী কুল কুল করে
বহে যাচ্ছে হৃদয় জুড়ে যেন আমার মনের গোপন কথা,?

কবিতা আমার আদরের পাগলি

কবিতা আমার  আদরের  পাগলী

বাঁশিওয়ালা

তুই বিশ্বাস কর পাগলী
তোকে দেখে  ভালোবেসে
কক্সবাজারে  সমুদ্র সৈকতে
পেতেছি শয্যায় শয়নে স্বপনে
জ্যোৎস্নায় আলোকিত
ঢেউয়ে ভেসে যেতে তোকে
বুকে আঁকড়ে ধরতে 
চাইছি আমার পুরোনো
প্রেমিকা কবিতাকে,
কাব্যের  আঙিনায় সে রাতে
রঙিন সামিয়ানার নীচে ,
আমার কবিতা নূতন কনে
সেজে কনকচাঁপায় সজ্জিত
সোনালী রঙের বেনারসী শাড়ির
আঁচলে  জামদানীর খোমটায়
আড়ালে লাজুক মুখে চন্দনের
কারুকার্য, কপালে,গাঢ় লালে
লাল কাঁচুলি, মেঘের বরণ চুল
ঢাকা নীল ওড়নার  আড়ালে
একজোড়া মীনাক্ষীর পলক
কাঁপে তির তির হৃদয়ে কম্পন,
কাঁপছে শরীর, কবিতা তোর
অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছায় বিবাহে
উৎসবে কাঁপিয়ে দেয় এ হৃদয়।
আমার হৃদয়ের গহ্বরে অশ্রু ঝরে
বুকে ভেতর বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি  পড়ে।
কনে সাজে কবিতা তুই যখন পরদা
আড়ালের কাজীর নিকানামা পড়ান,
জিগায়, " কবিতা বিবি 
ওমর ফারুক কে স্বামী
রূপে তুমি কি কবুল করো ?
হঠাৎই  আমার  দিকে তোর সজল
চোখে তাকিয়ে আছিস---" !
ভালোবাসার প্রতিমূর্তি গাঁথা রইলো।
তারপর বহু জল বহে খর স্রোতে
বহে গেছে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে।
পঞ্চাশ বছর ভালবাসায় কবিতা
তোর রূপের আগুনে বিদগ্ধ মনে
আজও ভালোবাসায় ভেসে যাই
প্রেমিকা কবিতা তোর খোঁজে
জানিস পাগলী আপ্রাণ চেষ্টা করছি 
অনেক চেষ্টা  শুদ্ধ কাব্য লেখার
কিন্তু  বারবার ছন্দ পতন ঘটছে, সঠিক
শব্দ চয়নে ভুল হচ্ছে, বাক্যের বিন্যাসের
যুক্তি খুঁজতে গিয়ে কাব্যের
নিষ্ফল চেষ্টা করে যাচ্ছি শত বিনিদ্র রাতে,
একটি বিশুদ্ধ কবিতা লিখতে না পারার
ব্যর্থতা কি ভয়ংকর ভাবে সারা রাত বিনিদ্র রাখে,
বুকের ভেতরে সমুদ্রের ঢেউ  প্রচন্ড  আঘাতে
আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাই প্রতিদিন ।
আক্ষেপ রহে গেল , সত্যিই  একটি কবিতা
যা এই বিষন্ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে
দেখি কেউই নেই, হাহাকার বাতাসে
ভেসে বেড়ায় হারোন প্রেম কবিতা
তন্ময় হয়ে পড়ি আমার পরিচিতার এক
নারীর সুখে বাসর আশ্চর্য  অসাধারণ
কাব্যময়  তাঁর লেখা ভাবের প্রকাশ অনবদ্য সৃষ্টি
কাব্যিক এক নদী কুল কুল করে
বহে যাচ্ছে হৃদয় জুড়ে যেন আমার মনের গোপন কথা,?

সূর্যোদবধয়ের ভোরে কবিতা সাথে সঙ্গম

সূর্যোদ্বয়ের ভোরে
কবিতার সাথে সঙ্গম

শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা

অলকানন্দা মন্দাকিনীর
সঙ্গম স্থলে কর্ণপ্রয়াগে
প্রাতে তোমাকে মানস নেত্রে
স্বপ্নে স্বর্ণ স্তনে শব্দের
চুম্বনে চুম্বনে রক্তাক্ত ঠোঁট,
রক্ত ঝরছে কাব্য পাঠে
শিশির ভেজা উষ্ণ শয্যায়।
কবিতার সাথে আশৈশব প্রেম,
" জল পড়ে, পাতা নড়ে " !
ছন্দে অছন্দের বাহুল্য হীন
আমি বেকুবের মতন কবিতা
তোমাকে গভীর আলিঙ্গনে
জড়িয়ে ধরে আদরে
আদরে, কাব্যিক এ মন
তোলে তুফান কবিতার
উত্তপ্ত দেহে করে লেহণ।
পৌরুষ  উড্ডীন অহংকারে
প্রোথিত বৃক্ষের চারা শুকায়।
অতৃপ্ত কবিতার চাপা কান্না
প্রতিধ্বনি শুনি নপুংসক হৃদয়ে।
শব্দের লহরী স্রোতে বহমান
যৌনবতীদের আমন্ত্রণে বিনম্র
প্রত্যাখান এ ক্রুদ্ধ নারীদের
উন্মুক্ত বসনে নগ্ন যৌন
আক্রমনে সমবেত প্রয়োগে
কবিতার ধর্ষনে বিহ্বল 
নিষ্ফল লিখন প্রয়াস।
অরণ্যে  পদ্ম যোনিতে
বিশৃঙ্খল বাক্যের
বিন্যাসে অক্ষরের বীর্য
পাতে অলকানন্দা স্রোতে  
ভাসে স্ফূর্তির অস্ফুট কাব্যের ভ্রূণ।

হে নদী তুমিই সেই নারী

হে নদী তুমিই কি সেই নারী

শ্যামল সোম

হে নদী এপার ভেঙে ওপার তুমি তখন গড়
বানে বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাও সুখের ঘর
দেখ সংসার খাঁ খাঁ করে তোমার প্রত্যাখানে,
হে নারীর প্রেম বহমান স্রোতে নদীর ধারে বসে
স্নিগ্ধ শীতল হাওয়ায় আমার শরীর মন জুড়ায়।
আবার ভয়ঙ্কর প্রচন্ড সুতীব্র ক্রোধে ধ্বংস করো
শত সহস্র জনপদ গ্রাম শহর বন্দর ভেসে যায়।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে,শত সহস্র সাজানো সংসার
তোমার হাতেই এক লহমায় মূহুর্তে অভিমানে
চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে খান খান হয় ভেঙে যায় দাম্পত্য।
আত্মসম্মানে আঘাতে নির্যাতন বিরুদ্ধে রুখে
দাঁড়িয় আছো হিমালয়ের কন্যার মতন দীপ্তিময়ী
শক্তিময়ী হে নারী নদীর মতন গ্রাস করো অন্যায়
অবিচার যা কিছু অপরাধের শাস্তি দোজখে পাঠাও।
নদী তুমি কি নারী ভালবাসায় কুল কুল করে বহে
যাও আমার ভীষণ প্রিয় কবি ভালবাসায় তোমার
কাব্যে আলিঙ্গনে যমুনার ঢেউয়ে প্রবল উছ্বাসে ভেসে
যায় জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ বৃদ্ধের এ হৃদয়ে প্রেম জাগে।
তোমাদের অপূর্ব ছোঁয়ায় কাব্যের স্রোতে ভাসিয়ে
দেয় এ বৃদ্ধের জরাজীর্ণ জরাগ্রস্ত দগ্ধ  এ হৃদয় প্রাণময়।

ভালোবাসার দহণ

ভালোবাসার দহণ

শ্যামল সোম

রাধে শ্যামের এ বাঁশি থেমে গেছে রেয়াজ
নিরব বাজে না, বেহাগ বসন্ত বাহার খাম্বাজ,
একাকী নির্জন বিরোহিনী রাধা কুন্জবনে কাঁদে
তখন মহা রণে শ্যাম সুন্দর কুরুক্ষেত্রর পরিসরে,
ন্যায় সত্যর পক্ষে সামাজিক রাজকূট অবক্ষয়ের
বিরুদ্ধে চক্র সত্যের ধ্বজা উড়িয়ে চলেন তিনি
যুদ্ধে বিজয় রথ থামে, সত্য প্রতিষ্ঠা শেষে ক্লান্ত,
হঠাৎ শ্যামের কি মনে পড়ে যায় রাধাকে বিরহে?
না, অনেক দেরী হয়ে গেছে বিরহের বেলা গ্রহে
অস্তাচলে গোধূলি লগ্নে যমুনার তীরে সুখস্মৃতি
সে এক ঐসরিক স্বর্গীয় এ প্রেম জাগে সে অমৃত
লোকে রয়েছে যুগলবন্দির ভালবাসায় মধুরাতে
সহস্র যুগ যুগান্তর ও যমুনা নদীর বহমান স্রোতে।
তবু আজ কেন পোড়ে মন সামান্য মানুষ আমরা
বারে বারে দুজনেরই পরস্পরের কাছে ছলনায়
কাছাকাছি আসতে চায় মন সুখের নির্যাস আহোরণ?
শত সহস্র যোজন দূরে পরস্পরে শুধুই এ বিভাজন
দুজনেই ভালোবেসে দুঃখে জ্বলন দুজনের পোড়ে মন
প্রেম ভালোবেসে ভালোবাসার ছোঁয়ায় মমনে এ মরণ,
সুখের মন্থনেে অনুভূত এ এক ভালোবাসার অসহ্য দহণ।

রাধা তোমাকে ভালোবেসে এ আমার অহংকার

রাধা তোমারকে ভালবাসে এ আমার অহংকার

শ্যামল সোম

রাধা তুমি আমার সকাল বেলার ভৈরবী,
তুমি রাতের বেলার মালকোষ রাগের তাণ
তালে সঙ্গীতের মূর্ছনা ভালবাসার অনুরোরন
আমার হৃদয়ের গহীন অরণ্যে ছুঁয়ে আছে ঝর্ণা
আমি শঙ্খচিল মতন উড়ছি তোমার হৃদয়ের
প্রচন্ড  সমুদ্রে ঢেউ আমি প্রতিক্ষণ আলোড়ন।
তুমি আমার পদ্মাবতী আমার দূর নীপবাসিনী
প্রেমিকা ভালবাসার স্বর্গের পারিজাত অমূল্য
রতন তোমাকে ভালোবাসে ধন্য এ জীবন।
হে রাধা তোমার ভালোবাসায় আজ প্রেমে পূর্ণ
হৃদয় ভালোবাসা দুহাতে বিলাই মানুষের মাঝে,
নিজের রয়েছে এক বিশাল আকাশের মত হৃদয়
সে হৃদয়ে গহীন সীমাহীন নীল সমুদ্রের ঢেউয়ে
মতন আছড়ে পড়ে প্রেম সেই প্রেমের ব্যাকুল ঢেউয়ে
জলোচ্ছ্বাসে শতসহস্র মানুষের সকলের হৃদয় জুড়িয়ে
দিয়ে শুভ নববর্ষের  ভালোবাসা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

Wednesday, 20 December 2017

আদরিনী

20---12---2017

আদরিনী

শ্যামল সোম

মেয়ে ঠিক যেন মোমের পুতুল
ঘন কালো কোঁকড়ানো চুল
ফোলা ফোলা তুলতুলে গাল
আদরে আদরে গাল হতো লাল।
মা মরা মেয়ে, বাপ মোদোমাতাল
দিদা মামার সংসারে অনাদরে
আধ পেটা খাওয়া তবু প্রকৃতির
আপন খেয়ালে বাড় বেড়েছে।
গায়ে গতের কখন আলুর চপ
কখন চকলেট লজেন্স লোভে
চুপিচুপি আদরের ছলে বলে।
কোলে তুলে নেয় আদরে কোলে
বসেই কত আদর মাঝেমধ্যে সে
শৈশবে এ আঁচড় লাগতে ব্যথা
কঁকিয়ে উঠে আদরে আদরে।
কৈশোরে পা রেখেছে সবে শুরু
হলো আদরের ঠেলা ঠেলি, গুরু
গম্ভীর আওয়াজ ডাক ছিল মেঘ,
তুমুল ঝর বাদলে  অঝোরে ঝরছে
বৃষ্টি স্নাত সে রাতে ঝোপে আড়ালে
রক্তে অক্ষরে অক্ষরে লেখা হচ্ছে
আবহমান কাল থেকে নারীর প্রতি
অবমাননার অত্যাচারের বাকি আছে
আরো শতসহস্র বছরের ইতিহাস।
যৌন নির্যাতনের সহিংসতা গ্লানিময়
পশুর অধম চিরকালের বিকৃত মনস্ক
শয়তানের আনন্দ উল্লাস গণধর্ষণের
জনৈকা কিশোরের মৃত্যু খবরের কাগজে
পাতায় শিরোনামে, ধিক্কার জানায় সবাই
টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে প্রচারিত হয়।
মোমের পুতুলের জন্য পথে পথে হাঁটে
হাতে নিয়ে জ্বলন্ত মোমবাতির মিছিল।

শীতার্ত রাতে হাহাকার

শীতার্ত রাতে হাহাকার

শ্যামল সোম

একা একাই কাঁদি
বিনিদ্র রাত জাগে
মন ঐ তারাদের
সাথে, তারা মণ্ডলে
রাতের আকাশে,
তুমি নক্ষত্র জ্বলে
তুমি অরুন্ধতী।
তুমি চলে গেছো
অজানা সীমানায়--
ফেরা কি কখন যায়?
নন্দিনী এসো ফিরে
এসো এই নির্জন রাতে।
আকাশে বাতাসে
পৌষে শস্য শ্যামলা
মাটির ঘ্রাণ ভেসে
আসে নবান্ন উৎসবে।
তোমার ভালোবাসার
স্রোতে আজও ভাসে
মমনের ব্যথিত ব্যথা
ব্যাকুল ফিরে পেতে চায়।
অকৃপণ প্রকৃতির সাথে
সহবাসের শীতার্ত রাত
শিহরিত হয়েছিলাম
তোমার আলিঙ্গনে
তাপিত চুম্বনে চুম্বন।
সুখ স্মৃতি মনে পড়ে
যায় আমার হৃদয়ে
শূন্য অপূর্ণ সাধ জাগে
শীতার্ত রাতে উষ্ণতা
খোঁজে তপ্ত শরীর
আজ কাছে তুমি নেই,
বালিস ভিজে যায়
বহে দুচোখে অশ্রু নীর।

তুমি আমার স্বপ্নে র কবিতা স্বপ্না

তুমি আমার স্বপ্নের কবিতা স্বপ্না

শ্যামল সোম

স্বপ্না তোমার তুলনা তুমিই
আমার কাব্যের দেবী,
স্বপ্নের জ্যোৎস্নায় পরী
শব্দ চয়নে ছন্দে ধ্বনি
শুনি ঐ পায়ের নূপুরের
গুঞ্জন অভিসারএ এলে
নৃত্যের তালে তালে তন্বী
তোমার হাত ধরেই চলি
পলাশ বিছানো এ পথে।
কাব্যের কৃষ্ণচূড়ার ডালে
লালে লাল রক্তিম ঐ মুখে
তোমার ঐ আড় চোখের হাসি
তুমিই আমার আদরের সর্বনাশী।

Friday, 1 December 2017

বাংলাদেশের নিমন্ত্রণ -- মোঃ দেলোয়ার হোসেন

কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি শতসহস্র মুক্তি যুদ্ধের ভাষা
সৈনিকদের  ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর
সেনানীদের পরম শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁদের  আত্মা
শান্তি কামনা করি প্রতি বছর শহীদ মিনারে।

শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করছি আপনাদের আমন্ত্রণে
প্রতি বছরে একুশে কবিতা উৎসবে বিভিন্ন জেলায় ও ঢাকার
কবিতা পাঠ  ও সাহিত্যের আলোচনা সভাতে নিমন্ত্রণ যাই বারে বারেে।

বাংলাদেশের বন্ধু আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

#নিমন্ত্রণ
মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
(পশ্চিম বঙ্গের কবি শ্যামল সোম শ্রদ্ধা ভাজনেষু)
___________________________________________

এই বাংলায় তুমি এসো ফিরে ফিরে।
ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে নেবো,
খুঁজে নিবো অসংখ্য মানুষের ভিরে।

যদি বাড়াও হাত, যদি আগাও কদমে।
আমি তোমারে ভালোবেশে বুকে টেনে নিবো,
তোমার'ই গাণ গাইবো দমে দমে।

এসো বন্ধু এই শ্যামল বাংলায় এসো।
এসো পদ্মা মেঘনা যমুনার বাংলায়,
এসো তুমি মুজিবের বাংলায় এসো।

অনুভুতির উত্তরিয় দিবো রেশমী কাপড় খাঁটি।
বসতে দিবো শ্রীহট্টের নকশি শীতল পাটি,
গরুর খাঁটি দুধ দেবো ভরে বাটি বাটি।

রাজশাহীর আম খাওয়াবো গৌরনদীর দধি।
সিরাজদিখানের পাতখিরার পাটিসাপটা খেও,
আমার গায়ে ঘুরে বেড়িও নিরবধি।

তোমায় আমি কবিতা দেবো স্বর্ণ থালা ভরি।
কবিজনে আসর বসাবো গল্প করবো,
হাসবো হাসাবো, ফুটাবো ছড়ার ফুলঝুরি।

তুমি বন্ধু আসবে ফিরে তোমার বাংলা শিকরে।
আমার সাধের সুন্দর বনে বাঘ দেখাবো,
বানর হরিন দেখাবো,নদীগুলো ভরা কুমিরে।

বান্দরবানের সাজেক ভ্যালী কাপ্তাইর হ্রদ।
আলুটিলার অন্ধকারচ্ছন্ন গুহা দেখাবো,
দেখাবো কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত।

ঢাকার শহর ঘুরাবা তোমায় টম টমে চড়ে।
পোড়াবাড়ির রসালো চমচম খাওয়াবো,
মুক্তাগাছার মন্ডা যতটা পেটে ধরে।

তোমার হাতে হাতটি রেখে মনে দেবো মন।
বুকের অয়োময়ে জড়িয়ে রাখবো তোমায়,
লহো লহো সুজন, লহো মোর নিমন্ত্রণ।

Tuesday, 28 November 2017

শ্যামল সোম এর ও বোন ঝরনার লেখা

কীর্তন খোলার নদীর বহমান উজান
স্রোতে ভাসিয়ে এসেছি প্রেম
উনিশ বাহাত্তর সালে।
তুমিই আমার বাংলাদেশের বোন
ঝর্না তুমি দেখালে ভালোবাসা স্বপন।

শ্যামল সোম

পদ্য কবিতা

20 --- 4 --17

♥♥স্বপ্নের নদী কীর্তন খোলা♥♥
       ♦ডাঃ ফারহানা আক্তার ফ্লোরা ♥

[প্রিয় কবি শ্যামল সোম যিনি বাঁশিওয়ালার নামেও পরিচিত সেই  কোলকাতার ভাইয়া  তার স্মরণে লিখা ]

যে নদী এক দিন তোমায় টেনে এনে ছিলো
বহু দূর থেকে এপার বাংলায়
আজ কেনো ভুলে যাও তুমি সেই,
ফেলে আসা ছোট্ট বেলার শৈশব কাটানো
তোমার প্রিয় ভালোবাসা ভরা এপার বাংলার ছবি।

আমি যে সেই কবে থেকে চেয়ে আছি পথ চেয়ে
আমার সেই ভালবাসার বাঁশিওয়ালা কে,
একটি বার প্রাণ ভরে দেখবো বলে
আচ্ছা তুমি কি বলতে পারো কবে পাবো?

আমার স্বপ্নের সেই চিরো সবুজ স্বপ্ন বিভোর
ভালবাসার পাগল আদরের কাঙাল
সেতো ঐ পাড়ে থাকে অজানা কোন গাঁয়ে,
শুনেছিলাম বহু দিন আগে,
সে বার যখন শেষ বার কথা হয়েছিলো তার সাথে।

আজও ভুলিনি আমি তাকে ভুলবনা কোন দিন
এই দেহে যতো দিন প্রাণ থাকে,
অপেক্ষমান এই বাংলায় আছি অপেক্ষাতে
দেখি কবে দাওদেখা তোমার সেই
প্রিয় নদী কীর্তন খোলার ধারেই থাকবো দাঁড়িয়ে।

স্বপ্নের বাঁশিওয়ালা তুমি আসবে ফাল্গুনের
কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম লাল নিয়ে ভরিয়ে দিবে চারদিক
প্রেমের নানান রঙে রাঙ্গাবে উৎফুল্ল চিত্তে,
তৃষ্ণার্থ চোখে তাকিয়ে দেখবে তোমার সেই কবে
ফেলে যাওয়া এপার বাংলার আদরের ঝর্ণা বোনটিকে।
স্বাগতম সুস্বাগতম সুপ্রভাতে এই বন্ধু  আপনাকে জানাই অফুরন্ত উষ্ণ অভিনন্দন।

উত্তরে আমি অনুপ্রাণিত হয়ে লিখছি আমার হারিয়ে যাওয়া ঝর্না বোনের উদ্দেশ্যে

ভালোবেসে  বাংলাদেশে

শ্যামল সোম

জননী, বোন, ভাইদের বাংলাদেশের ভালো মানুষের সাথে
আমার বাংলাদেশে বারে বারে ফিরে ফিরে আসা শিকড়ের
সন্ধানে বাংলাদেশের ভালোবাসার মানুষের খোঁজে বিভিন্ন
জেলায় জেলায় কতশত নদীর বহমান অনুপ্রেরণার স্রোতে।

এ কথা বলা অশোভন,  অন্যায়, শাস্তি যোগ্য, কিন্তু মাটির মায়া
কীর্তনখোলা, সোমেশ্বরী, শীতলক্ষা, রূপশা, মেঘনা নদীতে স্নান
নদীর বুকে অবগাহনে, রাঙামাটি, কুয়াকাটা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে
তোমাদের সাথে দল বেঁধে উনিশো বাহাত্তর সালে বনানীর সাথে
যাওয়া, না বিশ্বাস করেন মূহুর্ত জন্য মনে হয় নাই আমি বিদেশী।

আজকাল যখন যখন এপার ওপার বাংলার কবিদের ভাগ করে
দেন ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল  ঐ তেইশে ফেবরুয়ারী অনুষ্ঠানে, আমি
একটু দূরে একা বসলাম, কবিকে ভাগ করা যায় সীমান্তের শক্ত
কাঁটাতারের বেড়ার প্রাচীর তুলে ?
ভাষা,  বাংলা ভাষা সাংস্কৃতিক সঙ্গীত, জয়নাল আবেদিন, জীবনানন্দ দাশ
এপারের না ওপারের মধু পল্লী সবাই হেসে উঠলেন, মধুসূদন আমাদের।
বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে, প্রতিবাদ গর্জে বললেন, " কেন আপনি  বিদ্রোহী কবি
কাজী নজরুল ইসলামের  " কাণ্ডারী হুশিয়ার " কবিতা ভালো করে পড়েন নি?"
বোন,ভাই  যদি কিছু মনে না করো একটা কথা বলি দেশটি কিন্তু
ছিলো সে সময়, আজও  বাংলাদেশেকে ভালোবাসি ভীষণ।
আমার সোনা দেশ বলে ভাবি, শিকড়ের টান ছেঁড়া পাতা  নয় যে ঝরে
এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক করবে অনেকেই।
ভালোবাসায় কারুর খবরদারি আমি বরদাস্ত করব না,ভাই ও বোন।
ইদানিং চুপ করে থাকি যখন জিজ্ঞেস করেন কেউ জন্মভূমি ?
শরণার্থীর ক্ষোভ প্রকাশ পাবে বোন চাপা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগে শব্দ তুমি
বা নাতনি শুনতে পাবে অনুভবে হৃদয়ে গহীন অন্তরে অন্তরে ভিতরে বাহিরে।

Wednesday, 25 October 2017

ঝুলন ! হঠাৎই একদিন হয়তো

ঝুলন ! হঠাৎই একদিন হয়তো

শ্যামল সোম 

হঠাৎই কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে, গোধূলির রঙে রাঙানো আকাশের তলে,

আসন্ন শীতকালীন শীতার্ত শীতল সন্ধ্যায়।

ঢাকার কোন এক রাজপথে বা ধানমন্ডির লেকের ধারে নিরবিচ্ছিন্ন নিরালায় নগ্ন 

দুপুরে, আচমকাই পরস্পরের দিকে মগ্ন নিষ্পলক দৃষ্টি, মুগ্ধ চোখে তোমাকে দেখে

মুখে মৃদু হাসি নিয়ে তাকিয়ে থাকবো আমি।

এমনই এক দুলুদ দুপুরে জগন্নাথ হল থেকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে দশ বছর আগে

নির্জন উদ্যানে, ফাল্গুনে  কৃষ্ণচূড়ার গাছে নিচে, পরস্পরের  হাত ধরে পরস্পরের

উষ্ণ  সান্নিধ্যে আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তি কত কথা হয়েছিল বলা দুচোখে ভাষায়

গোপন কথাটি হয়ে ছিল  বলা, কথা আর গানে মরমে সে সুর, আজও বাজে।

সেই সময়  হঠাৎই বৃষ্টি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম দুজনে এক সাথে।

আজ দশ বছর পরে সেই তুমি বিব্রত বোধে নামিয়ে নিয়েছো কৃষ্ণ ও নয়ন অপ্রস্তুত অবাঞ্ছিত সেই মূহুর্ত দুজনার মনে, অশান্ত সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রচন্ড  আর্তনাদ !

অন্তরীক্ষে শব্দহীন সে ক্রন্দন শুনেও শুনতে চায় না তোমার মন, প্রতীক্ষিত প্রেমিক আমি

অপেক্ষায় অনন্তকাল হয়তো বা  আগামী জন্মে নিশ্চিত কি পাবো কিংবা যদি আমাদের মিলন

নাইবা হলো কোনদিন কি বা এসে যায় ঝুলন?

নতমুখে আপন পথে ফিরে ফিরে যেতে যেতে,বারে বারে তোমার পিছু ফিরে চাওয়া দুচোখে 

বন্যা কি থমকে রয়েছে মুচড়ে  উঠল হৃদয়ের তন্ত্রীতে বেজে উঠল ব্যথিত প্রাণিত  প্রাণের প্রেম।

Tuesday, 24 October 2017

শূন্যে ঝুলছে নূপুর পড়া দুটি পা

শূন্যে ঝুলছে নূপুর পরা দুটি পা

শ্যামল সোম

সকাল থেকেই ভীড় জমে মানুষের ঐ আঠারো নম্বর পুরোনো বাড়ির সামনে
হরিপদ বন্ধ  একটি ঘরে খোলা জানালার সামনে হুমড়ি খেতে পড়ছে পুরুষ
প্রৌঢ় পিতৃ সম,  বৃদ্ধ দাদু বয়স্ক  দাদা কাকু ছোট ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল মিতার
সাথে মেয়েটি আঠারো বছরের হাসিখুশি, গান গাইতো পাড়ার জলসাতে,
পড়া শোনা বেশ ভালো কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী, ভলিবল খেলতে ভালো।
এহেন আলো করা রূপবতী গুণবতী এই বন্ধ দরজা ভেতরে শিলিং ফ্যানে
শক্ত দড়ির বাঁধনে নগ্ন দেহে শূন্যে ঝুলছে শুধু দুটি পারে রূপোর বাহারী নূপুর।

" এখন পুলিশ আসেনি দরজা ভাঙা হবে না না ঠিক হবে অমূল্য "

যদি বাঁচানো যেত?

লম্বা জিব দেখলে না?

না না এ দৃশ্য দেখা যায় না !

শত শত মানুষ ছুটে আসছে আশপাশের এলাকার!

এরা মানুষ ? জানোয়ার!

একটি উলঙ্গ  আঠারো বছরের কন্যা সম মেয়ে ! ছিঃ ছিঃ

সামাজিক অবক্ষয়ের নগ্ন চিত্রকল্প

মিতার বাপ হরিপদ  আর কি বলবে শোকাচ্ছন্ন মুহ্যমান স্থবির নির্বাক।

শোকার্ত মানুষের পাশে চা জল খাওয়াতে চেষ্টা করছেন দুচার জন,
হরিপদ এইমাত্র  এই আদরের কন্যার এই করুন পরিনতি তে স্তব্ধ
নির্বাক পাষাণ  মূর্তি ও দুচোখে মরুভূমির হাহাকার।

হঠাৎই সত্তর বছরের মিতার দাদাভাইয়ের চিৎকার করে হুংকার, লাঠি হাতে
জানলার কাছে ভিড় সরাতে তেড়ে যাওয়া -- দাঁত বের করে ফিচেল হাসি ছোকরা পলায়ন।

মিতার মা রমা গর্ভবতী জননী জ্ঞান এখন ফেরেনি মহিলারা ব্যস্ত ছিলেন এর মধ্যে জনৈকা,
" না না এভাবে ফেলে রাখা যায় না এমমবোলেনস গাড়ির ড্রাইভার কে ডাকো"
সেই মুহূর্তেই পুলিশের জীপ পেছনেই হররনhorn বাজাতে ছুটে আসছে।
লোক গুলো ইঁদুরের মতন পালাচ্ছে!
পুলিশের তৎপরতায় দরজা ভেঙে লাশ নামিয়ে বাপ হরিপদ মা রমা কে স্টেচার
মা মেয়ে বাপ মায়ের সাথে শেষ যাত্রা হাসপাতালের মর্গে!

তখন কানাকানি রসাল আলাপ ফিসফাস জ্ঞানের ফোওয়ারা কুৎসিত ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছেন

মিতার বান্ধবীদের ছলছল চোখে বিলাই জানিয়ে তারা মিয়ার দাদুভাই কাছে বসে দুধ খাওয়াতে !
পাগলে মতন দাদু বুক চাবড়ে কাঁদছেন, গলা ছেড়ে গহিছেন, " আহা এমন দিনকি হবে
তারা, যবে তারা তারা বলে নয়নে  ঝরবে ধারা !"

Saturday, 21 October 2017

বৃষ্টিস্নাত প্রেম

বৃষ্টিস্নাত প্রেম

শ্যামল সোম

ঝিরঝির করে ঝরছে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ওড়না আঁচলে ঢেকে মুখ,
ব্যাকুল উদগ্রীব নয়নে বড় বড়  চোখের পল্লব মেলে নীতা
পরনে  নীল আকাশি রঙের বাহারী কারুকার্য করা সালোয়ার কামিজ
মাথাতে গাঢ় নীল রঙের ওড়না  জড়ানো, যূঁইফুলের মতন সারল্য মুখ,
স্নিগ্ধ সৌন্দর্য লাবণ্য  মসৃণ ত্বক উজ্জ্বল বর্ণের নিটোল গড়ণ দেহে
ঋজু দীপ্ত  প্রাণের মাধুর্য অপরূপা  ঐ আমার আদরের নীতা দাঁড়িয়ে
রয়েছে, আমি নিষ্পলক চোখে দূর থেকে তাকিয়ে দেখছিলাম,
গাড়ির চালকের আসনে বসে অফিস থেকে লাঞ্চ  আওয়ারে।

এই কোলকাতার ইডেন গার্ডেনের গেটে সামনে অধৈর্য হয়ে
মাঝে মাঝেই সে তার  পেলব বাহু তুলে কব্জিতে বাঁধা ঘড়ি দেখছে নীতা
ভয়ে ভয়ে কাঁপছে বুক, সতর্ক চোখ এদিকে ওদিকে দেখে।
নীতাকে প্রতীক্ষিতা অরণ্যের  হরিণী মতন ইতস্তত  হতে দেখে মজা করার জন্যই রিং দিলাম।

তখনই  নীতার হাতে মোবাইল ফোন, রিং টোনে গান,
" যদি মনে পড়ে যায়
ফিরে এসো প্রিয়
শ্রাবণের মেঘলা বিকেলে !"

নীতা মৃদু স্বরে জিজ্ঞেস করে, " সোম কৈ তুমি, এই এত ক্ষণ পরে ফোন দিলা,
এমন বৃষ্টির মধ্যেই আমি একা একটি মেয়ে এভাবে অপেক্ষা, "
হতাশায় ভেঙে পড়ে, " কি বলছো  আসতে পারবে না ? "
নীতার দেহের  কাঁপন চোখের  পাতায় জল জমে চোখের কোলে।

নীতা কান্না ভেজা গলায়, " কেন কেন সোম এভাবে বারেবারে ফেরাও? 
" কেন আমাকে কেবলই কাঁদাও, আমাকে কাঁদিয়ে কি  সুখ পাও গো ?
তোমাকে এত ভালো বাসি এই মোর অপরাধ ?"

আমি গোলাপের গুচ্ছ মনোরম মোড়কে মোড়া হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমেই  হাসতে
হাসতে রক্তিম করবী নীতার পেছন দিকে  এগিয়ে যাই।

নীতা ক্ষোভে রেগে যায়, চোখে মুখে গোধূলির রঙ, রেখে টং, "পাগলামি, হচ্ছে তুমি হাসছো? 

" সত্যি অদ্ভূত  একটা পাগল কে ভালোবেসেছি,
কি বললে কাঁদলে আমাকে সুন্দর দেখায় কাব্য হচ্ছে!" 

" সোম, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানো
কলেজের ক্লাস  ফাঁকি দিয়ে  তোমার জন্য
আমি ছুটে এসে অপেক্ষা--"
নীতার লোনা জলে বন্যা  বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

এগিয়ে পেছন থেকে আমি চুপি চুপি দাঁড়িয়ে নীতার কাঁধে টোকা দিলেই
নীতা পেছন ফিরে নীরবে দুচোখে জ্বল জ্বল
দৃষ্টি ঝরঝর করে জোরে কেঁদে উঠলো,
নীতার চোখে জল প্রপাত,
আমি মুগ্ধ চোখে দেখছি, সত্যি সত্যিই
পাহাড়ি ঝর্ণা বর্ষন।

ঐ মূহুর্তে ঝমঝমিয়ে নামলো বৃষ্টি,
পরস্পরে কে জড়িয়ে বৃষ্টির জলে ছোট নীল লেডিস
ছাতার তলায় ভিজছি, পরস্পরের হৃদয়ের স্পন্দন
সমুদ্রের ঢেউয়ের আলোড়ন দুজনার মন,
দুজনেই ভালোবাসার শিহরণে শিহরিত  বহমান রক্তের গভীরে।