শৈশবের স্মৃতি আমার বালি
বাঁশিওয়ালা শ্যামল সোম
চোখের বালি, আমার বালি
শৈশবের খেলার সাথি,
দুধ সাদা শুভ্র ফ্রকে, সাদা রঙের
গোল টুপি এক মাথা রেশমী চুলে
বকুল ফুলের গন্ধ, আলতা রাঙানো
ছোট্ট ছোট্ট পায়ে রুপোর নুপুরের ছন্দ
যখন আমাকে দেখে দৌড়ে ছুটে আসে।
আমার শিশু চোখে সবপনের পরী নামে
দূরে ঐ নীলিমায় নীল আকাশে ভেসে ভেসে
বালি, নাম বলাকা পরী ডানা মেলে উড়ে আসে।
বালি এসে ডাকে মৃদু স্বরে কানের কাছে মুখ এনে
" সোম এই সোম চোখ মেলে চেয়ে দেখ, দেখ আমি
এসে গেছি, ওঠ, উঠে পর, ঘরের বাইরে আয়," হাত আলতো
করে ধরে, বলাকা, আমার বালি নিশি রাতে, জ্যোৎস্নায় আলোয়
আলোকিত রাতের নকশী কাঁথার মাঠের সোনালী ফসলের পঠ ভূমিকায়
অবতীর্ণ হয়েছে যেন বেহেশত ভূস্বর্গ হতে এক অফূষ্পিঠত শ্বেত পদ্ম ফুল
ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে পূর্ণ রূপে, বহু দূর হতে ভেসে অপূর্ব সুন্দর এক মনমাতানো
সুরের মূর্ছনায় আকাশে বাতাসে সঙ্গীতের তালে তালে, নৃত্যের ছন্দে আনন্দে মেতে
উঠছে আমার বালি, " নৃত্যের মুদ্রায় দু হাত তুলে, " কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!"
এত বয়সে বেলা শেষে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে হাতড়ে বেড়াই,
ঐ মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি।
No comments:
Post a Comment