Wednesday, 25 April 2018

দাদুভাই আমি পুরুষ হতে চাই

আমার ভীষণ প্রিয় এই গ্রুপের সবাইকেই
জানাই সুপ্রভাতে শুভেচ্ছা ডালি।

দাদুভাই আমি পুরুষ হতে চাই

শ্যামল সোম  ( নাতনির কথপোকথনের নির্যাস)

সত্যি সত্যি সত্যি জানো তো তুমি ওগো
নারী থেকে দাদুভাই আমি পুরুষ হতে চাই।
মেয়েমানুষ জীবনে দুঃখ পাই নিত্য  প্রতারিত
লাঞ্ছনা শশুড়বাড়িতে পণের জন্য গঞ্জনা
আগুনে পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র চলছে আজও।
প্রতিনিয়ত নিরয স্পটইখবরের কাগজে টিভি
চ্যানেল শিশু কিশোরী যুবতী রেহাই নাই নাই।
মনে আশ্রয় নিয়েছি তোমার কাছে খুলে বলি
কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে এই তুমি আমাদের
দাদাভাই  তোমার দূর থেকেই মনের সুখ দূখের
কথা কই মন খারাপের হাল্কা হয়ে যাই, দাদুভাই
আজ এ দুঃসময়ে নারীদের অবাঞ্ছিত প্রতারিতা
প্রবঞ্চনা  এ শৃঙ্খলিত জীবন থেকে মুক্তি কি নাই ?  
ঘরে বাহিরে সংসারে গ্রামে শহরে একই পরিস্থিতি
রাস্তায় বাসে ট্রেনে প্লেনে অফিসে কাজে কর্মে ও
স্কুলে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে  সর্বত্র দেখি সর্বনাশ
খানেই রাক্ষস হাত থেকে রেহাই নাই নাই সত্যনাশ।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি সাহায্যে আমি সত্যি পুরুষ হতে চাই ।

বেলা শেষে ভালোবেসে ও জনৈকা গল্পের রানী

বেলা শেষে ভালোবেসে

শ্যামল সোম

তুমি  রাতের ভোরের ফুল ওগো
তুমি যে তুমি আমার ভীষণ প্রিয়া
আমার প্রাণের মনের মানুষ তুমি
প্রেমিকা আমার ভীষণ প্রিয় সখী
কবি বন্ধুর কস্ট গুলো নিলাম সত্যি
আমি কেঁড়ে, তুমি যে প্রথম প্রেমিকা
প্রেমে পড়ে আছি দূরে অনেক দূরে,
নাই আছি কাছাকাছি সহমর্মিতা
সহানুভূতি প্রকাশে আপ্লুত হয়ে আছি।
আমার এখন দূগের ঘরে একা বাস
তোমার ঘরে জ্বলে আলো অনুক্ষণ
কল্যাণ বর্ষিত হোক তোমার সারাক্ষণ।
ওগোতুমি না হয় সুখের সমুদ্রের ঢেউয়ে
তাঁর  ভালোবাসার স্রোতে ভেসে যেও।


জনৈকা গল্পের রানী  বন্ধুকে উৎসর্গীত

বর্ণালী তুমি অনন্যা

শ্যামল সোম

রূপে গুনে উর্বশী অপ্সরী শতসহস্র পুরুষের চোখ জ্বলে লকলক লেলিহান !
উত্তাপে পুরুষের রক্তক্ষরণ কাছে আসতে কত ব্যাকুল
প্রেমের কবিতা স্বপ্নময়তায় মুখ সব প্রেমিকের মুখোশ
ঠিক বুঝে যাও তুমি শেষে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
জানোয়ার বিকৃত মনস্ক সেই  মাতাল পুরুষের দেহের ঘ্রাণ
কাছে গেলেই নেই পরিত্রাণ।

শরীর চাইলেই পাওয়া যায় শরীর, শারীরিক সম্পর্ক কি
চিরস্থায়ী হয় না থাকে নিরন্তর,মানসিক এতই নিষ্ঠুর যন্ত্রনা শত
সর্পের দংশনে বিনিদ্র রাত জাগে।জানো তাই আজ রয়েছো একাকী
মনের মানুষ খোঁজে আলিঙ্গনে ধরা দিতে ভালোবেসে নূতন করে বেঁচে
উঠবে উদ্ভাসিত হাস্য মুখ চোখে জলে রয়।

অলস বেলায়
বেলা শেষে এভালোবাসায়  ভেসে যাই অনু তোমার ভালো
বাসার ছোঁয়ায় হৃদয়ে ভৈরবী সুর বাজে সুপ্রভাতে
বিষন্নতায় অবসাদে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ অবশেষে মানুষের স্পর্শে শিহরণ,

অনুপমা এসো ধরো হাত ছুটে যাই ঐ নীল সমুদ্রের ঢেউয়ে
দু জনে দুজন পরস্পরকে জড়িয়ে ঢেউয়ে ভেসে যাই ভালবাসায়

জননী তুমি চির অনন্যা

জননী তুমি চির অনন্যা

শ্যামল সোম

জননী আমার তুমি
এই বিশ্ব সৃষ্টি কর্তার
প্রকৃতি নদনদী সমুদ্র
সবুজ বনানী পর্বত
তৃষ্ণার পানি কেউ বলে
জল, তাঁর কৃপায় নির্মল।
" তুমি নির্মল কর
মূল করে
মলিন মর্ম মুছায়ে।
শৈশবে মাতৃ কন্ঠে
শোনা গান এলো প্রাণে ।
প্রভু তাঁকে নিয়ে লেখো
ভীষণ ভালো লাগলো
ক্ষমা প্রার্থনা, এ সাধনা
সাহিত্য চর্চা সাথে ধর্ম
নিয়ে লেখা, তিনি রব।
প্রভু এক অদ্বিতীয় তিনি,
তাঁকে প্রণাম জানাই ।
মা সত্যি অবাক হতে হয়
শ্যামল সোম এর প্রতি 
আপনার বদান্যতা করুনা।
কাঁটাতারের বেড়ার এপারে
কোলকাতা নগণ্য এক বৃদ্ধ
আপনি একজন স্নামধন্যা
বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যের
কাণ্ডারী হুঁশিয়ার মনে পড়ে।
আমার মন প্রাণ আনন্দে
আপ্লুত হয়ে গেলো গো জননী
কৃতজ্ঞতা জানাই সসম্মানে
ধন্যবাদ সকল জননী আপনাদেরকে

স্মৃতি পাঠে জননী

স্মৃতি পাঠে জননী

শ্যামল সোম

আমার মা মাগো জননী
বাংলাদেশ মা নয়নমণি
ভালো থেকো আমার
শৈশবে ফেলে জন্মভূম।
বহু বছরের ঐতিহাসিক
দেশ ভাগের ভাগাভাগি
তাণ্ডবে রক্তাক্ত কলঙ্কিত
অধ্যায় থেকে শুরু মাগো,
দেশভাগের রক্ত ক্ষরণে
মৃত্যু মিছিলের সে ইতিহাস
শুধুই দীর্ঘশ্বাস  ঐ হাহুতাশ
হাহাকার স্পষ্টই প্রতীয়মান
আজকে কাঁদে প্রাণ মাগো।
দু ভূখণ্ডে শরণার্থী শিবির।
না বলা বাণী করুনকাহিনী।
উনিশশো বাহান্ন সালে জানি
ভাষা আন্দোলনে রক্ত বন্যা
ঝরছে ভাষা শহীদ নিহত
হয়েছেন উনিশশো সত্তর
পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ
মা বোন কন্যা নাতনি সম
বহু মানুষের আত্মত্যাগ এ
গড়ে উঠছে বাংলাদেশ মা
সত্যি বলতে কি  দূরে আছি
ঠিক তবু আকাশে বাতাসে
ভেসে আসে কীতৃন খোলা
নদী উপরে বহে যাওয়া বাতাস
এলাকাটির মাটির ঘ্রাণ ছড়িয়ে
পড়ে কাঁটাতারের বেড়ার এপারে
তবু মাঝেমধ্যে চাপা দীর্ঘশ্বাস
বেরিয়ে আসে মাফ করো জননী
মাগো বাংলাদেশ ভালো থেকো তুমি।

Tuesday, 17 April 2018

গ্রুপে ও নারী মহান সৃষ্টি কর্তার আশচর্য সৃষ্টি

নারী মহান সৃষ্টি কর্তার এক আশ্চর্য সৃষ্টি

শ্যামল সোম

প্রাক ঐতিহাসিক সেই প্রস্তর যুগে
যুগান্তর গোষ্ঠী বদ্ধ যাযাবর জীবন।
থেকেই গৃহপালিত জন্তু জানোয়ারের
মতন নারী পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের
পণ্যবাহি, ক্রীতদাসী কামিনী তখন
বিবাহ প্রথা ছিলো না, পুরুষের কামনা
চরিতার্থ করতে যে কোন নারী নির্বিশেষে
ভোগের জন্য যেন বলি প্রদত্ত নিরন্তর
ধর্ষিতা  ধর্ষণ যেন নারীর জীবন অবান্তর।
প্রচীন যুগ থেকে এই এক বিংশ শতাব্দী
সভ্যতা ও সংস্কৃতি আজ কি এই পরিণতি?
পরিসংখ্যান নেই প্রতিদিন কত শত শিশু
কিশোরী যুবতী বৃদ্ধাদের প্রতি যৌন নিগ্রহ,
ছেলে বন্ধু, প্রেমিক,স্বামী, পুত্র সন্তানের
হাতে দিন দিন প্রতিদিন প্রতি নিয়ত জননী
ভগ্নী কন্যা নাতনি নিদ্রা হীন আতংকে কাটে
দিন রাত বাড়লে আসবে শয়তান জানোয়ারের
দল বেঁধে ঘুরছে কাকে কখন পাঁজাকোলা করে
তুলে নিয়ে গণ ধর্ষণের উল্লাসে আগুন জ্বালা।
চলছে নারী পুরুষের পুরুষের ভোগের সামগ্রী
ধর্ষণ ধর্ষণ আজ বিলক্ষণ উৎসব এই গণধর্ষণ !
নারী শিশুদের ও রেহাই নেই, তবু নারী ভালোবাসে
কাছে আসে প্রেম করে  সন্তান প্রসব করে মাতৃ স্তন
দানে প্রতিপালনে মমতায় স্নেহে দৈনন্দিন জীবনের
চলার পথে চলেছে নারীর একান্ত আপন নৈরাশ্য
বিপন্ন মগ্নতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানবিকতা!।
এত ঘটমান হলে মনে হতে পারে অনেকেরই বিকৃত
মনস্ক মানুষদের মনে হতে এ সব লেখা পাগলের
প্রলয় প্রলাপ কথন ক্ষমা করবেন আপনারা সুধীজন।

কবি আমার এক বাংলাদেশের মা

কবির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হলো
ফুলের মতন নরম মন ছুঁয়ে
যায় দৈনন্দিন জীবনের শত
সহস্র মানুষের সুখ দুঃখের
সাথে মনের মাধুরী মিশিয়ে
আপনি লেখেন অনবদ্য কাব্য
আমার বাংলাদেশের জননী

আমার এক বাংলাদেশে মা

শ্যামল সোম

মা আমার যেমন অসামান্য
লেখেন গদ্য তেমনি লেখেন
শ্বেত পদ্ম পাতার কবিতা
শব্দ চয়নে বাক্য বিন্যাসে
ছন্দময় চিত্রকল্প নব্য চিনতে
মমনে ছোঁয়ায় হৃদয়ে গাঁথা
কাব্য আলোয় আলোয়
উদ্ভাসিত ঊর্মিমালা কাব্য।
পঠন পাঠে নিমগ্ন মন ছুঁয়ে
যায় অন্তরে অন্তরে ভিতরে।
আমি মুগ্ধ হলাম গো মা
মাঝে কাঁটাতারের বেড়া
কত কিছুই আলাদা অথচ
আমি মা পেয়ে গেলাম যে
আজ, যিনি কবি এমন সুন্দর
লিখন শৈলী নান্দনিক ও
শৈল্পিক ছন্দময়তায় ও
নিত্য নতুন আঙ্গিকে চিত্র
সঙ্কল্পে স্বাতী নক্ষত্র জ্বলে
জ্বলছে কাব্য জগতে উজ্বল
অরুন্ধতী তুমি আমার মা।
বৃদ্ধ পুত্র কাব্যপাঠে মুগ্ধ হলাম জননী।

Monday, 2 April 2018

খুন করছি ভালোবাসা

খুন করছি ভালোবাসা

শ্যামল সোম

তখন সদ্য যৌবন সে উন্মাদনায়
নিত্য নতুন প্রেমিকা না বান্ধবী রয়
আমি রঙিন রংমশালের মত জ্বলছি।
জ্বলনে এত সুখ না জ্বালিয়ে ধূপ,
সৌরভে ঘ্রাণে দেহ মন আত্মদানে,
নারী আপন মাধুর্য সহমর্মিতায় প্রেমে,
কাছে এসেছিল, ভালোবেসে ছিলো,
পৌরুষের অহংকারে ডুবে অতল সাগরে,
স্বর্গের অপ্সরী উর্বশী সন্ধানে পাহাড়ে
কখন পানশালায় নগরে থেকে শহরে
এক উদভ্রান্ত কক্ষচ্যুত গ্রহের মত ঘুরেছি
রঙিন ফানুস কলো ভ্রমরের ফনফন কম্পন ।
অবশেষে আবিষ্কৃত হয় বৃথা গেল সময়,
ফিরিয়ে দিয়েছি প্রেম, প্রেমিকার অভিশাপে
হাঁ খুন করছি ভালোবাসা, কৃতকর্মের পাপে
আজ আর কাছে নেই কেউ বিষন্নতায় এই
বোধ বোধগম্য হয় বেদনায় নদী হয়ে বহে যাই
অনন্ত যাত্রায়  অহেতু বেঁচে আছি মত্যু প্রতীক্ষায়।

দিন চলে যায়

দিন চলে যায়

শ্যামল সোম

এ ভাবেই ক্লান্ত বিষন্নতায় চলে যায় দিন
বেলা শেষে অবহেলায় অনাদরে প্রতিক্ষণ,
নিরুপায় বিপন্নতায় এ বৃদ্ধের দৈনন্দিন ক্ষীণ
হতে ক্ষীণ আশা প্রত্যাশা পূরণের প্রতীক্ষায়
পুত্র কন্যা আত্মীয় স্বজন পাড়া পড়শি হায়
ফিরায়ে নিয়েছ মুখ, যাঁদের পাশ ছিলাম প্রায়
ছায়া মায়ায় ভালোবাসায় দায়িত্ব পালন কভু
হয় নাই কখন স্খলন লালন সাঁইজী গান তবু
আজ ও বাজে কানে, " সময়ের সাধন কেন
করলে না ? সময় গেলে সাধন হবে না " !
ঈশ্বরের ভজন পূজন সাধনের সময় হলো না।
কঠিন জীবনের প্রতিদিনের দৈনন্দিন সংগ্রামে
টেনে হিঁচড়ে বৃহত্ পরিবারের দায়িত্ব কর্তব্য শ্রমে
কৃতিত্ব নেই কোন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ময়দানে।
আমার আশৈশব দারিদ্র্য অভাব অনটনের ঝড়ে
লণ্ডভণ্ড হয়ে ছিল দেশ ভাগের ভাগাভাগি তাণ্ডবে
লক্ষ লক্ষ  অনাথ উদ্বাস্তু শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়
নেয় বিপর্যয় সম্মুখীন হয়ে অস্তিত্ব প্রবাসে হারায়
হতভাগ্য  ছন্নছাড়া মাথার উপর আকাশ ভাঙে ।
সহমর্মিতা নির্ভরতা ভালবাসায় ভরিয়ে দেন ঈশ্বর
তাঁর কৃপায় সবাই আজ সুপ্রতিষ্ঠ সুখী এই নশ্বর
জীবনের হোক অবসান, " আমি অপার হয়ে বসে
আছি দয়াল পার করো আমায় " বিদায়ের সময়।

সম্পর্কের ইতি কথা

সম্পর্কের  ইতি কথা

শ্যামল সোম

কোন সম্পর্ক  কি চিরস্থায়ী নয়
যে পুত্র সন্তানের না খাওয়া জন্য
কেঁদেছিলেন একদিন, সেই জননী
আজ পুত্রের অমানবিক নির্যাতনে
না খেতে দেওয়ায় কেঁদে কেঁদে জনে
জনে ভিক্ষা চেয়ে পেট ভরান তিনি।
পিতা মাতার স্নেহ মমতা ভালবাসায়
লালিত পালিত কন্যা প্রেমে পড়ে সে
এতদিনের মায়ার বন্ধন ছিন্ন করে কেন
পালায় যৌবনের উন্মাদনায় প্রেমিকার
সাথে বিবাহে প্রতিশ্রুতি অনুরাগে গলে
গলে গলে পড়ে  জ্বলন্ত মোমবাতি হয়ে
সুখের বাসর শয্যায় মাদল বাজে রয়ে
আনন্দে আহ্লাদে আপ্লুত হয়ে পরবাসে।
ভালোবাসার অঙ্কুর বিনষ্ট হয় স্খলনে,
অধঃপতনে প্রেম ছলনায় ছল করে বর
কখন মুখোশ খুলে  ফেলতেই খলনায়ন।
অতীত স্বজন পাড়া পড়শি ততক্ষণ মন্দ
নয় যতক্ষণ পর্যন্ত মন জুগিয়ে চলবে।
স্পট কথা বললেই সপাটে চড়, কপাট
বন্ধ করে দেয় মুখের উপরে, নিরুপায়
মানুষের শেষ আশ্রয় প্রভুর শ্রী চরণে।