আমি কেন নষ্ট মেয়ে নাটকের গল্প
শ্যামল সোম
শতসহস্র জন্মের পাপ আমাদের মত অনুন্নত পতনশীশ দেশে দরিদ্র পরিবারের
আমি নীরা দাস পরিবারের বড় কন্যা, পরগাছার মতন, আজও সামনত্র তন্ত্র পালা
এই যাত্রা শুরু হয়েছিল পাঁচ ভাই বোন ও দাদি নিয়ে মায়ের আপ্রাণ চেষ্টায় সংসার
চেয়ে চিনতে কখন কাকু জেঠু দাদুদের সাহায্যে বিনিনয় ভর দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছে ঘরে
মাকে গিলে খাচ্ছে জান্তব পুরুষ, আমি অনেকদিনের জানা ঘটনাদেশের বৈপ্লবিক চেতনার উত্তরাধিকার তুমি আপনারাই নাটক হাতিয়ার নিয়ে উপহার দিতে যাচ্ছি সাহায্য করতে হবেই একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও এইসব নাটক একক বা সাথে আপনাদর কাউকে পাবো তোমার গুণমুগ্ধ আমি অশেষ শুভেচ্ছা ভালোবাসা নিও, সবাইকে বিলিঠঠঠ আগামী উনিশে এপ্রিল মাসে 2020 সালে প্রিয় রবিবার মুক্ত অঙ্গনে রঙ্গালয়ের, শ্যামল সোমের ছোট ছোট অনু নাটক মঞ্চস্থ হবে তিরিশবছর পরে তোমাদের নাটক প্রতিদিনই দেখতে দেখতে এও জেন তোমাদের নাট্য সংগঠনের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমে দৈহিক ও মানসিক এবং আর্থিক সহায়তা নেই, দাঁতে দাঁত চেপে আজ দেওয়ালে যখন ঠেকেছে পিঠ, এই নাট্য সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে সম্বিত ফিরে পেয়ে রক্তাক্ত করেছি হৃদয়, রক্তের অক্ষরে লিখেছি দেশভাগে গ্লানি যন্ত্রণা আজীবন বেদনা এখন আবার শোনা যাচছে দামামা কতবার " শরণার্থী " হবো এই ডিটেনশন কাম্পে ছেচল্লিশ সালে দাঙ্গা পরে তাড়িত জন্তু মত আবার কি খুঁজতে মরিচ ঝাঁপি দ্বীপ। দ্বিতীয় নাটক লোরকার স্মরণে "কমরেড ফিরছি আমি " তৃতীয় নাটক বন্য কন্যা নারী পণ্যা সাম্প্রতিক সময়ে অসহায় এক ক্রীতদাসী মুক বধির নয় এক বন্য মেয়ে যাকে কিনে যৌন ক্রীতদাসী কমলাকে ওর নিজের বাপের কাছ থেকে টাকা দিয়ে জঘন্য ঘৃর্ণ বিক্রিত যৌন আকাঙ্খা মেটাতে নির্মম অত্যাচার নির্যাতন অসহ্য বযথা পেয়ে চিৎকার কাঁপছে ক্রোধে সহসা মেয়েটি আঘাত করতে করতে শেষে হত্যা করে কাঁপছে তার শরীর।চ চতুর্থ নাটক -- উদাসী বাউল সনাতন বাউল মুসলিম তালাক প্রাপ্ত অল্প বয়সি বাতাসী শ্রীনাথ বাউল তিনটি চরিত্রের বিভিন্ন প্রসঙ্গে অবিশ্বাসের জীবন দর্শণ বাউলতত্ব দেহতত্ব বহুদিনের সাধনায় সনাতন সিদ্ধ বাউল সম্রাট ভবিষ্যতের প্রজন্ম কতজন ঠিক মানুষ? কাল মহাকালের অতলে ডুব দিয়ে তুলে আনবো অমৃত। শ্যামল সোম শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত আমরা দুষ্কৃতীরা ঢেকে কালো কাপড়ে অস্ত্র হাতে হায়না মত খুঁজছে দেহী আত্মা। আমি সন্ত্রস্ত ভয়ার্ত চোখে দেখছি বোমা বন্দুকের গুলি আওয়াজে মানুষের আর্তনাদ চিৎকার কান্না বুলেট শব্দে মৃত্যু মৃত্যু মৃতের স্তূপ। ঝুপঝাঁপ দোকান বাড়ির দরজা বন্ধ মানুষ মানুষের ছেচল্লিশ সালে দাঙ্গা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই একালের কন্ঠ ধর্ম ধ্বজা যে যার মত এস এল আর বর্ষা বল্লম মাইন এ হচ্ছে ঐ বিস্কোরণ জনে জনে লাইনে দাঁড়িয়ে সেই শরণার্থী আবার গর্ভ পাত শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত ঐ তো আমার পাশেই ঠাকুরদা বড় জারতুত দাদা বৌদি ভাইজি মনমিয়া সোফিয়া সেলিম আবদুল চাচা লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের দল দলে দলে দলাদলি রহমত নাকি সে জঙ্গি আমার শরীর কাঁপছে দাঠাকুর দেশ ভাগ দাঙ্গা মানুষের শেষআর্তনাদ ওদিকে হুংকার আস্ফালন মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মরণ, শতসহস্র শরণার্থী আমরা আজ কো থা য় যাপন পনের বছরেই
পাড়ার কুকুরের মতন দাদা কাকু, জেঠু কলে বসিয়ে কুড়ি থেকে ফুল ফোঁটাতে চায়।
ছোটবেলা থেকেই দেখছি বাড়িতে এসে ট্রাক ড্রাইভার বাবা আকণ্ঠ মদ গিলে গালা
গালি গালাজ রেগে গিয়ে মাকে মারধোর করতো, আশ্চর্য হতাম এত মার খাওয়ার
পর পাশের ঘরে যৌন শিৎকার ধ্বনি ভেসে আসতো আঁসটে গন্ধ যৌনতাই কি জীবন?^^
হঠাৎ আকস্মিক ভাবে বাপ একদিন এক মাঝ বয়সী লোকটা দেখেই বুঝতে পারলাম
ষোড়শী আমাকে বিক্রি করতে চান নিজে জন্মদাতা পিতা হায় কপাল খারাপ আমার।
সে রাতেই ফেস বুকে বন্ধু ভীষণ ভালোবাসে যোগাযোগ করে মালদাথেকে আসিকে
সাথে পালালাম।
কোলকাতায় আসিকের এক দিদির বাড়ি পার্ক সার্কাসের গিয়ে উঠালাম হাঁফ ছেড়ে
স্বপ্ন দেখতে দেখতে থাকি।
চারদিন পরে মৌলবী আমাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মারিত করলেন কলমা পড়িয়ে আমার
নাম না লা থেকে নাম হলো মুসকান, লাল রঙের নূতন লেহেঙ্গা লাল চোলি নীল ওড়না
সেজেগুজে নিকা হলো পর্দার আড়ালে কবুল কবুল কবুল বললাম, আমি ও আসিক
নিকা মামাতে সাক্ষর করলাম দুজনে, বাসর রাতে স্ত্রী হয়ে আসিকের কাছে নিজেকে
উজার করে দিলাম নদীর বন্যার পানিতে দুজনে মিলে ভালোবাসায় স্রোতে ভেসে যাই।
যথারীতি শুরু হয়েছে অশান্তি বস্তি ঘরে একাই থাকি আসিক দেখা নেই, আমি দিশেহারা
কি করবো পড়াশোনা দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে কে কাছ দেবে কাপড় দোকানে সেলেস গার্ল,
মেসেজ পার্লার থেকে এখন আমার এজেন্সি নাম লিখেয়ে কল গার্ল প্রতিযোগিতা নেমেছি।
হঠাৎ আকস্মিক মোবাইল ফোন বেজে উঠলো নির্দেশ এলো মেটিয়াবুরুজর ঠিকানায় এসে
ঘরে ঢুক চমকে গেলাম আসিককে দেখে বিস্ময় অবাক হয়ে আসিকের দিকে তাকিয়ে আছি।
আমি নীরা দাস পরিবারের বড় কন্যা, পরগাছার মতন, আজও সামনত্র তন্ত্র পালা
এই যাত্রা শুরু হয়েছিল পাঁচ ভাই বোন ও দাদি নিয়ে মায়ের আপ্রাণ চেষ্টায় সংসার
চেয়ে চিনতে কখন কাকু জেঠু দাদুদের সাহায্যে বিনিনয় ভর দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছে ঘরে
মাকে গিলে খাচ্ছে জান্তব পুরুষ, আমি অনেকদিনের জানা ঘটনাদেশের বৈপ্লবিক চেতনার উত্তরাধিকার তুমি আপনারাই নাটক হাতিয়ার নিয়ে উপহার দিতে যাচ্ছি সাহায্য করতে হবেই একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও এইসব নাটক একক বা সাথে আপনাদর কাউকে পাবো তোমার গুণমুগ্ধ আমি অশেষ শুভেচ্ছা ভালোবাসা নিও, সবাইকে বিলিঠঠঠ আগামী উনিশে এপ্রিল মাসে 2020 সালে প্রিয় রবিবার মুক্ত অঙ্গনে রঙ্গালয়ের, শ্যামল সোমের ছোট ছোট অনু নাটক মঞ্চস্থ হবে তিরিশবছর পরে তোমাদের নাটক প্রতিদিনই দেখতে দেখতে এও জেন তোমাদের নাট্য সংগঠনের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমে দৈহিক ও মানসিক এবং আর্থিক সহায়তা নেই, দাঁতে দাঁত চেপে আজ দেওয়ালে যখন ঠেকেছে পিঠ, এই নাট্য সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে সম্বিত ফিরে পেয়ে রক্তাক্ত করেছি হৃদয়, রক্তের অক্ষরে লিখেছি দেশভাগে গ্লানি যন্ত্রণা আজীবন বেদনা এখন আবার শোনা যাচছে দামামা কতবার " শরণার্থী " হবো এই ডিটেনশন কাম্পে ছেচল্লিশ সালে দাঙ্গা পরে তাড়িত জন্তু মত আবার কি খুঁজতে মরিচ ঝাঁপি দ্বীপ। দ্বিতীয় নাটক লোরকার স্মরণে "কমরেড ফিরছি আমি " তৃতীয় নাটক বন্য কন্যা নারী পণ্যা সাম্প্রতিক সময়ে অসহায় এক ক্রীতদাসী মুক বধির নয় এক বন্য মেয়ে যাকে কিনে যৌন ক্রীতদাসী কমলাকে ওর নিজের বাপের কাছ থেকে টাকা দিয়ে জঘন্য ঘৃর্ণ বিক্রিত যৌন আকাঙ্খা মেটাতে নির্মম অত্যাচার নির্যাতন অসহ্য বযথা পেয়ে চিৎকার কাঁপছে ক্রোধে সহসা মেয়েটি আঘাত করতে করতে শেষে হত্যা করে কাঁপছে তার শরীর।চ চতুর্থ নাটক -- উদাসী বাউল সনাতন বাউল মুসলিম তালাক প্রাপ্ত অল্প বয়সি বাতাসী শ্রীনাথ বাউল তিনটি চরিত্রের বিভিন্ন প্রসঙ্গে অবিশ্বাসের জীবন দর্শণ বাউলতত্ব দেহতত্ব বহুদিনের সাধনায় সনাতন সিদ্ধ বাউল সম্রাট ভবিষ্যতের প্রজন্ম কতজন ঠিক মানুষ? কাল মহাকালের অতলে ডুব দিয়ে তুলে আনবো অমৃত। শ্যামল সোম শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত আমরা দুষ্কৃতীরা ঢেকে কালো কাপড়ে অস্ত্র হাতে হায়না মত খুঁজছে দেহী আত্মা। আমি সন্ত্রস্ত ভয়ার্ত চোখে দেখছি বোমা বন্দুকের গুলি আওয়াজে মানুষের আর্তনাদ চিৎকার কান্না বুলেট শব্দে মৃত্যু মৃত্যু মৃতের স্তূপ। ঝুপঝাঁপ দোকান বাড়ির দরজা বন্ধ মানুষ মানুষের ছেচল্লিশ সালে দাঙ্গা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই একালের কন্ঠ ধর্ম ধ্বজা যে যার মত এস এল আর বর্ষা বল্লম মাইন এ হচ্ছে ঐ বিস্কোরণ জনে জনে লাইনে দাঁড়িয়ে সেই শরণার্থী আবার গর্ভ পাত শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত ঐ তো আমার পাশেই ঠাকুরদা বড় জারতুত দাদা বৌদি ভাইজি মনমিয়া সোফিয়া সেলিম আবদুল চাচা লতিফ সিদ্দিকী এবং মানুষের দল দলে দলে দলাদলি রহমত নাকি সে জঙ্গি আমার শরীর কাঁপছে দাঠাকুর দেশ ভাগ দাঙ্গা মানুষের শেষআর্তনাদ ওদিকে হুংকার আস্ফালন মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যু মরণ, শতসহস্র শরণার্থী আমরা আজ কো থা য় যাপন পনের বছরেই
পাড়ার কুকুরের মতন দাদা কাকু, জেঠু কলে বসিয়ে কুড়ি থেকে ফুল ফোঁটাতে চায়।
ছোটবেলা থেকেই দেখছি বাড়িতে এসে ট্রাক ড্রাইভার বাবা আকণ্ঠ মদ গিলে গালা
গালি গালাজ রেগে গিয়ে মাকে মারধোর করতো, আশ্চর্য হতাম এত মার খাওয়ার
পর পাশের ঘরে যৌন শিৎকার ধ্বনি ভেসে আসতো আঁসটে গন্ধ যৌনতাই কি জীবন?^^
হঠাৎ আকস্মিক ভাবে বাপ একদিন এক মাঝ বয়সী লোকটা দেখেই বুঝতে পারলাম
ষোড়শী আমাকে বিক্রি করতে চান নিজে জন্মদাতা পিতা হায় কপাল খারাপ আমার।
সে রাতেই ফেস বুকে বন্ধু ভীষণ ভালোবাসে যোগাযোগ করে মালদাথেকে আসিকে
সাথে পালালাম।
কোলকাতায় আসিকের এক দিদির বাড়ি পার্ক সার্কাসের গিয়ে উঠালাম হাঁফ ছেড়ে
স্বপ্ন দেখতে দেখতে থাকি।
চারদিন পরে মৌলবী আমাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মারিত করলেন কলমা পড়িয়ে আমার
নাম না লা থেকে নাম হলো মুসকান, লাল রঙের নূতন লেহেঙ্গা লাল চোলি নীল ওড়না
সেজেগুজে নিকা হলো পর্দার আড়ালে কবুল কবুল কবুল বললাম, আমি ও আসিক
নিকা মামাতে সাক্ষর করলাম দুজনে, বাসর রাতে স্ত্রী হয়ে আসিকের কাছে নিজেকে
উজার করে দিলাম নদীর বন্যার পানিতে দুজনে মিলে ভালোবাসায় স্রোতে ভেসে যাই।
যথারীতি শুরু হয়েছে অশান্তি বস্তি ঘরে একাই থাকি আসিক দেখা নেই, আমি দিশেহারা
কি করবো পড়াশোনা দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে কে কাছ দেবে কাপড় দোকানে সেলেস গার্ল,
মেসেজ পার্লার থেকে এখন আমার এজেন্সি নাম লিখেয়ে কল গার্ল প্রতিযোগিতা নেমেছি।
হঠাৎ আকস্মিক মোবাইল ফোন বেজে উঠলো নির্দেশ এলো মেটিয়াবুরুজর ঠিকানায় এসে
ঘরে ঢুক চমকে গেলাম আসিককে দেখে বিস্ময় অবাক হয়ে আসিকের দিকে তাকিয়ে আছি।
No comments:
Post a Comment