প্রেমের বন্ধন
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঘটনা নাটকে জন্যে লেখা
রেশমি সিদ্দিকী গোঁড়া রক্ষণশীল সৈয়দ বংশের
বড়ির আভিজাত্যের প্রতীক মামাজান মসজিদে
ইমাম সাহেব কাশিম মোল্লা এই ক্যানিং অঞ্চলে
বিখ্যাত স্নামধন্য ব্যক্তি পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় কমিটির
চেয়ার ম্যান সমাজে গন্নি মান্নি ব্যক্তি সফলভাবে সম্পন্ন
করেছেন হজ যাত্রা করছেন।
হাজি সাহেবে প্রচন্ড প্রতাপ গাঁয়ে তাঁর কথাই শেষ কথা।ঐ
তিনি তাঁর একমাত্র ভাগ্নি রেশমিকে ভীষণ ভালোবাসেন।
রহমান সিদ্দিকি ও আমিনা বিবির কলিজার টুকরা ঐ
পরীর রূপ অত্যন্ত বুদ্ধিমতী মেধাবী পর্যবেক্ষণ শক্তি দায়িনী
তিনি ছেলের পর মহান আল্লাহ্ কৃপায় এই কোহিনুর রেশমিকে
বাড়ি আলো করে পয়েছেন।
শৈশবকাল থেকে ছড়া কবিতা রবীন্দ্রনাথের গান ভাটিয়ালি
লালন সাঁইজ , " খাঁচা ভিতর অচীন পাখি ক্যামনে আসে যায় "!
গান শুনে হাজি সাহেবের মামুজানের চোখে পানি এসে গেলো।
তিনি পাঁচ হাজার টাকা বোন আমিনা হাতে দিয়ে বললেন, আমিনা
ধন্য ধন্য তোর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা খোদাতাল্লা তোরে
জগতের আলো কহিনুর উপদার দিয়েছেন এঁরে শিক্ষিত করতে হবে,
ঘোর অশিক্ষা আজও মুসলিম সমাজকে পেছিয়ে রাখছে।
গাঁয়েরবাড়িতে ঠাম্মা আদর ঠেলে উচচ শিক্ষার জন্য খালা বাড়ি ঐ
পার্ক সার্কাস হাইকোর্টের এডভোকেট সামসের হোসেনের বাড়িতে
দুই দিদি আর ছোট ভাইয়ের সাথে রেশমি হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে মাঝে
মধ্যে বড়দি উষা উৎসাহে ছড়া কবিতা লিখছে ও ছোটদি মিতালিদির কাছে
হাতে কত রকম কাজ কার্ড ডিজাইন করা বুটিক প্রিনট শিখছে, উষাদি
যাদবপুরে ইংরেজি ভাষায় অনার্স পড়ছেন, মিতালিদি ফ্যাশন ডিজাইনার
হওয়ার জন্য সল্টলেকে নিমস এ কলেজে পড়ছে।
হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে যাদবপুখ মাস কমুনিকেশন ইংরেজি সাহিত্য
ভরতি হওয়ার সময় পারিবারিক বিশাল সমস্যা দুর্যোগ অগ্রাহ্য করে খালামনি
খালু এডফোকেট যুক্তির সমনে সবার আপত্তি ধূলিসাত্ হয়ে গেলো।
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র শুভঙ্কর চক্রবর্তী
সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো।
তিন বছরে বানধবী থেকে প্রেমিকা অপরূপা নারী রেশমি সিদ্দিকী কবি হিসাবে স্বীকৃতি
আর শুভঙ্কর চক্রবর্তীর প্রেমে পড়ে ডুবছে রূপসা নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।
পরুষ আর নারীর মধ্যে বিস্তর ফারাক প্রেমের ব্যাপারে নারী হৃদয়ে স্পন্দন বেড়ে
সমুদ্রের ঢেউয়ের আকার নেয় বা খরস্রোতা পাহাড়ি নদীর মতন আশপাশের বাঁধা
বন্যা দুরন্ত গতিতে দুকূল ভাসিয় উজান স্রোতে সাগর শুভঙ্করচক্রবর্তী তাঁর গন্তব্য।
দুবছর পরেই শুভঙ্কর চক্রবর্তী মামা হোসেন সাথেই হাইকোর্টে মামলা লড়েন
দুজনের বন্ধুত্ব অনেক দিনের।
দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীপুরুষ যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কেউ বাধা দিতে পারেন না।
বাস্তব বড়ি কঠিন হাজি সাহেব রেশমি মামুজান আব্বু রহমান সিদ্দিকি
আমিনা বিবির আপত্তি সত্বেও গুন্ডা পাঠিয়ে শুভঙ্কর চক্রবর্তীকে খুন করতে
সুপারি দিয়েছিলো, রেশমি উষাদিদির চিৎকার শুনে ওরা পালাবার আগে ছুরি
দিয়ে আঘাত করে রেশমি নিজের ওড়না ছিঁড়ে তাড়াতাড়ি যত দূর সম্ভব ব্যান্ডেজ
বেঁধে নারসিং হোমে ভর্তি হয়ে সুসথ হলো।
No comments:
Post a Comment