ভ্রষ্টা মেয়ের নষ্ট জীবন
শ্যামল সোম
শৈশবে বাপ মায়ের আদরের সে আমি
গ্রামের বাড়ির বাগানে প্রজাপতি উড়ে,
আমিও ফুল পাড়তে গিয়ে দেখি জুড়ে
আছে গাছে মৌচাক, মৌমাছির দংশনে
জ্বলে ছিল হাত, পরম মমতায় জননী
মলম লাগিয়ে দেয়, বাপ এসে আদরে
আদরে জুড়িয়ে যায় প্রাণ আনন্দে ভরে
যায় আমার শৈশবে আহ্লাদে বৃষ্টি ঝরে
একা একা ভিজেছি গাছের ছায়ায়।
হায়, বিধাতা ছিনিয়ে নেয় বাপ মাকে
সে এক দুর্ঘটনায় নিহত হয়, কান্না থামে
মামা মামার সংসারে এসে, লেখাপড়ায়।
সাথে মনের মাধুরী মিশিয়ে কৈশোরে
আসে স্বপ্নেের রাজপুত্র হিরো সে প্রেমিক
আদরে সোহাগে সুতীব্র ভালোবাসায় সিক্ত
আমি ধরে হাত তার ভেসে যাই ভালবাসায়।
স্বপ্নিল কাব্যময়তায়, প্রতিক্ষণ স্বপ্নে বিভোর,
একদিন সকালে আঁচড়ানো ক্ষতবিক্ষত দেহ
ঠাঁই পায় নিষিদ্ধ পল্লী বেশ্যালয়ে রাজপুত্র সে
মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে চলে গেছে আমায়।
স্বপ্নিল কাব্যময় নয় কঠিন বাস্তব মুখোমুখি
এ পঙ্কিল সংকট কঠিন বাস্তব জীবনে নিত্য
নূতন খদ্দের আসে মুখে রঙ মেঘে ঢং ঢং করে
হেসেহেসে বাসর শয্যা বিশিষ্ট ব্যক্তির মনোরঞ্জন
আত্মার আর্তনাদ শুনি ভ্রষ্টা নষ্ট আমার হৃদয়ে,
আজ ও মাঝেমধ্যে ভুলে যায় কাজে উদাসী মন
ফিরে যেতে চায় এ শহর ছেড়ে গ্রামে শান্ত গাছ
গাছালি নিবিড় ঐ নদী পাড়ের ঘণ ছায়াবীথিকায়।
No comments:
Post a Comment