Tuesday, 25 December 2018

আত্মজার অভিলাষ

রমেন মিত্র ও রত্না মিত্র এক মাত্র কন্যা সন্তান জন্ম নেয়
ভীষন আদরে মানুষ করছেন তাঁরা, সামান্য চাকরি ক্লার্ক,
রত্না গানের স্কুলে  গান শেখান। মেয়ে সৃজনি অপূর্ব গলা
অসম্ভব ভালো গায়, ছবি আঁকা শেখে পাহাড়ের হিমালয়ের
ছবি দেখে টিভিতে ও মুভি দেখে National Geography
রমেন মিত্রের হবি ছিল  হিমালয় ভ্রমণ যৌবনে বহু বছর
হিমালয়ের দুর্গম উপত্যকায় সৌন্দর্য খুঁজতে কেদার ব্রতরি
আশ্রম, হেম কুন্ডসা সাহেব Valley followers  রূপ কুন্ড
মণি মহেশ, কালাপাথর, Mount Evarestপাদদেশে  Tracking
রমেন হিমালয়ের ভ্রমণ কাহিনী শোনাতে অসুস্থ মেয়েকে সৃজনি
স্বপ্নে  হিমালয়ের রূপকথা দেশে বেড়াতে  যেত।
দশ বছরের সৃজনি দিন দিন অসুস্থ হওয়ায়  বিভিন্ন হাসপাতাল
ডাক্তার দেখিয়ে  কোন উপকার স্বাস্থ্য এর উন্নতি না হওয়ায় শেষে
ভেলোরে বিখ্যাত হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তারদের মিলিত
সিদ্ধান্ত হলো নানা ধরনের Blood test পরে জানা গেল সৃজনি
BLOOD CANCER ভুগছে  রকত শ্বেত কনিকা পরিসংখ্যান অনুযায়ী
দুমাস আয়ু BLOOD দিয়ে চলবে ষাটদিন।

আকাশ ভেঙে পড়লো রমেন ও রত্না মাথায় কস্ট করেও চিকিৎসা
চলছে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হলো। সৃজনির হিমালয় দেখার প্রবল
ইচ্ছে কি তার ইচ্ছে পূরণ হবে রমেন রত্না চিন্তিত  দুশ্চিন্তা চাপা বোবা কান্না
সামলের মেয়ে সৃজনি কাছে সবাভাবিক আচরণ বারবার BLOOD বদল
খরচা করে থাকে শেষে মহামান্য মুখ্যমন্ত্রী অর্থ আনুকূল্যে
প্রভিডেন্ড ফান্ড টাকা তোলে লাইফ ইনসিওরেন্স থেকে ঋণ নিয়ে ট্রেনে করে
দার্জিলিং  TROY TRAIN  চেপে  জানালার ধারে বসে সৃজনি দিন দিন
প্রতিদিন প্রতি নিয়ত তার স্বপ্ন সফল হওয়ার উচ্ছাসে শরীর ভেঙে পড়লেও
আনন্দে আহ্লাদে পরম করুণাময় মহান প্রভুর অসীম কৃপায় আশীর্বাদে শেষে
টাইগার হিল থেকে ভোরের সূর্যোদ্বোয়ের রাঙি আলোয় আলোয় কাঞ্চনঙ্ঘা
দর্শন প্রিয় হিমালয় দেখছে সিকিমে গিয়ে আপার পেলিং থেকে রমেন মিত্রের
S B I BANK দার্জিলিং  এ পোস্ট TRANCFER করলো চিকিৎসা চলছে আশ্চর্য
মিরাকেল অঘটন সৃজনি দিন দিন সুস্থ  হয়ে উঠছে  ছি আঁকছে রত্না তার মায়ের
সাথে গান গাইছে " পুরানো সেই দিনের কথা "

Monday, 24 December 2018

নাজারেথের যিশু

https://goo.gl/images/WnnY7n

আমার ভীষণ প্রিয় গ্রুপের সকলের জন্য
আগামী পঁচিশে ডিসেম্বর প্রভু যিশু পবিত্র
শুভ জন্মদিনে কল্যাণ হোক তোমার ও
তোমাদেরপরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা,
অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো আর
আগামী বছরের দিনগুলো সুখ ও শান্তি বহে
আনুক আমার ভালোবাসার মানুষের জন্যে।

নাজারেথের যিশু

শ্যামল সোম

আলোক পথে যাত্রী চলেছে তীর্থ দর্শনে
শত সহস্র তীর্থ ভক্ত গণের সাথে স্মরণে
সূর্য দেবতা পুজা অর্পণ নিবেদিত ভক্ত
ছুতোর মিস্ত্রি জাকের কনিষ্ঠ পুত্র প্রাণ
ভাইদের তাড়নায় তাড়িত হয়ে  চলেছেন
তাঁর সাথে ভীতা  পুণ্যবতী কুমারী মরিয়ম
মাতা মেরী গর্ভে এসেছেন পরিত্রাতা যিশু
তিনি ঈশ্বরের পুত্র সন্তান জন্মায় গোয়াল
ভাঙা ঘরে আস্তাবলে খেজুর গাছের নিচে।
সব গ্রহ নক্ষত্র জ্বলছে অনির্বান দীপশিখা
তিনি এসেছেন পাপী তাপী দরিদ্র জেলেদের
যত মেশ বালকদের জনগণের পরিত্রাতা ।
আকাশ বাণী বজ্র কন্ঠে ঘোষনা শুনে তারাটি
লক্ষ্য করে পূর্ব দেশ প্রান্তে থেকে তিনজন
মহাজ্ঞানি ঋষিরা এলেন এই বেথেলহেম,
স্বর্ণ, ধূপ, সুগন্ধি উপহার দিয়ে অভিবাদন ।
যিশু বার বছর বয়সে সাধনায় আত্মনিয়োগ
মানুষের সকল দূঃখ কস্ট লাঘব করার প্রেম
ভালোবাসায় ভরিয়ে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে
প্রভু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা সাধন ভজন,
বার বছর পূর্বে দেশ দেশান্তরে অন্তধ্যান
ঈশ্বরের আশীর্বাদে কৃপায় দেশে ধীবর
হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রেম
ভালোবাসায় নৈতিকতা শুদ্ধতা পবিত্রতা
সম্প্রীতি সৌহাদ্য অন্যজনের অশ্রু মোচন।
পুরাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আধিপত্য অনিয়ম
অহংকার পুরোহিতের অনাচার অত্যাচার
সাম্যবাদ সিজারের বিচারে ক্রোশ বিদ্ধ
মৃত্যু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, রাজদরবারে
বারজন শিষ্য সাথে নিয়ে যিশু আত্মগোপন
পাহাড়ের পাদদেশে গুহায় শিষ্য গণের সাথে,   
যিশুর বসেছেন তিনি জীবনের লাস্ট সাফার
শেষ মূহুর্তে জুডাস কটি রৌপয মুদ্রা বিনিময়
ব্রহ্মপুত্র ঈশ্বরের পুত্র যিশুকে সৈন্যরা গ্রেপ্তার
করে, বধ্যভূমিতে পায়ে শৃঙ্খল কাঁধে ক্রোশ।
চলেছেন তিনি প্রশান্ত সমাহিত দুর্জয় হাস্য
মুখ, ক্রোধে পেরেকে গাঁথা হলো যিশুর দেহ
জমায়েতে জনতা আর্তনাদ হাহাকার স্পষ্টই
প্রতীয়মান সমবেত  ভক্তদের ক্রন্দন ধ্বনিত
গুঞ্জন অনুভূত আজ যিশু পবিত্রতা প্রেমের
প্রতীক, ক্রুশ বিদ্ধ অবস্থায়  ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা  
প্রার্থনা করেছেন শাস্তি দানকারীদের উদ্দেশে ।

Sunday, 23 December 2018

ওহে আমার মনোমহিনী যাদুমণি

ওহে আমার মনোমহিনী যাদুমণি

শ্যামল সোম

নন্দিনী তোমার যাদু মন্ত্রে প্রেমের তন্ত্র সাধনায়  মন্ত্রমুগ্ধ
তোমার চোখের কটাক্ষ বাণে প্রেমে পড়ে কতশত  যুদ্ধ
চাষেআত্মনিয়োগ করছি বয়স, জাত, জাতীয়  সীমান্ত
পেড়িয়ে বিজাতীয় ধর্ম কর্ম ভুলে শরীর ঘিরে শস্য যন্ত্রে
ফলাতে লাঙলশ্যামলিমায় সুড়ঙ্গে লতা বুনফুলের ঘ্রাণ
দেহের গভীরে গহ্বরে হারিয়ে গেছি জোছনা রাতে তুমি
উর্বশী  অপ্সরী পরী তোমাকে  পেয়েছি পঁচাত্তরে পঁচিশ
বছরের যৌবনে প্রাণ মন বাহারে সাজে তোমার দেহের 
উত্তাল ঢেউয়ের উষ্মা দন্ড মন্থনে রোমান্টিক রোমন্থনে
শিহরিত শরীরে কম্পনে ঝিরিঝিরি ঝর্না ঝরে আধো
অন্ধকারে অরণ্যে, কি যাদু রয়েছে তোমার দেহ মিলনে,
স্বত্বহীন এইআত্ম সমর্পণ প্রেম শাখে শাখে গাছে গাছে
ফুলে ফুলে ভরা থাক সম্প্রীতি সহমর্মিতা প্রেম ভালোবাসা
প্রিয়া কবিতা নন্দিনী সুন্দরের ঋতিক আমি রূপে মুগ্ধ হই।
হয়তো সত্যি কোন কাজে এলে হঠাৎই পড়ে যাবে হয়তো
আমাকে মনেআমিও তোমার জন্য প্রতীক্ষায় মনে মনে
গুঞ্জন অনুভবে প্রত্যয়, ভালোবাসার টানে ঐ কাঁটাতারের
বেড়ার ওপারে পদ্মা নদী পেড়িয়ে , হয়তো কোলকাতায়
এলে দেখা হবে, নিউ মার্কেট, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে
বাগানে রক্তকরবী গাছের ছায়ায় বসে দুজনে মায়াবী
স্নিগ্ধতা ফেলে আসা সমৃতি মন্থনে,চোখে ভাষায় অনুমানে
চোখে চেয়ে আছি পরস্পরের চোখের ঐ জলে  মিলন আনন্দে
ঝাপসা দৃষ্টি কুয়াশায় ঢাকা শত ব্যথা ,যদি কোন দিন দেখা পাই
রবে গাঁথা হয়ে আছে, নীরবে মনের মানুষ তুমিই  মমতাময়ী
প্রেমিকা নীলা নীলাঞ্জনা তুমি প্রেমময়ী আমার হৃদয়ের আহ্বানে
ভালোবেসে  আমি ও ভেসে যাই রাজশাহীর চোরাবালির স্রোতে !

বড় দিনের উৎসবে

আগামী বড় দিনের উৎসবে খুশি আনন্দে শুভেচ্ছা

শ্যামল সোম

নীড় খোঁজে গাঙচিল ভেসে ভেসে ঘণনীল আকাশে
একাকী একা একা খোঁজে নীড়, উড়ে উড়ে বাতাসে।
বড়দিনের উৎসবে আনন্দে মুখরিত ঘরে ঘরে আলো।
সাথে সারে শতসহস্র লক্ষ্য কোটি কোটি মানুষের পাশে
নিয়ে  শত চেনা অচেনা ধনী বর্ধিষ্ণু দরিদ্র মানুষের সাথে
মহান প্রভুর কাছে প্রার্থনা, যেন  পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ
জাত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশে দেশে মানুষের কল্যাণে
পশু,পাখি ফুল নদী সমুদ্র প্রকৃতি মহান প্রভু যা কিছু সৃষ্টি
হেপাজতে করি যথাযথভাবে বিশ্ব ভাতৃত্ব সম্প্রতি কৃষ্টি,
মানবিকতা ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেছে।
আজ আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর আন্তরিকতায় এগিয়ে
এসেছে মানুষ পরস্পরকে জড়িয়ে আলিঙ্গনে অভিনন্দন !
সান্তাক্লজ গভীর রাত্রি স্নেহের শিশুদের জন্য উপহারের
শুভেচ্ছা বিনিময়ে, প্রীতি  উপহারে, নানাবিধ কেক পেষ্টি
বানানো হয়েছে, উজ্বল  আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে
চার্চ ঘন্টা ধ্বনি ভেসে আসছে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা,
নীড় হারা গাঙচিল ভেসে ভেসে দোসরের সাথে ফিরছে নীড়ে।
আগামী পঁচিশে ডিসেম্বর প্রভু  যীশুর জন্মদিনে পবিত্র শুভ  
দিনে আসন্ন উৎসবে আনন্দে খুশী বন্যায় ভেসে যাক সবাই।

Saturday, 22 December 2018

Friday, 21 December 2018

শীতার্ত রাতে উষ্ণতা খোঁজে

শীতার্ত রাতে উষ্ণতা খোঁজে

শ্যামল সোম

একা একাই কাঁদি
বিনিদ্র রাত জাগে
মন ঐ তারাদের
সাথে, তারা মণ্ডলে
রাতের আকাশে,
তুমি নক্ষত্র জ্বলে
তুমি অরুন্ধতী।
তুমি চলে গেছো
অজানা সীমানায়--
ফেরা কি কখন যায়?
নন্দিনী এসো ফিরে
এসো এই নির্জন রাতে।
আকাশে বাতাসে
পৌষে শস্য শ্যামলা
মাটির ঘ্রাণ ভেসে
আসে নবান্ন উৎসবে।
তোমার ভালোবাসার
স্রোতে আজও ভাসে
মমনের ব্যথিত ব্যথা
ব্যাকুল ফিরে পেতে চায়।
অকৃপণ প্রকৃতির সাথে
সহবাসের শীতার্ত রাত
শিহরিত হয়েছিলাম
তোমার আলিঙ্গনে
তাপিত চুম্বনে চুম্বন।
সুখ স্মৃতি মনে পড়ে
যায় আমার হৃদয়ে
শূন্য অপূর্ণ সাধ জাগে
শীতার্ত রাতে উষ্ণতা
খোঁজে তপ্ত শরীর
আজ কাছে তুমি নেই,
বালিস ভিজে যায়
বহে দুচোখে অশ্রু নির।

তোমার হাতে স্পর্শ অনুভবে

তোমার হাতের স্পর্শ অনুভবে

শ্যামল সোম

তুমি সেদিন নিজের ঐ হাতেই
রক্ত গোলাপ তুলে দিয়েছিলে
প্রজাপতি উড়ে এসেছিল হাতে।
তুমি ভালোবেসে বাড়িয়ে ঐ হাত
রেখেছিলে সৈকতে আমার হাতে,
পরে, সমুদ্র ভালোবাসার স্পর্শে
শিহরণে ঢেউ শিহরিত মনের হর্ষে,
আমি পুলকিত হয়ে জড়িয়ে ধরে
আমার  বুকে টেনে নিয়ে আদরে,
আদরে অস্থির চঞ্চল হরিণী চোখে
দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ, রাঙা
ঠোঁটে তুমি চুম্বনে ক্ষত বিক্ষত করে
ছিলে আমার তামাটে এই ঠোঁট উষ্ণ,
চুম্বন, তোমার দুহাতের  আলিঙ্গনে,
দুপুরে ঘুঘু ডাকা নিঃস্তব্ধতায় বন্ধনে
দুটি দেহের উত্তাল ঢেউয়ের মন্থনে
এ জাহাজ দোদুল্যমান উঠেছে তাণ্ডব।
প্রবল প্রলয় প্লাবনে ভয়ঙ্কর মেঘাচ্ছন্ন
আকাশেবাতাসে ঘূর্ণী ঝড়ে প্রেমের মত্ত
প্রকাশ শান্ত হয়ে ঝরছিল বৃষ্টি আকূল
বৃষ্টি স্নাত আমরা দুজনেই পরস্পরের
দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে মুগ্ধতায়
তুমি আমার কানের কাছে মুখ এনে স্বর্গ
অমৃত সুধা পানে অনুরোরন কম্পন শুনি
আজও কাঁদে মন স্মৃতি রোমন্থনে সমুদ্র
ঢেউ আছড়ে পড়ে বুকে ঐ তোমার হাত।

আদরিনী

আদরিনী

শ্যামল সোম

কালো মেয়ে কালো হরিণী চোখ
চোখে অতল জলে মায়াবিনী মুখ,
এ মেয়ে ঠিক যেন মোমের পুতুল
ঘন মেঘ কালো  কোঁকড়ানো চুল
আহাফোলা ফোলা তুলতুলে গাল
আদরে আদরে গাল হতো লাল।
মা মরা মেয়ে, বাপ মোদো মাতাল
দিদা মামার সংসারে বড় অনাদরে
আধ পেটা খাওয়া তবুও  প্রকৃতির
আপন খেয়ালে দেহ বাড় বেড়েছে।
গায়ে গতের কখন আলুর চপ খেয়ে
কখন চকলেট লজেন্স লোভে পড়ে
চুপিচুপি আদরের ছলে বলে কৌশলে,
শৈশবে কোলে তুলে  আদরে কোলে
বসেই কত আদর মাঝে মধ্যে সে মেয়ে
শৈশবে ঐ নিগ্রহে  আঁচড় লাগতো ব্যথা
কঁকিয়ে উঠে আদরে আদরে আলিঙ্গনে
চুম্বনে আস্বাদন তখন সবেকৈশোরে পা
রেখেছে সবে শুরু  হলো আদরের ঠেলা
ঠেলি, চু কিত কিত, লুকোচুরি খেলা গুরু
হলো নির্জন দুপুর বৃষ্টি ঝরা বর্ষা বিকেলে
গম্ভীর আওয়াজ ডাক ছিল মেঘ, গর্জন
তুমুল ঝর বাদলে  অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি
বৃষ্টি স্নাত সে রাতে ঝোপে আড়ালে রক্ত
রক্তে অক্ষরে অক্ষরে লেখা হচ্ছে ধর্ষণ
আবহমান কালের  নারীর প্রতি নির্যাতন।
অবমাননার ও অত্যাচারের বাকি আছে
আরো শতসহস্র বছরের বাকি ইতিহাস।
যৌন নির্যাতনের সহিংসতা গ্লানিময় জীবন
পশুর অধম চিরকালের বিকৃত মনস্ক পাশব
শয়তানের আনন্দ উল্লাস গণধর্ষণে উল্লাস
জনৈকা কিশোরের মৃত্যু খবরের কাগজে
পাতায় শিরোনামে, ধিক্কার জানায় সবাই
টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে কত প্রচারিত হয়।
মোমের পুতুলের জন্য পথে পথে হাঁটে হাঁটে
জনতার হাতে নিয়ে জ্বলন্ত মোমবাতির মিছিল।

নিজেকে কবি ভেবে হাহাকার

নিজেকে কবি ভেবে হাহাকার  ♥️

শ্যামল সোম

যদি প্রেম দিলে না আমার জীবনে
ভোরের আকাশ ভরিয়ে কেন স্বপ্নে
দেখি তোমাকে তোমার কোলে মাথা
রেখে ক্লান্ত বিধ্বস্ত মানসিক বিপর্যয়ে
খুলে তোমার ঐ নরম আঙ্গুল বুলিয়ে
কখন কেউ দেয় নাই, না নারী জড়িয়ে
ধরে কখন আমাকেই  আদর করেনি।
আমার বানিয়ে লেখায় প্রেম হাহাকার
কবিতা স্বপ্ন মনে হয় কারণ আমি কার ?
নারীর ভালবাসা পাই নি কখন কোনদিন,
কেউ ভালোবেসে কখন বলেনি আমাকে 
ক্ষীণ ভালোবাসায় নদীতে সন্তরণে কাছে
রানি এসে, " ভালোবাসি ভালোবাসি সোম !"
না কোন নারীর মন ছুঁয়ে যায়নি কখন লেখা
ঐ  চোখের ভাষায় ভালবাসায় ভরিয়ে দেখা
দেয়নি কখন, অপলক চোখে তাকিয়ে থাকা
দূরে দেখেছি প্রেমে পড়ে গেছি ভেবে বানিয়ে
জীবনে কখন সুখী হতে না পারা হৃদয়ে বেদন
রক্তক্ষরণ ভালোবাসা এত প্রাণিত করে নারীর
ভালোবাসা অমূল্য রতন এই ভোরের আকাশে
রাঙা আলো ঐ আলোয় আলোয় আলো এসে
আলোকিত   উদ্ভাসিত হয় হৃদয়ে, এ সবই সেই
কল্পনায় রঙিন প্রজাপতি এই সব আকাশ কুসুম
কল্পনায় আমি অতি পাতি খুঁজি স্বকীয় অস্তিত্ব
রয়েছে প্রেম শাখে গাছে গাছে লাল ফুল ফুটে
উঠেছে, তুমি আমি দুজনে একই চাদরটাই মুড়ি
দিয়ে শিশির ভিজা ঘাসে নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে হেঁটে
বাগানের বেঞ্চের পাশে খুঁজি তাকে ঘণ কুয়াশায়।

ভালোবাসার কাঙালিনী


ভালোবাসার কাঙালিনী

শ্যামল সোম

তোমার হাতে ফোঁটা জূঁই ফুল
তোমার তৃষিত  হৃদয়ে ব্যাকুল,
তোমার প্রাণের মানুষ নয়নমণি
তোমার জীবনে সে বিষধরফনী
ফোঁস ফোঁস করে জড়িয়ে আদর
করে আলতো ছুঁয়ে কানের কাছে
মুখ এনে স্বর্গীয় অমৃত সুধা লোভে
আদরের ছলে ছোবল দেয় চুম্বনে
নীল হয়ে  হয়ে তোমার পেলব দেহে
বিষ, শিথিল হয়ে হয় শরীর এ মোহে
শিতল এলিয়ে রয়েছো পরেছে শরীর
বিষের জ্বালায় যন্ত্রটায় তুমিও অস্থির
তখন  তোমার দু চোখে ছলছল জল
টলটল করে ভরা দিঘি, এ ভালোবাসা
ভালোবাসার কাঙালিনী উত্তাল  নেশা
নিশীথে প্রেম পিয়াসী মগ্ন মনের আশা
নিয়ে সদ্য ফোঁটা জুঁইয়ের রূপ যৌবনে
ছদ্মবেশী চরিত্রহীন শয়তান পুরুষ টানে
একাএকা জ্যোৎস্নায় আলো নগ্ন স্নানে
ডুব দিয়েছিলে পুরুষের পৌরুষের ঐ
চোরাবালির স্রোতে ফাঁদে পড়ে  বুকে
প্রেমের স্বপ্ন নিয়ে ভাসে তোমারই  শব
বহমান নদী মেঘনার মোহনায় লাশ রব।

ওগো আমার মনোমহিনী যাদুমণি

ওহে আমার মনোমহিনী যাদুমণি

শ্যামল সোম

নন্দিনী তোমার যাদু মন্ত্রে প্রেমের তন্ত্র সাধনায়  মন্ত্রমুগ্ধ
তোমার চোখের কটাক্ষ বাণে প্রেমে পড়ে কতশত  যুদ্ধ
চাষেআত্মনিয়োগ করছি বয়স, জাত, জাতীয়  সীমান্ত
পেড়িয়ে বিজাতীয় ধর্ম কর্ম ভুলে শরীর ঘিরে শস্য যন্ত্রে
ফলাতে লাঙলশ্যামলিমায় সুড়ঙ্গে লতা বুনফুলের ঘ্রাণ
দেহের গভীরে গহ্বরে হারিয়ে গেছি জোছনা রাতে তুমি
উর্বশী  অপ্সরী পরী তোমাকে  পেয়েছি পঁচাত্তরে পঁচিশ
বছরের যৌবনে প্রাণ মন বাহারে সাজে তোমার দেহের 
উত্তাল ঢেউয়ের উষ্মা দন্ড মন্থনে রোমান্টিক রোমন্থনে
শিহরিত শরীরে কম্পনে ঝিরিঝিরি ঝর্না ঝরে আধো
অন্ধকারে অরণ্যে, কি যাদু রয়েছে তোমার দেহ মিলনে,
স্বত্বহীন এইআত্ম সমর্পণ প্রেম শাখে শাখে গাছে গাছে
ফুলে ফুলে ভরা থাক সম্প্রীতি সহমর্মিতা প্রেম ভালোবাসা
প্রিয়া কবিতা নন্দিনী সুন্দরের ঋতিক আমি রূপে মুগ্ধ হই।
হয়তো সত্যি কোন কাজে এলে হঠাৎই পড়ে যাবে হয়তো
আমাকে মনেআমিও তোমার জন্য প্রতীক্ষায় মনে মনে
গুঞ্জন অনুভবে প্রত্যয়, ভালোবাসার টানে ঐ কাঁটাতারের
বেড়ার ওপারে পদ্মা নদী পেড়িয়ে , হয়তো কোলকাতায়
এলে দেখা হবে, নিউ মার্কেট, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে
বাগানে রক্তকরবী গাছের ছায়ায় বসে দুজনে মায়াবী
স্নিগ্ধতা ফেলে আসা সমৃতি মন্থনে,চোখে ভাষায় অনুমানে
চোখে চেয়ে আছি পরস্পরের চোখের ঐ জলে  মিলন আনন্দে
ঝাপসা দৃষ্টি কুয়াশায় ঢাকা শত ব্যথা ,যদি কোন দিন দেখা পাই
রবে গাঁথা হয়ে আছে, নীরবে মনের মানুষ তুমিই  মমতাময়ী
প্রেমিকা নীলা নীলাঞ্জনা তুমি প্রেমময়ী আমার হৃদয়ের আহ্বানে
ভালোবেসে  আমি ও ভেসে যাই রাজশাহীর চোরাবালির স্রোতে !

কাব্যের আয়নায় তুমি দেবী

কাব্যের আয়নায় তুমি দেবী

শ্যামল সোম

কবিকে কুর্নিশ জানাই সসম্মানে
হে নারী ধরিত্রী ধৈর্য ও মনোবলের
জোরে গর্ভে ধারণ করেছো সন্তান
এ স্বদেশ মরুভূমি রাজসিংহ মস্তান।
হাহাকার হাহুহুতাশ খাঁ খাঁ শুষ্ক মুখে
আতংকে ছায়া অজানা আশংকায়
সম্প্রতি সময়ই ছায়ায় এ অন্ধকারে,
নিম্নবিত্ত সংসারি পরিবারের দারিদ্র
আকালে নিমজ্জিত বহু বছরের গ্লানি।
সামগ্রিক উন্নয়নেস সামাজিক চেতনতা
ও  নৈতিক শিক্ষা অভাবে, নারী  ন্যায্য
পাওনা থেকে বঞ্চিত লাঞ্ছিত নির্যাতিত
প্রেমে উদভ্রান্ত বন্য উদ্দাম নৃত্য আনন্দে
বছর না ঘুরতেই পুরুষের মুখোশ খুলে।
শয়তানের বিভৎস রূপে আতংকে ছায়া
অজানা আশংকায় শতসহস্র দেশে দেশে
নারীদের অভিশপ্ত জীবনের চলার পথে
দুঃখের সাথী কেউ নেই একা একাই পুত্র
কন্যা সন্তান নিয়ে স্বপ্ন দেখে আত্মজাকে
গড়ে তুলবে যিনি একমাত্র সৃষ্টিকর্তার এই
আশচর্য সৃষ্টি নারী মাত্র শক্তি রূপিনী জননী
এসেছে নতুন আহ্বান জানান আকাশ বাণী
সংগ্রামী নারীদের স্বাধিকার আদায়ের লড়াই।
সমবেত হও মামণিরা আপন মহিমায় মহীয়সী
মহামায়া জ্বলন্ত উল্কা অগ্নি আগ্নেয়গিরি লাভা
স্রোতে ভেসে যাক এ ভুবনের যত অন্যায়ভাবে
আদিমতা অত্যাচার অনিয়ম ও  দুর্নীতির  বিরুদ্ধে
সরব হবে জনতা অনিবার্য ভাবে নিঃসঙ্গ নিঃস্ব হবে
ধ্বংস হয়ে বিলীন হোক শত সামাজিক অবক্ষয় সর্বত্র।

বৃদ্ধ বৃক্ষ

বৃদ্ধ বৃক্ষ

শ্যামল সোম

আমি এক বাজ পড়া বৃক্ষ
পাতা ফুল বিহীন শূন্যতা
কঙ্কাল সার এই অপূর্ণতা
হৃদয়ে হাহাকারের উন্মুক্ত
আমার স্বরূপের উন্মোচিত,
গাছের বোবা এ আর্তনাদ
কান্ডের  শাখা প্রশাখার হাত
বাড়িয়ে টেনেছি আমার বুকে
জড়িয়ে ধরছে চাই যে ধূসর
হয়ে যাওয়া প্রেম ভালোবাসা।
উন্মুখ হয়ে আছি সে দোয়েল
পাখি,  কৈশোরে পা রেখেছি
সবে সখ্যতা গড়ে উঠল সেই
শ্যাম বর্না কালো হরিণী চোখ
কালো মেয়ের আলো করা রূপ
আমার রূপকথার সাঁঝের বাতি।
চল্লিশ বছর প্রেম  পোষণ করি
কালো রঙের বর, স্ত্রী সে শ্যামা
সুন্দর মন শিক্ষিতা পদ্মা পারের
মেয়ে মণি চঞ্চল উচ্ছলযৌবনে
দেখা হে নারী তুমি নদী অষ্টাদশী
ষোড়শী তুমি দুরন্ত প্রবল উর্বশী 
নূপূর পড়া পায়ে উদ্দামনৃত্য বন্যা
উচ্চ  পাহাড়ের গায়ে ঝরে ঝর্ণা
পাহাড়ী সুন্দরী তন্বী তরুণী কন্যা,
অনন্যা  অসামান্যা প্রেমময়ী চিত্ত
পুলক আনন্দে আপ্লুত পরম বিত্ত
বৈভবে রাজকন্যা আহ্লাদে নৃত্য
পরম সুখ স্রোতে ভেসে যায় নদী।
আমার নদী হয়ে বহে গেছে স্বপ্নে
হারিয়েছে বঙ্গোপসাগরে, ট্রলারে
চেপে কল্পনায় ভাবি তাকে  দেখি
দুর্দান্ত বেগে ছুটে ছুটে দৌড়ে গিয়ে
দেয় ঝাঁপ ঝাঁপিয়ে পড় সমুদ্রেরঢেউয়ে।

Sunday, 2 December 2018

সোনালি ভোরের আকাশে ভালোবাসার রূপকথা

সোনালি ভোরের আকাশে  ভালোবাসার রূপকথা

শ্যামল সোম

ভোর রাত্রিরে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আশিকের জানলা দিয়ে ভোরের সূর্যোদ্বোয়ের আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত
হয়ে উঠছে মেঘলা আকাশ।

অজানা এক আনন্দে প্রাণ মন ভরে উঠছে আশিকের গলায় গুন গুন গান, " এই দিনে ঘরে থাকে না মন !"
" কাল রাতের বেলায় গান এলো মোর প্রাণে " আজি ঝর ঝর বাদল দিনে " আনন্দে গান গাইতে গাইতে
আকাশ কালো করে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে বাতাসে ঘূর্ণী ঝড় ঝাঁপিয়ে পড়ল। বন্ধ করলো জানলার
কাচের  সার্সির বাহিরে তুমুল বেগে নামলো বৃষ্টি ।

বৃষ্টি স্নাত বাহির বাগানে করবী ফুলের গাছটি থরথর করে কাঁপছে।

চট্টগ্রামে কক্সবাজারে কাছেই আশিকের পৈতৃক সূত্রে নিজেদের বিশাল বাগান ঘেরা দোতলা বাড়ি
এক মাত্র বংশধর আশিক বিশাল সম্পত্তির মালিক, বাংলাদেশের নাম একটি সংবাদ পত্রের আঞ্চলিক চট্টগ্রামের শাখা সম্পাদক অন লাইনে বিভিন্ পত্র পত্রিকায় সম্পাদক ও কবি, কাব্য সাহিত্য চর্চা ও
সাংবাদিকতা করে, আর্থিক অবস্থা ভীষন ভালো আনন্দেই আছে।

আশিক এখন বিয়ে করেনি, ছাড়া হাত পা চল্লিশ বছরে যথেষ্ট মজবুত শরীর তাঁর ।

পূর্ব দিনাজপুরে এক সাহিত্য সভায় গত দু বছর আগে নিজের অনেকগুলো জনপ্রিয় কবিতা পাঠের
পরে মঞ্চ থেকে নিচে এসে বসার মঞ্চে উপস্থিত সভাপতি বিখ্যাত স্নামধন্য কবি আশিকের কাব্য মাধুর্যে শৈল্পিক ছন্দময় চিত্রকল্প বিন্যাসে ছন্দময়তায় মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করছেন।

সামুয়িক বিরতিতে একটি অত্যন্ত সুন্দরী যুবতী তন্বী তরুণী উচ্ছল বড় বড় চোখে মায়াবী দৃষ্টি
স্নিগ্ধতা জূঁই ফুলের ঘ্রাণ ভেসে এলো আকাশ রঙের সালোয়ার কামিজ মাথায় নীল ওড়নায় ঢাকা।

পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের স্বর্ণালি এসে সালাম করে জানালো আশিক রহমানের মানে তাঁর লেখে কাব্য গ্রন্থ  হাতে নিয়ে  হাজির।
আজকেই যেটি প্রকাশের শুভ মূহুর্তে কবি আশিক নিজে উপস্থিত ছিলেন,  
"ভালোবাসার আকাশ "
গ্রন্থটি  স্বর্ণালি হক কিনে, এনেছে সাক্ষর শুধু নয় কিছু লিখে দিতে হবেই!

" তোমার কি ? পাশে বসো " হকুক করলেন কবি।

তার ভীষন প্রিয় কবির পাশে ইতস্তত করে শেষে সাবধানে বসেছিল হৃদয়ে স্পন্দন কম্পন বেড়েছিল।

" জী আমার নাম স্বর্ণালি হক ডাক নাম মুক্তা, বাংলাদেশের সরকারের অধীনে কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এখন কাজ করি,  এম বি এ এবং সোশাল সায়েন্স মাস্টার করেছি স্যার ।"

আশিক কথা শুনতে শুনতে লিখে দিল,

" ভালবাসার আকাশে  স্বর্ণালি সন্ধ্যায় মুক্ত মতন ঝরে পড়ছে বৃষ্টি " সাক্ষর করে মুক্তার হাতে তুলে দিতেই
চমকে উঠে দাঁড়ায়  দুজনেই চোখে চোখ রেখে দেখে -- সেই  সর্বনাশ ভালোবাসা প্রেম  মুহূর্তটি স্মরণ করছিল বাড়ির বারান্দা বেতের চেয়ারে বসে দু বছরের কত স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে অঝোরে ঝরে যাচ্ছে বৃষ্টি।

তোমার সাথে ঐ দিন দিনাজপুরে মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে তোমার কবিতা আবৃত্তি করেছিলাম,
যে দিন কৈশোর উত্তীর্ণ যৌবনে আমি তোমার কবিতা পড়তাম তখন তুমি ছিলে আমার থেকে অনেক দূরে।

পরে ঐ দিন তুমি মঞ্চ থেকে  এলেই ছুটে গেলাম কবি তোমার লেখা সব কাব্য গ্রন্থ আছে,
" ভালবাসা আকাশ " " তোমার প্রতীক্ষায় অরণ্যে " ঝর্ণা নদী হয়ে বহে যায়" কাব্য পাঠে প্রেম
প্রথম সাক্ষাতে প্রেম ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে আমার হৃদয়।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য  তোমাকে ভীষন ভালোবেসে ফেলেছি গো চির দিনের জন্য তোমার কাছে থাকবো বলেই আসছি আমি  তোমার দেওয়া নাম করবী আমি !

দুদিন আগে WhatsApp  পাঠানো এই কথা গুলো ভাবছিল জীবন
অন্য দিকে বহিবে এবার, মরা গাঙে বান এসেছে, এবার মাভৈ বলে ভাসা তরী ।

" আশিক  আশিক "  ডাক শুনে তাকিয়ে---
হঠাৎ অতর্কিতে  দেখতে পায় নীল ছাতা নীল বসনা মুক্তা স্বর্ণালি বাগানের গেটের বাইরে
দাঁড়িয়ে অঝরে বৃষ্টি পড়ছে  ভিজতে ভিজতে ছুটে যায় আশিক  হাতের এয়ার ট্রলি ব্যাগ সব নামিয়ে রেখে দেয়।
মুক্তা ছুটে এসে গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে বুকে রেখে মাথা মুক্তা কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে শ্বাস প্রশ্বাসের দ্রুত গতিতে চলছে ।

প্রেম ভালোবাসায় সিক্ত করছে, অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি,
দুজনেই চারহাতে শক্ত করে জড়িয়ে রয়েছে পরস্পরে,
বৃষ্টি ভেজা বাতাসে কয়েকটা করবী ফুল ঝরে পড়লো।