বৃদ্ধ বৃক্ষ
শ্যামল সোম
আমি এক বাজ পড়া বৃক্ষ
পাতা ফুল বিহীন শূন্যতা
কঙ্কাল সার এই অপূর্ণতা
হৃদয়ে হাহাকারের উন্মুক্ত
আমার স্বরূপের উন্মোচিত,
গাছের বোবা এ আর্তনাদ
কান্ডের শাখা প্রশাখার হাত
বাড়িয়ে টেনেছি আমার বুকে
জড়িয়ে ধরছে চাই যে ধূসর
হয়ে যাওয়া প্রেম ভালোবাসা।
উন্মুখ হয়ে আছি সে দোয়েল
পাখি, কৈশোরে পা রেখেছি
সবে সখ্যতা গড়ে উঠল সেই
শ্যাম বর্না কালো হরিণী চোখ
কালো মেয়ের আলো করা রূপ
আমার রূপকথার সাঁঝের বাতি।
চল্লিশ বছর প্রেম পোষণ করি
কালো রঙের বর, স্ত্রী সে শ্যামা
সুন্দর মন শিক্ষিতা পদ্মা পারের
মেয়ে মণি চঞ্চল উচ্ছলযৌবনে
দেখা হে নারী তুমি নদী অষ্টাদশী
ষোড়শী তুমি দুরন্ত প্রবল উর্বশী
নূপূর পড়া পায়ে উদ্দামনৃত্য বন্যা
উচ্চ পাহাড়ের গায়ে ঝরে ঝর্ণা
পাহাড়ী সুন্দরী তন্বী তরুণী কন্যা,
অনন্যা অসামান্যা প্রেমময়ী চিত্ত
পুলক আনন্দে আপ্লুত পরম বিত্ত
বৈভবে রাজকন্যা আহ্লাদে নৃত্য
পরম সুখ স্রোতে ভেসে যায় নদী।
আমার নদী হয়ে বহে গেছে স্বপ্নে
হারিয়েছে বঙ্গোপসাগরে, ট্রলারে
চেপে কল্পনায় ভাবি তাকে দেখি
দুর্দান্ত বেগে ছুটে ছুটে দৌড়ে গিয়ে
দেয় ঝাঁপ ঝাঁপিয়ে পড় সমুদ্রেরঢেউয়ে।
No comments:
Post a Comment