ভোরের শিশির ভেজা ভালোবাসার রূপকথা
শ্যামল সোম
সূর্যোদ্বোয়ের প্রথম আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে রূপালি আকাশ, দোতলা বাড়ি
বাগান সংলগ্ন পদ্মা নদীর কাছেই এই এলাকা বহিছে বাতাস জমছে মেঘ মেঘের গর্জনে
ঘুম থেকে উঠে পড়েন কবি সাগর সারা বিশ্ব, ভারতে কোলকাতায় ও বাংলাদেশের তাঁর সঙ্গ
বহু নারীর আকাঙ্খায় পাঠিকা থেকে প্রেমে পড়ে কাব্য পাঠে প্রেমিকা হয়ে যায় হৃদয়ে
বহুজনের বাস, তাই পঁয়তাল্লিশ বছরেও আর্থিক সামাজিক প্রতিষ্ঠিত, সৌম্যকান্তি দেবদূত
ঈষত্ শ্যাম বর্ণ ধারালো তলোয়ার মতন চেহারা স্বপ্নময় তন্ময়তা চোখ, সুন্দর মনের মানুষ
অনেকের অনুপ্রেরণা জাগাণ কবি, কবির নারীসঙ্গ সুরাপান, কাব্য মাধুর্যে শৈল্পিক ছন্দময়
চিত্রকল্প আত্মমগ্ন মমনে চিন্তনে, শব্দ চয়নে বাক্য বিন্যাসে কাব্যিক নান্দনিক অসংখ্য কাব্য
গ্রন্থ, উপন্যাস সমগ্র নানাবিধ প্রবন্ধ রচনা করেছেন, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে সময়ের অভাব।
গত বছর দিনাজপুরে বিশাল সাহিত্য সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আঞ্চলিক ভাষায়
কিংবদন্তি শক্তিরূপে কবিদের কবিতা আলোচনা করেন।
কবি সাগর বাংলাদেশের স্নামধন্য বিখ্যাত কবিকে সংবর্ধনা দেন অনুরাগীরা, কবির
নূতন কাব্য গ্রন্থ " ভালোবাসা দখিন বাতাস " গ্রন্থটি কবি স্বয়ং প্রকাশের শুভ মূহুর্তে তিনি
বিহ্বল হয়ে যান, এ যেন কবিতার সাথে আনন্দে বিবাহ বহির্ভূত বন্ধনে আবদ্ধ থাকার এই
শিহরণ হতে থাকা, নিজস্ব তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে নানা বাঁধা বন্ধনের সম্মুখীন হতে রাজি নন।
ইংরাজি সাহিত্যের প্রিয় অধ্যাপক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা কলেজের
কয়েক জন ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে থাকেন সবাই,
কবি একাই বসে আছেন সভায় বিরতি পর্বে দেখেন এগিয়ে আসছে
এক নদী জনৈকা যুবতী তন্বী তরুণী বিদূৎপর্ণা, বিদুষী নারী না নদী রূপসা না সোমেশ্বরী
উচ্ছল মেঘ বালিকা সুলভ সরলতা মায়াবী চোখ লম্বা খোলা চুল স্বর্ণচাঁপা রঙ গায়ের যূঁই ফুলের ঘ্রাণ
মেরুনরঙের টাঙ্গাইল তসরের শাড়ি হাতে রজনীগন্ধা ফুলের গুচ্ছ ও সদ্য প্রকাশিত কবির কাব্য গ্রন্থ
নমস্কার করে নারী কবিকে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানিয়ে উপহার রজনীগন্ধা ফুল ও গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন।
পাশে বসিয়ে শুনলেন শ্রাবণী পূর্ণিমা রাতে জোছনায় জন্ম তাই নাম তার শ্রাবণী কবি সাগর শুনতে শুনতে
লিখছেন, " শ্রাবণী পূর্ণিমায় এক নদীর সাথে দেখা বললাম নদী তুমি তো জীবন্ত কবিতা "
" ভালোবাসা সহ তোমার সাগর " লিখে মেয়েটির হাতে তুলে গিয়ে দেখেন শ্রাবণী দু চোখে টলটল করছে জল।
পিঠ চাপড়ে দিয়ে না টিসু পেপার তার সাগর লেখা রুমাল এগিয়ে দিলেন
সেই রুমাল দিয়ে চোখে চাপা দিয়ে, শ্রাবণী কবির রুমাল নিয়ে মাথা নিচু করে চলে গেলেন নারী।
গত একবছর ছায়ার মতন যে আছে আপন প্রাণের মানুষ পেয়েছেন কবি, তাঁরে কবির মন ছুঁয়ে যায় কত গত এক বছরের স্মৃতি রোমন্থনে সমুদ্র ঢেউ আছড়ে পড়ে বুকে গভীরে নদীর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ শোনেন গত রাতে জানিয়েছেন,
" আমি তোমার শ্রাবণী আসছি বারবার ফিরে যাওয়ার জন্য নয়, স্থায়ী ভাব বসবাস করবো বিবাহ করার দায়িত্ব তোমার !"
বাড়ির গোল বারান্দায় বসে কফি পান করতে ভাবছিলেন কবি সাগর।
ঝম ঝম করে বৃষ্টি পড়ছে ঝড়ের তাণ্ডবে মানত উচ্ছাসে উড়ছে আঁচল বৃষ্টি স্নাত এক গোছা
রজনীগন্ধা ফুলের মতন স্নিগ্ধ মনে প্রেম ভালোবাসায় ভরিয়ে তাকিয়ে রয়েছে প্রেম শ্রাবণী !
সাগর ডাক শুনে যুবকের মতন ছুটে যান, শ্রাবণী দু হাতে দুটো ব্যাগ ফেলে ছুটে আসছে
নদীর বন্যা মতন প্রবল উচ্ছাসে কবিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন নারী শ্রাবণী নামে নদী নেই,
আলিঙ্গনে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ভাবছেন কবি শ্রাবণী নামে নদী কেন নেই?
No comments:
Post a Comment