Saturday, 25 August 2018

বিরহে রয়েছে দুটি পোড়া মন

বিরহে রয়েছে দুটি পোড়া  মন

শ্যামল সোম

দুজন দুজনে ভালোবেসে কত কাছে  ছিলে তুমি
আমার হৃদয়ে ঘ্রাণের জুঁই ফুলের মত স্নিগ্ধ পবিত্র,
শুভ্র প্রেমের  সম্পর্কে বন্ধন সামাজিক প্রতিকূলতা
দুজনে দুটি কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ মত ঘূর্ণী ঝড়ে
উদভ্রান্ত বন্য বদ্ধ  সংসারে কারারুদ্ধ নগ্ন দুইজীবন
জঘন্য অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষে কি আত্মহত্যা
পথে দুজনে ঘণ আলিঙ্গনে বিষ চুম্বনে যুগল মৃত্যু ?
আজ ও তোমার ভালোবাসার আশায় আছি আমি
অন্য আর এক জনের সাথে বিনিদ্র রাতে একা তুমি,
আমরা দুজনে দুদিকে কাঁটাতারের বেড়ার এপারে
আমি কোলকাতায় কংক্রিটের জঙ্গলে  শহর ধীরে,
ধীরে গ্রাস করে ফেলছে জ্যান্ত গিলেছে আমাকে।
ওপারে তুমি রূপের বন্যায় জোছনায় প্রেম মগ্নতায়
মন মন দুজনে গোলাপের পাপড়ি বিছানো সজ্জায়
বুকে রেখে মাথা  বিছানায় শুয়ে শুয়ে কি বলো না গো
সত্যি সত্যি কি ভাবে পাওয়া যায়  ভাবছো  আমাকে ?

বৃষ্টি স্নাত প্রেম

বৃষ্টি স্নাত প্রেম

জেসমিন প্রিয়া

মেঘলা আকাশে জমছে কোল মেঘ
গুর গুর করে মেঘে মেঘে ঘর্ষণ ন্দ,
একাকি নির্জন ঘরে নিজের সংসার
শ্মশান ভূমি শয্যায় অঙ্গনে ঘটেছে
প্রতি দিন প্রতি নিয়ত কামনায় মন
মগ্ন মন ছুঁয়ে যায় ফেলা স্মৃতি চিহ্ন,
দেবদাসের আঘাত পার্বতী পারুর
দেহে সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ক্ষত।
যৌবনে প্রারম্ভ সুখ স্রোতে ভেসে
ভালোবাসার ছোঁয়ায় ঘণ শিহরণ।
বৃষ্টি পড়ছে বৃষ্টি পড়ছে মনে পড়ছে
যৌবনে দুজনে এক সাথে ভিজছি
হঠাৎ জড়িয়ে ধরে কানে কাছে মুগ
ফিস ফিস করে জিজ্ঞেস করি, এই
ভালোবাসো আমাকে কতটা তুমি
তুমি চোখে চোখ রেখে ঠোঁটে চুমু
খেয়ে বলব, " জূঁই তোকে ভালো
না বেসে যাই কৈ  তুই যে আমার,
একান্ত প্রিয়া  প্রিয়া প্রিয়া প্রিয়া "
প্রতি টি প্রিয়া উচ্চারণে ধ্বনি গুঞ্জনে
আজও স্মৃতি চিহ্ন ঐ বৃষ্টি ভালোবাসি।

আঁধার রাতে তুমি কৈ

আঁধার রাতে কৈ তুমি ?

ফিরছি বলে সেই গেলে তুমি
তোমার প্রতীক্ষায় আছি আমি,
এত নিষ্ঠুর আচরণ অবহেলা
বড় কস্ট হচ্ছে গো বুকে মাঝে
ব্যথা বেদনা নৈরাশ্য বিষন্ন বলা।
দিন রাতে এত ডাকি তোমাকে
শুনেও ন শোনা ভান করে নাকি,
থাকি অন্য কোন  রূপসী যুবতী
মন মুগ্ধগুন করেছে যাদুমণি
হেথায় হোথায় খুঁজি বিনিদ্র রাতে
হাতে এ লন্ঠন নিয়ে খুঁজে চলেছি।
খুঁজি সারা এই সোনা বাংলাদেশ
ফিরে ফিরে বিভিন্ন সব জেলায়
সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে কূয়া
কাটা, সিলেটে পার্বত্য চট্টগ্রামে
যাই খুঁজতে খুঁজতে হয়রান ক্লান্ত
তুমি আমার কৈশোরের প্রেমিক
এ ভাবে নিঃসঙ্গ নিঃস্ব করে গেলে ?
মহান স্রষ্টা প্রভুর কাছে কৈফিয়ত কি দেবে তুমি

তুমি আমার প্রেম

স্বর্ণাঞ্জলি তুমি আমার প্রেম

বৃষ্টি পড়ছে বৃষ্টি পড়ছে মনে পড়ছে
যৌবনে দুজনে এক সাথে ভিজছি
হঠাৎ জড়িয়ে ধরে কানে কাছে মুগ
ফিস ফিস করে জিজ্ঞেস করি, এই
সত্যি! বল না ভালোবাসো আমাকে ?
কতটা তুমি ভালোবাসো ? তাকিয়ে
একি কর কি  হঠাৎ জড়িয়ে দু হাতে 
ঝাপটে  তোমার চওড়া বুকে টেনে
নিয়ে, তুমি আমার চোখে পাতায়
নগ্ন স্বর্ণ স্তনে স্বর্ণাঞ্জলি উষ্ণ  চুম্বনে,
চোখে চোখ রেখে ঠোঁটে চুমু চুমু
খেয়ে বলবে, " জূঁই তোকে ভালো
না বেসে যাই কৈ  তুই যে আমার,
একান্ত প্রিয়া  প্রিয়া প্রিয়া প্রিয়া "
প্রতি টি প্রিয়া উচ্চারণে ধ্বনি গুঞ্জনে
সাথে সাথে চুমু খাওয়ায় শিহরণে ভাসি।
আজও স্মৃতি চিহ্ন ঐ বৃষ্টি ভালোবাসি।

বাপুজী

বাপুজী

শ্যামল সোম

ভারত আত্মা বাপুজী সংকল্প প্রত্যয়ে দৃঢ়তায় অটল
চোরা গুপ্ত ঘাতকের বুলেটে ঝাঁঝরা ফুটে মৃত্যু বরণ।
আজ বাহাত্তর বছরে স্বাধীনতা দিবস ভারতবর্ষে ঘট
নানা প্রদেশে কত শত অঘটন চলেছে বছরে বছরে,
রাখে নাই কেউ অগ্নি শপথ, বিভাজনে বিনোদনে ভরে
আপামর জনসাধারণ বিনামূল্যে শিক্ষা খাদ্য নিরাপত্তা
বাসস্থান চিকিৎসা সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিতে  আনন্দে
বাপুজী রাম রাজ্যে বসবাস তখন সীতা মাঈ রয়ছেন বনবাসে।
আজ বাপুজী সংকল্প জীবন দর্শন তঁর প্রিয় স্বদেশ হিন্দুস্থান
সারে জাঁহাসে আচ্ছা ঠিক না বেঠিক জনগণের বিচার্য বিষয়।
আগামী বছর বাপুজীর 150 বছর উদযাপিত হতে যাচ্ছে সারা
দেশব্যাপী গণসংযোগ শুরু হোক তোমার আমার সম্মিলিত প্রয়াস
সবাই জন্য  আজ সবাই আমরা, বাপুজী হ্যায় সাথে হামারা রহে জন হিন্দ বন্ধেমাতারাম।

ফিরে এসে সুরঞ্জনা

আমাদের প্রিয় প্রাণের কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা স্বপ্নের কবিকে অনুকরণে লেখা
বরিশাল ভূমিপুত্র জীবনানন্দ দাশের কবিতা ভীষণ ভালো লাগে।

ফিরে এসো সুরঞ্জনা     ( আমাদের প্রিয় প্রাণের কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে)

শ্যামল সোম

সুরঞ্জনা চলে যেও নাকো তুমি
কথা বলো না ঐ যুবকের সাথে,
কি কথা তাহার সাথে, মরা চাঁদ
গেছে বেনো জলে ভেসে ফাঁদ,
পেতে রয়েছে শকুন শেয়াল যদি
কোন অসতর্ক মুহূর্তে ওঠে ঝড়ে,
ঝড়ের তাণ্ডবে বাঁশবনে মর্মর
ধ্বনি শুনি প্রতি রাতে বুকফাটা
আর্তনাদ হাহাকার স্পষ্টই ধর্ষিতা।
নারী কিশোরীর অসহ্য দানবের
হিংস্র জানোয়ারের মত দংশনে
দংশনে দংশিত ক্ষত বিক্ষত নগ্ন
দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় অসহায় পড়ে
রয়ে ধান সিঁড়ি নদীর তীরে গাছে
ঘেরা বন বিথীকায় প্রতীয়মান স্পষ্ট
অপরূপা উর্বশী অপ্সরী নয় সামান্য
শহরে বন্দরে নগরে গ্রাম্য কিশোরী,
তন্বী তরুণী  যুবতী বৃদ্ধা মুক বধির,
রমণীদের আর্তনাদে মেঘলা রাতে
নীরবে ব্যথা বেদনা নৈরাশ্য সাথে।
বিষাদমাখা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে,
মানব মানবীর ক্লান্ত মন চায় প্রিয়া
তোমাকে ভালোবেসে এ বাহুডোরে,
ফিরে এসো কাছে এ ম্লান হয়ে যায় হৃদয়।

মা ভবতারিনীর ভক্তিমতী ভবানি


মা ভব তারিনীর ভক্তিমতী   ভবানী

শ্যামল সোম

আজ শনিবার সকাল থেকেই মন
বলো কালি কালি বলো রে মন
মা কালি নামের শত সহস্র গুন গুন
সকাল সন্ধ্যায় কালি নামে গুঞ্জন
সদা কালি কালি কালি বলো রে মন
কালির কৃপায় হবে কালের দমন।
ভবানী যিনি ছিলেন কালীর সাধিকা,
কালি নামে গান শুনে অশ্রু বিসর্জন,
পরম ভক্তিমতী যিনি ছিলেন মায়াময়ী
স্বয়ং ঈশ্বরী তপস্যা করছিলেন আজীবন
নিরামিষ ভোজন শুদ্ধ পবিত্র দিদি বোন,
এক  আশ্চর্য সম্পর্ক রক্তের নেই বন্ধন।
ছিলেন আত্মার আত্মীয় প্রিয়  স্বজন
উনি ছিলেন একান্ত আপন আধ্যাত্মিক
পথের সহযাত্রিনী পরম ভক্তিমতী শিষ্যা
উনি ছিলেন পরম করুণাময় মহান প্রভু
শ্রী শ্রী মোহানা নন্দ মহারাজ জী চরণদ্বয়
আশ্রিতা, করুণাময়ী পরম স্নেহময়ী জননী
এই বোনে বহু তীর্থ দর্শন করতে গিয়ে ছিলাম,
কৈলাস মানস সরোবরে স্নান সেরে হোম যজ্ঞ।
তর্পণ তব জপ মমন চিন্তন অমৃত বচন তীর্থে
তীর্থে ভ্রমণ  কাশি বিশ্বনাথ হায়দরাবাদ থেকে
দুশো কিল মিটার দূরে পাহারা তৈরিতে মল্লিকা 
অর্জুন, নানা তীর্থকরতে যেতাম আমরা কেদার
পার বদররীনারায়ন  অমর কণ্টক  কুম্ভ মেলা
এই আপন সমব্যথী সাধিকার অকালে চলে
যাওয়ার আজ ও ভুলতে পারি না দিদিভাইক,
তোমার তিন মেয়ে চোখে জলে স্মরণ সব সময়।

আমার আদরের মিতালি

আমার আদরের মিতা মিতালি

শ্যামল সোম

আকাশের ঠিকানায় চিঠি পাঠাবো আজ এতদিন পরে তোকে লিখতে বসেছি,

পাঁচ বছর আগে হঠাৎ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলি না
তুই তখন তুই অষ্টাদশী তোর আলো করা রূপ ছিল তোর মৃত

মায়ের মতন লাবণ্যময়ী কাচা সোনার মত গায়ের রঙ
এককালে সুন্দরী বলে তোর মায়ে সুমধুর কন্ঠে
রবীন্দ্রনাথের গানের সুর রয়ে গেলো হৃদয়ে,
তোর মত কন্ঠে যাদু ছিলো, শুনেছিলাম বহুবছর 
গীতালি  কত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়  সসম্মানে পাওয়া
স্মৃতি চিহ্ন তোর মতন সুন্দর কত শত উপহার সাজানো
রয়েছে কাচের আলমারিতে। তোর অকালে কাল রোগে
চলে যাওয়ার পর তুই কৈশোরেই
আমাকে মায়ের মতন আমাকে বুকে করে সেবা
যত্ন করে পরিশ্রমে ঐ ভয়াবহ শোক সামলাতে তোর
নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছিস পাঁচ বছর ক্লাস টেন
থেকে ফ্যানন ডিজাইনিং করো শেষ করে চাকরি করছিল,
আমি বিবাহের সম্বল খুঁজে চলেছি।
অল্প বয়েসে মাত্র চল্লিশ বছরে আমি তোর মাকে হারিয়
তুই ছিলি আমার একমাত্র আপন প্রাণের মানুষ আত্মজা
আদরের মিতা মিতালি তোর আমার প্রতি শ্রদ্ধা
সহমর্মিতা ভালোবাসা স্নেহ শাষণ
ধমকে উঠা ধূম পানে জন্য বকাবকি করা, জ্বর মায়ের
মতন সেবা শুশ্রূষা রাত জেগে আমার গলা
জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকা।
মিতালি তোর চলঞচ উচ্ছল শৈশবে আমার বুকে
ঝাঁপিয়ে পড়ে গলা জড়িয়ে ধরে বুকে রেখে মাথা
আধো আধো গলায়, " রবীন্দ্রনাথের শিশু কাব্য গ্রন্থ ছড়া
আবৃত্তি পরবর্তী কালে কবি গান নাচে
তোর বিশাল সাফল্য ও লেখা পড়ার মনোযোগী দুর্দান্ত
রেজাল্ট আমি তোর বাপ বলে গর্ব অনুভব করতাম আমার
তোকে নিয়ে অনেক অনেক স্বপ্ন ছিলো মা মিতালি!
তোর হঠাৎ চালচূলো হীন অপরাধীর সাথে পালিয়ে গিয়ে
লুকিয়ে বিজয় করা থানা পুলিশ কোর্ট  মামলা করেও কিছু
তখন আশাবাদী অষ্টাদশী নিজের স্বর্গীয় আনন্দ লাভে
আশায় প্রিয় কোথায় চলে আমাকে নিঃসঙ্গ
নিঃস্ব করে কতটা সুখে আছিস জানি না মা, তোর কাঁদে মন প্রাণ।
মহা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি কল্যাণ হোক তোরের।

ভাগ্যের পরিহাসে  নির্মম হতভাগা তোর বাবু বাবা শ্যামল সোম

Tuesday, 7 August 2018

জূঁই তুমিই আমার প্রেম

জূঁই তুমিই আমার প্রেম

শ্যামল সোম

আমার মনের গোপন কথা বলি
জূঁই তোমাকে ভালোবেসে সকলই
সময় তোমার জন্য মন প্রাণে বেঁচে
থাকার সাধ জাগে, তোমাকে নিয়ে
স্বপ্ন দেখি কোন নির্জন নদীর পাড়ে
দুজন পাশাপাশি বসে সূর্যোদ্বোয়ের
রাঙা আলোয় তুমি আমার হাতে হাত
রেখে অনুভবে অনুরোরন বহে শিহরণ,
তুমি যে আমার ভোরের বেলার ভৈরবী
বাজাও আপন সুর বহু দূর হতে তোমার
ভালোবাসার ঘ্রাণ ভেসে আসে সুমধুর।
তোমার সহমর্মিতা সহানুভূতির বাতায়ন
আমি অনুপ্রাণিত হয়ে যাই আন্তরিক এই
তোমার এই ভালোবাসায় দেহ মন সমর্পণ 
জূঁই তোমাকে ভালোবেসে ধন্য এ একটি
অদ্ভূত ভালো লাগার আমার কাছ থেকে
হাজার মাইল দূরে রয়ছো অথচ মনে হয়
রয়েছে হৃদয়ের স্পন্দনে বেদনায় আনন্দে
ভাবছি দু প্রান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে
এপারে আমি তবু একই নীল আকাশের তলায়
সমুদ্রে ঢেউয়ে মতন ছুটে আছড়ে ভালোবাসা
মমনে চিন্তন নূপুর পরা পায়ে ছন্দ বাজে হৃদয়ে
পরস্পরের হৃদয়ে অনুভূত সুখ এরই নাম কি প্রেম ?

রাতের আকাশে তারা তুমি

রাতের আকাশে তারা তুমি

শ্যামল সোম

কাল রাতে ঘুম এলো না চোখে
রাতের আকাশে তারাদের ভীড়ে
অনেক অনেক খুঁজেছি তোমাকে।
সুরের আকাশে তুমি যে শুকতারা
তোমাকে ভালোবেসে  দিশেহারা।
তোমার চলে যাওয়া সমুদ্রের ঢেউ
ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ে বুকে,
ব্যথা বেদনা নৈরাশ্য বিষাদমাখা এ
হতাশায় নিমজ্জিত মুহ্যমান হয়ে যাই।
কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না গো
আমাকে সন্তান সংসার ছেড়ে অকালে
চিরদিনের মতো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ
করে না ফেরার দেশে চলে গেলে পিছু
ডাকলাম চিৎকার করে কাঁদলাম তুমি
সদা হাস্য মুখে ফুলে ফুলে সাজানো
খাটে অপরূপা রূপসী লাল বেনারসী,
সিঁথিতে সিঁদুর চন্দনের আলপোনায়
সাজাচ্ছেন ছলছল চোখে বড় বোন।
জয়ী এতগুলো বছর পার হয়ে গেলো
আজও কত স্মৃতি চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে,
তোমার সযত্নে সাজিয়ে রাখা সংসারে,
এক এক সময় আপন মনেই কাঁদি মনে
মনে একাকীত্ব মাঝে আতঙ্ক ঘিরে ধরে
অবসাদে আত্মহত্যা প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

আমাদের প্রিয় প্রাণের বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ

আমাদের প্রিয় প্রাণের বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ

শ্যামল সোম

শোকার্ত অগাস্ট মাসে আমরা সবাই
মিলে পরম প্রভু বিশ্ব স্রষ্টা সৃষ্টি এই
বাংলাদেশে কল্যাণ কামনা করি,
মঙল হোক তোমার বন্ধু পাশে
আছি বৃদ্ধ লোকটির জনমভূমি,
শস্য শ্যামলা আমন ধানে গন্ধে
নীল নীলিমায় নীলভ আকাশে
বাতাসে মহান  মুক্তি যুদ্ধের শেষে।
ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণ অক্ষরে লেখা
লক্ষ্য লক্ষ্য সহস্র  প্রাণের আত্ম ত্যাগ।
শতসহস্র জননীর আত্মবলিদানে,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে,
শত বাধা বিঘ্ন প্রয়োজনে এক নদী
রক্ত দান জনতার মিছিলে পুলিশের
গুলি বর্ষন নারকীয় নারী ধর্ষণ লাশ
লাশের ময়নাতদন্ত হয় নাই দাফন,
সম্পন্ন হয়েছে হয়ে ছিলো কিনা জানা
যায় নাই, উনিশশো ঊনসত্তর সত্তর
সালে এক কোটি মানুষ পরিবার এর
সাথে আতংক প্রাণ ভয়ে পালিয়ে শত
শত বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশান্তরে।
শতসহস্র ভাষা সৈনিকের আত্ম বিসর্জন
বৃথা যাবে না স্বমহিমায় উজ্জ্বল জ্যাতিস্ক
তোমার আমার প্রাণের বাংলাদেশ মনস্ক,
প্রিয় মানুষের স্বাধিকার সপক্ষে  সংগ্রাম
সফলতার পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

আমার সাধের বাংলাদেশ

আমার সাধের বাংলাদেশ

শ্যামল সোম

আমার ফেলে আসা স্বদেশ মাতৃভূমি
আজকের তুমি বাংলাদেশে জননী।
তুমি যে আমার ভোরের বেলার
ভৈরবী বাজাও আপন সুর
বহু দূর হতে তোমার ভালোবাসার
ঘ্রাণ ভেসে আসে সুমধুর।
শিশির ভেজা ভোরে পাশাপাশি
হেঁটে যেতে যেতে
যাওয়ার পথের বাঁকে তুমি
হারিয়ে গেলে সে পথে
ঠিকানায় বিরহের মেঘ জমে
থাকা হৃদয় আকাশে।
হৃদয়ের স্পন্দনে বেদনায়
ছল ছল চোখে ফ্যাকাসে
জ্বলেছি পুড়ছি ছারখার হয়ে
যাই অনন্যা কাব্যময়তায় মুগ্ধ
হয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকি
নিরন্তর শৈশবে ফিরে চাই
শৈশবে যাওয়ার ইচ্ছে করে
এ বুড়ো বয়সে এসে বুঝি কেউ
নেই কাছে একাকীত্ব মাঝে মাঝে
খুব ইচ্ছে করে পদ্মা নদীর ওপর
ভাসমান লঞ্চ ভেসে যাই দাদুভাই
হাত ধরে চাঁদ পুরে পৌঁচছে যাই।