আমার আদরের মিতা মিতালি
শ্যামল সোম
আকাশের ঠিকানায় চিঠি পাঠাবো আজ এতদিন পরে তোকে লিখতে বসেছি,
পাঁচ বছর আগে হঠাৎ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলি না
তুই তখন তুই অষ্টাদশী তোর আলো করা রূপ ছিল তোর মৃত
মায়ের মতন লাবণ্যময়ী কাচা সোনার মত গায়ের রঙ
এককালে সুন্দরী বলে তোর মায়ে সুমধুর কন্ঠে
রবীন্দ্রনাথের গানের সুর রয়ে গেলো হৃদয়ে,
তোর মত কন্ঠে যাদু ছিলো, শুনেছিলাম বহুবছর
গীতালি কত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় সসম্মানে পাওয়া
স্মৃতি চিহ্ন তোর মতন সুন্দর কত শত উপহার সাজানো
রয়েছে কাচের আলমারিতে। তোর অকালে কাল রোগে
চলে যাওয়ার পর তুই কৈশোরেই
আমাকে মায়ের মতন আমাকে বুকে করে সেবা
যত্ন করে পরিশ্রমে ঐ ভয়াবহ শোক সামলাতে তোর
নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছিস পাঁচ বছর ক্লাস টেন
থেকে ফ্যানন ডিজাইনিং করো শেষ করে চাকরি করছিল,
আমি বিবাহের সম্বল খুঁজে চলেছি।
অল্প বয়েসে মাত্র চল্লিশ বছরে আমি তোর মাকে হারিয়
তুই ছিলি আমার একমাত্র আপন প্রাণের মানুষ আত্মজা
আদরের মিতা মিতালি তোর আমার প্রতি শ্রদ্ধা
সহমর্মিতা ভালোবাসা স্নেহ শাষণ
ধমকে উঠা ধূম পানে জন্য বকাবকি করা, জ্বর মায়ের
মতন সেবা শুশ্রূষা রাত জেগে আমার গলা
জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকা।
মিতালি তোর চলঞচ উচ্ছল শৈশবে আমার বুকে
ঝাঁপিয়ে পড়ে গলা জড়িয়ে ধরে বুকে রেখে মাথা
আধো আধো গলায়, " রবীন্দ্রনাথের শিশু কাব্য গ্রন্থ ছড়া
আবৃত্তি পরবর্তী কালে কবি গান নাচে
তোর বিশাল সাফল্য ও লেখা পড়ার মনোযোগী দুর্দান্ত
রেজাল্ট আমি তোর বাপ বলে গর্ব অনুভব করতাম আমার
তোকে নিয়ে অনেক অনেক স্বপ্ন ছিলো মা মিতালি!
তোর হঠাৎ চালচূলো হীন অপরাধীর সাথে পালিয়ে গিয়ে
লুকিয়ে বিজয় করা থানা পুলিশ কোর্ট মামলা করেও কিছু
তখন আশাবাদী অষ্টাদশী নিজের স্বর্গীয় আনন্দ লাভে
আশায় প্রিয় কোথায় চলে আমাকে নিঃসঙ্গ
নিঃস্ব করে কতটা সুখে আছিস জানি না মা, তোর কাঁদে মন প্রাণ।
মহা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি কল্যাণ হোক তোরের।
ভাগ্যের পরিহাসে নির্মম হতভাগা তোর বাবু বাবা শ্যামল সোম
No comments:
Post a Comment