Thursday, 26 September 2019

ভয়ে ভয়ে আছি

ভয়ে ভয়ে আছি

শ্যামল সোম

জানেন সেই শৈশব থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধ হচ্ছে অনেক দূরে
চাল গম ডাল দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যেরাদি মজুত করে
গুদমে রেখে আমাগোঁ ক্ষুধার্ত রাখছে ক্যান, দ্যাশের্ গাঁয়ের  বাড়িতে ঠাম্মা
সাথে আমরা মা কাকিমারা আর এক দঙ্গল আমরা ভাই বোনের সাথে আছি।
কোলকাতা থেকে বাবা এলেন আমাদের ময়মনসিংহে ফুলপুর মুক্তাগাছা গ্রামে
দরজার আড়াল থেকে দাদুভাই সাথে,বাবা ঢাকার থেকে স্কুলে শিক্ষক ছুটে
এসেছেন আসন্ন কোন এক ভারতবর্ষের অখণ্ডতা রক্ষা করা যাবে না যাবে না,
ছোট কাকা আমাদের বুদ্ধিতে অবজ্ঞার করে বললেন সাইমন কমিশনের প্রস্তাব
তিন স্তরে হিন্দুদের প্রদেশ  মুসলমানদের কিছু প্রদেশ,  আর বাদভাগি মিশ্র  কিছু
প্রদেশে ভাগ করে ভারতবর্ষে হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়  সহাবস্থান মানতে রাজি
হলেন না পণ্ডিত নেহেরু, স্বাভাবিক ভাবেই মহম্মদ আলি জিন্না বিদ্রোহ করলেন।
মুসলমানদের জন্য নিজস্ব দেশে চাই মুসলিম লীগের জিন্না সাহেব ঘোষনা করেন
ষোল অগাস্ট 1946 DIRECT ACTION শুরু হলো  GREAT CALCATA KI LLING
বহু হিন্দু বাঙালী নিহত হলেন, কিছু মুসলমান মারা গেছে।
আমার ভীষন করছিলো রাতের অন্ধকারে গরামের কিছু মুসলমান বাবার বন্ধু আমাদের
নিরাপদে পারঘাটায় বিশ্বাসী আবদুল মাঝি লোক জন কিছু মূল্যায়ন জিনিষপত্র ঠাকুরমার
গলায় হরিনামে ঝুলিতে জপের মালা আর সোনার গোপাল। মা কাকিমাদের শাড়ির আঁচল
আড়ালে বাঁধা অনেক সোনার গহনা।
দাদুভাই হতে মোষের সিং এর বাহারী ছড়ি।
দূরে দেখি আমার শৈশবের খেলার সাথী তার আব্বা হাত ধরে সজল নয়নে তাকিয়ে রয়েছে
আয়েষা আমার দিকে, ছুটে গেলাম আয়েষার কাছে হাত ধরে চোখের জলে মুছিয়ে বললাম,
দূর পাগলি কাঁদছিস কেন ? দুমাস পরেরই কোলকাতা থেকে ফিরে আসবো তোর জন্য  কত
পুতুল নিয়ে,হঠাৎ আকস্মিক আমাকে জড়িয়ে শৈশবের  সঙ্গিনী প্রেমিকা অপরূপা নারী নাম
তার স্বপ্ন ভাসে পূর্ণিমা রাতে জ্যোৎ স্নায় আজও সত্তর বছর পরেও।
আয়েষার মাথা হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে  আমার বাঁশি টা ওকে দিয়ে সবার সাথে সদল বলে
বিশাল নৌকায় উঠলাম, আয়েষা ছুটে এলো পাড়, বাঁশি হাতে দু চোখে পানি শৈশবের স্মৃতি।
আকাশ রাঙা আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে নূতনদিনের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দাদুভাই
সূর্য মন্ত্র আবৃত্তি করছেন, ঠামমী জপের মালা হতে সকল পরিত্রাতা শ্রী কৃষ্ণ দীনবন্ধুকে
ডাকছেন মা ও কাকিমারা, শরতের ভোরের হাওয়ায় নৌকার পাল তুলে যাচ্ছে দেশের
আমার প্রিয় জন্মভূমির শিকড়ের টান ছিঁড়ে তাড়িত হয়ে শরণার্থী আমরা কোথায় ঠাঁই  পাবো।
ভয় করছে ভীষণ ভয় করছে ফিরতে পারবো কি, খুব কষ্ট হচ্ছে বুক ফেটে যাচ্ছে চোখ জ্বালা
করছে না না চোখের জল রুদ্ধ হয়ে কষ্ট হচ্ছে খুব কষ্ট হচ্ছে গো মা মুখে কিছো না বলে মায়ের
কোলে মুখ গুছে আমি কেঁদে ছিলাম আজ মনে নেই, কিন্তু ভয়টা তাড়া করে ফিরছে আজও।

Vertical limit

https://youtu.be/IFDbgjlSd_8

Wednesday, 25 September 2019

আমি এক হিমাচলের কন্যা

আমি এক হিমাচলের কন্যা

শ্যামল সোম

কেমন দেখছেন আমাকে দেখে জিব দিয়ে লাল গড়াচ্ছে
আমার এই তীক্ষ্ম উদ্যত স্তন, নিটোল আমাদের বাগানের
বড় সাইজের আপেল হাত ছূঁয়ে দেখুন দেখুন কি টাইট তাই না?
আমি এই পাহাড়ি কুল জেলার মোতি গাঁয়ের মোড়লের নাতনি
আচছা বলুন তো আমি সুন্দরী নই ? আমার চিকন কোমর ভারি
নিতম্ব ভরাট জঙ্খা নায়ির নিচে লালরঙের ঘাগড়া, নীল রঙের
কাঁচুলি গলায় ওড়ানার ফাঁস, সাত রকমের রূপো গয়না কান
ঝুমকো পায়ে ঘুঘুর ঝমঝম আওয়াজ হচ্ছে শুনতে পারছেন ?
স্কুলে গেলে মাসটাররা তাড়িয়ে দেকতো, ছেলে ছোকরা হামলে
পড়তো,দশ ক্লাসে ষোর বছরে হয়েই স্কুল থেকে সখীদের সঙ্গে
সাইকেল চালিয়ে ফিরছি, দুটো বাইক মানালি থেকে ছোকরা
ধনী বাপের লাডলা বেটা দুই ভাই  আমাকে দেখেই আশিকী
দু ভাইই ফিদা টেনে হিঁচড়ে আমাকে মটোর বাইকে তুলতে গিয়ে
আমার চিৎকার ও বানধবীদের হাঁক ডাকে সাড়া দিয়ে লোকজন
ছুটে আসে সে যাত্রায়  বেঁচে  গেলাম।
দশেরা উৎসবে আগেই বিশাল লাল রঙের ইনাভা গাড়ি গাঁয়ের
আমাদের বিশাল বাড়ির সামনে এসে থামলো, ড্রাইভার দরজা
খুলে দিতে বিশাল লম্বা চওড়া বৃদ্ধ সিল্ক কাপড় পাঞ্জাবি ধুতি
মাথায় রেশমের টুপি পড়ে ধীরে সুস্থে নামলেন দোতলা কাটের
বাড়ির জানালার পর্দা সড়িয়ে লুকিয়ে দেখছি পেছনে দুটি লোক
আপেলের ঝুড়ি, মিটাই বাহারি পোষাক হাতে চলেছে বৃদ্ধের পেছনে,
গাঁয়ের লোক ভীড় করে জড় হচ্ছে, দাদাজীর নাম মোহম সিং ডাকছেন।
দাদাজী ছুটে গিয়ে হাত ধরে হেঁটে সাথে করে নিয়ে এসে বসার ঘরে সোফায়
বসালেন, হঠাৎ আকস্মিক এই ঘটনায় বাড়িতে হুলুস তুলুস পড়ে গেল।
কুশল বিনিময় পরে জানাগেল উনি বিরাট বস্ত্র ব্যবসায়ী তিন তিনটে দোকান
মানালির বিখ্যাত স্নামধন্য ধনী ব্যক্তি পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
দিলীপ সিং ঐ সেদিন মটোর বাইক আরোহী ওনার নাতি তাঁর সাথে বিবাহ
হয়ে গেলো, না না, একবারের জন্য আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো না মেয়েছেলে
তার আবার মতামত কি থাকবে ? হিমাচল প্রদেশে  নারীর সংখ্যা কম তাই মোটা
টাকা পন পেলেন দাদাজী বাপ কাকা চুপ, মা আমার মায়ের খুব আমি পড়াশোনায়
এত ভালো প্রতি বছর ফাস্ট হয়ে থাকি পড়াশোনা করে ডাকতার হবো গাঁয়ে ডাক্তার
খুব কম, মায়ের ও আমার স্বপ্ন অদূরা থেকে গেলো।
হাঁ, আমার নাম পাঞ্চালি,  একজনের সাথেই বাসর ধীরে ধীরে একে একে পঞ্চ পতির
স্ত্রী সুখ ঐশ্বর্য দামি মণিমুক্তো হিরের অলংকার রঙ বেরঙের পোষাক কাশ্মীর পরমোদ ভ্রমণ,
দিল্লির কুধতব মিনার মসৃণ জঙ ধরে নি এ যেন আমার লোভনীয় শরীরে কত ভাঁজ দিন দিন
ননি মাখন আপেল আঙুর, আখরোট,  ইরেনের খেজুর কিসমিস বাদামের সরবত দুধ আমি
তিন তিনবার পোয়াতি হলাম সে সব, সন্তান তো দু তিন মাস পরে মারা গেলো।
কে কবে রাতের অন্ধকারে ধুর্ত নেকড়ের মতন আমার শয্যায়
নগ্ন করে আমার উলংঙ্গ শরীরটা চুম্বনে দংশনে লেহনে বিভৎস ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি প্রথম প্রথম
প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রচন্ড জোরে মারধোর শুরু করে দেয় ব্যথা বেদনা রক্তাক্ত
অবস্থায় অশ্বারোহী ভাসুর দুঘণ্টা সোয়ার করে মলম লাগিয়ে দেন বড় জা হট ব্যাগে গরম
জল দিয়ে সেঁক দেন, সবাই সেবা শ্রুশষা পরম যত্ন করে চামচে খাইয়ে দেন ভাগনে গাড়ি
চালাতে শেখাতো আদরে আদরে গলে গলে পড়ছে সুখ না বিষ প্রয়োগ করে বিষিয়ে দিল মন,
ওকে বলে ছিলাম নন্দ লাল  চল পালাই।
নন্দ বললে, ছিঃছিঃ এমন কথ বলো না।
দিলীপ সিংকে বললাম
সে বললো গৃহ শান্তি ব্যবসা বানিজ্য বাজার দখল রখতে সবকিছু মেনে নাও।
আপোস করতে শেখো  মেয়েদের বিয়ের পর এ একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায়
ঝড় আসছে ঝড় আসছে শুনতে পারছেন না প্রলয় নামছে হুড়মুড়িয়ে ,ভেঙে পড়েছে
ঘর বাড়ি প্রসাদ দেখুন হিমলয় পিতা আমাদের একমাত্র ত্রাতা কি বার্তা বয়ে আনছেন
নারী ধরিত্রী যাজ্ঞিসেনী দ্রোহী আজ দ্রৌপতী কৃষ্ণ সহায় আড়ম্বরহীন অলঙ্কারে নেই
প্রয়োজন আছে বর্শা তরোয়াল বন্দুক একদিকে হিমালয় থেকে ধ্বসে পড়ছে পাহাড়
প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত বন্যা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে আসছে গ্রাস করবে একবিংশতি
শতাব্দীর সভ্যতা চন্দ্রযান অভিযান এ দেশে হা হা হা হা হা যে দেশে প্রতি নিয়ত ঘন্টায়
কটা শিশু কিশোরী সতীচছেদ করে গণধর্ষণ এর নাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থা
ধিক্কার জানাই এ ধিক্কারের  জবাব দেবার কেউ নেই যুধিষ্ঠিরের পাশা বাজি রেখেছেন
আমাকে কোন অধিকারে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে প্রচলিত প্রথা ভেঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ খুলেতে
যাওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত আমি ফাঁসি হবে পুড়িয়ে মারবে, কোটি কোটি নারী এগিয়ে আসছে
মুক্তি গান শুনতে পারছেন না বধির কালা অন্ধ বোবা জড় পদার্থ আপনরা আপনাদের সরবনাশ হোক ।

Monday, 16 September 2019

আম্মু আমার সিঁথির সিঁদুর দিও না মুছে

আয়েশা আর রঞ্জন পালাচ্ছে বোম  চার্চ হচ্ছে পেছন শতসহস্র হিংস্র আক্রমণের
রাতের অন্ধকারে দূর থেকে মশালে লাল আলোয় অরণ্যের মাঝে দুটি প্রাণ প্রেমে
আকুল ব্যাকুল হৃদয়ের পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা আয়েশা কাঁদছে,
রঞ্জন আদর করে চুলগুলো সড়িয়ে দিয়ে সান্ত্বনা দিতে দিতে বলছে, এই ট্যাঙ্গইল
গাঢ় পাহাড় এ অরণ পেড়িয়ে শহরে গিয়ে থানায় গেলেই আমরা মুক্ত!
হায় হায় রবীন্দ্রনাথের  রক্ত করবী রঞ্জন  একশো বছর পেরিয়ে গেছে সময়, থানায়
খাঁচা পেতে বসে আছে, আমাদের ধরলেই লক্ষ টাকার জাকাত দানের লোভে ওরা
তোমার প্রাণ কেড়ে নিতে ইতঃস্থত্ত করবে না, পুলিশ না তো ওরা জল্লাদ ডাকাত।
শত কনঠের হূংকার ভেসে আসছে , আতঙ্কিত  আয়েশা আর্ত সবরে বলে রঞ্জন
রঞ্জন পালাও পালাও আমি ধরা দিলে আমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আমি সব বূজিয়ে
অভিনয় করে শেষ চেষ্টা করতেই হবে, আমাদের ভাগ্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি
নিশ্চয়ই দেখা হবে রঞ্জন যাও যাও।
আব্বু সাথে বিশটি লোক হাতে তরোয়াল বন্দুক সোর্ড নিয়ে সামনে আসে,
আয়েশা ছুটে গিয়ে আব্বাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার প্রচন্ড আর্তনাদ করে  ভেঙে পড়ে
আব্বু বেইমান শয়তান হিন্দু কাফের আমাকে ফেলে পরাণের ভয় পালিয়েছে শালা নিমকহারাম থুথু ফেলে।

Sunday, 15 September 2019

নিন্দিতা অনিন্দিতা

নিন্দিতা অনিন্দিতা

শ্যামল সোম

সেদিন গভীর রাতে প্রচন্ড ঝড়ের তান্ডব
লন্ড ভন্ড ছয় বছরের অনি ঘুম ভেঙ্গে গেল
পাশে মামণি নেই, হঠাৎ চমকে উঠলো বাজ
আওয়াজে বিদূৎ ঝলসে উঠতে ভয় কেঁদে
মণিমা মণিমা ডাকতে ড্রয়িং রুমে কাছে শুনলো
মণিমায়ের চাপা শেষ আর্তনাদ, শুনেই পর্দা সড়িয়ে
ঘরে ঢুকে চিৎকার করে কেঁদে উঠে, আহ আহ আহ
লম্বা সোফায় সোমাকে ফেলে দীপক গলা টিপে ধরে
" ইউ বিচ, হোর, আই উইল টিচ ইউ প্রপার লেশন।
আকস্মিক অনুকে ঘরে ঢুকতে দেখে ত্রস্ত বিব্রত হয়ে
দীপক অর্ধ নগ্ন দেহে ছুটে গিয়ে অনুকে কোলে তুলে
নিয়ে আদর করে গালে কপালে চুমু খেয়ে ভোলাতে থাকে,
প্রায়  নগ্ন অবস্থায় হাউসকোর্ট গায়ে চাপিয়ে ছুটে এসে,
ছোঁ মেরে মেয়ে টেনে নিয়ে বলে, I warn you don't touch
My daughter, she is my daughter.you burstured !
Am I burstured, you hore বেশ্যা কার সঙ্গে এটা পয়দা
করেছিস মাগি তোকে সড়িয়ে দেবো আত্মীয় স্বজন পাড়া
পড়শি সবার কাছে তোর ঐ ঢলানি দুপুরের পশাড়িনী বেশ্যা।
বেশ করবো একশো বার করবো যা চাই তোর কাছে কি পাই?

Tuesday, 10 September 2019

অবৈধ প্রেম

আমার ভীষণ প্রিয় হেনরিক ইবসন নাটককারের নাটক ঘোষ্ট
বঙ্গীয়করণ নাম   " অবৈধ  প্রেম  " নাট্য রূপের কাজ চলছে।
নাটকের চরিত্র অনুযায়ী যথার্থ কদর্য কামুক লম্পট ব্যবসায়ী
শুভেন্দু বোস,
ওনার স্ত্রী সুজাতা বসু, একসাথে সংসার স্বামীর মানসিক নির্যাতন নারীদের মর্মস্পর্শী হৃদয়ের ব্যথা বেদনা বোঝার মত মনের মানুষ শুভাকাঙ্ক্ষী দীপক রায় পরিবারের পারিবারিক বন্ধু প্রফেসর অবিহিত দীপক রায়, আজীবন সুজাতার পরম বন্ধু ।
কৃশানু বোস চিত্র শিল্পী ফ্রান্সে চিত্র শিল্পে স্কলারশিপ নিয়ে প্যারিসে আর্ট কলেজে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেছিলেন
সদ্য  শিক্ষ সমাাপ্ত করে কোলকাতায় বিলাসবহুল মৃত পিতার বাড়িতে ফিরেছন।
সোমা অপরূপ সুন্দরী শৈশব থেকেই পালিত কন্যা আগুনের বন্যা দুরন্ত গতি কাজ করে লরেটো কলেজ থেকে
পাশ করে নৃত্য চর্চা করে,
বলাই হলো ছুতোর সদ্য সমাপ্ত অনাথালয়ের নির্মানে এবং এই পরিবারের দীর্ঘ বছরের এই বৃদ্ধ সেবা করে আসছেন উনার স্ত্রী
রেবেকা এই পরিবারের গৃহকর্মে লিপত ছিলেন এক দুর্ঘটনায় মারা যান, গোপনীয় তথ্য যে রেবেকা শুভেনদুরর যৌন সঙ্গী ছিলেন, সোমা এদের অবৈধ কন্যা।

নাটকের গল্প সোমা তার নিজের ঘরে মিউজিক বাজনার সাথে শরীর চর্চা নৃত্য চর্চা করছে।

সুজাতা বসার ঘরে একতলায় পট থেকে চা তৈরী করে দেন বন্ধু দীপককে, আজীবন পরস্পরকে ভালোবেসে বিবাহ না করেও একসাথে এক আত্মিক সম্পর্ক গোপনে শারীরিক ও মানসিক বন্ধন রেখে, চলছেন।
স্বামীর অকাল মৃত্যু পরে সুজাতার পাশে শুভাকাঙ্ক্ষী অভিভাবকের দায়িত্ব বিকল্প ভাবনা দীপকের গোপনে রয়েছে তাঁর মনে মনে, আকাঙ্খা
দুজনে অতীতের সমৃতি রোমন্থনে সমুদ্র ঢেউ আছড়ে পড়ার আওয়াজ হচ্ছে।
আবার বর্তমানে সুজাতা নিজের স্বামীর স্মৃতি স্মারক স্বরূপ এই অনাথালয়ের নির্মানের বিরাট ভূমিকা
রয়েছে দীপকের নিরলস কঠোর পরিশ্রমে আজ কাজ সম্পন্ন হয়েছে শুভ উগ্ধবোধন হবে তিন দিন পর
আজ এই সময় কৃশ মানে কৃশানু পরাণ উচ্ছল উজ্জল চোখ রক্ত করবী নন্দিনী রঞ্জনের সাহসী সুপুরুষ
শিস দিতে প্রবেশ করেই মাকে এত বছর পরে মাকে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরম আহ্লাদে জড়িয়ে ধরে
শূণ্য তুলে নাচতে থাকে চিৎকার করে হাসতে ফরাসী সুরে সুরে হঠাৎ ছুটে আসে সোমা মাকে সোফায় বসিয়ের সোমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সালসা নাচ নাচতে থাকে ফরাসী সুরে অন্য তালে তালে।

দীপক রায় মৃদু হাসি মুখে পাইপে টানছেন।

দিনের বেলায় কৃশানু শুয়ে আছে তার ঘরে পিয়ানো, ঈজেল স্যান্ড, সিটিং টুল
জানলা দিয়ে সূর্যোদয়ের আলোয় উদ্ভাসিত আলোকিত ঘরে সোমা স্টট প্যান্ট
গেঞ্জি পরণে উচ্ছল হাসতে ঝাঁপিয়ে পড়ে কৃশানুর বুকে," এই কৃশ আমাকে আদার করো,
খবরদার বাঞ্চৎ , don't  KISS me, bad smell  comes from your mouth, you sit,
Please some my sweetheart DARLING I really love from childhood,
I can fuck anyone, you you are dreamlike, only once I like to
suck you sweet leaves, ok let me suck your কৃশ সোমা গেঞ্জি খুলতে যায়, কৃশ,
সোমা অপরূপ সুন্দরী শৈশব থেকেই পালিত কন্যা আগুনের বন্যা দুরন্ত সাহসের নির্ভীক,
সোমা প্রচন্ড জোরে মারধোর শুরু করে কৃশানু শুয়ে মার খাচ্ছে হঠাৎ আকস্মিক সোমা
আবার কৃশানুর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে চুম খেতে থাকে।
পরস্পরের সাথে সম্পর্ক আশৈশব ভালোবাসার ছোঁয়ায় শারীরিকভাবে উপভোগ করে।
সোমা ও কৃশানু যৌন কামনায় অস্থির some cried, you basterd  --- fuck me hard harder.
শীৎকার ধ্বনি সহবাসে না ধর্ষণে কে জানে?

পর্দা আড়ালে সুজাতা বিস্ময় ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে রয়েছে।
আলো নিভে যায়

পরের দৃশ্যে দীপক ও সুজাতা সোমা আর কৃশানু যৌন
সম্পর্কআশৈশব থেকেই এর পরিণতি কী
সুজাতা ঠিক মানতে পারছে না দীপকের মতামত
যে সুপষ্ট  করে জানিয়ে দেওয়া হোক !
কৃশানু যখন জানতে পারবে তাদের গোপন পরিচয় কি
ভাবে react করবে চিন্তিত দুজনে।
কাজের মাসি এসে জানায় বলাই এসেছে কথা বলতে চায়

সুজাতা বলাইকে নিয়ে আসতে বলে

সোমা তার জন্ম পরিচয় জানতে পেরে আত্মহনন বা নেশা আচ্ছন্ন হয়ে ধরাশায়ী

ক্রমশ চলবে।

Saturday, 7 September 2019

রক্ত করবীর নন্দিনী

রক্তাক্ত প্রান্তরে নদীর জলে ভাসে রঞ্জনের লাশ যুগ
বিতা ধূলিসাৎ আজও শুনি হাহাকার ক্রন্দন ধ্বনি বুকে
নূতন করে জন্মনেয় আগুনের ফিনিস্ক পাখি রঞ্জন স্বপ্ন
ফিরছে জানায় আমার স্বপ্নের বৈপলবিক চেতনার মূর্তি-- সর্ব কালের স্বপ্ন নন্দিনী

মুক্ত অঙ্গনে ছশ্রই  সেপ্টেম্বর প্রথম নাটক রক্ত করবী কিছুভাবনা

পঁচাত্তর বছর বয়সে বৃদ্ধ আমি স্বপ্নবৃক্ষ প্রেমিক
রবীন্দ্রনাথের রক্ত করবী নন্দিনী সাথে বর্তমানে
অস্থির সামাজিক রাজনৈতিক দূরঃসমে অবক্ষয়ের
বিরুদ্ধে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে চলছে এ যেন লাল ফৌজের
কন্ঠে  ফরাসী বিপ্লবের লা মারসাই ইন্টারন্যাশানাল
" অনশন বন্দি জাগো ক্রীতদাস,
" ম্যয় ভুখ সে মরনেওয়ালে,
ম্যায় মউত সে লড়নেওয়ালে,
আজাদিকা ডঙ বাজাও
ও আলোর পথ যাত্রী

বিভিন্ন নাট্য অসম্ভব সুনদর মূহুর্তে
চলমান ছবি সাথে নাটকে শেষ গান কিছু ছোট কুড়ি
যেন রঞ্জন বিপলবের প্রতীক সর্বহারাদের স্বপ্ন ফিরে আসবে,
এই প্রত্যয় নিয়ে এ প্রজন্ম এক ঝাঁক তরুন তরুনীদের
হতে পতাকা উত্তোলন করে চলেছে মিছিল
জনগণকে সাথে আমিও সম্বিত হতবাক্ বিস্ময়ে
আনন্দ নয়নে অশ্রু মুছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে
মুক্ত অঙ্গনে বাহিরে এসে ফেলা আসা যৌবনের স্বপ্ন যখন
ছিল বল্গাহীন মন উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো, কুর্নিশ জানাই
বিখ্যাত স্নামধন্য নাট্য ব্যক্তিত্ব অভিনেতা পরিচালক নন্দন ভট্টাচার্য
মহাশয়কে তাঁর ঐ উত্তাল চল্লিশ ও সত্তরের মৃতযুর উপত্যকা পেড়িয়ে
আমি এক জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার হবে রাজপথে কখন।
নন্দন নাট্য শাস্ত্র নন্দন তত্ব পাঠ্য বিষয় ছিলো ডঃ সাধন ভট্টাচার্য তখন রবীন্দ্র ভারতীর নাট্য বিখাগের আমাদের
পরধান ছিলেন।
বহুরূপীর প্রযোজনায় রক্ত করবী নন্দিনী চরিত্রে তৃপ্তি মিত্র এর অনবদ্য দাপটে অভিনয় দেখেছি।
তবু এই নাটকের নন্দিনী যে প্রাণবন্ত সাবলিল অভিনয়ে
আন্তরিক ঘনিষ্ট আবেগ তাড়িত প্রগাঢ় ভালোবাসা প্রেম
কিশোর ও বিশুভাইয়ের প্রতি দরত স্পর্শ অভিনয় দেখে আপ্লুত মগ্নতায় ভরে গেলো মন উন্মুখ হয় রয়েছে কন্যা
তুমি অসাধারণ অভিনয় নৃত্যে নিজেকে উজার করে দিয়েছো, আশীর্বাদ শুভ কামনা রইলো নন্দিনী
তৎকালিন প্রচীন আমাদের কাছে নন্দিনী ছিলো বৈপ্লবিক পরিবর্তন সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনে বিপ্লবের প্রতীক স্বরূপ ।
যিনি সমগর নাটকটি সূত্রধর নেপথ্যে সংলাপের সাথে ছন্দময়তায় নৃত্য পরিবেশন করে দর্শকের অভিজ্ঞতায়
আমার মগজে দেহের শিরায় শিরায় বহমানতার মুগ্ধতা আঁকড়ে ধরে মগ্ন হয় মন।
Title. Raktakarabi
Based on the play Rakta karabi by Rabindranath Tagore

Cast.
Nandini: Moumita Ghosh
Bishu: Shankha Dasgupta
Kishore: Projay Ghosh
Fagulal: Anirban Banik
Chandra: Sreya Maity
Gajju: deep Dey
Raja: Nandan Bhattacharya
Sardar: Projay Ghosh
Gosain: Arijit Chakraborty
Morol: Sreya Maity

Nandini 1: Diya Dasgupta
Nandini 2: Pramita Chatterjee
Others: Paromita Mistry
Pritam Halder

Voice: Ritwika Bhattacharya
Ranjan: Shuvadeep Das

Wednesday, 4 September 2019

প্রকৃতির অভিশাপ ভারত মাতার ক্রন্দন

প্রকৃতির অভিশাপ ভারত মাতার ক্রন্দন

শ্যামল সোম

সম্প্রতি ভারতে কেরল প্রদেশে এ বিশাল
ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে এই অকাল
সময়ে আকালে কৃষ্ণানদী জলে আগ্রাসী
ভয়ঙ্করী কৃষ্ণা নদী নারীর প্রতি সহিংসতা,
প্রতিবাদে গর্জে ওঠে নদী ভয়াবহ স্রোতে
ভেসে যায় হাজার গৃহ সংসার মৃতদেহের
স্তূপ নানা রোগে আক্রান্ত ত্রাণ শিবিরের!
প্রকৃতি  প্রতি অবহেলা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে
নদী দূষণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বিদূৎ উৎপাদন
শত বছরের পাপে তৃ খণ্ডিত ভারত মাতার অঙ্গ।
ব্যবচ্ছেদ এই মহা পাপের বোঝা বহে যেতে
হতে হবে হাজার বছরের বিদেশী শাসকদের
ষড়যন্ত্র চলছে বিভাজন নীতি অনুসরণ চলছে,
সুনামী বন্যা ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন তাঁদের
সম্মান প্রদর্শন করে অবসাদগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বিধ্বস্ত গৃহহীন বানবাসি সব
মানুষের পাশে দাঁড়াতে  গিয়ে বিপদের আশঙ্কা
আছে জেনেও ভারতীয়  নৌকা সেনা বায়ুসেনা,
National Dejarster Group জাতীয় বিপদকালিন
মোকাবিলা কমিটিও গঠিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
ভারতীয় রেলমন্ত্রক বিভিন্ন প্রদেশে সরকারি
প্রাথমিক নানা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে টেনে দিয়ে
আজ এই পুণ্য পবিত্র ঈদের দিনে এটুকু প্রার্থনা
বন্যা বয়ে যায় জল ক্ষণে ক্ষণে ক্ষণে অনুকম্পা ।

সতীচ্ছেদ পালা পার্বণ

সতীচ্ছেদ পালা পার্বণ

শ্যামল সোম

আজ এ যে  বড় ভীষন  দুঃসময়ে--
জনগণ সকলেই  রয়েছে ভয়ে, ভয়ে
শয়তানেরা ফাঁদ পেতে রয় প্রতীক্ষায়।
ফাঁকা ঘরে একলা যে নধর কিশোরী
লালসায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনটি  শিকারী
ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলে পরণের রাঙা বসণ
উন্মুক্ত নাভিমূল, জঙ্ঘা যোনি কুড়িস্তন।
আসছে কাল কেউটে ফনা তুলেছে ফণী,
শত সহস্রবার করে চলে আসা  যাওয়া।
অক্ষত সে কুমারী যোনি সতী পীঠ পাওয়া।
কিশোরীর কি প্রচন্ড ভূমিকম্প  আর্তনাদ
শুনে পালিয়েছে জনতা এ যে মরণ ফাঁদ,
গণতন্ত্রে পুরুষের এই মৌলিক অধিকার,
গণতান্ত্রিক দেশে গণধর্ষণের চিৎকার।
বদ্ধ কালা কানা পথ চিনেতে সে  অপারক,
জনগণ নিশঃচুপ এ যে  বিষাদ গণধর্ষণ
বিশাল আয়োজন সারি সারি কুমারী মন,
লিঙ্গ পুজোর হাড়িকাটে সতী কিশোরী স্তন
কৌমার্য বলিদান বেঁচে রয়েছে যে প্রাণপণ
রক্তাক্ত আদরে সোহাগে মেয়েদের জান,
এ তো কৈ মাছের প্রাণ হীন জান্তব দংশন
সতীচ্ছদ পালা পার্বণ গণধর্ষণে আয়োজন।
রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত বিবেক নব্য সব স্বাধীন
কন্যারা আগুনেরবন্যা জয় আগুনলেলিহাণ
পুড়ছে আমাজন আফ্রিকার ঘণ জঙ্গল সুন্দর বন।

দখল লড়াই চলছে

দখল লড়াই চলছে

শ্যামল সোম

কত রাজা আসে যায় তবু কি দিন
পালটায় ? বুভুক্ষু শিশুর ক্রন্দন ধ্বনি
জনগণের কিবা এসে যায়, ঐ যে শণি
যুগ যুগ দরিদ্র নিরান্নের কান্না হাহাকর
শোনা যায় যুগ যুগ ধরে তার প্রতিধ্বনি
ক্ষুধা বাসস্থান, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা চাই,
দরিদ্র জনতার চাহিদা পূরণ আকাশ ছূঁতে
কুসুম কুউল্পনা স্বপ্নের ফেরিওয়ালার মায়া
আশ্বাস বিশ্বাস ঘাতকের ষড়যন্ত্রকারীদের
আমি ভিখিরির অধম জরাজীর্ণ বৃদ্ধের।
যৌবনে লাল এক সূর্য শিকার আনবো
শ্রেণী বৈষম্য এক নূতন সমাজ গড়বো।
সাম্রাজ্যবাদ ধনবান শ্রেণীর মানুষের ঐ
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়
যুব সমাজে ভাড়াটে ছদ্মবেশী উগ্রপন্থী ঢুকে
আমাদের গোপন আস্তানা মাফলার জড়ানো
মেকি অতি বিপলবীদের ষড়যন্ত্রকারী অভিসন্ধি,
যখন কেন্দ্রীয় কোমিটি জানতে পারলেন তখন
অনেক দেরী হয়ে গেছে, তিস্তা, কংসাবতী, গঙ্গা
ময়ূরাক্ষী নদীতে ভেসে বহু তরতাজা যুবকের
লাশ উদ্ধার হলো না, অসংখ্য লাশ সনান্তিকরণ
?হলো না, যৌবন  নপুংসকের আগুনে জ্বলছে
সেই আগুনের বারবার পুড়ছে ফ্রান্স বাস্তিশ দূর্গ।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে সাভিয়েট ইউনিয়ন
পুর্ব ইউরোপ, বার্লিং প্রাচীর, চিনের প্রাচীর সহাবস্থান,
আপোষ করে চলছে, তবে কে কাকে পাপোশ মতন
ব্যবহার করছে, সমাজবাদী পার্টির চেয়ারম্যান জ্ঞানী
প্রযুক্তিবিদ,  সাংস্কৃতিক ভাইরাসের  সংমিশ্রণ দিশাহারা
পথ ভ্রষ্ট যৌবন মাদক সেবন অপরাধে যৌনধর্ষণ আত্মহারা
রাজার বসন নেই, দেখেও দেখছে না ডান্ডায় ঠান্ডা মগজ
ধোলাই, প্রাক ঐতিহাসিক গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আজও রাজনীতিতে।
বাজার দখল চাই, ঔপোনিবেশ স্থাপন ঝামেলা পোয়োনো
সহজ নয়, তাই যেমন চলছে গণমিছিল মোকামবো খুশ হ্যায়।

কাঙালি বাঙালির জাতীয়তাবাদ ও রাষ্ট্র

  কাঙালি বাঙালি জাতীয়তাবাদ  ও রাষ্ট্র

শ্যামল সোম

কাঙালি এই অর্থে ব্যবহারে অনেকেই অসন্তুষ্ট হতে পারেন ক্ষমা প্রার্থনা করি
বাঙালিদের এই কাঙালের মতন অনুকরণ প্রিয়তা লক্ষ্মণ দেখা যায় নবাবি
আমলের বিলাসবহুল জীবনযাপন,  ফরাশ পাতা ঐ কার্পেট গালিচা, ঢালাও
বিছানাই তাকিয়া বসরাই  গোলাপ , আতর, তামাক রূপোর গড়গড়ায় তামমুক
সেবন, গহরজান বাঈজী ঠুংরি গজল ঘাগড়া ঘুরিয়ে কত্থক নাচ বাগানবাড়ি
হাজার প্রদীপের ঝাড়বাতি,  কড়িকাঠে ঝোলানো লম্বা পাখা দড়ি টানছে চারজন
হরিজন বাঙালি, ফিটন গাড়ির আবদুল বাঙালি মুসলমান ঘোড়া দুটোকে খাওয়াচ্ছে।
ব্রক্ষাণ হিন্দু বাঙালী হুগলীর জমিনদার কক্তা বাবু নব্য  মুসলমান বাঙালী নবাবের দোস্ত ।

কোম্পানি আমালে চতুর হিন্দু বাঙালী ঝটপট yes sir father mother you sir ইংরেজ
সাহেবের পা চাটা পদ লেহণ বাঙালির জাতির বৈশিষ্ট্যই সারা পৃথিবীতে মুসলমান বাঙালী
হিনদু বাঙালি, বৌদ্ধ বাঙালি, খৃষ্ট বাঙালীর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঐ
বাঙালিদের এই কাঙালের কাজের জন্য নিকৃষ্ট বা উত্কৃষ্ট কাজ যোগ্যতা পড়াশোনা উপরে
নির্ভর করে কেউ নাশায় স্পেস রিসার্চ সেন্টার কাজ করছে হিন্দু বাঙালী সংখ্যা বেশী।
মুসলমান বাঙালী পড়াশোনা চেয়ে ধর্মে পাঁচ বার নামায আদায় অনুশাসনের বহু কঠোর
নিয়ম কানন মেনে  চলতে গিয়ে ছোটাছুটি খেলাধুলো নাচ গান আমোদ প্রমোদ ভ্রমণের
সুযোগ পেলেই হবে না, একসাথে হ্যাম বিফ বিন্দু বাঙালী ছূৎমার্গ নেই, আচার অনুষ্ঠান
ধর্মা আচরণ সততা ও   সত্য  নিষ্ঠার সাথে আনন্দে আত্মহারা হয়ে একবিবি নিয়ে হিন্দু
বাঙালিদের প্রগতি শীল চিন্তা ভাবনা প্রতিফলন দেখা যায় যার জন্য কোলকাতায় নির্মিত
সিনেমা সিরিয়াল নাটক দেখে, হিন্দি সিনেমার ভক্ত বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে মুসলমান
বাঙালি নায়িকা অসাধারণ হিন্দু বাঙালী মহিলা চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেছেন।

বাঙালিদের কর্পোরেট সেকটারে প্রাধান্য বিস্তার করেছে, হিনদু বাঙালি সংখ্যা বাড়ছে।

চলবে ক্রমশ