Monday, 16 September 2019

আম্মু আমার সিঁথির সিঁদুর দিও না মুছে

আয়েশা আর রঞ্জন পালাচ্ছে বোম  চার্চ হচ্ছে পেছন শতসহস্র হিংস্র আক্রমণের
রাতের অন্ধকারে দূর থেকে মশালে লাল আলোয় অরণ্যের মাঝে দুটি প্রাণ প্রেমে
আকুল ব্যাকুল হৃদয়ের পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা আয়েশা কাঁদছে,
রঞ্জন আদর করে চুলগুলো সড়িয়ে দিয়ে সান্ত্বনা দিতে দিতে বলছে, এই ট্যাঙ্গইল
গাঢ় পাহাড় এ অরণ পেড়িয়ে শহরে গিয়ে থানায় গেলেই আমরা মুক্ত!
হায় হায় রবীন্দ্রনাথের  রক্ত করবী রঞ্জন  একশো বছর পেরিয়ে গেছে সময়, থানায়
খাঁচা পেতে বসে আছে, আমাদের ধরলেই লক্ষ টাকার জাকাত দানের লোভে ওরা
তোমার প্রাণ কেড়ে নিতে ইতঃস্থত্ত করবে না, পুলিশ না তো ওরা জল্লাদ ডাকাত।
শত কনঠের হূংকার ভেসে আসছে , আতঙ্কিত  আয়েশা আর্ত সবরে বলে রঞ্জন
রঞ্জন পালাও পালাও আমি ধরা দিলে আমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আমি সব বূজিয়ে
অভিনয় করে শেষ চেষ্টা করতেই হবে, আমাদের ভাগ্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি
নিশ্চয়ই দেখা হবে রঞ্জন যাও যাও।
আব্বু সাথে বিশটি লোক হাতে তরোয়াল বন্দুক সোর্ড নিয়ে সামনে আসে,
আয়েশা ছুটে গিয়ে আব্বাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার প্রচন্ড আর্তনাদ করে  ভেঙে পড়ে
আব্বু বেইমান শয়তান হিন্দু কাফের আমাকে ফেলে পরাণের ভয় পালিয়েছে শালা নিমকহারাম থুথু ফেলে।

No comments:

Post a Comment