স্মৃতি খুঁড়ে প্রেমের গভীরতা
শ্যামল সোম
এ কি তুমি মায়াবিনী ছলনাময়ী আমার দু চোখ খোঁজে
যদি মন বোজে,মায়াবিনী মায়াকায়া নয় ছায়ায়
গ্রাস করে আমাকে।
মায়া লেগে থাকে তাঁর দুচোখে গান গাহিত, শোনতাম
আমি দুচোখ বুজে রয়েছি শুনছি
সে গাহিছে, " আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায় "
মায়াবিনী মায়া ত্বনী তরুণী চির যৌবনা কবিতা রহমান তুমি চলে
একাততরের যুদ্ধ শেষে ঢাকায় অপ্রত্যাশিত ভাবে হারিয়ে গেলে
কিছুদিন ঠিঠি পত্র কাব্য গাঁথা পড়ে রয়েছে দেরাজে।
অসম্ভব ভেঙে পড়েছিলাম আমি কবিতা ঊনসত্তর থেকে একাত্তর
রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতনে সঙ্গীত ভবনে ছাত্রী কবিতাকে
দেখে প্রথম দেখায় মুগ্ধ নয়নে ভেসে উঠে অজন্তা ইলোরার নারী
বহমান কীতৃনখোলা নদীর পাড়ে আমি যেন ফুলের মতন বিদুষী সুন্দরী
কবিতা রহমানের খুব কাছে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা সহমর্মিতা স্নেহ প্রেম
বাঙালিদের প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা পাঠ, একসাথে
রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়া শুরু হলো, কখন রতন পল্লিতে কখন
খোয়াই নদীর পাড়ে দুজনে বসে আছি পথ চেয়ে বর্ষায় বৃষ্টি এলো দুজনে
পাকুড় গাছে নিচে দাঁড়িয়ে ভিজছি।
রবীন্দ্রনাথের বর্ষা মঙল উৎসবে বা বর্ষ বরণ, ফাল্গুনে রঙে রঙিন দোল উৎসবে
আবীর রঙে রাঙিয়ে দিতেম কবিতাকে, কবিতা ছুটে দুহাতে সবুজ আবিরে মুখে
মাখিয়ে দিয়ে গেয়ে উঠতো, " শ্যামল সুন্দর ও "
আজ এত গুলো বছর ভালোবাসা পিয়াসী মন উন্মুখ হয় রয়েছে।
কলা ভবনের ছাত্র আমি তখন শেষ পরীক্ষা হয়ে গেছে বরোদার Fine Arts
নিয়ে Master করার জন্য ফুল স্কলার শিপ পেয়েছি চলে যাবো কবিতা
শ্যামল বলে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ চুপ, দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ পরে কবিতা
বলে, শ্যামল আমিও ফিরে যাচ্ছি আমার দেশে আজ স্বাধীন বাংলাদেশে।
অনেকক্ষণ ধরে আমার চুপ করে বসে থাকা, একসাথে পথ চলা পরস্পরের
সাথে সম্পর্ক ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল তবু !
No comments:
Post a Comment