Thursday, 24 August 2017

সোহিনী তোমার প্রতীক্ষায় রয়েছি

সোহিনী তোমার প্রতীক্ষায় রয়েছি

শ্যামল সোম

পরস্পরের সান্নিধ্যে আঙুলে আঙুল,
স্পর্শে শিহরিত আলোড়িত দুজনার মন
পরস্পরের দিকে অপলক দৃষ্টি আকর্ষণ।
তাকিয়েছিলাম ধানমন্ডির লেকের ধারে
ঘনিষ্ঠ হয়ে পাশাপাশি বসে বহুবছর আগে,
তোমার ঐ কাঁচের চুরি পরা হাত জড়িয়ে--
আমার গলা, উন্মূখ দু জোড়া ঠোঁট ক্ষণিক
মুহূর্তের জন্য বিমোহিত  আমাদের দু পলের
প্রণয়, হঠাৎই সম্ভিত ফিরে পাওয়া রাঙাঠোঁট
মুছে, মৃদুস্বরে " পাগলা" কটাক্ষপাত, ভ্রূকুটি।
পাগলি বলে ডাকতেই আবেগে থরথর কাঁপন
পরস্পরে গভীর আলিঙ্গনে ছিলাম সে বহুক্ষণ
এই জানো আজও তোমার শরীরের ঘ্রাণ পাই
বৃষ্টিস্নাত গোধূলির লগ্নে বেহেস্তের নূর আমি,
দেখি নাই ;  তোমাকে দেখে ছিলেম পরণে নীল
ঢাকাই জামদানী সূক্ষ্ম কারুকার্য করা হাতাওয়ালা
ব্লাউজ, লম্বা চুলের জরীর ফিতে, তোমার দুচোখে
সুর্মা ঐ কি সুরমা নদীর সিলেট যাওয়ার পথে।
দেখেই প্রেম, ঠিক একুশে ভাষা শহীদের স্মরণে,
হঠাই তোমাকে ফুলের মুকুট পড়া শেষের কবিতা।
লাবণ্যকে দেখেই পরস্পরের চোখে চোখ পড়তেই
ভূমিকম্প স্পন্দনে অনুরোরণে শাশ্বত ভালোবাসা।
এই জানো সোহিনী তোমার কথা ভাবলেই চোখ
ঝাপসা হয়ে আসে তখন চারদিক গাঢ় অন্ধকার
গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন কাব্যে জীবন যাপন  একাকীত্ব
মাঝে মাঝেই বিনিদ্র নির্জন রাতে মৃত্যুর পদধ্বনি শুনি,
কেন এমন হয়, বাজে তোমার পায়ের নূপুরের ধ্বনি।

No comments:

Post a Comment