আমার প্রেমিকা কবিতা
শ্যামল সোম
আমি কবিতার নগ্ন রূপ দেখে আনন্দ পাই
শব্দের ছন্দে ছন্দে কবিতার পায়ের নূপুরের
ধ্বনি হৃদয়ের কাছাকাছি এসে রসে ভরপুর।
আমার ভীষণ প্রিয় আপন স্বজন এসে সুর
সুরে সুরে দূরে কোথায় দূরে দূরে স্বপ্নপুর
এ এক চিরন্তন ভালোবাসা তুমি কৈশোরের
সঙ্গিনী প্রেমিকা ছাদের চিলেকোঠার ঘরে,
অষ্টাদশী রুমি ওষ্ঠ তপ্ত ঠোঁট ঠোঁট ফাঁক করে
পরস্পরের জিব দিয়ে লেহন করি পরস্পর।
নগ্ন উত্তাল দেহ উতপ্ত তন্ত্রী দেহের শিরায়
শিরায় রক্তের গভীরে আনন্দ কাব্য স্রোত
হিয়ায় মাঝে ভালোবাসার নদী বহে যায়।
কামনায় বল্গাহীন মন ব্যাকুল হয়ে ছুটে এসে
সমুদের ঢেউয়ের মতো আছড়ে আঁকরে ধরে,
নিবিড় আলিঙ্গনে চুম্বন চুম্বন রক্তাক্ত ঠোঁটে
কামড়ে ধরে বুকে লুকিয়ে মুখ থরথর কাঁপে।
তোমার দেহ হতে জুঁই ফুলের ঘ্রাণ অঙ্গে অঙ্গে
মিলনের বসন্ত বাহার সুরে ফিরে যাই যৌবনে,
পুষ্প জুঁই কিশোরী কবিতা আমার উন্মুক্ত করে
বসন একে একে অপরকে নগ্ন দেহ পরস্পরের
সাথে জড়িয়ে কাব্যিক তিতিক্ষা প্রতীক্ষা সর্বক্ষণ
প্রেমের কাননের মালিনী শুভকাঙ্খী তুমি কবিতা
তোমার কাব্য নদীতে অবগাহন স্নান করছি উষ্ণতা,
বেড়ে যায় স্পন্দনে অনুরাগের ছোঁয়ায় রাঙা ওঠে
তোমার মুখ মিলনের উন্মুখ নগ্ন স্তনবৃন্ত জুঁই কুড়িতে
চুম্বন কবিতা তোমার সারা দেহ চুম্বনে লেহন করছি ।
নাভিমূল শিমূল পলাশ ভেজা হিমেল বাতাস বইছে
হু হু করে কীতৃনখোলা নদীর পাড়ে তৃন শয্যায় উন্মুখ
আমাদের পরস্পরের সাথে উত্তীর্ণ শরীরের বিভিন্ন
চৌষটি কামকলায় খাজুরাহোর মৈথুন মিলনে আনন্দে
শিহরণ শিহরিত হই দুজনে স্বপ্নে দেহে সন্তরণে শরীরের
সিঁড়ি বেয়ে টপ টপ করে ঝরছিল সুখের শিশির বিন্দু বিন্দু
যোনিপথে যাওয়া আসার সুখের উল্লাসে শিৎকার ধ্বনি।
চরম মূহুর্তে সংঘর্ষে গ্রহে হতে গ্রহান্তরে উল্কা বেগে ছুটে
চলা কবিতা তোমার মায়াবিনী প্রনয় কালে তোমার চোখে
আবেশে পলক মুদে অনুভবে শিরশির কম্পন ভূমিকম্প,
অনুভূত সুখের নির্যাস একসাথেই কামলাফা উদগীড়ণ
ক্লান্ত শরীরে আগন্তুক আমি তোমার নগ্ন স্তন জানু যোনির
তোমার বুকে আমার নগ্ন শরীর সুস্থ সবল ও সক্রিয় দেহ
শুয়ে বিশ্রাম নেয়, মিলনে আনন্দে আপ্লুত মগ্নতায় ভরে মন
আমার তোমার দেহ শৈল্পিক নান্দনিক চিত্রকল্প ভাস্কর্য গড়ে
খাজুরাহোর মৈথুন রতা উলঙ্গ শরীরে আগন্তুক আমি পড়ে
আছি শরণার্থী মতন ভালোবেসে তোমাকে আলিঙ্গনে চুম্বন।
No comments:
Post a Comment