কথা মানবী ( একা নারী বিভিন্ন চরিত্রে একক অভিনয় )
শ্যামল সোম
প্রাক ঐতিহাসিক সেই প্রস্তর যুগে
যুগান্তর গোষ্ঠী বদ্ধ যাযাবর জীবন।
থেকেই গৃহপালিত জন্তু জানোয়ারের
মতন নারী পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের
পণ্যবাহি, ক্রীতদাসী কামিনী তখন
বিবাহ প্রথা ছিলো না, পুরুষের কামনা
চরিতার্থ করতে যে কোন নারী নির্বিশেষে
ভোগের জন্য যেন বলি প্রদত্ত নিরন্তর
ধর্ষিতা ধর্ষণ যেন নারীর জীবন অবান্তর।
প্রচীন যুগ থেকে এই এক বিংশ শতাব্দী
সভ্যতা ও সংস্কৃতি আজ কি এই পরিণতি?
পরিসংখ্যান নেই প্রতিদিন কত শত শিশু
কিশোরী যুবতী বৃদ্ধাদের প্রতি যৌন নিগ্রহ,
ছেলে বন্ধু, প্রেমিক,স্বামী, পুত্র সন্তানের
হাতে দিন দিন প্রতিদিন প্রতি নিয়ত জননী
ভগ্নী কন্যা নাতনি নিদ্রা হীন আতংকে কাটে
দিন রাত বাড়লে আসবে শয়তান জানোয়ারের
দল বেঁধে ঘুরছে কাকে কখন পাঁজাকোলা করে
তুলে নিয়ে গণ ধর্ষণের উল্লাসে আগুন জ্বালা।
চলছে নারী পুরুষের পুরুষের ভোগের সামগ্রী
ধর্ষণ ধর্ষণ আজ বিলক্ষণ উৎসব এই গণধর্ষণ !
নারী শিশুদের ও রেহাই নেই, তবু নারী ভালোবাসে
কাছে আসে প্রেম করে সন্তান প্রসব করে মাতৃ স্তন
দানে প্রতিপালনে মমতায় স্নেহে দৈনন্দিন জীবনের
চলার পথে চলেছে নারীর একান্ত আপন নৈরাশ্য
বিপন্ন মগ্নতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানবিকতা!।
এত ঘটমান হলে মনে হতে পারে অনেকেরই বিকৃত
মনস্ক মানুষদের মনে হতে এ সব লেখা পাগলের
প্রলয় প্রলাপ কথন ক্ষমা করবেন আপনারা সুধীজন।
আমার পরম শ্রদ্ধেয়া ভীষণ প্রিয় কবি সাহিত্যিক জ্ঞানী
প্রাবন্ধিক নারী শিক্ষা প্রসার ও ভারতীয় হিন্দু মুসলমান
নারীদের প্রতি নিয়ত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
শুরু হয়ে যায় হৃদয়ে চাপা ক্রন্দন ধ্বনি বুকের জমাট হিম শীতল
তটস্থ সন্ত্রস্ত ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে রয়েছি খোমটা বা
বোরখা আড়াল থেকে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠার পূর্ব এই
বাল্য বিবাহ গর্ভধারিণী দৈননিদন সাংসারিক জীবনের
যাবতীয় কঠোর পরিশ্রম নিয়মে শৃঙ্খলে অলংকরণ
শৃঙ্খলিত নারী পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে ধারক বাহকের
আদেশ মোতাবেক কার্যকলাপের সম্পূর্ণ সমর্পণ করে
ক্রীতদাসী কখন বিকৃত অনুশসান সামাজিক লোকাচার
চির কাল নারী অবরোবাসিনী হয়ে আজ রয়েছেন
নানা আঙ্গিকে একবিংশ শতাব্দীতে এসে দাঁড়িয়ে
দেখতে নুতন সূর্যোদ্বয় প্রাক্কালে আকাশে নব আলো
ছড়িয়ে পড়ছে এই কবা সাহিত্যিক সমাজ সেবিকা
পৈত্রিক বাসগৃহ জরাজীর্ণ ভাঙা দেওয়ালের আড়াল থেকে নারী
জগরণের নব অরুণদ্বয় পথে এগিয়ে যাচ্ছে নদী সবরূপ
নারী নানা দ্বন্দ্ব অবসান ঘটিয় মহীয়সী কিংবদন্তি ইতিহাসের
পাতায় তাঁর নাম স্বর্ণ অক্ষরে লেখা রয়েছে, তাঁর অবদান
অনস্বীকার্য তাঁর দর্শন এ অনুপ্রাণিত হহয়ে সকল
বাধা বিপত্তি সকল আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা
করে মানসিক দ্বন্দ্ব কটিয়ে মনে প্রাণে দৃঢ় প্রত্যয়।
সংকলিত হয়েছে
আমরা বহুকাল হইতে দাসীপনা করিতে করিতে দাসীত্বে অভ্যস্ত হইয়া পড়িয়াছি। ক্রমে পুরুষরা আমাদের মনকে পর্য্যন্ত দাস করিয়া ফেলিয়াছে।... তাহারা ভূস্বামী গৃহস্বামী প্রভৃতি হইতে হইতে আমাদের "স্বামী" হইয়া উঠিয়াছেন।... আর এই যে আমাদের অলঙ্কারগুলি– এগুলি দাসত্বের নিদর্শন। ... কারাগারে বন্দিগণ লৌহনির্ম্মিত বেড়ী পরে, আমরা স্বর্ণ রৌপ্যের বেড়ী পরিয়া বলি "মল পরিয়াছি। উহাদের হাতকড়ী লৌহনির্ম্মিত, আমাদের হাতকড়ী স্বর্ণ বা রৌপ্যনির্ম্মিত "চুড়ি!"... অশ্ব হস্তী প্রভৃতি পশু লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে, সেইরূপ আমরা স্বর্ণশৃঙ্খলে কণ্ঠ শোভিত করিয়া বলি "হার পরিয়াছি!" গো-স্বামী বলদের নাসিকা বিদ্ধ করিয়া "নাকা দড়ী" পরায়, আমাদের স্বামী আমাদের নাকে "নোলক" পরাইয়াছেন। অতএব দেখিলে ভগিনি, আমাদের ঐ বহুমূল্য অলঙ্কারগুলি দাসত্বের নিদর্শন ব্যতীত আর কিছুই!"... অশ্ব হস্তী প্রভৃতি পশু লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে, সেইরূপ আমরা স্বর্ণশৃঙ্খলে কণ্ঠ শোভিত করিয়া বলি "হার পরিয়াছি!" গো-স্বামী বলদের নাসিকা বিদ্ধ করিয়া "নাকা দড়ী" পরায়, আমাদের স্বামী আমাদের নাকে "নোলক" পরাইয়াছেন। অতএব দেখিলে ভগিনি, আমাদের ঐ বহুমূল্য অলঙ্কারগুলি দাসত্বের নিদর্শন ব্যতীত আর কিছুই নহে! ... অভ্যাসের কি অপার মহিমা! দাসত্বে অভ্যাস হইয়াছে বলিয়া দাসত্বসূচক গহনাও ভালো লাগে। অহিফেন তিক্ত হইলেও আফিংচির অতি প্রিয় সামগ্রী। মাদক দ্রব্যে যতই সর্বনাশ হউক না কেন, মাতাল তাহা ছাড়িতে চাহে না। সেইরূপ আমরা অঙ্গে দাসত্বের নিদর্শন ধারণ করিয়াও আপনাকে গৌরবান্বিতা মনে করি। ... হিন্দুমতে সধবা স্ত্রীলোকের কেশকর্ত্তন নিষিদ্ধ কেন? সধবানারীর স্বামী ক্রুদ্ধ হইলে স্ত্রীর সুদীর্ঘ কুম্ভলদাম হস্তে জড়াইয়া ধরিয়া উত্তম মধ্যম দিতে পারিবে। ... ধিক আমাদিগকে!আমরা আশৈশব এই চুলের কত যত্ন করি! কি চমৎকার সৌন্দর্য্যজ্ঞান!
আমার দূর্গা কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত,
কলমের শাণিত হাতিয়ার, ঘৃণ্য সুপ্ত
যৌন অত্যাচারে বীরপুরুষের নির্লিপ্ততা
রাজসভায় দ্রোপতি নগ্ন শরীর দর্শনের
বাসনায় লালসায় হিংস্র জন্তু উদাসীন।
আমার দূর্গা সুফিয়া কামাল মানুষের
ব্যথা, সমাজের অবহেলিতাদের কথা
লেখা আজও স্মরণীয়তম কথাশিল্পী
মনিপুরের মা, স্তন সূর্য দায়িনী জননী,
তিন তালাক উচচারণে সন্তান নিয়ে এই
পুরুষ তান্ত্রিক সামাজিক বিধানে গৃহহীন।
আমার দূর্গা বারবনিতা পুরুষে মনোরঞ্জন
চোখে কাজল এঁকে প্রতি রাতে বাসর শয্যা,
যৌন কর্মী বেআইনি পাড়া খাল পারে লজ্জা।
আমার দূর্গা গণ ধর্ষণে বিচারষ নাহি পায়,
আমার দূর্গা আজ লাঞ্ছিতা ঘরে সংসারে
জননীরা নিয়ত পুত্র সন্তানদের অত্যাচারে ,
আমার দূর্গা স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলা
অসহায় একটু আশ্রয় খোঁজে সন্তরণে ঢোবে।
পাড়ায় পাড়ায় মঙ্গলা বাসুন মাজে ঘরে মোজে
ঘরে নব বঁধু পণের বলি, আত্মহত্যা করে ফাঁসে।
আমার দূর্গা প্রকাশ্যে রাজ রাতে পথে নির্যাতিতা,
বিতারিতা জননী পথে পথে হাঁটে একটু আশ্রয়
খোঁজে, বাংলাদেশে আমার দূর্গা তিনি রাষ্ট্র
শাসন করে, দেশ বিদেশের বাণিজ্য,শিল্প গঠন,
শিল্প ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতি মমনেচিন্তন
মায়ের মতন শাসন করে, সে মমতাময়ী, জননী
মা মাটি মানুষের জন নেত্রী এ বাংলায় জমিনে
তিন স্তর থেকে ফোটাতে চান ফুল ফুলে ঢলে
ঢলে ফুলে ভরা থাক সম্প্রীতি সহমর্মিতা প্রেম।
ভালোবাসার নেয় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেণ,
" ধর্ম যে যার উৎসব সবার " সবার উপরে
মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই, মন ছুঁয়ে যায়
আমার দূর্গা কবি কৃষ্ণা বোস যখন উদাত্ত
দীপ্ত কন্ঠে নিজের কবিতা নিজেই আবৃত্তি
করেন, মেয়ে মানুষের লাশ, ফুল্লরার বার
মান্য মাস আমার দূর্গা স্বামী বিতারিতা হন
আপন সন্তান নিয়ে আপন জীবন সংগ্রামে
একা একা সন্তানের তরে পিচ্ছিল পথে চলে।
আদরিনী
কালো মেয়ে কালো হরিণী চোখ
চোখে অতল জলে মায়াবিনী মুখ,
এ মেয়ে ঠিক যেন মোমের পুতুল
ঘন মেঘ কালো কোঁকড়ানো চুল
আহাফোলা ফোলা তুলতুলে গাল
আদরে আদরে গাল হতো লাল।
মা মরা মেয়ে, বাপ মোদো মাতাল
দিদা মামার সংসারে বড় অনাদরে
আধ পেটা খাওয়া তবুও প্রকৃতির
আপন খেয়ালে দেহ বাড় বেড়েছে।
গায়ে গতের কখন আলুর চপ খেয়ে
কখন চকলেট লজেন্স লোভে পড়ে
চুপিচুপি আদরের ছলে বলে কৌশলে,
শৈশবে কোলে তুলে আদরে কোলে
বসেই কত আদর মাঝে মধ্যে সে মেয়ে
শৈশবে ঐ নিগ্রহে আঁচড় লাগতো ব্যথা
কঁকিয়ে উঠে আদরে আদরে আলিঙ্গনে
চুম্বনে আস্বাদন তখন সবেকৈশোরে পা,
রেখেছে সবে শুরু হলো আদরের ঠেলা
ঠেলি, চু কিত কিত, লুকোচুরি খেলা গুরু
হলো নির্জন দুপুর বৃষ্টি ঝরা বর্ষা বিকেলে
গম্ভীর আওয়াজ ডাক ছিল মেঘ, গর্জন
তুমুল ঝর বাদলে অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি
বৃষ্টি স্নাত সে রাতে ঝোপে আড়ালে রক্ত
রক্তে অক্ষরে অক্ষরে লেখা হচ্ছে ধর্ষণ
আবহমান কালের নারীর প্রতি নির্যাতন।
অবমাননার ও অত্যাচারের বাকি আছে
আরো শতসহস্র বছরের বাকি ইতিহাস।
যৌন নির্যাতনের সহিংসতা গ্লানিময় জীবন
পশুর অধম চিরকালের বিকৃত মনস্ক পাশব
শয়তানের আনন্দ উল্লাস গণধর্ষণে উল্লাস
জনৈকা কিশোরের মৃত্যু খবরের কাগজে
পাতায় শিরোনামে, ধিক্কার জানায় সবাই
টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে কত প্রচারিত হয়।
মোমের পুতুলের জন্য পথে পথে হাঁটে হাঁটে
জনতার হাতে নিয়ে জ্বলন্ত মোমবাতির মিছিল।
আগুনের পাখি
আমি নারী প্রাণেরও আশা ছেড়ে
প্রেমে জেনে শুনে বিষ করেছি পান
কি সুখুর আশায় পুরুষকে কেন চান
লোভে পাপ পাপে মৃত্যু চেতনা সচেতন
মহান আল্লাহ্ প্রভুর কাছে কি কৈফিয়ত ?
সত্য যা উদ্ভাসিত শেষের বিচারে শাস্তি
ভয় নেই বিষাক্ত পতঙ্গে হুল ফোঁটায়
তখন তৃণ শয্যায় উন্নীত পৌরুষ বিদ্ধ করে
চুম্বনে আলিঙ্গনে অসহ্য যাতনায় কত সুখ।
প্রস্ফুটিত নব্য যুবতী দলিত ফুলে ফেঁপে
জ্ঞান হারায় কখন মৃত্যু হয় এসিডে পোড়ে
হায় নারী নির্যাতন সহে যুগে যুখ হারায়েছো
প্রতিরোধের ক্ষমতা বোরখা খোমটার রয়েছো।
এক বুক ভালোবাসার নদী জমাট বরফ হয়ছে
যুগে যুগে মহাকাব্যে ইতিহাসের মহাভারতে নারী।
প্রাক ঐতিহাসিক যুগের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বিধ্বংসী
আক্রমণে লুণ্ঠিত গৃত পালিতত পশু আর নারী।
একবিংশ শতাব্দীর সূচনা পর্বে মাদ্রাসায় স্কুলে
সত্যই কি কখন অঘটন ঘটে ? গ্রামে ঝোপ ঝাড়ে,
শহরে পার্কে গিয়ে প্রেমিককের সাথে হোটেলে
ফিরে পয়াতি অবস্থায় আততায়ীর হাতে মৃত্যু খুন
আত্মমগ্ন আত্ম গ্লানি আগুনে পুড়িয়ে নিজেকে
ভালোবাসা পিয়াসী মন গোনে আমরণ মাশুল
দিতে ক্লান্ত!নারী পুরুষকে পেতে সাজো রঙিন
প্রজাপতি পতঙ্গ ভ্রমর কাছে কেন ভালোবাসা
আশায় বুক বেঁধে থাকে কার প্রতীক্ষায় থাকে ?
পোড়ার মুখির পোড়া কপাল
গাঁয়ের মেয়ে বাপ ছুতোর কাজে
অভাব দরিদ্র পরিবারের কাল হল
আলো করা রূপ নিয়ে জন্মানো এ
উপরওয়ালা মর্জি মোতাবেক হয়।
মা আদর কে প্রথম কন্যা সন্তান
নাম রেখেছিল অভাগি ভাল নাম
দিলেন বাবা চন্দ্রা, পূর্ণিমা জোছনা
অভাগি সারা দেহে লাবণ্য অর্পনা ।
দেহের গঠন উদ্ধত যৌবন আগুন
বন্যা রূপে মুগ্ধ তাকিয়ে দেখত না
গোগ্রাসে গিলতো ঠোঁট নিজে জিব
চাটতো, আকারে ইঙ্গিতে কটু দৃষ্টি
অশোভন আচরণে কন্যা বিব্রত হত।
ভীড়ের মধ্যে মেলায় জানোয়ারের
কদর্য বিকৃত মনস্ক পুরুষদের তপ্ত
হাতের মুঠোয় নিষিদ্ধ ছবি স্তন হাত।
গায়ের ওড়ানা টেনে নিয়েছে কেঁড়ে
মেলায় বাপের সামনেই টানাটানি
গোয়ালের গরুর এ যেন ঝনঝনি।
যেই না ফোঁস করে উঠেছে কন্যা
ভোজালির আঘাতে রক্তের বন্যা
লুটিয়ে পড়লেন বাপ, পাঁজাকোলা
করে পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে তুলতে
বাঁশের ঝোপে হাত টানতেই অভাগি
শাড়ির আড়ালে থেকে হাঁসুয়া কোপ
দিতেই মূহুর্তে পুরুষের অপছন্দ এসিডে
ছুঁড়ে ঝলসে দিল মুখ অসহ্য জ্বলনে,
করুন আর্তনাদে শুনে মেলা ছেড়ে সব
লোকে মেয়ে বউ নিয়ে পালাচ্ছে সন্ত্রাস
ভয়ার্ত ভিত, ক্ষুধার্ত নেকড়ের দংশনে,
ক্ষত বিক্ষত হয়ে ধর্ষিতা হতে কে চায় ?।
গণধর্ষণ এখন পৈশাচিক উৎসবে হর্ষ।
এসিডে ঝলসে অভাগি এই কি ভবিতব্য
তিন মাস হাসপাতালে থেকে ফিরে ভাবে
কলেজ দরজা বন্ধ পথ কি আত্মহনন ?
নগ্ন শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে দাউ দাউ
করে পুড়ছে অভাগি মন্দির আর মসজিদ
খোলা বিশাল ভুবনডাঙা মাঠে ধোঁয়া উঠছে
ঐ নীল আকাশে ঘূর্ণী বাতাসে নারীর পোড়া দেহ।
নারীর অভিশপ্ত জীবন দহন
নারীদের একা একা সন্তান প্রতিপালন সেবা যত্ন
ও স্বজন সংসার নানা কাজে কর্মে সন্তুষ্ট করতে,
দিনরাত চলে পরিশ্রম, মনের দোসর নেই সমব্যথী
কেউ নেই, বুকের মধ্যে যত চেপে রাখা শত গোপন,
কথা শত দূঃখ যন্ত্রনা মন ভোলাবার সান্তনা দেবার
কেউ নেই,সবাই হাস্যাস্পদ ঠাট্টা করে বন্ধু নয় এরা,
" কেন এত কস্ট হচ্ছে গো বুকে মাঝে ব্যথা বেদনা,
হলে গো জুড়াবে কোথায় বলো, সহমর্মিতা সহানুভূতি,
প্রকাশে অনীহা এড়িয়ে যায় সকলে, ভালোবাসা বিহীন
ছলে বলে দেহে দখল চায়, বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে সে এসে
সমবেদনা ভানে মোহময় মায়াময় কাব্যময়তায় ঐ জালে
মশাল জ্বলন দহনে এদের চরিত্রে সন্দেহ কৌশলে ফাঁদে
নানা লালসা অভীপ্সা নানা প্রলোভন উন্মাদ প্রলয় বলে,
পাপের প্লাবন বাঁধ ভাঙা বন্যা স্রোতে দখল নেবো সব।
তখন বস্তি বা সুরম্য অট্টালিকা সাজানো ঘরে খাল পারে
নষ্ট মেয়েদের যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুমুঠো ভাতের
জন্য আঁধারে জীবন, এই সামাজিক অবক্ষয়ে নৈরাশ্যের
অন্ধকারে এ প্রাণ নিমজ্জিত বহু নারীর আকাঙ্খা প্রেমের
স্বপ্ন পুরণ হয় না,অভিশপ্ত জীবনের অন্তরালে নারীর হৃদয়,
প্রয়াসী মন অবসরে বিনিদ্ররাতে নীরবে নিভৃতে অশ্রুমোচন।
লক্ষ লক্ষ প্রবাসী বিদেশে কর্ম রত বহু স্বামী স্ত্রী উপোসী ক্ষণ
দেহ ও মন ছুঁয়ে যায় কাব্য প্রেমে পড়ে স্বপ্নের রঙিম অক্ষরে,
অক্ষরে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কাব্যময় বাঙ্ময় অলংকরণ।
সই এই তো মেয়ে মানুষের জীবন
সই সেই শৈশবের মেয়ে বেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় লড়াই,
কী ভাবে কী উপায়ে এই সদ্য কুঁড়ি ফোঁটা নধর নরম পেলব এই
মেয়ে মানুষের শরীরকে স্বাপদের থাবা থেকে আড়ালে রাখা যায়?
আত্মীয় স্বজন পাড়া প ড়শী গাঁয়ের মাতব্বর, শহরের মাস্তান,
এমন কী জন্মদাতা ও শিকারী শেয়ালের মত লোলুভ দৃ ষ্ঠি নিয়ে,
অসহায়তার দূর্বলতার সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে থাকে !
স্তুতি, প্রশংসা, কত কাব্য, আকাশ কুসুম স্বপ্নের জাল বোনা বিবাহের
প্রতিশ্রুতি বিনিময়ে বিনা পারিশ্রমিকে অন্ন্ত সহবাস, বিচারের
আদেশে ধর্ষকের সাথে বিবাহের প্রবিত্র বন্ধন, শ্বশুরের পাশবিকতায়
স্বামী হয়ে যায় পুত্র !
মুখ ফসকে যদি তিনবার উচ্চারিত হয় ভয়ংকর
একটি শপথ বাক্য ! চিরকালের মত শেষ হয়ে যায় স্বর্গিয় প্রেম
বিবাহের মহা প্রবিত্র বন্ধন ।
সই এ কেমন মেয়ে মানুষের জীবন ?
তার নিজের জীবন কী ভাবে
ব্যয়িত হবে তা নিঃধারন করবেন পুরুষ ত্রান্তিক সমাজ এই বিধান
সেই প্রাক ঐতিহাসিক যুগ যুগান্তর ধরে আবহমান কাল ধরে চলে
আসছে।
পুরাণে দ্রোপতীর কোন প্রতিবাদ করার কোন অধিকার ছিলো না
আজ ও নেই তাই পারিবারিক স্ন্মানার্থে নিঃশংস খুন ভ্রূণ হত্যা !
কী অনুশাসন সময় বিশেষে শোষণ, সামাজিক পারিবারিক ফোতয়া।
বিধান সেই সুপ্রাচীনকালেও কুলীন ব্রাক্ষ্মণের একশত বিবাহের ছিল অধিকার।
দুই তিনটে বউ পোষা ক্ষ্যামতা থাকলে সে ঐ কুকুর পোষার সামিল ক্ষমতাবান
পৌরুষের লক্ষণ তিনি সমাজে রাস্ট্রের খুব বাহ্ববা পেয়ে থাকেন।
সই আজ থাক ভাই ! আড়ালে কে জানে শুনছে ক'জন, মাতাল
লম্পট জুয়ারী অন্নদাতা পরম পূজোনিয় স্বামী শুনলে মেরে পিঠের
ছাল ছাড়িয়ে নেবে তাই চুপ করে সন্তান ধারণ রন্ধন সৌন্দর্যময়ীই
নারী সুখী গৃহকোণ শোভা বর্ধন করে,
আয় ভাই চোখের জল ও চোখেই
যাবে শুকিয়ে; নানা ভাবে ঘসে মেজে শরীরটা সাজিয়ে তুলতে হবে
সাজুগুজু না করলে কপালে দুর্ভোগ আছে তোর !
ও বাবা এইতো---
সোজা সরল গরল পান করে আয় এ ভাবেই- কাটিয়ে যাই এ দেশে,
বিদেশে সন্ত্রস্ত হেনস্থার সীমাহীন, মেয়ে মানুষের জীবন।
ছুটতে ছুটতে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক
অতি বড় গুছুনি সে না পায় ঘর
অতি বড় সুন্দরী যে না পায় বর।
ঘর দোর সাজিয়ে গুছিয় রাখা,
বাপের সংসারে মা মাসি এত শাখা
প্রশাখা হাত বাড়িয়ে টেনে আদর
আদরে অস্থির চঞ্চল হরিণী ভাদর
কুকুর গুলো ঐ অল্প বয়েসে চাদর
চাপা দিয়ে দম বন্ধ হয়ে কেঁদে উঠি।
সেই যে শৈশবেই কান্না হলো শুরু,
স্কুলে পার্কে মেলার ভীড়ে দুরু দুরু
বুকে হাহাকার হাহুহুতাশ খাঁ খাঁ শুষ্ক
কৈশোরে লাঞ্ছনা নির্যাতন পশুমনস্ক
মুখে আই লভ ইউ বলে সব লুটেরা।
কলেজে পড়ার সময় ভালো লাগল
তাকে বয়সে বড় সুপুরুষ সুমিষ্ট স্বর
চোখের পাতায় চুমু খেতে খেতে বলে
" তোমার মায়াবী চোখে সমুদ্রের ঝড়
সেদিন গোধূলি লগ্নে প্রথম তোমাকে
দেখেই পড়ে গেছি এএক নদী গভীরে
প্রেমে উদভ্রান্ত বন্য উদ্দাম নৃত্য আনন্দে
সেই ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে ছুটে
ছুটতে ছুটতে এসে ট্রেনে উঠলাম চলেছি
অজানা অচেনা কত শত মানুষের চলেছি
শহর থেকে শহরে এ বন্দরে বিপন্ন জীবন।
প্রশ্ন করা নারীর অনধিকার চর্চা?
সাম্প্রতিক বিভিন্ন দেশে দেশে
সামাজিক অবক্ষয়ের পথে শেষে
ধাবিত হচ্ছে রসাতলে নিয়ে বহু
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
পুলিশের তদন্ত চলে দীর্ঘ দিন ধরে,
চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাঝেমধ্যে চলে
চ্যানেলে প্রচারিত হয় সংবাদ যত।
লেখা প্রতি বেদন পত্রে নারী শিশু
কিশোরী যুবতী যৌননিগ্রহ নির্যাতন
ঘরে ঘরে নিজেদের সংসার চলছে,
প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের
পোয়াতি প্রেমিকাকে খুন করা বা তখন
পালিয়ে যাওয়া সমুদ্রের ঢেউয়ে মতন
বারবার ফিরে এসে ভালোবেসে অসংখ্য
চোরাবালির স্রোতে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ।
প্রতারণা থামানো যাচ্ছে না আমি শুনি
কিশোরী আর্তনাদ অন্ধকারে চলে ভাঙা
বাড়িতে চলন্ত গাড়িতে বা বাসে রাতের ধর্ষণ।
প্রাণের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত নারীরা মানুষ নয়
মা বোন কন্যা জায়া নাতনির জন্য আন্তরিক
কি আশ্চর্য মুকবধীর উদাসীন দায় অস্বীকার
আইন আছেই, নির্লিপ্ত নীরব ভাগ্য মেনে
নেওয়া এই কি চিরস্থায়ী নারীদের অভিশপ্ত
জীবনের চলার পথে দুঃখের কত যুগ যুগান্তর
ধরে মাতৃ জাতির শত সহস্র এ লাঞ্ছনা প্রবঞ্চনা থেকে কবে
মুক্ত হবে।
কখন কেউ জানে না মাঝে টিভি চ্যানেল এই সব খবরটি পঠিত
হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে জামিনে ছাড়া পায়,
প্রতিক্ষণ কতজন ধর্ষিতা হন।
হিসেব পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়?
কত শত ধর্ষনে শিকার হন, প্রতি ঘন্টায়?
নারীদের পোশাক পরা উচিত ঢেকেঢুকে
না পড়ার জন্য কামার্ত পুরুষেরা গণধর্ষণে
অবশেষে পেট্রল ও ডিজেল ঢেলে আগুন
পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বহু ঘটনা ঘটেছে প্রতি
দিন দিন প্রতিদিন প্রতি নিয়ত যৌন কামনায়
প্লাবন প্রলয় প্লাবনে ভেসে যাক সভ্যতা সংকটে
ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতির সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন
ধারার চলচ্চিত্র তৈরি হোক লেখা হোক না কেন
আগুনের রক্তের অক্ষরে অক্ষরে লেখা পড়ে
বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে সমাজে কি সম্ভব হবে?
আত্মহনন না হত্যা?
ও কার লাশ কন্যা তোমার তাঁর,
আগুনে দগ্ধ পোড়া নগ্ন কিশোরী
চিত হয়ে শুয়ে বদ্ধ লাশকাটা ঘরে,
কি ছিলো কিশোরীর অপরাধ স্বরে
চিৎকার করে করেছিল তীব্র নিন্দা
প্রতিবাদ আগুনে পুড়ে যায় ক্রন্দন।
ধ্বনি, এই ভালোবাসি বলতে ক্রুদ্ধ
পুরোহিত ঋত্বিক এর বিরুদ্ধে ভাষা
প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রতি হিংস্রতায়
সাম্প্রতিক সামাজিক অবক্ষয়ের এ
পথে প্রবঞ্চনা লাঞ্ছনা ছলনায় রিক্ত
ক্ষত বিক্ষত প্রেম ভালোবাসা ঘৃণা ।
পরিবেশিত হয়েছে সত্যি দুঃখ কষ্টে
প্রকাশ বিবাহিত জীবন পোড়ে তাপে
পুটিয়াখালির গ্রামে কিশোরী গৃহবধূঁ
পারিবার পারস্পরিক বিষাক্তসম্পর্ক।
হে প্রভু ভেঙে যায় কি আছে উপায়?
মানুষ ও মানসী প্রতিকূল পরিবেশে
পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে পথ চলা
নেওয়া মতন আত্মবিশ্বাস, শুভ্রবিন্দু
শিশিরজেজা ঘাসেরাতের কিশোরীকে
মশালের আগুনে চলেছে গণধর্ষণ,
পরবর্তীতে প্রমান লোপাট করতে
জ্ঞানহারা অচৈতন্য অবস্থায় জবাই ।
লাশ শুয়ে আছে লাশকাঁটা একঘরে।
আগন জ্বালিয়ে দেয় শয়তান পুরুষ
বে ন্যায্য পাওনা থেকে পরিপূর্ণ নারী
হওয়ার বঞ্চিত হয়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে
নাপেরে আত্মহত্যা করে নাপুড়িয়ে দেয়।
কে বোঝে তাঁদের মনের ব্যথা অনুভবে
বেদনা নৈরাশ্য মুক্ত চিন্তা অপ্রকাশিত,
করার সামর্থ নেই তাই আত্ম উন্নয়ন নেই।
হায় হায় এ ও এক মেয়ে মানুষের জীবন
জুঁই জেমিনকে দেখেছি শৈশবে অভাবে
জামাল মদ মাতাল দাঁতাল শুয়োরের মত চেহারা
বাজারে গরুর মাংসের দোকানে কসাই কাজ কর্মে
পটু লম্বা ভোজালি না চওড়া ছুড়ি দিয়ে ফালা
ফালা করে কেটে কাঠের উপরে রেখে ঝপাঝপ
কোপ টুকরো টুকরো করে কাটতো গরুর মাংস।
ধর্মে যদি বিধান নেই মদ্যপান,কসাই জামাল কাজ শেষে
গভীর রাতে নেশায় বুঁদ হয়ে বিশাল গন্ডারের
মতন হেলতে দুলতে ফিরে বাসায় তারস্বরে চেঁচিয়ে উঠল
হাঁক ডাক " জাবেদা আদরে মাগী কার লগে পিরিত তোর ?
এত ডাকাডাকি করি কানে যায় না, মন কোথায় থাকে শালি
হারামজাদি!" চলছে কিল চড় থাপ্পড় লাথি মারতে থাকে,
বার বছরের ফুলের মতো সুন্দরী কিশোরী মেয়ে জুঁই ছুটে
আম্মাকে আড়াল করে কাঁপছে দেহ আবেগে থরথর কাঁপে,
তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ, " আম্মারে মারেন ক্যান রোজ রাতে
নেশা করেন পরম নাই দোজখে নরকে আগুনে পড়বেন,
আল্লাহ্ বিচার করবেন অন্যায় এই অত্যাচার নির্যাতন গুনা!
হিংস্র জানোয়ারের মতন ঝাঁপিয়ে পড়ে আব্বা জামাল, পৈশাচিক
আক্রোশে ফেটে পড়ে তাণ্ডব প্রলয় প্রবল প্রহার নাক মুখ দিয়ে
রক্ত রক্তাক্ত রক্তকরবী ফুলের মতন উঠোনে লুটিয়ে পড়ে আছে আত্মজা।
অদ্ভুত মহান স্রষ্টা প্রভুর লীলা জানমালের একমাত্র বোন জামিলা হতভাগীর
খুঁটিতে বাঁধা গোয়ালে দিন যাপন।
নারী কি গৃহপালিত প্রাণী এক গরু প্রসব করে বাছুর গোয়ালে হল শুরু
স্তনদানে বঞ্চিত আপন সন্তান বাছুর নিদারুণ কষ্টে স্তন টিপে টিপে গরুর
দুধ সেই দুধ বিক্রি করে চলছে সংসার,
বহু নানা জাতের একই নারীর জীবন যাপন সুখের আশায় ঘর সাজিয়ে মালতী
সাঁঝে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে তুলসি তলায়, মাথায় ঘোমটা টেনে প্রণাম গড়াগড়ি যায়।
যে সংসার নিজস্ব ঘরে বরের সাথে শয্যায় যখন ভালোবাসার জন্য উন্মুখ মন,
ঠিক তখনই স্বামী রতনের দাঁতাল শুয়োরের মত দংশনে ক্ষত বিক্ষত নগ্ন স্তনবৃন্ত,
রাতের পর চলে ধর্ষণ পরম পুজোনীয় স্বামী ঠিক ষাঁড় গুঁতোতে থাকে সহনশীলতা নারীর ভূষন।
জাবেদার পাকস্থলী প্রতি রাতে পদাঘতে অসুস্থ অবস্থায় মারা যায় বিনা চিকিৎসায়।
চোদ্দ বছরে জানমালের রূপবতী কন্যা আগুনের বন্যা লকলক লেলিহান শিখা চিরন্তন
ভালোবাসার ছোঁয়ায় শিহরিত হতে জুঁই চায়, জুঁই বুকে কুড়ি না ফুটতেই ভালোবেসে পালায়
পালিয়ে গিয়ে বিয়ে নিকা কবুলনামায় সাক্ষর জুঁই জেসমিন হক থেকে পরিপূর্ণ নারী ভাস্কর,
প্রেমিক স্বামী ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে ঐ সাতদিনেই, লম্পট কামুক ঠিক নিশানায় স্থির রেখে ব্যবসায়
নারীদের পাচার চক্রের দালাল জুঁইকে বেশ্যালয়ে জূঁইকে রেখে পালায় মোটা মুনাফা হয়েছে অর্জন।
কিছু কিছু লম্পট পুরুষ বহু যুগান্তর ধরে চলেছে, ঘূর্ণিপাক, ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত নারী দেহদানে অন্ন খোরাক
রসদে জুটবে দিন প্রতিদিন চারপাইয়ের খুঁটে বেঁধে আড়াই প্যাচ লগে তীব্র আর্তনাদ নিয়ত অসহ্য কাঁদে
নারী তুমি কি শুধুই গৃহপালিত অসহায় গরুর জীবন হাটে মাঠে ময়দানে নারী না গরু ব্যবসায়ীদের মূলধন ?
কাপুরুষ, না কাল পুরুষ মহাকালের বিচারের আশায় আশায় আছেন শতসহস্র নারী এই
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে প্রচলিত কতিপয় কুসংস্কার অভিশাপ অভিশপ্ত নারীদের সমাজ।