জনৈক ক্যাডারের আত্মকথা
শ্যামল সোম
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মে ছিলাম খাস কোলকাতার বিদেশী সকুলে পড়াশোনা আমোদে আহ্লাদে বিশাল ইমারত ব্যবসায়ী দাদা দিদি পরে আমি আদরের ছোট ছেলে শতসহসযকোটি পতির রমেন দত্ত কনিষ্ঠ পুত্র তরূন তারুনযের
প্রতিমূর্তি ডনবসকো স্কুলে দামি গাড়ি চড়ে যাওয়া পড়াশোনায় খুব মেধাবী দুষ্টুমি করে আমি খুবই আনন্দ পেতাম।
বস্কিং সাঁতার রোইংন নৌকা চালনা বাইক নিয়ে রাতে কোলকাতার বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে বনধু বান্ধবীদের
সাথে বাইকে চোড়ে বিশজন নানাকরসতে খেলা এই মৃত্যু মত্যু খেলা আরামবাগ থেকে পার্টির কমিটি মিটিং
জনসভা সফল শেষেষরাত দুটো সময় তিনটি গাড়ির কনভয় নিয়ে ফিরছেন সরকার রাজনৈতিক দেলে মহা সচিব
এক সময় দাপটে ট্রেরার নাম শুনে লোকে হূদ পিন্ড চমকে উঠতো বরুন সেন, গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় মুগধ নয়নে দেখছেন তাঁর ফেলে আসা দূরান্ত সাহসী যোদ্ধা হাতিয়ার দু পকেটে বোমা কোমরে বেল্ট দু সাইডে দুটা রিভালবার
কোনায় নটা অন্যটা ছয়টা মনেমনে বরুন সেন ঠিক করলেন ঐ এক মাথা ঝাঁকড়া চুল তীক্ষ্ম সাপের মতন দৃষ্টি
জিমে যাওয়া বলিলঠ গঠন তরুনেকে ডেকে পাঠালেন পরদিন নিজের পার্টির প্রধান কার্যালয়ের।
আমার শুরু হলো ভয়ংকর ভয়াবহতায় ভরা দুরন্ত সাহসের নির্ভীক কমান্ড ক্যাডার বাহিনী গঠন কলেজে
দলের পতাকা আর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র সংগঠন গুলি দখল করার লড়াই করতে কত রক্তপাত খুন জখম
পুলিশ গ্রেফতার করলেই নেতার নির্দেশে সসম্মানে ছেড়ে দিলো।
এসে গেছে ভোট চলছে পাড়ায় পাড়ায় বাড়ি বাড়ির দেওয়াল জুড়ে দলের প্রার্থীর নাম লিখন
এই দেওয়াল লিখন নিয়ে দলে দলে লড়াই করতে কত রক্তপাত খুন জখম করে ক্লান্ত হয়ে আকণ্ঠ মদয পান।
জঘম হলাম বা পায়ে সে রাতে একসান করে জিপে কে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ বুম্বা সাথে সংঘর্ষে
দু দলের গুলি বিনিময় খুন জখম হঠাৎ গুলি ছুটে এসে লাগলো আমার বাঁ পায়ে, আমাকে তোলে নিয়ে জিপ ছুটছে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে হার্ট ভালো নেই সিগরেট মদ্য পানে তৃষ্ণা মেটে না নারীর দেহ ভোগে
তৃপ্ত হয় না এ প্রাণ !
No comments:
Post a Comment