Friday, 21 June 2019

অতি বড় ঘরনি না পায় ঘর

অতি বড় ঘরনি  না পায় ঘর
অতি বড় সুন্দরী না পায় বর
বর যে এখন পর।

শ্যামল সোম

অধ্যাপক বাপ অনেক সাধ করে
কবি মানুষ বাড়ির নাম রেখেছিলেন
" ভালোবাসার কাব্যিক বাড়ি "
কবি পত্নী  তিনি নিজে কাব্য চর্চা করেন।
একমাত্র কন্যা মিষ্টি মেয়ে, সইদের প্রিয়
সাথে মিতালি নিতা ছাত্রী মেধাবী বিদুষী।
সুন্দরী, মনোরম পরিবেশে শান্তি নিবাসে,
বাবা মায়ের  বাগান বাড়িতে ছুটিতে এসে,
হঠাৎ প্রথম দেখা প্রেমে পড়লেন দীর্ঘকায়
সুপুরুষ এ যে সেই তাঁর এক স্বপ্নেররাজপুত্র।
বিশ্ব বিখ্যাত স্নামধন্য জ্ঞানি মহাগুনি স্বামী
ভালোবাসা পিয়াসী মন উন্মুখ হয়ে রয়েছে,
দেশ বিদেশী ভিজিটিং প্রফেসার হয়ে নানা
বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা আলোচনা গবেষণায়
দিন যায় বছর গড়ায় একা একা একাকীত্ব,
মাঝে লুকিয়ে মন বাপ মায়ের ভালোবাসায়,
স্নেহ মমতায় প্রতিপালন, বিবাহের পর দুই
কন্যার জননী বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পদ।
ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ প্রফেসার হেড অফ ডিন।
ভালোবাসার বাড়ি এককী বাস, লেখার অনন্ত
অবকাশ, তাঁদের দুই মেয়ে স্বামী বিদেশে বসবাস,
পড়াশোনা, ভালোবাসার বাড়ি হলো ছাড়াছাড়ি
আজও স্বপ্নের  ভালোবাসার বাড়ি,নিরবচ্ছিন্ন
একা কাছে শুধু স্মৃতি, নীতা আপন সাহিত্য জগতে
রম্য গল্প ও রম্য রচনা করেন তিনি একান্ত আবাস
ব্যক্ত এ  ভালোবাসার বাড়ি এককী করেন বসবাস,
আশ্চর্য হাসিখুশি তিনি, এখনও কিশোরীর উচ্ছাস।

মনের মানুষ কোথায় গেলে পাই

মনের মানুষ কোথায় গেলে পাই

শ্যামল সোম

মনের সে মানুষের খোঁজে রয়েছি
খুঁজে খুঁজে এ কোলকাতায় খুঁজছি,
জেলায় জেলায় ঘুরতে ঘুরতে এক
নদীর সাথে দেখা ময়ূরাক্ষী তুমি কি
বলবে প্রতিভাময়ী বিদুষী সুন্দরী যে
ভালো মনের মানুষ কোথায় গেলে পাই ?
ভালোবাসা মর্ম, সহমর্মিতা স্নেহ প্রেমমায়ী
কখন সে হবে জননী বা ভগ্নী কিংবা ধরো
আদরের নাতনি তার ঐ চোখে দুরন্ত সাহস,
অথচ মায়াবী চোখে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে
পড়ে মুগ্ধ মনে আমার মনের অতল গহ্বরে।
হাজার কবিতা ভাসে  নীলআকাশে নীলিমায়
গালে থাকবে তিল তিলোত্তমা কেশবতী বন্যায়,
তিনি কাব্য লিখনে পারদর্শিনী, অপূর্ব কন্ঠে গান,
যার গান শুনে, আমার প্রাণ হবে যে আনচান।
ভালোবাসা পিয়াসী মন উন্মুখ হয়ে যে রয়েছে
এমন মনের মানুষ কোথায় কি আড়ালে আছে ?

মুখোশে ঢাকা মুখ

মুখোশে ঢাকা মুখ

শ্যামল সোম

অতসীর আজও স্বপ্ন মনে হয় অতনুর সাথে নন্দার জন্মদিনে আলাপ
নন্দার মাসতুত দাদা খড়গপুর আই আই টি পাশ করে বিদেশী কোম্পানির
সল্টলেকে সেক্টর ফাইবে ককনিজেন্ট কোম্পানির এক্সিকিউটিভ অফিসার
অতনু কোলকাতার নামি রেঁসতোরায় ননদার জন্মদিনে পার্টির আয়োজন
করেছেন।
অতসীর পরণে বাসন্তী রঙে মধুবনি কারুকার্য খচিত  আঁকা তসরের শাড়ি
লম্বা বিনুনি জূঁই ফুলের মালা গলায় হীরের পেনডেন অসম্ভব বিদুষী সুন্দরী
রূপে গুনে কন্যা আগুনের বন্যা, হঠাৎ হেসে ওঠে মনে পড় যায়, সেই প্রবাদ
বাক্য " অতি বড় সুন্দরী না পায় বর, "  তিন মাসের কোর্টশিপ বিবাহ হয় গেলো।
আশ্চর্য হাসিখুশি আনন্দে আত্মহারা হয়ে কলেজে লেকচার পদে থেকেও সমুদ্রে
ঢেউয়ের সাথে অতনুর কোলে কিশোরী মেয়ের মতন উত্তাল ঢেউ আছড়ে ভাসায়
ভালোবাসায় অতনু গলা জড়িয়ে বুকে গভীরে মুখ লুকিয়ে অনুভবে উচ্ছাসিত সে।
পরের বছর হিমালয়ের দুর্গম উপত্যকায় সিকিমে আপার পেলিং , লাচুন রাঙামাটি
স্বপ্নে সোহাগে আদরে গলে গলে পড়ছে সুখী এক ঝর্না মতন ঝরে পড়ছে, তাঁরমত
রাশভারি বদ মেজাজি অহংকারী রূপে গুনে মৃদু ভাষি অতসীকে দেখে সবাই অবাক,
এত প্রাণবন্ত অন্তরীক্ষে অন্তর্মুখী অতসীকে দেখে ভাবতো অতসী মুখোশ খুলে ফেলেছে।

অতনু ভট্টাচার্য বীরভূমের একটি দরিদ্র পরিবারের সন্তান অল্প বয়সে মাতৃহারা, অত্যন্ত
মেধাবী জেলায় প্রথম হয়ে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে তাক
লাগিয়ে দেয় আই আই টি ইলেকট্রনিক্স  ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়ে অসম্ভব ভালো
রেজাল্ট করে আজ এক বিদেশী কোম্পানির সি জি ও,নিরন্তর ছুটে চলা কেরিয়ারের জন্য
বিদেশে যাবে অতসীকে কলেজের চাকরি ছেড়ে নিজস্ব জীবন যাপন থেকে বরের লেজ ধরে
বিদেশে আমেরিকার নিউজার্সসি গিয়ে অর্থ উপার্জন করতে চায় না, বনিবনা হলো না দুজনের।
পরস্পরের মুখে ঢাকা মুখোশ খুলে গেছে  নিজস্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অহংকারী  ব্যক্তিত্বের সংঘাত,
অতসী  অতনু পারস্পরিক জেদ চেপে গেল এমন চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলো যে শেষ পর্যন্ত
আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবীরদের পরামর্শ বিফলে গেলো।
দু বছরের বিবাহিত জীবন অতসী ও অতনু ভট্টাচার্য দাম্পত্য জীবন একসাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল
আলিপুর কোর্টের এজলাসে।
পরের সপ্তাহে অতনু ভট্টাচার্য বিমানে উড়ে গেল নূতন আর জীবনের সন্ধানে ।

অতসীর মাঝে ভাবে এই একমাত্র কন্যা আগুনের মত রূপ অহংকারী মেজাজ কি অভিশাপ?

Wednesday, 19 June 2019

দহণ

দহণ

শ্যামল সোম

অমূল্যবাবুর শিক্ষক জীবনে মানুষের কল্যাণে নিজেক উজার
করে দিয়েছেন, টাকার অভাবে বিধবা মায়ে কন্যা বিবাহে, কে
মারা গেলেন ঘাট খরচ, পারলৌকিক কাজ শ্রাদ্ধশান্তি খরচ  এ
গাঁয়ে  উচ্চ বিদ্যালয়  ছাত্রদের মধ্যেও গ্রামের মানুষের কাছে
তাঁর  জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া, একটি সন্তান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত
সফ্ট ওয়ার্ক  বিদেশী কোম্পানি উচ্চ পদস্থ  অফিসার ইনচার্জ মোটা
অংকে মাহিনা পায়।
পুত্র অমল নিজের পছন্দমত মেয়ে রুমা বড়লোকে বিদুষী সুন্দরী সাথে
তিন বছর প্রেম করে কোলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে বিবাহ করেছে।
অমূল্যবাবু লাখ তিনেক টাকা দিয়েছিলেন।
অমলের মা রমা বেঁচে থাকলে মনে কষ্ট পেতেন।
অমূল্য দেশে  গ্রামের বাড়ি থেকে কোলকাতায় বৌমা রূমার খোঁজ
খবর নিতে আসছেন।
রুমা তখন তার পুরোনো প্রেমিক রুপকের সাথে  ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে দুজনে
নিবিড়ে  ভালোবাসায় সাগরে ভাসছে, আনন্দে স্রোতে ভেসে সন্তরণ
দুটি দেহ সোহাগে আদরে গলে গলে পড়ছ।

অমূল্যবাবু হতভাগ সদর দরজা খোলা বেডরুম থেকে বেশকিছু শব্দ
শিৎকার ধ্বনি উচচাস ভেসে আসছে ।

বুজদার মানুষ কাছেই পার্কে গিয়ে গাছের ভর দুপুরে বেঞ্চে বসে ভাবছেন,
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো অমল রূমা দুজনে তিন বছর প্রেম করে বিবাহ
দু বছরের বিবাহিত সুখী দাম্পত্য জীবন হঠাৎ তিন মাস অমল বিদেশে
থাকায় চ্ছেদ পড়েছে ক্ষণিক শারীরিক না মানসিক সুখের এইটুকু জন্য
পরেম ভালোবাসা বিশ্বাস পাসপরিক সম্পর্কগড়ে ওঠে শ্রদ্ধা সহমর্মিতা
স্নেহ প্রেম মায় আস্থা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিবাহিত জীবনে সব
কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে লেহন করছে সুখ এ তো অসুখ এ কি চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য, বড়লোকের বেটির বদ খেয়াল কতখানি কষ্ট বহন করে ট্রেনে
ফিরছেন  ট্রেনে জানালার কাছে  বসে ভাবছেন জীবনের শেষ কটাদিন
গাঁয়ের বাড়িতে অমলের মায়ের স্মৃতি রোমন্থন, নিরন্তর ছুটে চলছে ট্রেন।

Tuesday, 18 June 2019

প্রিয় মণি ( চিঠি )


প্রিয় মণি

মণি তুমি এই পত্র পড়বে যখন
তখন আমি দূর জাহাজে সাগরে
চলেছি ভেসে এডেনবারা উদ্দেশ্যে ।
আমি ভালো আছি থাকতে সুস্থ দায়
দায়িত্ব পালন করতে হয়, জাহাজের
সারেঙ আমি ভালো থাকতে হবেই
কারগো জাহাজে খোলে ক্রুড অয়েল
পেট্রল ও ডিজেল ভর্তি করা হয়েছ।
মণি তুমি ভালো থেকো শরীরে যত্ন
নেবে গো,স্বামী সোহাগিনী হয় গো,
গুপলু মিমকে অনেক আদর খেলনা
আনবো লেখা পড়া ভালো রেজাল্ট
চাই, মণি এক রাশ সংসারে কাজ
হৃড় ভাঙা খাটুনি শরী ঠিকবে কি করে ?
আমি খুব চিন্তায় থাকি,লেখালিখি ছাড়া
সংসার দায় দায়িত্ব পালন করেতে  হয়,
জানি নিরন্তর ছুটে চলা নাম জীবন যাপন
সুখী হও, আমি জানি তুমি অসাধারণ লেখো।
সাহিত্য জীবন দেশ বিদেশে কবি কথাশিল্পী
হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছো খুব আনন্দের কথা।
তোমার সাফল্যে খুশি হলাম কবি বোন 
তোমার পরিবারের কল্যাণ হোক তোমার।

ইতি তোমার দাদাভাই  শ্যামল সোম

ইজ্জত সেলিনা হোসেনের গল্প পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা

ইজ্জত                 ( এইটি অনুপ্রাণিত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লেখা প্রয়াস )

শ্যামল সোম

কপোতক্ষা নদী বহে যাচ্ছে রূপসা গ্রাম পাশ দিয়েবহে যাচ্ছে।
রশন আলি এই গাঁয়ের মাতব্বর পঞ্চাশ বিঘে ফসলের জমি
চারটে পুরুরে মাছ চাষ সত্তর বছর বয়স সৌখিন সুখী মানুষ।
বড় মানুষ, সচ্ছল সংসার বিশাল সংসার তিন বিবির বারটি
সন্তান জন্ম দিয়েছে, চারজন কাজে বুয়া রয়েছে বিবিরা
সেজে গুজে সন্ধ্যা বেলায় খোশ গল্প করছে বারান্দায় বসে।
হঠাৎ বাহিরে হৈচৈ হট্টগোল রশন আলি স্লিকের পাঞ্জাবি পরে
সাথে অষ্টাদশী রুমিকে নিকা করে ফিরলেন, হন্তদন্ত হয়ে ছুটে
গেলেন বিবিরা কনে দেখে তাজ্জব এত সুন্দরী বেহেশেতের হুরি।
রশন আলি প্রাণে আহ্লাদে গদগদ হয়ে ও মনের ভাব চেপে রেখে,
গম্ভীর গলায় আদেশ করলেন নূতন বিবিকে বরণ করে ঘরে তোল।
রাশভারি বদ রাগি বদমেজাজি  রেগে গেলে লাথি মেরে জানে মেরে
দেন, মনটা ভীষণ চরম গরীবের ঘড়ামি বদরুল এর মেয়ে রুমির
টাকা অভাবে বিয়ে হচ্ছে না কি করেন পঞ্চাশ হাজার টাকা বদরুলের
হাতে দিয়ে মৌলবী ডেকে নিজেই বিয়ে করে বাড়িতে এলেন।
পরদিন গাঁয়ের সবাই আত্মীয় স্বজন ভর পেট খানাপিনা করলেন।
বাসর রাতেই  রোশন আলি বুজলেন এ বয়সে হাকিমের ঔষুধ কাজ
হলো না। ঠিক করলেন সদরে শহরে নিজে ভালো ডাক্তার দেখাবেন।
বিবিরা শলা পরামর্শ ষড়যন্ত্র  করে ছোট বিবি রুমিকে ভরপেট খেতে দিত না।
প্রথম প্রথম লাজুক মেয়ে কিছু বলত না অভুক্ত থাকতে না পেরে প্রতিবাদে
লাঞ্ছনা নির্যাতন সহ্য করতে হতো, রশন আলি নিজের অক্ষমতা ঢাকতে রেগে
রুমির উপরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ অত্যাচার মারধর করতো।
বাপের গিয়ে রফিকের কাছে সব বলাতে ভরা পেট খাওয়া লোভে শরীরের
টানে রফিকে সাথে পালালো  সে রাতেই।
রশন আলি বংশের ইজ্জত  বজায় রাখতে ভাড়া করা গুন্ডা খুনি বিশ হাজার টাকার
বিনিময়ে রুমিকে খুন করে ঐ কপোতক্ষা নদীর পাড়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো।
দুচারদিন কানাকানি কানাঘুশো গালগল্প লোকে বলাবলি করলো,  সব থেমে গেল টাকায়
কি না হয় পুলিশ এলো লাশ নিয়ে চলে গেলো লাশকাটা ঘরের বাহিরে রোদে বৃষ্টিতে
রুমির লাশ পড়ে আছে অনাদরে কী হবে কে জানে কতশত মেয়ে মানুষের লাশ পচে
বেঁচে থেকেও জীবন্ত লাশ নারীদের মর্মস্পর্শী হৃদয়ের ব্যথা বেদনা স্তব্ধতায় রয়েছে।
ইজ্জত বজায় রাখতে ইনসান ইনসাফ  পাবে না কি কখন?

ইজ্জত সেলিনা হোসেনের গল্প পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা

ইজ্জত                 ( এইটি অনুপ্রাণিত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লেখা প্রয়াস )

শ্যামল সোম

কপোতক্ষা নদী বহে যাচ্ছে রূপসা গ্রাম পাশ দিয়েবহে যাচ্ছে।
রশন আলি এই গাঁয়ের মাতব্বর পঞ্চাশ বিঘে ফসলের জমি
চারটে পুরুরে মাছ চাষ সত্তর বছর বয়স সৌখিন সুখী মানুষ।
বড় মানুষ, সচ্ছল সংসার বিশাল সংসার তিন বিবির বারটি
সন্তান জন্ম দিয়েছে, চারজন কাজে বুয়া রয়েছে বিবিরা
সেজে গুজে সন্ধ্যা বেলায় খোশ গল্প করছে বারান্দায় বসে।
হঠাৎ বাহিরে হৈচৈ হট্টগোল রশন আলি স্লিকের পাঞ্জাবি পরে
সাথে অষ্টাদশী রুমিকে নিকা করে ফিরলেন, হন্তদন্ত হয়ে ছুটে
গেলেন বিবিরা কনে দেখে তাজ্জব এত সুন্দরী বেহেশেতের হুরি।
রশন আলি প্রাণে আহ্লাদে গদগদ হয়ে ও মনের ভাব চেপে রেখে,
গম্ভীর গলায় আদেশ করলেন নূতন বিবিকে বরণ করে ঘরে তোল।
রাশভারি বদ রাগি বদমেজাজি  রেগে গেলে লাথি মেরে জানে মেরে
দেন, মনটা ভীষণ চরম গরীবের ঘড়ামি বদরুল এর মেয়ে রুমির
টাকা অভাবে বিয়ে হচ্ছে না কি করেন পঞ্চাশ হাজার টাকা বদরুলের
হাতে দিয়ে মৌলবী ডেকে নিজেই বিয়ে করে বাড়িতে এলেন।
পরদিন গাঁয়ের সবাই আত্মীয় স্বজন ভর পেট খানাপিনা করলেন।
বাসর রাতেই  রোশন আলি বুজলেন এ বয়সে হাকিমের ঔষুধ কাজ
হলো না। ঠিক করলেন সদরে শহরে নিজে ভালো ডাক্তার দেখাবেন।
বিবিরা শলা পরামর্শ ষড়যন্ত্র  করে ছোট বিবি রুমিকে ভরপেট খেতে দিত না।
প্রথম প্রথম লাজুক মেয়ে কিছু বলত না অভুক্ত থাকতে না পেরে প্রতিবাদে
লাঞ্ছনা নির্যাতন সহ্য করতে হতো, রশন আলি নিজের অক্ষমতা ঢাকতে রেগে
রুমির উপরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ অত্যাচার মারধর করতো।
বাপের গিয়ে রফিকের কাছে সব বলাতে ভরা পেট খাওয়া লোভে শরীরের
টানে রফিকে সাথে পালালো  সে রাতেই।
রশন আলি বংশের ইজ্জত  বজায় রাখতে ভাড়া করা গুন্ডা খুনি বিশ হাজার টাকার
বিনিময়ে রুমিকে খুন করে ঐ কপোতক্ষা নদীর পাড়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো।
দুচারদিন কানাকানি কানাঘুশো গালগল্প লোকে বলাবলি করলো,  সব থেমে গেল টাকায়
কি না হয় পুলিশ এলো লাশ নিয়ে চলে গেলো লাশকাটা ঘরের বাহিরে রোদে বৃষ্টিতে
রুমির লাশ পড়ে আছে অনাদরে কী হবে কে জানে কতশত মেয়ে মানুষের লাশ পচে
বেঁচে থেকেও জীবন্ত লাশ নারীদের মর্মস্পর্শী হৃদয়ের ব্যথা বেদনা স্তব্ধতায় রয়েছে।
ইজ্জত বজায় রাখতে ইনসান ইনসাফ  পাবে না কি কখন?

ফুলের কথা

ফুলের কথা

শ্যামল সোম

রূপের ঐশ্বর্য অনেকে আড়ালে বলতো,
পাঁকে ফুটেছে পদ্ম ফুল বাপ দিনমজুর
কুঁড়ি ফুটে কৈশোরে লুকিয়ে ছিল ফুল,
ফুরের সুন্দর দেখতে তাই বাপ ডাকে
ফুল, ফুলের নিষ্পাপ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
পড়ে মেধাবী ছাত্রী সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
গাঁয়ের টিন মাটির বাড়িতে বাপ আদর
মায়ের ভালোবাসা স্নেহ মমতায় লেখা
পড়াশোনা শেষ করে রাতে মায়ের কাছে
শুয়ে গল্প শুনতো গায়েষছেঁড়া কাঁথায়
রাজপুত্র সাদা ঘোড়া চড়ে আসছে,
ঘোড়ার ঘুরের আওয়াজ হচ্ছে বুকে।
গাঁয়ের জমিদারদের ছোট নাতি শহর
থেকে মটোর বাইক চালিয়ে এলো তাঁর
দাদু বিশাল বাড়িতে বেড়াতে, পাখির
ছবি তুলতে গিয়ে নির্দিষ্ট নিশানায়
ফুল ক্যামেরার লেন্স ধরা দিল, না 
ধরলো ক্যামেরায় বাপি পাজি লুচচা
ফুল পুকুরে স্নান সেরে উঠছে বাপি
এসে হাজির রাজপুত্রের অভিনয়
পারদর্শী সিনেমার হিরো মতো কদিন
আলাপে স্মাট ফোন, দামি পোষাক
মটোর বাইকে পেছনে স্বপ্নের স্বপ্নিল
পৃথিবীর নূতন বসবাসে উদ্দেশ্যে
বাপি সাথে ভালোবেসে পলায়ণ।
বাপের হেনস্থা জমিদারদের লোক
মার ধোর করলো, বাপে রাতে জ্বর
এলো গাঁয়ের লোকেরা ছিঁ ছিঁ করল।
মায়ের মুখ থমথমে পরিস্থিতি ঘোরাল
হলো, সংসার শ্মশাণ স্তব্ধতা বিরাজিত,
দিঘা সমুদ্র সৈকতে হোটেলে নিশি যাপন
আহাহা রাজপুত্রের সাথে সুখ মধুর মিলন।
রোজ রোজই ফুলশয্যা দিনে বঁধুষষ্ঠী পঞ্চ
ব্যঞ্জন মাছ মাংসের নানাপদ, নিরন্তর ছুটে
সমুদ্রের দুজনের  ঢেউ আছড়ে হৈ হুল্লোড়।
অবশেষে অন্তসত্বা তিনমাস খানে পরে ফেরে
ফুল চেনা যায় না প্রাণে বেঁচে জীবন্ত এ লাশ,
ফুলের সামুয়িক ক্ষণিকের ভুলে আমরণ ফাঁস।
বাপ মরতে মা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী লাশ,
পাড়া পড়শি তর্জনি তুলে নষ্ট মেয়েছেলে বলে
ঠাট্টা তামাসা করে অশ্লীল ইঙ্গিত ইশারায় কাছে
ডাকে দাম হাঁকে ফুলের মান ইজ্জত  ঠেকেছে
খাল পারে বেশ্যা জীবন প্রতি রাতে ধর্ষণ যৌন
নির্যাতনে ফুলের দেহ পদধুলায় রেখেছে লিপ্সা
চরিতার্থে করে, শতসহস্র বোকা ফুলের সহস্র মেয়ে,
এত ঠেকে দেখে শুনেও ভালোবাসার কাঙালিনী,
কলংকের বস্তা মাথায় নিয়ে পালাতে চায় স্বপ্ন দেখে।

কল্প লোকে মনের কথা

কল্প লোকে মনের কথা

শ্যামল সোম

মনের মানুষ যে পাইনে খুঁজে
এ মনের অতলে ডুব দিয়ছে
মন, ওগো মনের মানুষ তুমি
নাই বা দিলে মন, আছি আমি।
সুমি সূর্য কন্যা ও ঊর্মি সাথে রাতে
দিনে কত কথাই হলো কথার কথা
ফুরিয়ে গেল মনে দাগ কাটল কৈ?
মামুলি সহজ রসের জোগান সেই
একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ইনিয়ে
বিনিয়ে বারংবার ছল করে বলে
বিয়ে করছো কবে,শেষে বিয়ে ইয়ে
হলে এক ছাদের তলায় সর্ষে ক্ষেত
আঁকা চাদরে বিছানায় শুয়ে মেতে
উঠা স্বপ্নের স্বপ্নিলপথে বাঁধা ডিঙিয়ে
আরোহণের কল্প কথা নিষ্প্রয়োজন
বিপন্ন বিধ্বস্ত মন খারাপ পরস্পরের
প্রতি নিয়ত প্রতিদিন কর্কশ সংলাপ
বিশ্বস্ত না থাকায় বিচ্ছেদ অনিবার্য হয়।
একা একা একাকীত্ব মাঝে নিজেকে
খুঁজে পাই নিজেই জানি না কি কাকে
চাই, শুধু অলস মনের মস্তিষ্ক আলাপন
কে জানে কখন নৈঃশব্দ্য আসে মরণ।

Monday, 10 June 2019

শেষ লগ্নে

শেষ লগ্নে

শ্যামল সোম

দিনের বেলা বাজারের রাস্তায়

অমলবাবু আছেন কেমন খুব ব্যস্ত

কানু তোকেই খুঁজ ছিলাম  একটা মেস বা পেয়িং গেস্ট থাকার ব্যবস্থা করে দে ভাই।

কেন দাদু কি হলো বেশ ছেলের গাড়ি চোড়ে জামাই ষষ্ঠী দেখলাম ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে
ছেলের শ্বশুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেলেন !

বিনা পয়সায় বুড়ো চাকর আমি সারাদিন নাতি সামলাতে হচ্ছে কাজের ময়ে আছে
সে তো রান্না করে এপাশ ওপাশ ঘুরে বেড়ায় বৌমা অফিস থেকে ফেরার আগে ফেরে।

মেয়েটাকে কড়কে দি

না ভাই ও হবু বর পার্টি ব্যান্ডে তাশা বাজায় চমকে উঠলাম ওর পিস্তল ঠেকিয়ে বললে নেকড়া
বাজি করলেই ফুটে যাবি, না যাই রবিবার অনেক বাজার করতে হবে বৌমার বাপের বাড়ি থেকে
দাদা বৌদি ননদ ননদাই সব আসবে খানা পিনা হবে।

পেয়েং গেস্ট খুঁজছেন দেখি কথা বলে চিনতা করো না

বড় আশা করে একটা ছেলে সর্বস্ব ঢেলে ইঞ্জিনিয়ার  এম বি এ পড়ালাম,
খরচ করলাম আমি রতন নিজের পছনদ করা মেয়েকে বিয়ে আলাদা হয়ে গেল
সেই শোকে গত দু বছর আগেই মারা গেলো
একটা অমানুষ পর্যায় গেছে আমার  পাম এভিনিউ  ফ্ল্যাট ভাড়া তিরিশ হাজার টাকা
নিজে নিয়ে নেয়
গিন্নি মারা যেতে  ছেলে নিজে কাছে এনে রোজ মন্তর  শুনে শুনে কানে ঝালাপালা

চায় কি তোমার গুনধর ছেলে

ফ্ল্যাট  নিজে নামে চায়

তোমার মরার আগেই

ওর মায়ের গয়না আর ফিক্সট ডিপোজিট বৌমা নামে করে চাপ দিচ্ছে

বলো কি চাপ দিচ্ছে তা আমারা গিয়ে চাবকে দি

সে সময় হলে ডাকবো খরচ করতে অসুবিধা নেই তিরিশ হাজার টাকা পেনশেন পাচ্ছি

তোমার পেয়েং গেস্ট পাক্কা শালা তুমি কামাই  কম করো না বাই দাদু মোটর
বাইক নিয়ে কানু চলে গেলো

অমল বাবু হাঁটছেন দুহাতে থলি নিয়ে

নেপথ্যে---  কন্ঠ স্বর খাসি মাংস তিন কেজি পাবদা মাছ ভেটকি দু কেজি

মাধুকরী

মাধুকরী             ( ছোট গল্প )

শ্যামল সোম

মিতালি বিয়ে পর তাদের প্রথম কন্যা সন্তান পাঁচ বছরের মিলিকে রেখে
হঠাৎ এক শীতের রাতে, হৃদ যন্ত্র থেকে যাওয়া মুহূর্তেই মারা যায়, বোধ
শূণ্য হয়ে যায় কুণাল সরকার, বিব্রত অবস্থায় থেকে ধীরে ধীরে কাজের
লোকেদের ও দূরঃ সম্পর্কের  পিসিমা এসে কয়েক বছর থেকে মিলিকে
দশ বছরের করে পিসিমাও চলে গেলেন, কুণালের তিন কুলে কেউ নেই।
মিতালির বাপের বাড়ির দাদা দিদিরা মিতালি র বুকের হৃদয়ের রোগ
গোপন করে মা বাপ মরা মিতালিকে বিয়ে দেন, সেই রাগে সব সম্পর্ক
শেষ করে দেয়।
কুণাল মিতালি সৌন্দর্যে বিদুষী সুন্দরী তরুণী দেখেই পছন্দ করে বিয়ে করে,
মিতালির ভালোবাসা সহমর্মিতা সেবা শুশ্রূষা হাতে রান্না আজআজও  মিস
করে।
মিতালির  উপরে ভীষন  নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিল মিতালির অবর্তমানে
অসহায় জীবনে বেঁচে থাকার অভিপ্রায় চলে যাওয়ার সময় এলো সোমা।
সোমার মিলির প্রতি দায়িত্ব পালন সংসার সাজানো দেখে কুণাল সরকার
খুব খুশি হয়েছিল।
আগেও যেমন মিতালির সাথে বিয়ের পর পাহাড়ে  কখন সমুদ্র সৈকতে
যেত এখন সোমাকে বিবাহ না করে এক সাথে বসবাস
বেড়াতে গিয়ে কখন পাহাড়ে কখন  সমুদর সৈকতে  হোটেলে নিশি যাপন সুখের স্বপন।

নিজের পেশাগত যোগ্যতায়  ক্ষমতায় বি টেক করে দুবছর চাকরি করার পর
Consultancy  Firm গড়ে তুলতে প্রচন্ড পরিশ্রম আর পাশে পেয়েছিল সোমাকে
এক ডিভোর্সি  যুবতী এক বিখ্যাত কোম্পানীর ম্যানেজমেন্ট  পাশ করা Executive
সোমা চাকরি ছেড়ে নিজস্ব আবাসন ভাড়া দিয়ে কুণালের সাথে বাস করে সাতবছর
যখন মিলি চার বছরে বয়েস থেকেই  জন্মদিন পালন করে আসছে সোমা আজ মিলির
আঠারো বছরের কন্যা আগুনের মতন রূপে পাগল বয়েফ্রেন্ডরা কিছু মধ্য বয়সী বন্ধু
গার্ল ফ্রেন্ড বানধবীর ভীড় জমেছে বেশ ডান্স মিউজিক ভিডিও তোলা হচ্ছে খানা পিনা
চলছে  হাঠাৎ আশ্বিন মাসের ঝড়ের মতন বিদুষী সুন্দরী কন্যা বন্ধুদের সাথে লং ড্রাইভ
গিয়ে আর ফিরলো না মিলি কোথায় গেল কেন গেল কাদের সঙ্গে গেল কুণাল সোমার
কাছে সব ধোঁয়ার আচ্ছন্ন চলছে অনুসন্ধান  থানায় লাল বাজার মিসিং স্কোয়াড এ।

বোধ ( নাটকের জন্য এ গল্প )

বোধ        ( নাটকের জন্য এ গল্প )

শ্যামল সোম

বেগম পুরে ফুলি গ্রামে পাশ দিয়ে বহে যাচ্ছে রূপসা নদী।
নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছে কানাই তাঁতি, সূর্যোদ্বয় প্রাক্কালে
কুসুম রঙের আকাশ, কুল কুল করে বহে যাচ্ছে রূপসার জলে
নদীতে নৌকা ভেসে যায় নীল আকাশে নীলিমায় আড়ালে চলে
গেল, কানাই হাতে সুতোর লাটিম চেঁচাচ্ছে কাঁধে সুতো লাট করা।
নেপথ্যে কেউ হাঁক দেয় " ও কা না ই দা ঐ নদীর পাড়ে তোমার
জমিতে বেগুন চাষ দাও, বেগুনে বেগুনে ভরিয়ে দেবো ---"
" মদন তুই হাল দেওয়া শেষ হলি রাতে বাড়ি আছিস কথা আছে।
ঠি ক আ ছে তো মা র এ জ মি সো না র জ মি গো !
সব তেঁনার কৃপারে মদন সব তাঁর কৃপা ---- প্রস্থান করে কানাই।

সামনে ফুল সবজির ছোট্ট এক ফালি বাগান বিশাল বড় দালান
দালানের এক দিকে রয়েছে তাঁতের মাকু !
সুতোর লেচি ঝুলছে ও দিকে বাগানের অন্য কোনে বড় বড় গামলায়
সুতো রঙ হচ্ছে ভেজানো কাজ করছে ময়না কানাইর মা পড়া অষ্টাদশী কন্যা।

নীল আকাশে নীলাঞ্জনা

নীল আকাশে নীলাঞ্জনা

শ্যামল সোম

গতকাল মেঘ পিয়ন এসে দিয়ে গেল
তোমার চিঠি নীল খামে, পড়ে  হাসলাম।
এতদিন পরে নীলা জানতে চেয়েছো,
কেমন আছি আমি বিব্রত হলাম অসম্ভব,
তুমি সত্যি কি ভালোবাসাতে না পাগলামি,
ভালোবাসা সত্য প্রেম ছিল কি ফাজলামি?
এত বছরের  জানার ইচ্ছে পুষিয়ে নিয়েছো
হায় কেন বসবাসের বাসা বেঁধে ছিলে সাথে,
অধমের সে কি শুধুই দীর্ঘশ্বাস আকাশকুসুম ?
কল্প কাহিনী বর্ণনা বিরহ আমাদের বিচ্ছেদের
ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল ঐ সিনেমায়
ছায়াছবি আমাদের যৌথ দাম্পত্য জীবন যাপন
সুখী হতে চাওয়া জীবনের  প্রান্তে এসে এ ভাবে
সব হারিয়ে শেষে  আশ্রয় নেয় পাবনার মানসিক
হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো,  হারিয়ে কি পেলে?
তাকে যার জন্য আমাদের পরস্পরের  সম্পর্ক
ছিন্ন ভিন্ন করে, চলে গেলে, অতীত প্রেমের প্রিয়
প্রাণের মানুষের কাছে কতটা সুখে রয়েছো নীলা ?
অতীতে প্রেমিকের কাছ  ফিরে যেতে চেয়ে আমাদের
থেকে  বিচ্ছেদ ঠেকানো গেল না, অথচ বিয়ে করে ।
ছিলে মনের মানুষ সেজে, সত্যি কি আমরা ভালবাসায়
পরস্পরের হৃদয়ে কাছাকাছি এসে বিবাহ বন্ধনে সে
বাঁধন, পবিত্র স্বামী স্ত্রী চির বন্ধন ছিন্ন  করে অহংকার
অহমিকায় না তোমার সেই গোপন ভালোবাসার মানুষ।
প্রেম ভালোবাসা আশায়  খোঁজে ভগ্ন  মন অসংলগ্ন হুশ
হীন দুটি তপ্ত দেহে সন্তরণে শরীরের মোহে পড়ে ক্ষণ স্থায়ী
ফিরেছো ফের তাণ্ডব প্রলয় প্রবল ফেরে কি প্রেমের প্লাবন
সত্যি কি আবার ফিরে পাওয়  যায় পরকীয়া প্রেমের শ্রাবন,
কেন মাঝে মাঝে নীলা নীলাঞ্জনা তোমাকে মনে পড়ছে ক্ষণে
কখন অবসন্ন অবকাশে বৃষ্টি ঝরা বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টি শব্দে
এ পাশে এলে,না  এ শুধুই কল্প লোকে মানস নেত্রে বিচরণ।
মাঝের ঐ কাঁটাতারের বেড়া পারাপারে দুদিকে দুজনের মন
পাগলের ছিলো কি কখন পাগলামি  না অভিমানের গুঞ্জন?