সম্পর্কের টানাপোড়েন
শ্যামল সোম
বিকাশের কথা
ঋতুকে প্রথম দেখেই মায়াবী সজল
চোখের দিকে তাকিয়ে ভালোলেগে ছিলো।
সদ্য প্রয়াত " স্বামীর ব্যাঙ্কের চাকরি
আমার ভীষণ জড়ুড়ি বিকাশ বাবু" বলে, ঋতু
আমার হাত টা দুটো হাতে ধরে ঝরঝর
করে কেঁদে ফেলল, আমি সহকর্মী অতনুর
মৃত্যু বাইক একসিডেন্ট পর পাশেই ছিলাম
সব সময়ই, আট বছরের বিবাহিত
জীবনের পর এক সুন্দরী যুবতী জীবন
একাকীত্ব মাঝে ঋতু মনের পরিবর্তন হতে
থাকে, আমার প্রতি নির্ভরতা বিশ্বাস আমার
দীর্ঘ দিনের সহমর্মিতা সহানুভূতি বোধ
পরস্পরের প্রতি অনুকম্পা থেকে ভালোবাসা খুব
কাছাকাছি চলে আসা সম্ভব হয়েছে,
আমার বার বছরের বিবাহিত জীবনের অসফলতা
লীনা তার কোম্পানী লিমিটেড এর
বড় পোস্ট চাকরি ক্যারিয়ার গড়তে সন্তান জন্ম দিলো
না পার্টি ক্লাব ফাস্ট লাইফ লিড করে,
বহু পুরুষের সঙ্গে লীনা শারীরিক সম্পর্ক কিন্তু
চিরস্থায়ী নয়, আমিও ঋতুর সঙ্গে মানসিক
শারীরিক সম্পর্কে বন্ধনে আবদ্ধ হতে প্রতিজ্ঞা
নিয়ে লেখা পড়ে করে লীনা সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ
করে ঋতুকে সম্মতি নিয়েই বিবাহ করে
সারা দুজনে একসাথে থাকবো।
ঋতুর কথা
আঠারো বছরের কলেজে থাকতেই অতনুর সাথে
প্রেম, একইপাড়াতে বসবাস, ছোটবেলা থেকেই
ভালোলাগা,তুলে রাখা।
পাড়াতে নৃত্য শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করি,
অতনু খুব উৎসাহ দিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এমন কি
শান্তিনিকেতন পরিবেশন করতে গিয়ে খুব
কাছে আসা পরে ভালোবাসার বিবাহ,
বাড়ির অমতে জাতপাতের, ঘোর বিরোধ
আপত্তি, বাপের বাড়ি মা দাদা ছাড়া কেউ নেই।
তাই অতনু বাইক একসিধডেনটে মারা যাওয়ার পর
অকুলান সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছিলাম ঠিক তখন
বিকাশ দু হাত বাড়িয়ে দেয় আমাকে মুগ্ধ করে
বিকাশের প্রতিটি ব্যবহার সহমর্মিতা সহানুভূতি শীল
মনের অভিব্যক্তি প্রকাশে আপ্লুত হয়ে গেলাম
বিলক্ষণ জানি নারীর হৃদয়ে ব্যথা বেদনা নৈরাশ্য
বিষাদমাখা হতাশায় নিমজ্জিত হয় যখন তখন
ভালো লাগে ভীষণ যদি বিকাশের মতন সুন্দর
মনের মানুষের সংস্পর্শে এসে অনুপ্রাণিত হয়ে
নূতন করে জীবন শুরু করার বাসনা জাগে বিকাশের
গভীর আলিঙ্গনে আদরে আদরে ভেসে
যাই দুজনে মিলে আজ আমার হৃদয় জুড়ে রয়েছো বিকাশ,
প্রতিক্ষণ প্রতীক্ষায় রইলাম কবে আমি
বিকাশকে চিরদিনের কাছে পাবো বিকাশের বিবাহ বিচ্ছেদের
মামলা চলছে, আমি মাতৃত্ব সাধ পেতে চাই।
No comments:
Post a Comment