Wednesday, 19 June 2019

দহণ

দহণ

শ্যামল সোম

অমূল্যবাবুর শিক্ষক জীবনে মানুষের কল্যাণে নিজেক উজার
করে দিয়েছেন, টাকার অভাবে বিধবা মায়ে কন্যা বিবাহে, কে
মারা গেলেন ঘাট খরচ, পারলৌকিক কাজ শ্রাদ্ধশান্তি খরচ  এ
গাঁয়ে  উচ্চ বিদ্যালয়  ছাত্রদের মধ্যেও গ্রামের মানুষের কাছে
তাঁর  জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া, একটি সন্তান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত
সফ্ট ওয়ার্ক  বিদেশী কোম্পানি উচ্চ পদস্থ  অফিসার ইনচার্জ মোটা
অংকে মাহিনা পায়।
পুত্র অমল নিজের পছন্দমত মেয়ে রুমা বড়লোকে বিদুষী সুন্দরী সাথে
তিন বছর প্রেম করে কোলকাতায় বাড়ি ভাড়া করে বিবাহ করেছে।
অমূল্যবাবু লাখ তিনেক টাকা দিয়েছিলেন।
অমলের মা রমা বেঁচে থাকলে মনে কষ্ট পেতেন।
অমূল্য দেশে  গ্রামের বাড়ি থেকে কোলকাতায় বৌমা রূমার খোঁজ
খবর নিতে আসছেন।
রুমা তখন তার পুরোনো প্রেমিক রুপকের সাথে  ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে দুজনে
নিবিড়ে  ভালোবাসায় সাগরে ভাসছে, আনন্দে স্রোতে ভেসে সন্তরণ
দুটি দেহ সোহাগে আদরে গলে গলে পড়ছ।

অমূল্যবাবু হতভাগ সদর দরজা খোলা বেডরুম থেকে বেশকিছু শব্দ
শিৎকার ধ্বনি উচচাস ভেসে আসছে ।

বুজদার মানুষ কাছেই পার্কে গিয়ে গাছের ভর দুপুরে বেঞ্চে বসে ভাবছেন,
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো অমল রূমা দুজনে তিন বছর প্রেম করে বিবাহ
দু বছরের বিবাহিত সুখী দাম্পত্য জীবন হঠাৎ তিন মাস অমল বিদেশে
থাকায় চ্ছেদ পড়েছে ক্ষণিক শারীরিক না মানসিক সুখের এইটুকু জন্য
পরেম ভালোবাসা বিশ্বাস পাসপরিক সম্পর্কগড়ে ওঠে শ্রদ্ধা সহমর্মিতা
স্নেহ প্রেম মায় আস্থা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিবাহিত জীবনে সব
কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে লেহন করছে সুখ এ তো অসুখ এ কি চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য, বড়লোকের বেটির বদ খেয়াল কতখানি কষ্ট বহন করে ট্রেনে
ফিরছেন  ট্রেনে জানালার কাছে  বসে ভাবছেন জীবনের শেষ কটাদিন
গাঁয়ের বাড়িতে অমলের মায়ের স্মৃতি রোমন্থন, নিরন্তর ছুটে চলছে ট্রেন।

No comments:

Post a Comment