শেষ লগ্নে
শ্যামল সোম
দিনের বেলা বাজারের রাস্তায়
অমলবাবু আছেন কেমন খুব ব্যস্ত
কানু তোকেই খুঁজ ছিলাম একটা মেস বা পেয়িং গেস্ট থাকার ব্যবস্থা করে দে ভাই।
কেন দাদু কি হলো বেশ ছেলের গাড়ি চোড়ে জামাই ষষ্ঠী দেখলাম ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে
ছেলের শ্বশুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেলেন !
বিনা পয়সায় বুড়ো চাকর আমি সারাদিন নাতি সামলাতে হচ্ছে কাজের ময়ে আছে
সে তো রান্না করে এপাশ ওপাশ ঘুরে বেড়ায় বৌমা অফিস থেকে ফেরার আগে ফেরে।
মেয়েটাকে কড়কে দি
না ভাই ও হবু বর পার্টি ব্যান্ডে তাশা বাজায় চমকে উঠলাম ওর পিস্তল ঠেকিয়ে বললে নেকড়া
বাজি করলেই ফুটে যাবি, না যাই রবিবার অনেক বাজার করতে হবে বৌমার বাপের বাড়ি থেকে
দাদা বৌদি ননদ ননদাই সব আসবে খানা পিনা হবে।
পেয়েং গেস্ট খুঁজছেন দেখি কথা বলে চিনতা করো না
বড় আশা করে একটা ছেলে সর্বস্ব ঢেলে ইঞ্জিনিয়ার এম বি এ পড়ালাম,
খরচ করলাম আমি রতন নিজের পছনদ করা মেয়েকে বিয়ে আলাদা হয়ে গেল
সেই শোকে গত দু বছর আগেই মারা গেলো
একটা অমানুষ পর্যায় গেছে আমার পাম এভিনিউ ফ্ল্যাট ভাড়া তিরিশ হাজার টাকা
নিজে নিয়ে নেয়
গিন্নি মারা যেতে ছেলে নিজে কাছে এনে রোজ মন্তর শুনে শুনে কানে ঝালাপালা
চায় কি তোমার গুনধর ছেলে
ফ্ল্যাট নিজে নামে চায়
তোমার মরার আগেই
ওর মায়ের গয়না আর ফিক্সট ডিপোজিট বৌমা নামে করে চাপ দিচ্ছে
বলো কি চাপ দিচ্ছে তা আমারা গিয়ে চাবকে দি
সে সময় হলে ডাকবো খরচ করতে অসুবিধা নেই তিরিশ হাজার টাকা পেনশেন পাচ্ছি
তোমার পেয়েং গেস্ট পাক্কা শালা তুমি কামাই কম করো না বাই দাদু মোটর
বাইক নিয়ে কানু চলে গেলো
অমল বাবু হাঁটছেন দুহাতে থলি নিয়ে
নেপথ্যে--- কন্ঠ স্বর খাসি মাংস তিন কেজি পাবদা মাছ ভেটকি দু কেজি
No comments:
Post a Comment