সে আমার গোপন আরাধ্য প্রেম
শ্যামল সোম
কীর্তনখোলা নদীর
বহমান স্রোতে পড়ে,
সূর্যোদ্বয়ের ভোরে
হীমেল হাওয়ায়।
কুয়াশার আড়ালে,
ঐ গাছের তলায়
থেকেই দেখেছিলাম,
তুমি মুখ ফিরয়ে
বহমান নদীর ধারে
দাঁড়িয়েছিলে,ভাবে
আত্মমগ্ন, ম্লান দৃষ্টি
নিয়ে বেদানার্ত সজল
চোখে দেখছিলাম
আমার হৃদয়ের
গোপন প্রেমের
স্বপ্নচারিনীকে।
এ জীবনের চলার
পথের শেষে অনেক
দেরীতে শেষ লগ্নে কেন
এলে তুমি হে প্রেম ?
এসে আমাকে হে নারী
ভালোবেসে অনাদায়ে
ফেলেছিলে আপন
মহিমায় মহিমান্বিতা।
আমার হৃদয়ের স্পন্দন
তুমি, এপ্রেম রেখে গেলাম।
কীর্তনখোলা নদীর
স্রোতে ভেসে যাচ্ছি।
ভালো থেকো তুমি,
ভালো থেকো বাংলাদেশ
খুব ভাল থেকো গো
আমার ময়মনসিংহ,
সোমেশ্বরী শীতলক্ষা,
কর্ণফুলী নদী, সুন্দরবনের
প্রত্যন্ত গহীন জঙ্গলে
প্রাচীন গাছ গাছালি।
নিশ্চয়ই ফিরবো আগামী
জন্মে তোমাকেই পাবো
নিশ্চিত জেনো আমাদের
জন্মান্তরের প্রেম বৃথা
যাবে নাগো তুমি তো জানো
কি ভীষণ প্রানীত প্রাণে
ভালোবাসি তোমাকে।
বিভাগ -: পদ্য
তারিখ-: 18-4-17
মেঘ বালিকা বৃষ্টি হবি
শ্যামল সোম
এই পাগলী মেয়ে
তুই বৃষ্টি হবি?
বৃষ্টির শ্রাবণের
ধারা হয়ে অঝরে
পড়বি ঝরে আমার
বুকের পড়ে।
বৃষ্টি তোর ধারায়
ভিজছি দে নগ্ন শরীর
দে তোর দেহের
পরস্পরের
উত্তপ্ত চুম্বন;
অঝরে শরীর বেয়ে
কুল কুল করে বহে
যাচ্ছে সুখ, স্বাদ গলে
গলে পড়ছে আশ,
বন্য হৃদয়ের বাসনা।
গহীন গোপন যত
জমানো অবিশ্রান্ত
বেদনা নীল পদ্ম
ফুটছে ঐ দীঘিজলে।
বৃষ্টি তোকে জড়িয়ে
দু হাতে শক্ত ধরে
জোরে জাপটে বুকে
ভিজছি দুজনে
সর্বাঙ্গে আলোড়ণ।
তোর অভিমান,
অনুযোগ, অনুরাগ
তৃষ্ণার্ত তোর ঠোঁটে চুম্বনে,
লেহন করছি অশ্রু।
আমার ঘন আলিঙ্গনে
বৃষ্টি তোর ফোঁটা ফোঁটা
জলের স্পর্শে তারা ফুটছে
রাতে আকাশে।
জ্যোৎস্না আলোয়
আমি ফিরে পাচ্ছি
বেঁচে থাকার আনন্দ।
নির্বাসিত আমি
”যদি নির্বাসন দাও
আমি ওষ্ঠে অংগুরী ছোঁওয়াব
আমি বিষ পান করে মরে যাব
বিষন্ন আলোয় বাংলাদেশ
নদীর শিউরে ঝুঁকে পড়া মেঘ
প্রান্তরে দিগন্ত নির্নিমেষ
এ আমারি সাড়ে তিন হাত ভূমি--------------------” ( সুনীল গঙ্গোপধ্যায়)
অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা
স্বদেশে নির্বাসিত আমি
শ্যামল সোম
আমার এক মাত্র অপরাধ অখন্ড ভারতবর্ষের
স্বপ্ন দেখে ছিলাম আমি, কোলকাতার শহীদ
মিনারের তলে, দিল্লীর অমর জ্যোতি সামনে।
মুম্বাই গেট অফ ইন্ডিয়ার প্রাঙ্গণে, কাশ্মীরের
পহেলগাঁও লিডার নদীর পাশে, উত্তরাখণ্ড এর
কর্ণ প্রয়াগ অলকানন্দা ও মন্দাকিনী সঙ্গম।
স্বর্ণ মন্দিরে, ফতেপুর সিক্রী, ইমামবাড়া, পুরীর
সমুদ্রের সৈকতে,
পাকিস্তানে রাউলপিণ্ডি , পাঞ্জাব, করাচি, লাহোরে
শালিমার গার্ডেন এ
বাংলাদেশের ঢাকার ভাষা শহীদ মিনারে,কবির
নজরুল ইসলাম এর স্মরণে সৌধ এর সামনে।
শান্তি নিকেতন, গান্ধীজীর সমরমোতি আশ্রমে
জনে জনে ডেকে বলে ছিলাম অখন্ড ভারতবর্ষে
তিন রাষ্ট্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিজস্ব তাঁর
সার্বভৌমিক অধিকার বজায় রেখেও কেন এক
বিশাল শক্তিশালি, অখন্ড সার্বভৌম রাষ্ট্রের গড়ো।
এ স্বপ্নদেখার অপরাধে এখন আন্দামানের সেলুলার
জেলে, লোহার শেকল হাত পা বেঁধে শৃঙ্খলিত আজ
নির্জন সেলে একাকী আলো আঁধারে সাত বাই পাঁচ
ঘরে ভয়ংকর এক উন্মাদ কয়েদী মৃত্যুদন্ড কার্যকর
হতে দেরী হচ্ছে তিন দেশের ভালো মানুষের সর্বোচ্চ
জনতা দ্বারস্থ আদালতে আমার মুক্তির জন্য যুদ্ধ না
শুরু হয়, সেদিকে সতর্কতার সাথে আয়োজন চলছে।
মৃত্যুর আক্রমনের পূর্বের অখন্ড ভারতবর্ষের স্বপ্ন
দেখুন,
নতুবা আরো পাঁচশো বছরের সন্ত্রস্থ জীবন যাপন করুন।
ফেসবুকে প্রেমের প্রতিশ্রুতি পদ্য গল্প নাট্য
শ্যামল সোম
নীল গলায় আবেগের মধু বর্ষন সংলাপ -----" ফেসবুকে তোমার সাথে পরিচয় প্রথম আলোর সূর্যোদ্বয়ে রাঙা প্রভাতে মতন আমার অন্ধকারাচ্ছন্ন আমার হতভাগ্য ব্যর্থ প্রেমিকের আত্মহননের পথে নগ্ন হয়ে গলায় দড়ি ঝুলে পড়ার ঠিক মূহুর্ত নীলা
ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট দেখেই তোমার মতন রক্তে যার কাব্য বহমান নদীর ভালোবাসা, সে তো বন্ধুত্বের উষ্ণ হাতের
স্পর্শ করবেই। আমি কৃতজ্ঞ রইলাম নীলা!
নীলা--: অবিশ্বাস্য তোমার মতন স্বনামধন্য কবির ভালোবাসা প্রেম শুধু ঐশ্বর্য বৈভব অর্থ বিলাসবহুল জীবন কাটানো
জন্য একটা ভুড়িওয়ালা মোটা মাঝ বয়ষি ছবি দেখে প্রৌঢ় মাথায় ঠাক, নীল তোমার ঐ এলো মেলো চুল
গুলো চিরুনি দিয়ে আঁচলে দেবো ?
নীল --: চুল আঁচড়ে কি করবে নীলা ? হৃদয়ের আঁচড় এ ফালা ফালা হয়ে গেছে বুক ভেতরে আগুন
আমি মরতে চাই তোমার পা ছূয়ে প্রার্থনা করছি পটাসিয়াম দিতে তোমাদের মেডিকেলে কলেজের ল্যাব থেকে
মুহুর্তেই মৃত্যু বরণ করতে এসেছেন অসহ্য যন্ত্রনা আর সহ্য করতে পারছি না প্রেমের এ দহন আহ্ !
অসম্ভব কষ্ট এ জ্ঞান হারান নীল।
নীলা কান্নায় জ্ঞান হারায়।
সময়ের সাথে পালটায় সম্পর্ক
শ্যামল সোম
শুভ নববর্ষের আলোই
পালটে গেলো সম্পর্ক
ছিল নিছক বন্ধুত্বের ইঙ্গিত
এখন গহীন প্রেমের পিড়িত
এখন অরণ্যে আরণ্যক দুটি
আমরা ভিন্ন কুসুম একই বৃন্তে।
নিশ্চিত আমি
শ্যামল সোম
পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে পৌরুষ উড্ডীন
পতাকা উত্তোলিত, নারী জীবন সঙ্গিন
সন্ত্রস্তা উদ্বিগ্না, তবু জননীরা নিশ্চুপ সবাই।
পুরুষের গহীন প্রেম ভালোবাসা বিবাহের
প্রতিশ্রুতি, রতিকান্তের এমন এ স্বভাবের,
পুরুষের মুড়গী পোষা, ক্ষুধা, কর জবাই।
এ লেখা পছন্দ না হলে মুছে দিন, যা চিরকালীন
সত্য কঠিন বাস্তব দৈনন্দিন ঘটনার থেকেই এই লাইন।
পুনশ্চ-: পুরুষের আজকাল কাজ নেই যৌন কর্মী
ধনশালিনীর আনন্দে নারীদের কাছে ধর্ষিত হবার
পর্যাপ্ত প্রচুর অর্থ বরাদ্দ আছে, পরকীয়া প্রেম
বাজারে বিনোদনের মাধ্যম এর সব হাটের কাব্যে
তারই প্রতিছবি কাব্যর ফুলঝুরি
রংমশাল জ্বালতে পছন্দে করেন সবাই এখন রাতপরী।
No comments:
Post a Comment