Saturday, 16 September 2017

কবিতার খোঁজে শঙ্খচিল

কবিতার খোঁজে শঙ্খচিল

শব্দের মিছিলে শ্যামল সোম

বৃষ্টি ভেজা গোধূলির রঙ এ
রাঙা আকাশে ওড়ে গাঙচিল
কালো মেয়ের আলো করা
রূপে মুগ্ধতা মোর নয়নে ঝরে।
অসামান্য লিখনে কেড়েছেন মন,
মন হারিয়ে কি করে বাঁচি আজীবন।

সে রূপ কথার
চুপ কথা
হৃদয়ের গোপন ব্যথা।
দু’জনের দুনয়নে
জল বেদনায় আঁখি
ছলছল,প্রেম ভেসে
গেছে  বানে
এখন ফের স্বর্গে উদ্যানে।

এ সাহিত্য ছবি মতন

শ্যামল  সোম

ঠিক যেন ফোটা জলপদ্ম
আমার পছন্দের মনের
মতন  এই গ্রুপের
সবাই এত অসামান্য
অপূর্ব  লেখেন সবাই
সে সব লেখা পড়ার
পরে শুধু  এই ভাবি
এ তো ভালোবাসার
বীজমন্ত্র মেঘনা নদীর
বহমান উজান স্রোতে
ভালোবেসে ভেসে যাই --!
বাংলাদেশের কবি ভাষায়
" আবার আসিব ও ফিরে
এই বাংলায় " ,
বাংলা ভাষার মাতৃভাষার
স্বীকৃতির সংগ্রামে " প্রয়োজনে
দেবো এক নদী রক্ত", মুখের
ভাষা বুকে রুধি ঝরে, উত্তাল
জনতার ঢেউ আছড়ে পড়ে
মুক্তির ঐ জনযুদ্ধের ময়দান
লক্ষ্য লক্ষ্য শহীদ আত্মদান।
ভাষা শহীদ মিনারের মিছিলে
আবার আসিব ফিরে জন্মভূমি
শিকড়ের টান, একুশের গানে
দেখা হলে কিছু কথা হবে,
পারস্পরিক কুশল বার্তা কবিতা
লেখার অনুপ্রেরণা  গ্রন্থ পরিচয়ে
অসংখ ধন্যবাদ আপনাদের সাথে
বিগত বছরের স্মৃতি তাড়িত আমি।
মাফ চাই, রক্তিম  অভিনন্দন কল্যাণ
হোক আপনাদের, বাংলাদেশের
ভালো মানুষ ও কৃপাময়ী  মানসীদের
কাছে আজীবন,  জন্মভূমি বীর সন্তান
তোমাদের ভালোবাসায় ঋণী রইলাম।

ভালোবেসে
ভালোবাসায় আছি

শ্যামল  সোম

মনামী  তোমার
খুব কাছাকাছি
তোমার দেহের
গন্ধে মাতাল হয়ে
ফিরে যাচ্ছি পাগলী
তখনই তুই ঝাঁপিয়ে
পড়লি হিংস্র বাঘিনী।
কালের স্রোতে সে
তোরভালোবাসা হারিয়ে
যায় জন্য ভালোবাসায়।
নেপথ্যে সানাই সুর
ভেসে আসে বিবাহের
আসরে সেই বেদনার
সুরের মূর্ছনায়
হৃদয়ের মাঝারে
অহরহ আজও
বাজে, সানাই এ
বেহাগের বেসুর।
তোর বধুবরণের
পরণে লাল বেনারসী
সিঁথিরসিঁদুর অবরুদ্ধ
কন্ঠে রাঙাঠোঁট নড়ে।
দূরথেকে দেখেছিলাম
তোকে কনে দেখা আহা
গোধূলির রঙ মেলায়
আকাশে ওড়ে চিল 
বড় সুখানুভূতির মিল।
বউ আশা, দ্রুত এসে
কোমরেবাঁধা গামছা
খোলা চুল, দুমদাম
ফেরে চায়ের কাপ,
টকাস করে রেখে
ঘাটে বসে কাঁদছে,
রবি প্রসাদ আমি
বিমূঢ়, উদাসীন 
প্রথম প্রেম কখন
ফেরে না আবার।
বিবাহের বন্ধন শৃঙ্খল
আজ এই বিবাহ বিভ্রাট।
জীবনের ঝড় ঝাপটায়
ভাঙা ডালপালা
মেলে উড়ে গেছে
তাদের দাম্পত্য  
আগুনের পাখী।
বাঘিনী মতো
ছিঁড়ে ছিঁড়ে
খেয়ে ফেল
আমাকে শুধু
হৃদয় টা
বাদে দিয়ে  এ
হৃদয়ে প্রেম ঝিনুক
জমা আছে
আছে মনের অতল
সমুদ্রের জলে।

নবাগতের প্রেম
তাৎক্ষণিক সুখ
শাশ্বত প্রেমের
মৃত্যু ধর্ষিতার মুখ।
শত শত নারীদের
উপর বলাৎকার।
বধু নির্যাতন স্বামী
না আসামী পক্ষে
উকিলের কুৎসিত
ইঙ্গিত  আচরণে
মানসিক চাপে
লুটোপুটি ধাপে
স্বামীর চরণে
প্রহারে প্রহারে
শ্বাস রুদ্ধ, দীল
ঘরে দুয়ারে খিল
সিলিং ঝোলে
বধুর নগ্ন
শরীরের দিকে
আড়চোখ চেয়ে
লালসায় লকলক
করে  লক্ষ চিল।

ভালোবেসে ভালোবাসায় আছি

মনামী  তোমার
খুব কাছাকাছি
তোমার দেহের
গন্ধে মাতা
হয়ে ফিরে
যাচ্ছি পাগলী
তুই ঝাঁপিয়ে
পড়ে হিংস্র বাঘিনী
ভালোবাসা হারিয়ে
যাওয়া ভালোবাসায়
আছে নেপথ্যে
সানাই সুর
ভেসে আসে
সেই সুরে মূর্ছনা
হৃদয়ের মাঝারে
অহরহ বাজে,
সে বড় সুখানুভূতি।
আশা দ্রুত এসে
কোমরে বাঁধা
গামছা খুলে চুল মুছে,
দুমদাম ফেরে
চায়ের কাপ নিয়ে,
টকাস করে
রেখে কাঁদছে,
রবি  বোজে
আজ এই বিবাহিত
জীবনের ঝড়ঝাপটায়
ভাঙা ডালপালা মেলে
উড়ে গেছে তাদের প্রেম 
সে আগুনের পাখী।
বাঘিনী মতো হিংস্র
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলে
আমাকে শুধু হৃদয়টা
কি ভেবে বাদে দিয়ে 
এ হৃদয়ে প্রেম
ঝিনুক জমা আছে
মনের অতল
সমুদ্রের জলে।

 

শুভাকাঙ্ক্ষী জামাইয়ের
সাথে ফিরে যাচ্ছে
শুভ আকাঙ্ক্ষিত 
দাদুর ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে

বাঁশিওয়ালা

আমার আদরের
এক অপরূপা নাতনী
ঐ যে কথাই আছে
বুড়ো জরাগ্রস্ত এই
জরাজীর্ণ বৃদ্ধের
হৃদয় সমুদ্রে ভালো
বাসার প্রচন্ড
ঢেউয়ের শব্দে
কানে ঝালা পালা।
কেন জানেন,
শেয়ালের ভাবে
আঙুর ফল টক,
নাতনী মজার
ব্যাপার হল এই
সব কবিতাই
মনের কথা নয়।

ফেস বুকে
তোর ছবি দেখে
প্রেমে পড়েছি
জরাগ্রস্ত এ বৃদ্ধ।

শ্যামল  সোম

নাম দিলো ডল
ডলি আমার ডল
তুই বিশ্বাস কর,
সত্যি কথা বলছি,
তুই আমার মন
কেড়ে নিয়েছিস,
তোর ছবি দেখে,
আমি বিমোহিত
বিমূঢ়, অপলক
দৃষ্টি আকর্ষন।
বিস্ময়ে অভিভূত
বাক রুদ্ধ, আহা
তোর বড় বড় দুচোখ
স্বপ্নে তোর হাতছানি,
উজ্জ্বল তীক্ষ্ণ
পাগলী তোর দৃষ্টি।
আমায় নিয়ত তীব্র
আকর্ষণ করে,
বাসনা না কী মরে?
মরার পর ভুত হয়ে
চোখ ঘুরিয়ে
দেখছি তুই রূপের
পশরার ডালি
সাজিয়ে অপেক্ষার
প্রহর স্বামীর জন্য বসে।
এদিকে উঁকি দিচ্ছে
অসংখ্য  ভক্ত স্তাবক
ভীড়ে আমার হারিয়ে যাওয়া,
না পালিয়ে যাওয়।
তোর ছবিতে দেখি,
অসামান্য বিভিন্ন
ধরনের পোষাকে
নানা রঙ্গে একই অঙ্গে
এত পাগল করা রূপ
বারবি ডল,
কিছু ডলার যদি পাই
বাংলা দেশে এ
চুয়াত্তর বছরে ও গিয়ে ঐ
তোকে সাহিত্যে পদক
জয়ী করার লাইনে দাঁড়াই।

একাকি প্রেমের লেখা ব্লগ

এ কাব্য প্রেম করে
বিবাহের যৌতুক  অশ্রাব্য,
গালি গালাছ চুলোচুলি
সোনার সংসার
বাহারী পর্দার আড়ালে
পরস্পরে মারামারি
ঘন ঘন সিগারেট টান,
আগুন যে যার মান  মত
খুঁজে ফেরে পরকীয়া
প্রেমের স্বাদ রত, রতি
অহোরাত্র এ জন্যই
প্রযোজ্য লিভ টুগেদার।

বৃদ্ধের বৃষ্টি ভেজা মন

শ্যামল সোম

এই সেদিন বৃষ্টি ভেজা
গোধূলির রঙের মেলায়
দেখেই মন হারিয়ে গেলো
লালসবুজের পতাকায়
ভীষণ ভালোবেসেই জানু
খোওয়াফ দেখি তোমায়।

জনৈকা কবির কাব্য পাঠে
আমার প্রতিক্রিয়া, অসংলগ্ন
বোধ হলে মাফ করবেন।

দগ্ধ দেহে কবি

শ্যামল  সোম

" শৃঙ্খলিত নারী, কবির প্রতিবাদ
ধর্ষিতার প্রাপ্য, সকন্ঠে আর্তনাদ।"

উত্তপ্ত যৌবনে দূর থেকেই
দেখেছিলাম তোমাকেই।
ববকাট চুল এক ঝটকায়
আর চোখে তাকিয়েছিলে
হৃদ স্পন্দন আলোড়িত হলে
ভালোলেগেছিল তোমার কাব্যের
ঘ্রাণে শ্বেত  গোলাপ তোমাকেও।
তুমি সকৌতুকে মৃদু হাসি মুখে
ধরে হাত  রুদ্রের, কোলকাতার
কবিদের সাথে প্রখ্যাত লেখক
পাবলো নেরুদার জন্মদিনে এক
স্প্যানিশ কবির আগমনে উদ্বেলিত
সাহিত্য প্রেমিক প্রেমিকার প্রচন্ড ভীড়ে
কোলকাতার বই মেলার উদ্বোধনের
সত্তরের দশকের সেই দিন গোধূলির
আকাশে রঙে রাঙানো কবিতায়
হারিয়েছিল মন, সে স্মৃতি আলাপন।

যুদ্ধে কে কার পাশে ?

বকলামে - ব্লক খাওয়ার ভয়ে

ভয়ে  সন্ত্রস্থ সকল সময়
কান পাতলেই শুনি অসময়ে
গোলাগুলি আওয়াজ,
বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ছে 
স্কুল গুলো স্ফুলিঙ্গ এর যেহাদ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দেশান্তরে
নরনারীর না ওরা শরণার্থী ঢল
চলমান মিছিলে মিছিলে ক্ষুধার্তু
খাদ্য  আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তে
সৈনিক উচিয়ে আছে ঐ বন্দুক।
ধর্মের দোহাই পারস্পরিক সম্পর্ক
বিদ্রোহী কবির কাব্য বিস্মৃত ঠিক
এই কারণেই রবীন্দ্রনাথের নোবেল
চুরির করে হয়তো কিনেছে বন্দুক।
রবীন্দ্রনাথের  সভ্যতার সংকট পড়ে
দেখার সময় নেই যে যার অস্ত্রের
বাড়ায় সম্ভার রাজায় রাজায় যুদ্ধে
আম জনতার বেঘরে প্রাণ যায়।

সুস্বাগতম সুপ্রভাতে  এই আজ সূর্যোদ্বয়ের নূতন ভোরে
স্রষ্টার গুনগান আযান ও শঙ্খনাদের ধ্বনি ভেসে আসে।

আজ ভাই ফোটার শুভ মূহুর্তে, উষ্ণ 
অভিনন্দন শুভেচ্ছা  ও ভালোবাসার
জানাই, আমার সকল প্রিয় বোনদের
আদরের নাতনীদের জন্য  আমি
পরম পিতা ঈশ্বরের কাছে নিরন্তর
আন্তরিক ভাবে প্রার্থনা করছি যেন
সর্বদাই তাঁদের সকলের বিপদ থেকে
রক্ষা, কল্যান ও মঙল করেন, স্নেহাশিস রইল।

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-
করুনার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি,
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

জীবনানন্দ দাশ

No comments:

Post a Comment