সোহিনী সোহাগী আমার
শ্যামল সোম
তুমি সেই চলে যাওয়ার পর
বাসা খাঁ খাঁ করছে এই ঘর।
মনে পড়ে, সংসার স্মৃতির ঝড়
দৈনন্দিন ব্যথিত হৃদয়ে গোপন
বেদন তোমাকে মদ্যপ দৈত্যের
মতন শরীরে তন্ন তন্ন খুঁজছি
আমার হারানো প্রেম, কবিতা
লিখতে না পরার যন্ত্রনা সে ব্যথা
অক্ষমতা মদ্যপানে তৃষ্ণার্ত কবি
আর্তনাদ ক্রন্দন হাহাকার হুশ
হারিয় ঘুমিয়ে পড়তাম বহুদিন।
ছ’মাস নির্যাতন অত্যাচার সহ্য
না পেরে চলে গেলে সোহিনী তুমিই
তুমিই ছিলে অনুপ্রেরণার যৌবন
প্রথম প্রেম সলজ্জ চোখে চোখ
পড়তেই দুজনের হৃদয়ের স্পন্দন।
আমরা ভালোবাসার ভেলায় ভাসা
সেদিন পরস্পরকে ভালোলেগেছিল
দুজনের হৃদয়ে জ্বলে উঠে রংমশালে
রঙিন আলো আলোকিত জ্যোৎস্না।
সত্যই কেউই কাউকে ছেড়ে থাকতে
নিদারুন কষ্ট হচ্ছিল খুব জড়িয়ে কান্না
তোমার সে কান্নায় ছলাৎ ছলাৎ বহমান
নদীর ভাঙনে প্রচন্ড হৃদয়ে ভূমিকম্প।
আমাদের যৌথ আবেদনে, সেই ফাল্গুনে
গোধূলি লগ্নে শুভক্ষণে মালা বদল দুজনে।
দস্তখত করে দুজনে দুজনের দিকে মুগ্ধ
চোখে চোখ অপলক দৃষ্টি স্বপ্নের জলছবি।
গতমাসে বিবাহ বিচ্ছেদ শেষ যবনিকা পতন।
মুহুর্তেই কোর্টের বিচারেঅপরিচিত ছন্দপতন
পরস্পরে দিকে নজর আলাদা বেক্কলে আমি
ফ্যালফ্যাল চোখ দেখছি রাগে কষ্টে থমথম
রক্তিম তোমার লাবণ্য মসৃণ মুখ শেষ হয়ে
গেল এ দাম্পত্য নতুন করে সাজিয়ে নিও
নতুন কোন সাজে দিওরাঙিয়ে নতুন সে ঘর,
ঘরের ভেতর নতুন শুভ্র সুখ শয্যায় নূতন বর।
হঠাৎই তিন বছরের যৌথ ভালোবেসে বিবাহিত
দ্বৈত জীবন, কাশ্মীরে মধু চন্দ্রিমা আদরের
সোহিনী আজও মনে পড়ে বর্ষায় শৈত্য উষ্ণতা
কেন খোঁজে মন এত করি বারণ তবু মানে মন।
No comments:
Post a Comment