Thursday, 28 June 2018

দেহের দহনে

দেহের দহনে

শ্যামল সোম

হে  লম্পট পুরুষ এ দেহের দহন জ্বলন
দেহের জ্বালা মিটেও তোমার উষ্ণ উড্ডীন
ধ্বজা হৃদয়ের স্পন্দনে বেদনায় দহনে দগ্ধ
হতে চাই আলিঙ্গনে ঠোঁটের চুম্বনে চুম্বনে।
নারীকে ধর্ষণ ধর্ষণ করো সমাজের অবক্ষয়
পথে চলেছি চরৈ বতে চরৈ বতে এই নিয়তি
আজ নারীর হৃদয়ে প্রেম জাগে না আর শুধুই
যৌবনের উন্মাদনায় হিংস্র বাঘিনীর মতো
ঝাঁপিয়ে পড়ে যৌণ আকাঙ্খায় নগ্নতায় সুপ্ত
বাসনায় মেলে দিয়েছি শরীর শারীরিক সম্পর্ক
বৈধ বা অবৈধ প্রেমিক ঘোড়ায় চড়ে আসছে
আমাকে পৌঁচছে দেবে মিলন সুখের শীর্ষে।
দংশন করো নগ্ন স্তন রক্তাক্ত করো ঠোঁট যোনি
যোনি পথ পথ হতে রক্তিম লাভটা স্রোতে ভেসে
যাক এ নব সভ্যতা ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতি।
ধবংস হোক মানবিকতা অবাদ পরকীয়া প্রেমে
অ প্রেম উদ্দাম  ভালোবাসায় ভরিয়ে প্রাণ মন
ভরে উঠুক অগ্নিপাত ঐ আগ্নেয়গিরি বিস্কোরণে,
সাম্প্রতিক সামাজিক অবক্ষয়ের শেষ পরিনামে।

Wednesday, 27 June 2018

হিমালয় ভ্রমণ শ্রাবণী পূর্ণিমা রাতে জোছনায় মগ্নতায় আজও


সুপরভাতে সূর্যোদ্বোয়ের আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক,
বন্ধু ভাই বোন তোমাদের জীবন, মহান প্রভুর অসীম কৃপায়
আশীর্বাদে কল্যাণ হোক, ভালো থেকো সুস্থ থেকো সবাই।

হিমালয় ভ্রমণ শ্রাবণী পূর্ণিমা রাতে জোছনায় মগ্নতায় আজও

শ্যামল সোম

হিমালয়ের
প্রাচীন গুহায়
অমরনাথ শিব
দর্শন আজ
শ্রাবণী পূর্ণিমা
পঞ্চাশ বছর
আগে যখন
পেলাম দর্শন।
রাতে পাহাড়ে
শৃঙ্গ শ্রেণীর
বরফে ঢাকা
পূর্ণিমা রাতে
চাঁদের আলো
আলোয় মুগ্ধ
মনে স্মরণ।
মমনে চিন্তনে
স্রষ্টারঅপরূপ
সৃষ্টি নন্দনে
সাক্ষাত দর্শনে
ধন্য ধন্য ধন্য
মানব জীবন।
পঞ্চ তরণী
পুণ্য ভূমিতে
কম্বলে কম্বলে
ঢেকে শরীর
বসে বিমুগ্ধ
হয়ে ধ্যানস্থ।
আত্ম মগ্ন মন
অনুধ্যান স্মরণ
মমনে চিন্তনে
আত্ম অনুসন্ধান
নিজের মধ্যে ঐ
আত্মা স্বরূপ ব্রহ্ম
খোঁজে আজীবন।

Tuesday, 26 June 2018

মালতি মাতৃত্ব মহীয়সী নারী

মালতি মাতৃত্বে মহীয়সী নারী

শ্যামল সোম

সেদিন দুপুরে হঠাৎ অতর্কিতে আকাশে কালো মেঘের হানায় প্রচন্ড ঝড়ের তাণ্ডবে মাতনে
লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে কি সৃষ্টি, প্রতিক্ষণের প্রতিক্ষায় গ্রামে মন্ডল মশাইয়ের এক সময়ের সেবাদাসী
সবিতা জরাজীর্ণ যৌবনে এসে মালিকের বিশাল বাগানের এক পাশে বেঁধে দেওয়া ঘরে বসে
ভাবে সন্তান ষোল বছর বয়সে ফুলে ফেঁপে ওঠা গতের নাদুসনুদুস  মালতি এই তুমুল  বৃষ্টিতে
গেলো কোথায়?

ঝড়ের অনেক আগেই মালতি  পুকুর পাড়ে মন্ডল মশাইয়ের গা ঘেঁষে বসে তাঁর বঁড়শি ছিপ
ফেলে মাছ ধরা দেখছে, মাছের খাবার ফেলা হয়েছে চাড় কখন প্রয়াসী মৎসয কন্যা মাছ
ঘাই দিয়ে উঠছে গিলেছে না আঁকশি অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি এক হাতে জড়িয়ে মালতীকে
বলেন " আজ আর ধরা দেষে না রে মালু মেঘ করছে যা ঘরে যা ! "
দাদুর পিঠের ঘামাছি মারতে মারতে  বলে, " মনে হয় তোমার পিরীতে মন নেই ধরলেই চিবায়ে খাবা
তাই ধরা দিচ্ছে না গো দাদু ! খিলখিল করে হেসে উঠলো মেয়ে কড়কড় করে প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়তেই
পাতানো দাদুকে ভয়ে জাপটে ধরে থরথর করে কাঁপছে শরীর সদ্য যৌবন প্রাপ্ত বয়স্ক ষোল বছরের নারী।

ঝড় উঠতেই দাদুর হাত ধরে টানতে টানতে দৌড়ে গিয়ে বিপদের আশঙ্কা বুঝে বাগানের চালা ঘরে ঢুকে
আঁচল দিয়ে দাদুর মাথা মুছিয়া দিতে দিতে বলে, "দাদু গো তোমার কৃপায় দয়ায় বেঁচে বর্তে রয়েছি গো !"

মন্ডল মশাইয়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মালতির মাথা মুছিয়া দেওয়ায় উত্তেজনায় শরীর জেগে উঠছে,
অন্যায় বোধ নিষ্পাপ শিশুর মতন সরল মনের মায়াবী চোখ ছলছল করে তাকিয়ে আছে দাদুর দিকে ?

বাহিরে প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়তেই জড়িয়ে ধরে দাদুর বুকে রেখে মাথা কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে
" দাদু গো তুমি ছাড়া কেউ নেই আমাদের কখন তাড়িয়ে দিও না গো আমাকে খুবলে খাবে ?"

এ পরাণের ডাকে সাড়া দিয়ে চায় মন ছুঁয়ে যায় মন্ডল মশাইয়ের জীবনের সন্ধি ক্ষণ স্খলন অথবা
শ্যামা মালতির রক্ষণ কর্তা হওয়া   বা মনুষ্যত্ব ভূলুন্ঠিত  না করে মনুষ্য জীবনে উত্তরণ?

কে জানে কি হয় এখন ?

Monday, 25 June 2018

Synopsis of FLIM script তাল বেতাল

তাল বেতাল

শ্যামল সোম

ভীষন দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে  মোটর বাইক চোড়ে  রিমা টমবয়,

মাঝে জ্যামে রেড সিগনালের হেলমেট খুলে নিঃশ্বাস নেয়, বোতলে জল

খায়, বিভ্রান্ত উদভ্রান্ত বন্য জীবন ফাস্ট লাইফ স্টাইল, দ্রুত গিয়ার চেঞ্জ

করে দ্রুত ছুটে যাচ্ছে বাইক।

টাইটেল কার্ড ডিজাইন করা হয়েছে ভেসে back ground Hard MUSIC

রিমা বয় কাট চুল বড় চোখ মাথা ঢাকা হেলমেট High Speed  এ সব

সিগনাল ভেঙে খুব জোরে ছুটে যাচ্ছে মোটর বাইক চোড়ে রিমা।

Flash Back নানা দৃশ্য ভেসে উঠছে  মধুরিমার শৈশব কৈশোরে বা সদ্য

যৌবনের  প্রারম্ভ সুখ স্রোতে ভেসে যাওয়া নানা স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে

স্নান শেষে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে দিচ্ছে  মা বা বাপি।

নাগরদোলাতে বাপির রিমা। আইসক্রিম খায় দুজনে। দিঘার সমুদ্রে

বাপি সাথে রিমা ঢেউয়ে ভাসা। সৈকতে বাপির হাত ধরে বেলুন হাতে নিয়ে

বালিতে হাঁটছে বাপি ও মায়ের পাশে। মায়ের সাথে মিলে মার্কেটিং  পোষাকের

ট্রায়াল রুমে মা রিমাকে পোষাক পড়াচ্ছেন  দু তিনটে।

বাপি বাইকের পেছনের সিটে জাপটে শৈশবের রিমা পিঠে স্কুল ব্যাগ

বাপি সামনে বাইকে চড়ে  বাইক চালানো শিখতে মধুরিমা যৌবনে।

রাস্তার দু পাশে সারে সারে যাচ্ছে গাছ গাছ খেত মাঠ গ্রাম বাংলার

জাতীর রাজপথে ছুটে যাচ্ছে মোটর বাইক, দূরে ধূ ধূ ধূ মাঠের শেষে

প্রান্তে গোধূলি লগ্নে সূর্য ডুবছে, অতর্কিতে প্রচন্ড জোরে  বাইকটি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে গিয়ে ধাক্কা দেয় রাস্তার ধারের এক গাছ,

দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো বাইক, দূরে ছিটকে পড়েছে মধুরিমা

রিমাকে বহুক্ষণ পরে স্থানীয় জনতা ও ধেয়ে আসা পুলিশ বাইক চোড়ে

এসে  শেষ বিকেলে আলোয় ছুটে এযামবুলেনস আহত মধুরিমা কে নিয়ে।

কলা মন্দির প্রেক্ষাগৃহে ফুল লাইট জ্বালিয়ে কস্টিউম মেকআপ মিউজিকে

Sound MUSIC Director অয়নের তত্ত্বাবধানে চলছে চণ্ডালিকা নৃত্য নাট্য

এর ফাইনাল রিহার্সাল চলছে, মঞ্জুশ্রী দত্ত নৃত্য পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পূর্বে।

হঠাৎ অতর্কিতে ছুটে একটি মেয়ে মঞ্জুশ্রী মোবাইল ফোন নিয়ে Madam urgent call fo you

মঞ্জুশ্রী মোবাটি নেয় চোখে মুখে নানা অভিব্যক্তি উদ্বিগ্ন হওয়ার লক্ষ্য করা যায়।

বরুনের  ভয়েস কল
মঞ্জু রিমা accidents  করেছে বাই পাশে হাসপাতালে ভর্তি  সিরিয়াসলি ইনজিওয়ড

এসো আর্লি না আমার কাছে I'm carrying with A T M  VISA CARD

বরুন ঘোষ কর্পোরেট অফিসের শীর্ষ স্থানীয় ডাইরেক্টর বোর্ড মিটিংয়ে

ডিজিটাল presentation নিয়ে আলোচনা করছেন তিনি ভীষণ ব্যস্ত এখন।

SCREEN এ  PRENTATION  দেখতে বরুন নিজের মোবাইলেVIBRATION হচ্ছে

তাল বেতাল দ্বিতীয়

মানুষের জীবনে ছন্দ তাল মিলিয়ে চলতে হয় অনেক সময় কোন দুর্বল মূহূর্তে

কার প্রতি প্রবল আকর্ষণে মনের গহীনে গভীর ভালোবাসা ঝড়ের অতর্কিতে

এসে ভালবেসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় এক অনন্ত সুখের শারীরিক ও মানসিক

মিলনে তারই ধারাবাহিকতায় পরম যত্ন মমতায় ব্যাকুল প্রাণের আকুতি

স্নেহে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিপদ বুক দিয়ে আগলে বড় করে তুলছেন

মধুরিমাকে বিখ্যাত স্নামধন্যা নৃত্য শিল্পী মঞ্জুশ্রী দত্ত তাঁর  নৃত্য পরিচালনায়

দেশ বিদেশে খ্যাতি এ দেশজুড়ে।

বরুনের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের প্রথম পাঁচ বছর সুখে দুঃখে আনন্দে  হতাশায়

পরম বন্ধুর বন্ধু মতন পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্বাস সহমর্মিতা সহানুভূতি পরস্পরের

প্রতি ভালোবাসা  ছিলো, মঞ্জুশ্রী নৃত্য পরিবেশন রবীন্দ্রনাথের শাপ মোচন দেখেই

বরুন ঘোষ কর্পোরেট হাউসের ডি জি এম তাঁর ভালো লাগে পরস্পরের হৃদয়ে

কাছাকাছি এসে  বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

ধীরে ধীরে সময়ের কালো স্রোতে ভেসে যায় প্রেম ভালোবাসা, স্বামী স্ত্রী  নিজের নিজের

কাজের জগতে ব্যস্ততায় ব্যাহত হয় দাম্পত্য জীবন তবু  মধুরিমা ঐ পাঁচ বছরের স্বর্ণ

স্বপ্ন পরীর মতন সুন্দরী মেয়ের জন্য পরস্পরে এক সাথে থাকতো।

নৃত্য শিল্পীর সময় অভাবে পুরুষ বরুন যেন ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তাঁর জীবনে
আসে এক বিদুষী নারী ডিভোর্সি নারী লাবণ্য বাসু উনিও এক  কর্পোরেট  হাউসের এইচ আর
ম্যানেজার পদে আছেন।

বৃষ্টি পড়ছে ঝড়ের তাণ্ডবে মাতন বাহিরে বিশাল এপারটমেনট  বেড রুমে বরুনের সাথে মঞ্জুশ্রী

প্রচন্ড ঝগড়া হচ্ছে,

YOU Botch hore I will teach you proper lessons  you lost my faith !

No she is my love child it's a gift for my heartfelt BELOVED!

But you prostitute being married woman how you had sex with him and conceived

How you dare to Brought up this Bastared girl?

I LOVE him really I LOVE him Really I LOVE him

LOVE is different it's not love it's  lust ! I can't believe! Last five years you have been
Cheating me, I would not spared you

বরুন লাগছে ছেড়ে দাও  আহ্ আহ্ আহ্   ( মঞ্জুশ্রী বিছানায় শুয়ে বুকে চোড়ে বরুন গলা টিপে ধরছে )

হঠাৎ অতর্কিতে দ্রুত দরজার পরদা আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে দেখছিল ছোট্ট

মধুরিমা ছুটে এসে ধাক্কা  থাকে চিৎকার করে STOP IT STOP IT STOP IT

দুজনে দুদিকে সরে যাচ্ছে মেয়ে নিয়ে বরুন বিছানায় কোলে আদর করে ভোলাতে থাকে।

মঞ্জু মেঝে ছিটকে পড়ে কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে শরীর।

মধুরিমা বুক কাঁপছে উত্তেজনায় হৃদয়ের স্পন্দনে বেদনায় ছল ছল চোখে চেয়ে থাকে

বরুনের গলা জড়িয়ে ধরে রয়েছে দেয়ালে টাঙানো ছবিটি দিকে তাকিয়ে দিকে দু চোখে

জল, অস্থির চঞ্চল হয়ে রাগ অভিমানে কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে শরীর।

Off VOICE  এ ভেসে আসছে মা মঞ্জুশ্রী ও বরুনের কথোপকথন।

তোমার মেয়ে নয় রিমা she is my love child it's a gift from my BELOVED, yes it's truth

YOU are HER biological father, no no I would not disclose her real father name.

আজ এত বছর তুমি আমাকে এত বড় সত্য গোপন করে গেছো it's not fare আমি রিমাকে

সেই নার্সিং হোম থেকে বুকে তুলে এনে কত যত্ন করে তিল তিল করে বড় করে তুলছি ।

আমি এর জন্য আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত ইচ্ছে নেই ক্ষমা চাওয়ার তবে

মিউচুয়াল ডিভোর্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। যদি চাও তোমার এই এপারটমেনট ছেড়ে দিয়ে কালকেই

রিমাকে নিয়ে চলে যাবো।

না না আমি চলে যাচ্ছি অফিসের Flat এ ডিভোর্স তুমি পাবে যা টাকা প্রয়োজন পাবে তুমি

একটা অনুরোধ শুধু মাঝেমধ্যে রিমাকে পাঠাবে, যদিও আমি ওর Biological father নই

তবু আজ এত বছর গুলো বছর ওকে নিজের মতন মানুষ করে এসেছি  really I LOVE her.

তোমার আমার বন্ধুত্ব পূর্ণ ভালবাসায় থাকুক সুস্থ থেকো মা মণি কল্যাণ মেনে নিলাম।

বরুন you are my dear friend please please please please

দুজনে গভীর আলিঙ্গনে আদরেআদরে ভেসে যায় দুজনে মিলেমিশেএকাকার হয়ে।

Flash Back

মন্তাজ সাথে মিউজিকের সাথে রিমা আর বরুনের নানা দৃশ্য ভেসে উঠছে স্নান  চুল আঁচড়ে দেওয়,

হাত ধরে পার্কে দোলনায় দোলানো, চিড়িয়াখানায়  ভিকটোরিয়া, সাঁতার কাটছে দুজনে সুইমিং পুলে,

বাপির গলা শুয়ে থাকা, অসুখে আক্রান্ত হলে সেবা করা ওষুধ খাওয়ানো, নানা দৃশ্য মধ্যে

বাপ মেয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছায়াছবি এ সব ভাবতে ভাবতে রিমা পাল্টে যাচ্ছে

নিজের প্রতি সহিংসতায় নিজেকে জরাজ পিতৃ পরিচয় হীন ভেবে নানা নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে

মাঝে মাঝে বাপির কাছে যায় ভাবে জিজ্ঞেস করবে বাপি are you not my real father 

AM I a Bastared child ?

তখন বাপি তাকে গল্প শোনায় খড়ের গন্ডি নাটক জার্মান নাট্যকার বাটল বরেকশট

নাটকের গল্প আছে দুই মায়ের একটি সন্তান মেয়ের উপরে অধিকার এক মা শুধুই জন্ম দিয়েছে।
অন্য মা যিনি শিশু অবস্থায় থেকে লালন পালন করে মানুষ বড় করে তুলেছেন যত্ন সহকারে

বিচারক যখন বললেন সন্তান দুটুকরো করে দেওয়া হোক তখন মা যিনি প্রতিপালন করেছেন

তিনি কেঁদে ফেলেন জানালেন যে তার জননীর ব্যথা মর্ম বিলক্ষণ বুঝে নিজের অধিকার ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন

তখন বিচারক জানালেন সাথে মেয়ে নিয়ে যেতে।

গল্প শুনে রিমা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাপের বুকে জড়িয়ে ধরে বুকে রেখে মাথা কাঁদছে দোজনে।

নার্সিং হোমে করিডোর লম্বা বসার জায়গায় মঞ্জুশ্রী অধৈর্য হয়ে ভীষন উদ্বিগ্ন

বসে আছে, Flash back  মধুরিমা বাইকে চড়ে দ্রুত ছুটে এসে গতি সামলে না

পেরে গাছে ধাক্কা দেয় ছিটকে পড়ে, Ambulance ছুটে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে

সাইরেন বাজতে বাজাতে।

মঞ্জুশ্রী চোখ তুলে দেখে বরুন দ্রুত হেঁটে আসছে বোর্ড মিটিংয় শেষ না করেই।

বরুনকে  দেখেই মঞ্জুশ্রী ছুটে কাছে গিয়ে বরুনের হাত ধরে বলে

বরুন বাঁচাও বাঁচাও আমাদের রিমাকে please save her save her !

কান্নায় ভেঙে পড়ে, বরুন বলে, Don't worry ধৈর্য ধরো সব ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করো না আছি তো !

অপারেশন হবে এখনই সার্জেন এসে গেছেন কথা হলো

কিন্তু রিমার ব্লাড গ্রুপ এ প্লাস নেগেটিভ খুব রেয়ার গ্রুপ পাওয়া যাচ্ছে না গো

তুমি চিন্তা করো না আছি তো আমার ঐ একই গ্রুপ আমি দেবো মঞ্জু!

মঞ্জু এক দৃষ্টি তাকিয়ে রয়েছো বরুনের দিকে বিস্ময়ে অভিভূত আপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরে অশ্রু দু চোখে বয়ে যায়

YOU are great so kind hearted man,

ছাড় ছেড়ে দাও আমাকে এখনই সার্জেন এসে যাবেন আমাকে ব্লাড দিতে হবে

বরুনের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে কত স্মৃতি মনে পড়ে যায় দুজনে একসাথে পথ চলা দৈনন্দিন ঘটনা।

বরুন নার্সিং হোমের বেডে শুয়ে রক্ত দিচ্ছে পাশের বেডে অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে মধুরিমা।

Wednesday, 20 June 2018

অনু কবিতা তৃষিত হৃদয়ে বাসনা

অনু কবিতা  21 -6--18

তৃষিত হৃদয়ে বাসনা

শ্যামল সোম

আজ তোমার তৃষিত প্রেমে হয়েছি আমি আত্মহারা,
তোমাকে ভালোবেসে ছুটে  কাছে এসে বৃষ্টি ঝরা
ছুটছি আমি আজও দিগবিদেগ হয়েছি পাগলপারা,
তুমুল ঝড়ের রাতে আমার অভিসার জড়িয়ে ধরা।
আজ অতৃপ্ত  আকাঙ্খায় বিদগ্ধ বাসনার খোঁজে
স্মৃতির শিল্প গৃহে মলিন ধুলোর আস্তরণের মাঝে
সোকেসে সারে  সাজানো শৈল্পিক স্বপ্ন থরে থরে
বিদগ্ধ  হৃদয়ের স্পন্দনে বেদনায় ছল ছল চোখে
মেলে চোখ চেয়ে দেখে অতীতের প্রেমের প্রলয়
প্লাবনে, তোমাকে ভালোবেসে প্রেম  তুষিত বর্ষায়।

Saturday, 16 June 2018

আমার পালাবার পথ নেই

আমার পালাবার পথ নেই

শ্যামল সোম

আজ একমাত্র নারী হয়ে জন্ম গ্রহণ কি অপরাধ ঈশ্বর
তিনিও কি ফিরিয়ে নিয়েছেন মুখ, প্রতিক্ষণ ভয়ে ভয়ে
আমি পালিয়ে বেড়াই শৈশবে আদর করার ছলে সয়ে
না কাউকে বললেও বিশ্বাস করে না, ভুলে যাও,ভুলে
যেতে বলে, শরীরে আঁচড়ের দাগ মনে থেকে যায় খত।
আঘাতে আঘাতে কৈশোরের পুরোটাই কি বরবাদ ?
স্কুলে ঘরে কোচিং সেন্টারে দৃষ্টি লেহণ, হয় কি ধর্ষণ,
ধর্ষণের মজা খাল পারে জঙ্গলে শহরের বিভিন্ন মলে
এতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মেয়েরা কেন শালিন পোষাক পরে
পরিধানে কালো মেঘের আড়ালে মুখ ঢেকে কেন কেন
দেহ ঢেকে রাখো না, বিজ্ঞাপনের অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরছে যেন
ডাকছি এই অপরাধে ধরতে ছুটছে পেছনে আমার চটি
জুতো যাচ্ছে খুলে টানা হেঁচড়ায় সালোয়ার কামিজ লুটি
শাড়িতে যাঁরা দিলো টান, টেনে নিয়ে চলে, চিৎকার কান্না
আর্তনাদ বধির উদাসীন নির্লিপ্ত নীরব ভাগ্য মেনে নেওয়া
জনগণের কাছে কিছুই এসে যায় না, এ নিয়তির পরিনতি।
নারী বলে একান্ত  নিজস্ব বলতে কিছুই নেই দেহ শরীর স্তন
হাত পা মুখ ঠোঁট বেয়ে অঝোরে রক্ত, রক্তাক্ত অবস্থায় মন
প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটছি আমি, হিংস্র প্রাণী বা জীবজন্তুর ভয়ে
ধর্ষণে নড়ে শ্বাসরোধ হয়ে খুন হওয়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি,
পালাবার পথ নেই,  প্রেমে ভালবাসায় দাম্পত্য জীবনেও পালাবার পথ নেই!

উৎসবে খুশি আনন্দের দিনে

উৎসবে খুশি আনন্দের দিনে

শ্যামল সোম

নীড় খোঁজে গাঙচিল ভেসে ভেসে নীল আকাশে
একাকী একা একা খোঁজে নীড়, উড়ে উড়ে বাতাসে।
আজ ঈদের উৎসবে আনন্দে মুখরিত ঘরে ঘরে মাঠে
ময়দানে মসজিদে ইদগাড়ে চলছে নামায সারে ভোরে।
সাথে সারে শতসহস্র লক্ষ্য কোটি কোটি মানুষের পাশে
নিয়ে  শত চেনা অচেনা ধনী বর্ধিষ্ণু দরিদ্র মানুষের সাথে
মহান প্রভুর কাছে প্রার্থনা, যেন  পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ
জাত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশে দেশে মানুষের কল্যাণে
পশু,পাখি ফুল নদী সমুদ্র প্রকৃতি মহান প্রভু যা কিছু সৃষ্টি
হেপাজতে করি যথাযথভাবে বিশ্ব ভাতৃত্ব সম্প্রতি কৃষ্টি,
মানবিকতা ও সংস্কৃতি ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেছে।
আজ আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর আন্তরিকতায় এগিয়ে
এসেছে মানুষ পরস্পরকে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আদাব !
শুভেচ্ছা বিনিময়ে, প্রীতি  উপহারে, নানাবিধ পিঠা ফিরনি
বানানো হয়েছে, উজ্বল  আলোয় আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে
উঠছে, প্রতিক্ষণ ভেসে আসছে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।
নীড় হারা গাঙচিল ভেসে ভেসে দোসরের সাথে ফিরছে নীড়ে
আজ এই পবিত্র শুভ ঈদের খুশী বন্যায় হেসে হেসে ভেসে ভেসে।

অনু গল্প সোনালি সকাল আসে

এ অনু গল্প

সোনালী সকাল আসে

শ্যামল সোম

বহুদিনের ব্যথা বেদনায় ছল ছল চোখে
চেয়ে দেখেন কন্যার ছবিটি, বিষাদে ঘোরে।
এখন রয়েছেন তিনি আত্মমগ্ন হয়ে ঘরে,
বহু আগে অতর্কিতে বন্ধ হয়ে যায় ঝরে।
আদরের মেয়ে চলে গিয়েছিল ঘুরতে
দেখা হয়েছিল মনের মানুষের সংস্পর্শে
এসে ভালবেসে গোপনে বিয়ে করে সে।
স্বামীর সাথে সুখে আনন্দে পুত্র কন্যা সহ
সুখে সাগরে ভেসে চলে বিশটা বছর ধরে।
মাঝেমধ্যে অবসন্ন উদাসী উষ্ণ  দুপুরে বা
মেঘলা দিনে বিনিদ্র রাতে নীরবে কাঁদে সে।
অভাগী মেয়ে, প্রতিক্ষণের মনে পড়ে আব্বাকে,
শৈশবে বাপের সোহাগে সুতীব্র ভালোবাসা সে
টান হৃদয়ে হয়ে যেত খান খান,হঠাৎ অবশেষে,
আজ এতদিন পরে প্রভুর কৃপায় ফেরে চৈতন্য
পিতা কন্যার সে  এক অমুক টান অনুভবে কন্যা,
আজ এই ঈদে, ছুটে ছুটে  আসছে আত্মজা বন্যা
সে যে বহুদিনের বিচ্ছেদ ঠেকানোর গেলো না আর
কন্যা সন্তান  ভয়াল বাঁধ ভাঙা নদীর মতন সব সব
বড় অভিমানী মন ছুঁয়ে চোখে পানি ঢেলে আবেগে
আবেশে আপ্লুত আহ্লাদে ছুটে এসে আব্বার বুকে
ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে দেহ তার
দীর্ঘ দিনের বুকে জমা ব্যথা বেদনা নৈরাশ্যের
অন্ধকারে অতীতের ফেলে যাওয়া কত স্মৃতি চিহ্ন
হারানো শৈশব কৈশোর বিলীন হয়ে শূণ্য ঐ বুকে
এসে আশ্রয় নিয়েছে সে আজ এই শুভ পবিত্র রোজা
শেষে আজ এই পবিত্র ঈদের দিনে, পূর্ণ ধৈর্য ও
ভালবাসায় পিতৃত্ব অস্তিত্ব সনে এসে আব্বার বুকে
সোনি মা আনন্দে কাঁদছে, আকুল নয়নে দুজনে।
ভেসে আসছে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পবিত্র  হাঁক,
সন্ধ্যায় সাঁঝের বাতি জ্বলে উঠে, ঐ চাঁদের শুরু হলো
নূতন করে জীবন শুরু আবার বাপের সাথে পথ চলা
দূরে মসজিদ থেকে ভেসে আসছে মাগরিবের নামায।

স্রষ্টার শ্রেষ্ট সৃষ্টি কন্যা সন্তান

স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি  কন্যা সন্তান

শ্যামল সোম

সোনা মা তোমার ঐ বাবা ডাক শুনে
বছর নয় মাত্র কটা দিনে দিনে দিনে
কোলকাতায় কাঁটাতারের বেড়ার এপারে
কেন অচেনা আমার বুকে আছড়ে পড়ে
অপরিচিতা ওপারের পদ্মা নদীর ঢেউ
রক্ত করবীর কখন কি বিপদ ঘটায় কেউ,
বাংলাদেশের মা মাগো কেন এ এমন হয়
প্রভু  মহান স্রষ্টার কি আশ্চর্য এই বিস্ময়,
অষ্টম এ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য মনে হয়?
মিল নেই জাত ধর্ম শ্রেণী আচারে বৈষম্য
আমার মা ডাকে তুমি কে সাড়া দিয়ে নম্র
আদাব জানিয়ে বাবা বাবু বাবা ঐ ডাক
দগ্ধ এ হৃদয়ের স্পন্দনে ধ্বনিত গুঞ্জনে
শুনি গো প্রতিধ্বনিত অনুভূত জলপ্রপাত।
অশ্রু নদী  দু চোখে বয়ে যায় ক্ষণ ক্ষণে
এই  এপারে এ বৃদ্ধের হৃদয়ের আর্তনাদ
মগ্ন  মৃত্যু পদধ্বনি শুনি প্রতি রাতে নীরবে
ভগ্ন হৃদয়ে যেতে হবে কালেরকণ্ঠ ঐ রূপসা
নদীর সে বহমান স্রোতে ভেসে যায় ঝাপসা
ঘণ কুয়াশার আড়ালে স্নেহের কাঙালিনী
অপরূপা রূপসী বাংলার কন্ঠে বাবা ডাক
ক্ষণিকের এই অলীক সম্পর্ক ভেসে যাক।
জানি না তবু কেন পাপিয়ার গান ভেসে আসে
আমি চির তরে দূরে চলে যাবো তবু আমারে
দেব না ভুলিতে, বাবা ডাক ফেরে বাতাসে বতাসে।

তিলোত্তমা তুমি অনন্যা

তিলোত্তমা তুমি অনন্যা

শ্যামল সোম

স্রষ্টা সৃষ্টি এই ধরিত্রী
তুমি বিমূর্ত শব্দ মৈত্রী।
ফুলে ফলে এ ঐশ্বর্য
প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য
সূর্যোদ্বোয়েরআলোয়
উদ্ভাসিত আকাশে রয়
তুমি অরুন্ধতী  না গো
ভোরের ঐ শুকতারা
প্রিয়া হৃদয়ে ধ্রুব তারা।
তুমি আমার প্রাণ বৃক্ষ,
মমনে অনুভূত এ সূক্ষ
স্রষ্টার সৃষ্টি তুমিই নদী
সে নদী সমুদ্র সৈকতে
অপেক্ষায় রয়েছে সাথে
বুকভরা যত সে অভিমান
নীরবে অশ্রু এ  বিসর্জন
প্রেমের প্রলয় ঐ প্লাবন
কার কথা ভাবো একাকী
তিলোত্তমা প্রেমে সে কি
ফিরছে এই ধূ ধূ  বালুচরে
প্রতীক্ষায় রয়েছো বাহারে।

মনের ডায়রি পাতায় স্বীকারোক্তি

মনের ডায়রি পাতায় স্বীকারোক্তি

শ্যামল সোম

স্রষ্টার তুমি এক এ অপরূপ সৃষ্টি
রূপসার জলে স্নানরতা ঐ দৃষ্টি
মিলনে তোমার লাজে রাঙা মুখ
ঢাকো, দেহ লাবণ্য চূঁয়ে চূঁয়ে সুখ
ঝরে ভেজা নীল শাড়ির আঁচলে
দুষ্ট পদ্ম ফোটে উন্মুখ নম্র জলে।
নয়নে নয়ন দুটি হৃদয়ের স্পন্দন
গভীর আলিঙ্গনে আদরে কম্পন
চায় দুটি  মন ক্ষণিকের মধুমিলন।
রূপসা নদীতে নৌকার ছাউনিতে
পাঠাতনে শীতলপাটি বিছানেতে
সেদিন আমারা দুজনে ঘর্মাক্ত দেহ
শরীর শরীরের টানে রক্তাক্ত মোহ,
প্রেম ভালোবাসায় ভরিয়ে দুটি প্রাণ,
বিরহ বেদনা নৈরাশ্য সমাজ বিধান।
অপূর্ণ অতৃপ্ত আত্মা আজ ফিরছে
খুঁজছে সে প্রাণঅবন্তিকা তোমাকে
ওগো লাবণ্যময়ী তুমি স্বপ্ন নন্দিনী
স্বপ্নে এসো চুম্বন করি ওগো পন্দিনী,
পদ্ম পাতায় সাজিয়েছি এ নিশীবাসর
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসের বায়ু সেও কি তুমি
এ স্পর্শ মনে পড়ে যায় দুজনে শিহরণ
তুমি কবিতা হয়ে যাও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ।

Friday, 8 June 2018

নীল নীলাঞ্জনা ভালবাসার নীল আকাশে

নীল নীলাঞ্জনা ভালোবাসার নীল আকাশে

শ্যামল সোম

এতদিন পরে নীলা জানতে চেয়েছো,
তুমি সত্যি কি ভালোবাসা পাগলামি,
ভালোবাসা প্রেম ছিল কি ফাজলামি?
এত বছরের ইচ্ছে পুষিয়ে নিয়েছো
বসবাসের বাসা বেঁধে ছিলে সাথে,
সে কি শুধুই দীর্ঘশ্বাস আকাশকুসুম
কল্প কাহিনী বর্ণনা বিরহ বিচ্ছেদের
ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল  ঐ
ছায়াছবি আমাদের যৌথ দাম্পত্য
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এ ভাবে
শেষে কি আশ্রয় পায় পাবনার মানসিক
হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে হারিয়ে কি
ফেলেছি আমাদের প্রিয় প্রাণের মানুষকে
মনের মানুষ সত্যি কি হয় ভালবাসায়
পরস্পরের হৃদয়ে কাছাকাছি এসে মুগ্ধ
বিবাহ বন্ধনে সে বাঁধন খুলে দেয় কি
আবার ফিরে পায় পরকীয়া প্রেমে তবু কি
কাঁটাতারের বেড়া দুজনের মনে গহীনে
সে প্রেমের পাগলামি  কি অভিমানের গুঞ্জন?
মনেমনে কেন আরো কাছে যেতে চায় মন এখন 
নীল নীলাঞ্জনা,  হাঁ গো তুমি কি  করবে বারণ ?
সত্যি তোমার সাথেই থাকবো চাই যে আজীবন।

বোনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

বোনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণে

শ্যামল সোম

বেদনায় ছল ছল চোখে চেয়ে রয়,
যখন ভুল করে তুলতে গিয়ে ফুল
যদি কাঁটা বেঁধে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ
ভালোবাসার প্রলেপে মুছিয়া দিতে
এগিয়ে এসেছি তোমার কাব্য পাঠে,
সোনি সত্যি বলতে কি আমি আপ্লুত
হয়ে আছি তোমার বোন  কবিতার
জগতে সাথে শীর্ষে অবস্থান করুক
বাসনা আমার ভীষণ প্রিয় কবি বোন।
ভালোবাসা রয়ে যায় মনে মনে অনুক্ষণ
নিরন্তর  অনুরোরন ধ্বনিত গুঞ্জন শুনি
কাব্যে শব্দ চয়নের অক্ষরে অক্ষরে।
দিনে দিন পড়ে মুগ্ধ হয়েছি কাব্য লিখনে
তোমার  স্বপ্নিল কাব্যিক ঐ  ছন্দে ছন্দে
আমার হৃদয়ের আকাশে আঁকা রয়েছে
বোন তুমিই রঙধনু ভালোবাসা রয়ে
যায় মনে মনে অনুরোরন দূর হতে  দূরে
প্রতিধ্বনিত হচ্ছে কথাশিল্পীর কাব্যে
ধ্বনিত তুঙ্গে  গুণমুগ্ধ আমি আপ্লুত ।
মুগ্ধ পাঠক বৃদ্ধ দাদাভাই দূরান্ত থেকে
কাঁটাতারের বেড়ার এপারে আকাশ পথে।