এ অনু গল্প
সোনালী সকাল আসে
শ্যামল সোম
বহুদিনের ব্যথা বেদনায় ছল ছল চোখে
চেয়ে দেখেন কন্যার ছবিটি, বিষাদে ঘোরে।
এখন রয়েছেন তিনি আত্মমগ্ন হয়ে ঘরে,
বহু আগে অতর্কিতে বন্ধ হয়ে যায় ঝরে।
আদরের মেয়ে চলে গিয়েছিল ঘুরতে
দেখা হয়েছিল মনের মানুষের সংস্পর্শে
এসে ভালবেসে গোপনে বিয়ে করে সে।
স্বামীর সাথে সুখে আনন্দে পুত্র কন্যা সহ
সুখে সাগরে ভেসে চলে বিশটা বছর ধরে।
মাঝেমধ্যে অবসন্ন উদাসী উষ্ণ দুপুরে বা
মেঘলা দিনে বিনিদ্র রাতে নীরবে কাঁদে সে।
অভাগী মেয়ে, প্রতিক্ষণের মনে পড়ে আব্বাকে,
শৈশবে বাপের সোহাগে সুতীব্র ভালোবাসা সে
টান হৃদয়ে হয়ে যেত খান খান,হঠাৎ অবশেষে,
আজ এতদিন পরে প্রভুর কৃপায় ফেরে চৈতন্য
পিতা কন্যার সে এক অমুক টান অনুভবে কন্যা,
আজ এই ঈদে, ছুটে ছুটে আসছে আত্মজা বন্যা
সে যে বহুদিনের বিচ্ছেদ ঠেকানোর গেলো না আর
কন্যা সন্তান ভয়াল বাঁধ ভাঙা নদীর মতন সব সব
বড় অভিমানী মন ছুঁয়ে চোখে পানি ঢেলে আবেগে
আবেশে আপ্লুত আহ্লাদে ছুটে এসে আব্বার বুকে
ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে দেহ তার
দীর্ঘ দিনের বুকে জমা ব্যথা বেদনা নৈরাশ্যের
অন্ধকারে অতীতের ফেলে যাওয়া কত স্মৃতি চিহ্ন
হারানো শৈশব কৈশোর বিলীন হয়ে শূণ্য ঐ বুকে
এসে আশ্রয় নিয়েছে সে আজ এই শুভ পবিত্র রোজা
শেষে আজ এই পবিত্র ঈদের দিনে, পূর্ণ ধৈর্য ও
ভালবাসায় পিতৃত্ব অস্তিত্ব সনে এসে আব্বার বুকে
সোনি মা আনন্দে কাঁদছে, আকুল নয়নে দুজনে।
ভেসে আসছে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পবিত্র হাঁক,
সন্ধ্যায় সাঁঝের বাতি জ্বলে উঠে, ঐ চাঁদের শুরু হলো
নূতন করে জীবন শুরু আবার বাপের সাথে পথ চলা
দূরে মসজিদ থেকে ভেসে আসছে মাগরিবের নামায।
No comments:
Post a Comment