Tuesday, 26 June 2018

মালতি মাতৃত্ব মহীয়সী নারী

মালতি মাতৃত্বে মহীয়সী নারী

শ্যামল সোম

সেদিন দুপুরে হঠাৎ অতর্কিতে আকাশে কালো মেঘের হানায় প্রচন্ড ঝড়ের তাণ্ডবে মাতনে
লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে কি সৃষ্টি, প্রতিক্ষণের প্রতিক্ষায় গ্রামে মন্ডল মশাইয়ের এক সময়ের সেবাদাসী
সবিতা জরাজীর্ণ যৌবনে এসে মালিকের বিশাল বাগানের এক পাশে বেঁধে দেওয়া ঘরে বসে
ভাবে সন্তান ষোল বছর বয়সে ফুলে ফেঁপে ওঠা গতের নাদুসনুদুস  মালতি এই তুমুল  বৃষ্টিতে
গেলো কোথায়?

ঝড়ের অনেক আগেই মালতি  পুকুর পাড়ে মন্ডল মশাইয়ের গা ঘেঁষে বসে তাঁর বঁড়শি ছিপ
ফেলে মাছ ধরা দেখছে, মাছের খাবার ফেলা হয়েছে চাড় কখন প্রয়াসী মৎসয কন্যা মাছ
ঘাই দিয়ে উঠছে গিলেছে না আঁকশি অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি এক হাতে জড়িয়ে মালতীকে
বলেন " আজ আর ধরা দেষে না রে মালু মেঘ করছে যা ঘরে যা ! "
দাদুর পিঠের ঘামাছি মারতে মারতে  বলে, " মনে হয় তোমার পিরীতে মন নেই ধরলেই চিবায়ে খাবা
তাই ধরা দিচ্ছে না গো দাদু ! খিলখিল করে হেসে উঠলো মেয়ে কড়কড় করে প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়তেই
পাতানো দাদুকে ভয়ে জাপটে ধরে থরথর করে কাঁপছে শরীর সদ্য যৌবন প্রাপ্ত বয়স্ক ষোল বছরের নারী।

ঝড় উঠতেই দাদুর হাত ধরে টানতে টানতে দৌড়ে গিয়ে বিপদের আশঙ্কা বুঝে বাগানের চালা ঘরে ঢুকে
আঁচল দিয়ে দাদুর মাথা মুছিয়া দিতে দিতে বলে, "দাদু গো তোমার কৃপায় দয়ায় বেঁচে বর্তে রয়েছি গো !"

মন্ডল মশাইয়ের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মালতির মাথা মুছিয়া দেওয়ায় উত্তেজনায় শরীর জেগে উঠছে,
অন্যায় বোধ নিষ্পাপ শিশুর মতন সরল মনের মায়াবী চোখ ছলছল করে তাকিয়ে আছে দাদুর দিকে ?

বাহিরে প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়তেই জড়িয়ে ধরে দাদুর বুকে রেখে মাথা কাঁদছে থরথর করে কাঁপছে
" দাদু গো তুমি ছাড়া কেউ নেই আমাদের কখন তাড়িয়ে দিও না গো আমাকে খুবলে খাবে ?"

এ পরাণের ডাকে সাড়া দিয়ে চায় মন ছুঁয়ে যায় মন্ডল মশাইয়ের জীবনের সন্ধি ক্ষণ স্খলন অথবা
শ্যামা মালতির রক্ষণ কর্তা হওয়া   বা মনুষ্যত্ব ভূলুন্ঠিত  না করে মনুষ্য জীবনে উত্তরণ?

কে জানে কি হয় এখন ?

No comments:

Post a Comment