Saturday, 27 July 2019

মহুয়া সুন্দরী নাটকের গল্প

মহুয়া সুন্দরী

শ্যামল সোম

ফাল্গুনে কৃষ্ণচূড়া গাছে গাছে লালে  রক্তিম পলাশ শিমূল
ফুলে বসন্তের এই মধু মাসে পূর্ণিমায় জ্যোৎস্না রাতে
মহুয়া সাথে অনিমেশে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, Marriage
Register এসে দুজনে সাক্ষর সাক্ষীদের সাক্ষর নিয়ে গেলেন।
অনিমেশ বিশাল কোম্পানির সেলসে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কাজের
জন্য আল্প কয়েকদিনের ছুটি মহুয়া নূতন বিবাহের আনন্দে গদগদ,
ঢলঢল চেহারায় বাসর রাতেই স্বামীর আদরে গলে গলে পড়ছে সুখ।
দিখাতে মধু চন্দ্রিমা হটেলে সাজানো ঘরে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

কোলকাতায় ফিরে বাপের বাড়িতে মায়ের কাছে থাকতে গেলো মহুয়া
সুন্দরী তরুণী প্রেমে পড়েছিলো মদন পাড়ার মাস্তান মহুয়ার স্বপ্নের রাজা,
যৌবনে মদনের সাথে সিনেমা অনধকার হলে, হোটেলে নিশি যাপন সুখের
স্বপন যৌবনে দুজনে  ভ্রমর ও প্রজাপতি উড়ে যেতো মদনের বাইকে চোড়ে
ঝাঁপটে ধরে মগ্ন হয়ে ভেসে যেতো মদনের উত্তপ্ত আলিঙ্গনে চুম্বনে নেশায়
আচ্ছন্ন ছিলো কিনতু বিবাহে কোন দায়িত্ব নিতে মদন রাজি হতো না মদন
মুক্ত সম্পর্ক পছন্দ করে তাই শেষ পর্যন্ত মহুয়া সুন্দরী অনিমেশকে বাড়ির
লোকেদের ব্যবস্থা মেনে নেয়।

বাপের বাড়িতে মায়ের কাছে এসে মদনের সাথে জড়িয়ে পড়ে চওড়া বুকে মাথা রেখে
হোটেলের ঘরে নেশাধরা দৈহিক সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে হারিয়ে মহুয়া সুন্দরী।

অনিমেশে বিভিন্ন প্রদেশ  অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় সামুয়িক বিচ্ছেদ ঘটে মাঝেমধ্যে।

মদনের সাথে মহুয়ার সলা পরামর্শ ষড়যন্ত্র করছে নিত্য  নতুন রেঁসতোরায় হোটেলের ঘরে
চলছে আশ্বিন মাসের এক রাতে হাহাকার চিৎকার বুক ফাটা কান্না ভেঙে পড়লো আর্তনাদে
চিৎকারে আলুথালু পোষাকে মহুয়া সাহায্যের জন্য চিৎকার করে কেঁদে ভাসিয়ে দেয় ।

পাড়ার লোকেরা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে দেখে অনিমেশ গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে আর মহুয়া
রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

তিন বছর পুলিশ অনুসন্ধানে জানা গেছে মদনের সহায়তায় মহুয়া সবামীকে খুন করে মিথ্যে গল্প
সাজিয়ে স্বামী হত্যা কাহিনী বর্ণনা ফাঁস হয়ে গেল, বিবাহিতা স্ত্রী মহুয়া এই  তীব্র হিংস্রতায় অভাবনীয়
বিশ্বাস ঘাতকের ষড়যন্ত্রকারী মহুয়া ও মদন কোর্ট  যাবতজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে।

অনিমশ ও মহুয়া হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment