আত্ম পলায়ন ( এ প্রবন্ধ এ ভুল লিখলে মাফ করবেন )
শ্যামল সোম
শস্য শ্যামলা দেশ আমার আদরের জন্মভূমি
উনিশো পঞ্চাশ সালে ইতিহাসের রক্তাক্ত জমি,
ক্ষমতার মসনদে বসার আকাঙ্খায় দিলো ডাক
সকল দেশের রানী ভারত মাতা তৃ খণ্ডিত হোক,
শুরু হলো জিহাদ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে সহস্র প্রাণ
হুংকার গর্জনে কাঁপে " লড়ছে লেঙ্গে পাকিস্তান,"
"হরে হরে মহাদেব " ত্রিশূল বিদ্ধ হলো শত ভ্রূণ,
জমি দখলের লড়াইয়ের ময়দানে জ্বলে আগুন।
আগুনের লেলিহাণে অসহায় দরিদ্রদের গৃহহীন
লক্ষ লক্ষ মানুষ মানুষের ভয়ে ভয়ে পালিয়ে ক্ষীণ,
আশা নিয়ে জননী ভগ্নী কন্যা স্বজন হারানোর নাদ
ব্যথা বেদনা সহে সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার আর্তনাদ।
তত্কালীন ইংরেজ সরকার বিধ্বস্ত দ্বিতীয় মহা যুদ্ধে
ঔপনিবেশিক শাসনের বদলে অর্থনৈতিক শোষেনের
জন্য আইন করলেন লন্ডনের আইন সভায় হস্তান্তরিত
হলো স্বাধীনতা, অখণ্ড ভারতবর্ষের মানচিত্র ছিঁড়ে তিন
টুকরো হলো জনসাধারণের অগোচরে সংগোপনে
ভাগাভাগি করে পরে উন্মাদের উনমাদনায় তাণ্ডবে
পৈশাচিক নারকীয় আতঙ্কের ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আছে
অতীতের মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক পাপের বোঝা
টানছে তিন দেশের জনসাধারণ চলে ধর্ষণ হানাহানি
ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার হাহুতাশ প্রভুর কাছে প্রার্থনা।
সত্তর বছর আগের সে আর্তনাদ শুনি বিস্কোরণে
ভজনালয়ে স্কুলে সাধারণ শান্তি প্রিয় মানুষের মনে।
এ স্বাধীনতা সম্পর্কে সত্যি কি সম্যক ধারণা ছিলো ?
ছিলো অন্ন বাসস্থান বসনপরিধান দারিদ্র্য দূরীকরণ
সংকট বিমোচনে সহায়তা প্রদানে মধ্যবিত্তের এ স্বপন।
স্বপ্ন ভঙ্গের দায়ে প্রতিদিন প্রতি নিয়ত রক্ত স্নাত অক্ষরে
লেখা হয় ইতিহাস, অতীতের কল্কাময় ইতিহাসে অধ্যায়।
ইতিহাস কথা বলে উনিশ ছেচল্লিশ সালের শোক যাত্রায়
পরস্পরের বিরুদ্ধে হাতে নিয়ে খোলা তলোয়ার রক্তাক্ত
স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা শ্মশানের সাজানো চিতায় ওঠে দুঃসময়।
স্বজনহারা বহু পথ অতিক্রম করে শেষে এই শরণার্থীদের
অন্তরে শিবিরের আজ মনে রয়েছি জন্মভূমির শেকড়ের
টানে আমৃত্যু আত্মবিলাপ হাহাকার ক্রন্দসী আত্ম পলায়ণ।
No comments:
Post a Comment