প্রচীন লোকগাঁথা অবলম্বনে বার্গম্যানের ভার্জিন স্প্রিং অবলম্বনে নির্মিত নাটকের গল্প
জিঘাংসা
শ্যামল সোম
গাঁয়ের মোড়লধনবান প্রতাপ সিং গাঁয়ের সবাই মান্ন করেন তিনি ভীষণ দাম্ভিক ধনবান।
বসন্ত উৎসবে গাঁয়ের সবাই নাচ গানে বৃঁশি বাদ্য যন্ত্র বাজিয় আজ এই জ্যোৎস্না রাতেখজজ
ও কৃত্রিম আলোয় আলোকিত প্রাঙ্গনে মজা হাসি খুশিতে আমোদ প্রমোদ আনন্দে আছে।
প্রতাপ সিং এক মাত্র কন্যা ফুলমতি সতেরো বছরে রূপসী শৈশব থেকেই খুব ডানপীটে।
সাঁঝবাতির জবলে উঠতেই এলেন শৈশবে বিবাহিত স্বামী রূপকুমার সিং গাঁয়ের সবাই মিলে
আনন্দে নাচ গান খানা পিনায় আমোদে আহ্লাদে আটখানা হয়ে রাত ভোর মশগুল রইলো।
বেলা হতে সবাই কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রূপকুমার সিং সুসজ্জিতা ফুলমতিকে ঘোড়া পিঠে চাপিয়ে
রূপকুমার সিং গাঁয়ের অনেকে সাথে যাত্রা করে তাঁর নিজের গাঁয়ের বাড়িতে বনের কাছে এসে
ফুলমতির পিতা মাতা গাঁয়ের সবাই ফিরে যায়।
গভীর বনের মধ্যে দিয়ে রূপকুমার সিং ফুলমতিকে ঘোড়ায় চড়ে চলেছে অনেকটা পথ পেড়িয়ে
এসে ভরদুপুরে একটি ঝর্ণা প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যে পরিবেশে, ঘোড়া থেকে নেমে
ফুলমতিকে কোলে নামায়।
তাঁরা দুজনে পাথরের উপর বসে, ফুলমতি ঘর থেকে আনা খাবারের পোঠলা থেকে ফুলমতি স্বামী
রূপকুমার সিংকে থেখে দেয়, দুজনে পরস্পরকে খাইয়ে দেয়, হাসি ঠাট্টা তামাসা অনেকটা সময়
পার হয়ে যায়, ঝর্ণা থেকে রূপকুমার জল আনে দুজনে জল পান করে ঘোড়া চড়ে চলতে থাকা
আঁধার হয়ে আসছে, হঠাৎ ধূমকেতুর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনজন দস্যু ডাকাত, খোলা তরোয়াল নিয়ে
রূপকুমার সিং তিন সঙ্গে লড়াই করে হঠাৎ পেছন থেকে একজন সমূলে তরোয়াল দিয়ে প্রচন্ড
জোড়ে আঘাত করে রূপকুমার সিং মাটিতে পড়ে গেলে তিন জন তরোয়াল দিয়ে খুঁচিয়ে খুন করে
ঝর্ণা প্রবল জলোচ্ছ্বাসে স্রোতে ভাসিয়ে দেয় ভেসে যায় রূপকুমারের মৃত দেহ।
ফুলমতি গাছে আড়াল আতংকে ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে থরথর করে কাঁপছে, হঠাৎ চোখে সামনে সবামির মৃত্যু
আর্তনাদ করে উঠে।
ডাকাত তিন জন তরোয়াল নিয়ে ফুলমতি দিকে তাকিয়ে রয়েছে তাদেরচোখ মুখে বিভৎস লালসায়
ফুলমতি দিকে ছুটে যায় তাদের আক্রমণে ফুলমতি পালাতে থাকে, শেষ পর্যন্ত নিরুপায় ঝর্ণাার খরস্রোতে
আত্ম বিসর্জন দিতে যেতেই পেছন থেকে এক ডাকাত ফুলমতির চুলের লম্বা বিনুনি হ্যাঁচকা টান দেয়
ছিটকে এসে মাটি পড়ে, দুজন ডাকাত ফুলমতিকে চেপে মাটিতে শুয়িয়ে টেনে হিঁচড়ে ঘাগড়া চোলি ওড়না
ছিড়ে ফুলমতিকে নগন করে এরপর জোর পূর্বক চলে ধর্ষণ বার বার তিনজনের পৈশাচিকতা উগ্র হিংস্রতা।
জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ফুলমতি বিধ্বস্ত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, একজন এটকা ভারি পাথার ফুলমতির আঘাত
করে একবার ফুলমতির দেহটা কেঁপে উঠে নিথর হয়ে যায়।
ডাকাতরা ফুলমতি দেহর সব দামি পোষাক সোনার গয়নাগাটি পুঁটলি বেঁধে পালিয়ে যায়।
ফুলমতির গাঁয়ের এক ব্যাপারি শহর থেক জিনিষপত্র কেনা কাটা করে ফিরছিলো।সে হঠাৎ
দূরে গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে সমস্ত ঘটনা তার চোখের ঘটেছে দেখে তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল। রুদ্ধশ্বাস টেনশন নিয়ে দেখছিলো।
ডাকাতরা চলে যেতে দ্রুত গাঁয়ের উদ্দেশে রওনা হলো।
পথে দেখে ঐ ডাকাত গুলো এক পান্থনিবাসে ঢুকলো, রাত্রি বাস করবে।
ব্যাপারি লাল সিং গাঁয়ের মোড়ল প্রতাপ সিং কাছে গিয়ে তার একমাত্র কন্যা ফুলমতি ও স্বামী রূপকুমার সিং
নিজের গাঁয়ের ফেরার পথে ঐ পরিনতি শুনে প্রতাপ সিং প্রচন্ড ক্রোধে উত্তেজিত হয়ে বন্দুক ও তরোয়াল ছোরা
সঙ্গে মশাল হাতে ঘোড়ায় চড়ে দলবল নিয়ে সেই পান্থনিবাসে এসে ঐ ডাকাতদের ঘরে ঢুকেই গুলি করে এক ডাকাতকে খুন করেন প্রতাপ সিং, এক সঙ্গী পুঁটলি বাঁধন খুলে রক্তাক্ত বসন বেড় দেখায় প্রতাপ সিং
রাগে ফেটে পড়ে প্রচন্ড জোরে মারধোর শুরু করেন, শেষে এক ডাকাতকে খুন করেন প্রতাপ সিং
সঙ্গী একজন মশালের আগুনে আর এক ডাকাতকে পুড়িয়ে মেরে ফেলে হলো।
প্রতাপ সিং দলবল নিয়ে ঐ ঘটনা স্থান এসে দেখেন ফুলমতিকে নগ্ন অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে।
গাঁয়ের একজন একটি কাপড় দিয়ে ফুলমতি সিং দেহ ঢেকে দেয়।
ফুলমতিকে কাপড় জড়িয়ে পিতা অশ্রু সজল চোখে মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন,
ঠিক ঐ সময়ে যে জায়গায় মাটির পড়ে ছিল ফুলমতি সেই জায়গা থেকে ফসফস করে SPRING ঝর্ণা
বেড়িয়ে আসে সবাই অবাক বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বিমুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রয়েছে ---!
No comments:
Post a Comment