অভিষিক্তা আকাশ ছূঁতে চায়
শ্যামল সোম
আমার খুব ছোটবেলর বন্ধু কমলের কার এক্সিডেন্ড এ একমাত্র পুত্র ও পুত্রবধূ মারা যান পথ দুর্ঘটনায়য় নিউজিল্যান্ডে, পাঁচ বছরের মুনিয়া অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকলো ঐ দেশের ও বনধু বান্ধব চেসটায়।
অভিষিক্তাকে সে দেশে শিশু রক্ষা সংগঠন নিজেদের কাছে খুব যত্নে ডাক্তারের যথাবিধি পরামর্শে তত্ত্বাবধায়ক child psychologist মুনিয়াকে ট্রোমা ইউনিটে রেখেছে বাপি মাম্মি কাছে যেতে চাইছে শিশুটি জানে না সে আজ মাতৃ পিতৃ হীনা হতভাগী মুনিয়ার জীবন অনিশ্চিত ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে কে জানে ?
পুত্র সন্তানের ও পুত্রবধূর মারা যাওয়ার খবর পেয়ে কমল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে দরুত ভাগনে রতন ও স্ত্রী মিলামা অবসর প্রাপ্তা প্রধান শিক্ষিকা খুব শক্ত মানসিক বক্তিত্ব জোরে ভাগনের সাথে কমল বাসুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নানা পরীক্ষা পর জানা গেল
সেরিব্রাল মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ দ্রুত অস্ত্রপ্রচার করে আরোগ্য পথে ক্রমে ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ইতিমধ্যে ভারত সরকার বৈদেশিক বিভাগের সাহায্যে নিউজিল্যান্ডের সারকারের সাথে যোগাযোগ করে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ভাগনে রতনের দৌড় ঝাঁপ সফল হলো।
কাগজ পত্তর নিয়ে দশদিন মুনিয়ার ঠাকুর মা নিলিমা ভাগনে রতনকে নিয়ে পাসপোর্ট ভিসা সাথে করে বিমানে দিল্লি
ইনদিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্ট থেকে উগেলেন পুত্র ও পুত্রবধূ মরদেহ ও নাতনি মুনিয়া ফিরিয়ে আনতে।
পুত্র অভিষেক গবেষক ছিলেন ও সহধর্মিনী সংযুক্তা বিখ্যাত স্নামধন্যাৃত্য শিল্পী
ঐ দেশে ভারতীয় নৃত্য শিল্প কলা নিকেতনে গড়েছিলেন তাঁদের মরদেহ কফিন বন্দি করে যাবতীয় সম্পত্তি সব কাজ কর্ম মিটিয়ে নাতনি নয়নের মণিকে বারদিন হোমে দেখা করে ডাকতারের পরামর্শ মত ধীরে ধীরে মুনিরা কাছে মানুষ হতে পেরেছেন অসীম ধৈহ্য অধ্যাবসায় অসাধয সাধন করেছেন নিলিমা রাতে হটেলে এসে কেঁদেছেন একা নির্জনে।
তারপর মুনিরাকে কোলকাতায় ফিরি আনা , যুগল চুল্লিতে ঢোকানোর পুত্র সন্তানের মুখাগ্নি বৌমার দাদা পারলৌকিক কাজ করছেন শ্মাশানে ওদিকে কমর বসু জ্ঞান হারিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।
তারপর এক অনন্যসাধারণ কীর্তি একটি মেয়ের মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে লক্ষ একাগ্র মনোযোগ দিয়ে নৃত্য শিল্পী
হিসাবে নিজে কঠো পরিশ্রম করে দীর্ঘ বছরের সাধনায় ঋদ্ধ করেছে গড়ে তুলেছে নিজেকে, নিরন্তর পাশে থেকে দাদুভাই ও দিদুন যাবতীয় দায় দায়িত্ব খুব যত্নে ডাক্তারের যথাবিধি পরামর্শের প্রয়োজন দেশর বিভিন্ন
নৃতয অনুষ্ঠানে গিয়ে হিমালয়ের পাদদেশে কখন সমুদ্রে সিকতে কোনারক বা খাজুরাহোর ডান্স নৃতয পরিবেশবন কে সুনাম অর্জন করেছে।
সহানুভুতি উৎসাহ দিয়ে কমলের পরিবারের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী পরম আত্মীয় মতন বিদুষী সুন্দরী অভিষিক্তা
আকাশ ছোঁয়ার বাসনাকে খুব কাছ দেখেছিলাম।
আমেরিকায় লস এঞ্জেলসে বিশ্ব বাংলা সাহিত্য সাংস্কৃতিক এই উৎসসে অভিষিক্তা বাসুর জগন্নাথ বন্দনা ওড়িশি
ক্লাসিকাল নৃত্য পরিবেশনে সাবলিল অভিনয়ে চোখে বিদ্যুত্ হেনে অঙ্গ সঞচালনে নৈপুণ্যে মনোমুগ্ধকর নৃত্য প্রদর্শনে
বাহ্বা দিতে standing ovation করতালি দিয়ে দরশকের মন জয় করে নিয়েছেন নৃত্য শিল্পী অভিষিক্তা বাসু।
আবার যখন ভারতের দক্ষিন অঞ্চলের কথাকলি কুচুপুরী সং মিশ্রণে অভিব্যক্তি ও প্রতিক্রিয়া নৃত্য শৈলীতে নান্দনিক গনেশ বন্দনা দেখে সকল দর্শকের সাথে আমিও স্তম্ভিত হয়ে গেলাম অসম্ভব অসাধারণ উপস্থাপন মুগ্ধতয়
হতবাক হয়ে বিমুগ্ধ নয়নে আনন্দ অশ্রু মুছে অনুষ্ঠান শেষে আমার কবিতা পাঠের পর মঞ্চ থেকে নেবে আসতেই
মুনিয়ে দূর থেকে আমাকে দেখে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠল আমি মাথা বুলিয়ে বললাম,
" মা মুনিয়া তোর মায়ের ভালোবাসা স্নেহ বাবা আদরের তোর পরলোক গত কমল দাদুভাইয়ের আশীর্বাদ তুই আকাশ ছূঁতে আরো উপরে উঠে যা মামণি ভালো থেকো তুমি অনের বড় মাপের নৃত্য শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পাবেই মহান স্রষ্টা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি কল্যাণ হোক তোমার আশা পূরণ হোক।"
মুনিয়ার দুচোখে স্বপ্ন জলে টলটল ভাসছে।
No comments:
Post a Comment