Wednesday, 28 August 2019

বুড়ো বয়সে ঘাড়ে চেপেছে কবিতা পেত্নি ( রম্য রচনা)

বুড়ো বয়সে ঘাড়ে চেপেছে কবিতা পেত্নি           ( রম্য রচনা )

শ্যামল সোম

আমার এই শেষ বয়সে দাঁড় কাকের গায়ে ময়ুর পুচ্ছ গুজে ময়ুর সেজে আমার মতন বকের
সারসে দলে ভিড়তে যাওয়া কোলকাতায় এক বিখ্যাত হোটেল ভারতীয় অতীতের ঐতিহ্য নবাবি
আমলের সুন্দর বোঞ্এর গোযান,  ভাস্কর্য সকল ও পেয়েনটিং ছবি দিয়ে সুসজ্জিত  হোটেলটি
সবচেয় লক্ষণীয় এই হোটেলে ডি এম থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মচারিদের সুমিষ্ট হাস্য মুখে এই
আন্তরিক ব্যবহার যা আমাকে মুগ্ধ করে সবসময়। এর পুরস্কার স্বরূপ প্রধান অতিথি বিশিষ্ট
সমাজ সেবক দীনেশ উপাধ্যায় মহাশয়কে ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথি কবিদেরকে যাঁদেরকে
চিনতে পারলাম তিনি আমার ভীষণ প্রিয় কবি স্নামধন্যা কৃষ্ণা বসু ও ডঁ দীনেশ উপাধ্যায় জীকে
মহাশয়  ও মহাশয়াকে বরণ করলেন হোটেলের জনৈক কর্মচারি এই  ডি এম  অনুরোধে, অগ্নি শিখা ও
অচছূৎ সাহিত্য সবার জন্য অনুষ্ঠানের প্রদীপ  প্রজ্জ্বলিত করেন ডঃ দীনেশ উপাধ্যায় যিনি দেশে
দেশে বিদেশে দুশো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্ণধার কমিটির মুখ্য ভূমিকা দায়িত্ব  পালন করে থাকেন তিনি
ডঃ দীনেশ উপাধ্যায় জী।
তিনি এই পশ্চিম বঙ্গের মাটিকে প্রমাণ জানালেন এখানে রাজা রাম মোহন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর, স্বামী বিবেকানন্দ এর আধ্যাত্মিক মমন চিন্তন না করে আমাকে আমার মত থাকতে দাও, ভারতীয়
ঐতিহ্য পরিবারের বয়স্কদের সম্মান করা, নারীদের শালিতনা, মোবাইল ফোনে আসক্তি থেকে দৃরে থাকা,
নৈতিক শিক্ষা, হঠাৎ আকস্মিক তাঁর কানের কাছে কি বলা, বিখ্যাত স্নামধন্য কথাশিল্পী কবিদের
ধৈর্য চূত্যি অধৈর্য হয়ে উঠছেন ডঃ দীনেশ উপাধ্যায় জী থেমে গেলেন, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে
আমিত হঠাৎ  আমার আনা উত্তরীয় ও স্মারক  হাতে তুলে দিলেম অগ্নিশিখা যিঁনি দুই বাংলার জনপ্রিয় কথাশিল্পী ঐতিহাসিক কবি সমাজসেবী তাঁকে সম্মান জনিয়ে চলে আসছি অপ্রকাশিত ভাবে আমার মতন অকবিকে উত্তরীয় ও স্মারক হাতে তুলে দিলেন ডঃ দীনেশ উপাধ্যায় জীকে ও কবি কৃষ্ণা বসু মহাশয়া সবাইকে  আমার আন্তরিক সম্মান নমস্কার জানিয়ে ছুটে এসে ভাড়া করা গাড়িতে যাচ্ছি আর ঈশ্বরকে
ডাকছি এই নৈশ্যভোজের লোভে না কিসের টানে গড়িয়া কাছে বৃদ্ধাবাস থেকে ছুটে আসা।
গাড়ির ভাড়া চুকিয়ে বৃদ্ধাবাসে মেন গেটে বিশাল তালা, হাত পা কাঁপছে হায় হায় কবি সাজাত খেসারত
সারারাত জেগে রাস্তা রাস্তায়, মা কালিকে ডাকছি, হঠাৎ আকস্মিক ভুত দেখের মতন চমকে উঠলাম
আমার ল্যান্ডলেডি কোমরে হাত দিয়ে রক্ত চক্ষু চোখে বিদ্যুত্ হেনে অঙ্গ সঞ্চালনে তেড়ে উঠলেন,চিতকার
করে ধমক দিলেন, " এইটি বৃদ্ধাবাস  বুড়ো বয়সে এত রাত করে ফেরা চলবে না,"
কান ধরে মাফ চেয়ে ঘরে ঢুকে আয়নায় গলায় উত্তরীয়  ফাঁস দিয়ে দাঁত কেলিয়ে  হাসছি।

No comments:

Post a Comment