Wednesday, 12 October 2016

আমার রবীন্দ্রনাথ আমার হৃদয়ের আকাশে ধ্রুব তারা

আমার রবীন্দ্রনাথ

শ্যামল সোম

আজ পুণ্য দিন ভোরের আকাশে ভরিয়ে দেবে বিভিন্ন রাগাশ্রিত  নানা আঙ্গিকে গান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবির্ভাব উৎসবে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে যাবো দূরে
কোথায় দূরে দূরে, রবীন্দ্রনাথের গানের সুরে সুরে ফিরে যাই যৌবনে দিন যখন রবীন্দ্রনাথের কবিতা, আমি ,
আমারি চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ,
চুনি উঠল রাঙা হয়ে আমি গোলপে দিকে চেয়ে বললাম সুন্দর সুন্দর হল সে।
ঝুলঁন -- কবিতা  আমি পরাণের খেলিব আজিকে মরণ খেলা,ঝুলন মেলা।

রবীন্দ্রনাথের গানের সুরে সুরে ফিরে যাই যৌবনে পুষ্প চয়নে বুকের ভেতর মেঘ
গুরু ডাকে সাড়া দিয়ে বৃষ্টি আসছে"যদি প্রেম দিলে না প্রাণে কেন ভোরের
আকাশ ভরিয়ে দিলে এমন গানে গানে "
রবীন্দ্রনাথ গানে কাব্যে মাধুর্যে আমাদের নূতন আলোয় উদ্ভাসিত আলোকিত হয়ে
উঠুক সবার জীবন।"আমার প্রাণের মাঝে সুধা চাও কি "

গত রাতে স্বপ্নে এসে যেন বললেন" কি করছো তোমরা সভ্যতা সংকটে ?"
আগামী আমাদের দুই বাংলার মাটিতে তাঁর ছিলো বসবাস, সে স্মৃতি বহমান
শিলাইদহে, শাহজাদা পুরে কুষ্টিয়া ঐটেগোর লজে, এ বাংলার জোড়াসাঁকো
তাঁর সাধের শান্তি নিকেতন ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশ
ভবনের ভিত্তি স্থাপন করা হবে শীঘ্রই।
আজ পঁচিশে বৈশাখ থেকে চলবে এই জন্মদিনে প্রতি পালনে দায়িত্ব পালন
করেন সারা বিশ্ব বাঙালীর সাথে বহু নানা ভাষাভাষী মানুষের সাথে মিলে
মিশে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে উৎসবে সামিল হবেন সবাই আশা করি আছি।
আমাদের প্রিয়  প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে গানে গানে কবিতায়
ভরে সকলের হৃদয়, সভ্যতার ইতিহাসে এই সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে কলম
চর্চা ও রবীন্দ্রনাথের কাব্য নাটক, প্রবন্ধ সাহিত্য চর্চা সাথে নতুন দিগন্ত খুলে যাক।
আমার ভীষণ প্রিয় বন্ধুদের কাছেই করি
আমার আবেদন লিখুন আপনার সবাইলিখুন , রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আলোচনা
তাঁর দর্শন  মানুষের ধর্ম নিয়ে লেখা আশু একান্ত আত্মা মুক্তি যুদ্ধে প্রয়োজন আছে।
আজ ২৫ বৈশাখ ১৫৬তম জন্মজয়ন্তী
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
তিনি আজও বেঁচে আছেন আমাদের
মাঝে তার অসংখ্য সাহিত্য কর্মের
মাধ্যমে। এক হিমালয়প্রতিম
ব্যক্তিত্ব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তিনি এক যুগান্তকারী পরিবর্তন
এনে দিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে।
তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ
সাহিত্যিকও বলা হয়। রবীন্দ্রভুবনে
আজ আমরা টুকরো টুকরো কথায়
হারিয়ে যাব।
ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ : ১৮৬১ সালে
রবী ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো
ঠাকুরবাড়ীতে জন্মগ্রহণ
করেছিলেন। পিতামাতার চর্তুদশ
সন্তান ছিলেন তিনি। কুশারী ছিল
ঠাকুর পরিবারের আদি পদবী।
শান্ডিল্য গোত্রের ব্রাহ্মণ ছিলেন
তারা। আগের দিনে নিচু শ্রেণির
হিন্দুরা ব্রাহ্মণদের অনেক সময়
ঠাকুর বলতেন, এভাবেই তাদের
পদবী ঠাকুর হয়ে যায়। কিন্তু তারা
ছিলেন জমিদার।
ঘুমাতেন কম : রবীন্দ্রনাথ খুব কম
ঘুমাতেন। খুব গভীর রাতে শুতেন
তিনি। প্রায় শেষ রাতে আবার উঠে
যেতেন। প্রভাত স্নান দিয়ে
সাধারণত তার দিন শুরু হতো। ভোর
৪টায় এক কাপ চা পান করতেন।
ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত
একটানা লিখতেন। তারপর সকাল
৭টায় নাস্তা সেরে আবার লেখা।
তিনি লেখার ফাঁকে ফাঁকে চা বা
কফি পান করতে পছন্দ করতেন।
বেলা ১১টা পর্যন্ত টানা লিখে
আবার স্নানে যেতেন। তিনি দুপুরে
খাবার পর ঘুমানো পছন্দ করতেন
না।
কবির পোশাক : সাধারণত তিনি
গেরুয়া বা সাদা রঙের জোব্বা আর
পায়জামা পরতেন। এছাড়া তিনি
জোব্বা ছাড়াও সাদা ধুতি, জামা
ও চাদর ব্যবহার করতেন উপাসনা বা
সভা সমিতিতে যাবার সময়। তিনি
নানা রঙের রেশমী উত্তরীয়
ব্যবহার করতেন ঋতু উৎসবে ঋতু
অনুযায়ী।
সন্ধ্যায় খেতেন রাতের খাবার :
বিকেল ৪টার দিকে কবি চা এর
সঙ্গে কিছু নোনতা বিস্কুট খেতেন।
সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে তিনি রাতের
খাবারটা সেরে ফেলতেন। তিনি
রাতে বিদেশি খাবার খেতে পছন্দ
করতেন। সাধারণত বাঙালি খাবার
দুপুরে খেতেন।
জন্মোৎসব : পার্ক স্ট্রিটে
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের
বাড়িতে ১৮৮৭ সালে
আনুষ্ঠানিকভাবে রবীন্দ্রনাথের
জন্মদিন প্রথম পালন করা হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথের ভাগনি, সরলা দেবী
চৌধুরাণী গুরুদেবের সেই প্রথম
জন্মোৎসব পালনের কৃতিত্ব দাবি
করেছেন।
গ্রন্থ ও সাহিত্য : ১৮৭৮ সালের ৫
নভেম্বর কবির অজান্তে ‘কবি
কাহিনী’ প্রকাশিত হয়। তখন তিনি
বিদেশ ছিলেন। বইটি প্রকাশ করে
কবিবন্ধু প্রবোধচন্দ্র ঘোষ কবির
কাছে পাঠিয়েছিলেন। মোট ৩১১টি
গ্রন্থ প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের।
৮৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়
বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ থেকে।
গান ও আবৃত্তি চর্চা : শুধু যে
লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন
রবীন্দ্রনাথ তা কিন্তু না। তিনি
লেখালেখির পাশাপাশি গান, নাচ
এবং অভিনয়ও সমান তালে চালিয়ে
যেতেন। রবীন্দ্রনাথ ছোটবেলা
থেকেই গানের চর্চা করে এসেছেন।
তার জীবনের প্রথম গানটি গান
মাত্র ৭ বছর বয়সে। ১৯০৫ সালে
রবীন্দ্রনাথের গাওয়া প্রথম ডিস্ক
বের হয়।
মঞ্চ অভিনেতা : তিনি জীবনের
প্রথম মঞ্চ অভিনয় করেছিলেন ১৬
বছর বয়সে। ‘বাল্মীকি প্রতিভা’য়
বাল্মীকির ভূমিকায় নিজের লেখা
নাটকে প্রথম অভিনয় করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ মোট ১০১ বার মঞ্চে
অবতীর্ণ হন অভিনয়ের জন্যে।
নাচকেও বাদ দেননি : খুব ভালো
‘বলডান্স’ করতে পারতেন
রবীন্দ্রনাথ। খুড়তুতো দিদি
সত্যেন্দ্রবালা ঠাকুর তাঁকে নাচ
শিখিয়েছিলেন। তিনি সবসময়
বলতেন, নাচের টেকনিক যেন
গানের ভাবকে ছাড়িয়ে না যায়।
নোবেল প্রাইজের টাকা : ‘পতিসর
কৃষি ব্যাংক’ ১৯০৫ সালে
রবীন্দ্রনাথ স্থাপন করেন। তার
নোবেল প্রাইজের এক লক্ষাধিক
টাকা রবীন্দ্রনাথ সেই ব্যাংকেই
ঢালেন। কুড়ি বছর চলেছিল
ব্যাংকটি।
হোমিওপ্যাথিকেই বিশ্বাস :
হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে
চিকিৎসার প্রতি রবীন্দ্রনাথের খুব
বেশি আগ্রহ ছিল। তিনি নিজেও
হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে চিকিৎসা
করতেন। ভারতে রবীন্দ্রনাথই প্রথম
চালু করেন হেলথ কো-অপারেটিভ
তৈরি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা।
রঙের খেলা ছিল শখ :
রবীন্দ্রনাথের অনেক শখের মধ্যে
আরো একটি শখ ছিল ছবি আঁকা। ৬৭
বছর বয়সে তিনি নিয়মিত ছবি
আঁকতে শুরু করেন। ১৯০১ থেকে ১৯৪০,
এই চল্লিশ বছরে সাদা কালো ও
গাঢ় রঙে ছোট বড় মিলিয়ে
রবীন্দ্রনাথ ছবি এঁকেছিলেন প্রায়
৩ হাজার।আজীবন  রবীন্দ্র সাথেই আছি।
শৈশবে পাঠ
ভোর হলো দোর খোলো
খোকা খুকী  ওঠোরে,
রবি মামা দেয়  হামা
গায়ে তার লাল জামা।
কৈশোরের পাঠ
আজই এ প্রভাতে রবির কর
কেমনে পশিল প্রাণের পর
যৌবনে
রুদ্ধ তোমার দারুন দীপ্তি
এসেছে দুয়ার মেলিয়া
যদিও  আসিছে সন্ধ্যা
মৃদু মন্থরে  সব সঙ্গীত গিয়েছে থামিয়া,

( বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে সত্যি দুঃখ কষ্টে আছি)

ওরে বিহঙ্গ মোর  এখনই অন্ধ
বন্ধ  কোরো না পাখা।

No comments:

Post a Comment