Thursday, 24 November 2016

খুকু আই ও অন্যান্য কবিতা

আমার আদরের খুকু

বৃদ্ধ  বাঁশিওয়ালা

আয় আয় খুকু আয় আমার কাছে
ফিরে আয় তুই মা মোর দগ্ধ হৃদয়ে
গোপন সোপান বেয়ে মণিকোঠায়।
পৌষমেলায় রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন বিশ্ব
ভারতীর শান্তিনিকেতনের শেষে লগ্নে।
আমার খুকুকে নিয়ে কুষ্টিয়ায় লালন
সাঁইজীর মেলায় খুকু আমার পাশেবসে
শুনেছিলো গান তন্ময়ে আচ্ছন্ন হয়ে।
একতারাতে দিয়ে তান, নেচে গাইছেন,
" লোক কহে লালন কি জাত সংসারে"
খুকু চোখের কোল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে
জল, টল টল চোখে তাকিয়েছিলাম,
খুকু বাউলের গান শুনখুব ভালোবাসত।
আমার আদরের খুকুর গান ছিলো তার
প্রাণ, গুন গুন করে সারাদিনই সে গাইতো,
"আমার প্রাণের মাঝে মাঝে সুধা আছে
চাও কি, আহা বুজি তার খবর পেলে না,"
কখন ছুটে গলা জড়িয়ে বলতো," বাপি
ও বাপি, আত্মজার শরীরের ঘ্রাণ মৃত মোর
জননীর দেহের সুবাসে আকুল হতো মন
ব্যাকুল স্নেহ চুম্বনে রাঙা হই উঠতো মুখ
সলজ্জ চোখে গেয়ে উঠতো, " কোথাও
হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, মনে মনে
তেপান্তর মাঠ পেরিয়ে- --------------------

ক্রমশ  চলবে আমার আদরের খুকুর কথামালা।

দোহাই পাশে থাকবেন আপনারা
অফুরন্ত এই ভালোবাসায়
ভরিয়ে দিলেম সবার হৃদয়।

স্বাগতম সুপ্রভাতে কল্যান হোক আপনাদের।

তুমি সুখ নিদ্রায়

শ্যামল সোম বাঁশিওয়ালা

ঝর বাদলের আজ রাতে
তুমি সুখ শয্যায় সাথে ঐ
নিদ্রায় প্রশান্ত মুখে মৃদু
হাস্য, অঙ্গে সর্বাঙ্গে স্নিগ্ধ 
সৌন্দর্যে লাবণ্যে  নিদ্রারত
মায়া জ্যোৎস্নায় আলোকিত
রূপে, বিমুগ্ধ চোখ নিঃশঙ্ক
দেখি নারীর অপরূপ সে রূপ
হতভাগ্য সে পুরুষ  দেখেনি
কখনও নারীর শয়নের রূপ।
আমি মহাকাল নীলক্ন্ঠ স্বরূপ
নিষ্পাপ আমি শুধুই পাহারায়।
এ বিকলাঙ্গ সময়ে ভীত সন্ত্রস্ত
নারী আশঙ্কিত, বিনিদ্ররাতে নিদ
নাহি আঁখি পাতে, দরজায় ঘাতে।
চারিদিকে নারী খাদক, ধর্ষক থাকে
ওৎপেতে হায়নাদের হাত হতে রক্ষা
পেতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় ডাকে।

আমার কালো মেয়ের
রূপে মুগ্ধ নানা গ্রুপে
অসংখ্য মানুষের কাছে
আমার আদরের খুকু
তাকিয়ে আছে অবাক 
চোখে, আমার খুকু জন্য
অনুরোধ করি, দোয়া করেন,
মহাণ স্রষ্টা কাছে বিনীত প্রার্থনা
হে প্রভু আমার খুকু যেন থাকে সুখে।

পাগলি  মা আমার

তোমার খোকা শ্যামল  সোম

আমার  অভিমানী মন মা মাগো
খোকা তোমার আদর পেলো না,
ভালোবাসার কাঙাল ঘোরে পথে
পথে এই বিশ্ব জুরে জননী চরণে
প্রণাম করে জানাই মনের বেদনা
এ জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ বৃদ্ধ সন্তান
চলে যাওয়ার আসছে শেষ সময়।
স্নেহময়ী জননীর বৃক্ষের ছাড়াই
তোমার ভালোবাসা তুলনা নেই।
যখন পাগলের মতো ভালোবেসে
বিনিদ্র নির্জন রাতে মা মা মা কাঁদি
আঁচল দিয়ে অশ্রু মোছাতে এলেনা।
কষ্ট  আমার তুমি ছাড়া কে বুজবে মা?
মা মাগো তুমিই আমার একান্ত  আপন
সবাই এ বুড়ো কে এড়িয়ে গেছে আজ
ভীষণ একা লাগে মা, যখন মাকে চাই
মা তখন কি কাজে ব্যস্ত ছিলেন ডাক
শুনে ফিরেও তাকালে না, চরণ ছূঁতে
গেলে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে, পা জড়িয়ে
ধরি বলে মাগো আবোল তাবোল কি
তোমরা বল কেউ কখন শুনেছো?
জননী এক কি বাসনা পুত্রের চরণদুটি
সরিয়ে না নেওয়ার বায়না।
খুকু মায়ের শৈশব তোমার এখন গেল
না, আশ্চর্য ভালো লাগার ব্যাপার লজ্জা
পেলাম মা তোমার চরণ তলে তোমার
খোকার শেষ ঠাঁই মা ওগো আমার মা
এত নিঠুর হয়ো না।

Wednesday, 23 November 2016

আমার মা

জননীদের স্বাধিকারের জনযুদ্ধে আহ্বাণে  সাড়া দিন।

শ্যামল  সোম

আদিম  প্রস্তর যুগে গোষ্ঠীর সাথে গোষ্ঠীর সংঘর্ষে
বিজয়ী বাকল বসনে লুটপাট করতো গৃহপালিত পশু
পৈশাচিক উল্লাসে পরাজিত গোষ্ঠীর পশুরমত জোর
পূর্বক  টানতে নিয়ে যেতো, যে পুরুষের  অধিকার ছিল
সে জননী, ভগ্নী, কন্যা প্রতি  ঝাঁপিয়ে পশু পাশবিকতা।
আজও  একবিংশ শতাব্দীতে ডিজিটাল  ওয়াইল্ড  মুঠোয়
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশান্তরে নির্যাতন নারী আর্তনাদ
হাহাকার ক্রন্দন  নয় আর হাতে হাতে তুলে কলমের হাতিয়ার।

" আমাদের সংগ্রাম  চলছে, প্রয়োজন হলে দেব এক নদী রক্ত  !

"ক্ষমা কর জননী মনে পড়ে তোমায়

শ্যামল  সোম

জননীর কথা অমৃত সমান, মায়ের তিন সন্তানের মধ্যেই  আমিই প্রথম, মাত্র  ষোল বছর  বয়েসে  পুত্র  1945 সালে তখন ও মেয়েরা পুতুল খেলতে,  জননীর আমাকে পুতুলের কখন আদরে আদরে চুম্বনে বিব্রত বোধ করতাম, মায়ের ডাক নাম ছিলো  খুকি  সবাই মতো আমিও  খুকি বলে ডাকতাম সবাই আপত্তি  করতো মা রুখে দাঁড়াতে  আমার ছেলে আমাকেও যে নামে ইচ্ছে  ডাকবে তোমরা বলার কে ঠাকুরদা ঠাকুরমা, দিদা দাদামশাই প্রচ্ছন্ন  প্রশ্রয় নিশ্চিত ছিল কেউ  আর কোন
কেউ কিছু  বলতে সাহস পেতো না  বংশে  প্রথম  নাতি মা বলতেন সাত রাজার ধন মানিক আমার।
তুই করে মাকে বলতাম আমি মা নেওটা Mothers child
বাবা --"ওর পড়াশোনা কিছুই  হবে না, ( শোভা নাম ধরে ডাকতেন না অবশ্য  লেখার জন্য  লিখলাম,)
এই তোমার জন্য শ্যামল এর কিছু  হবে ভিখারী  হবে ঘুরবে।"

পিতৃদেব ঈশ্বর  সমান তাঁর  ভবিষ্যত  বাণী  কি বিফলে যায় সে ছিল 1950 সাল আজ 2016 আজও পথে পথে
ফিরছি ভালোবাসার জন্য  গেয়ে  গান " সবারে বাসরে  ভালো নহিলে মনের কালো ঘুজবে নারে। এ সব গান বোধ সব মায়ের শিক্ষা,
শৈশবের আমার কাছে বসেই শিক্ষা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণ পরিচয় পাঠে  অক্ষর জ্ঞানের আমার সনমূখে জ্ঞানের অপার ভান্ডার দ্বার  উন্মোচিত হলো বিস্ময়ে পড়লাম জীবনের উপলব্ধি সত্য কথা বলবে, সবাই সঙ্গে ভালো ব্যবহার
মনোযোগ দিয়ে পড়বেপিতা মাতাকে শ্রদ্ধা  সন্মান করতে হবে সুবোধ মতো হতে হবে। সুবোধ  অতি ভালো ছেলে। সবাই সুবোধকে ভালোবাসে সুবোধের বিনম্র  ব্যবহার শ্রদ্ধাশীলতা  শিষ্টাচার বিনয়ের জন্য  পাড়া  প্রতিবেশী  সবাই সুবিধে ভালোবাসে।
বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজেও ভীষণ মাতৃ ভক্ত  ছিলেন
পর মাকে একদিন বললাম, মা ওমা শোন না মা আমার গায়ে শীতের রৌদ্দুর বসে তেল মাখাচ্ছেন বছর পাঁচেক  বয়স1950 সাল মায়ের কোলে বসেই  মায়ের হাতের কমল স্পর্শে তেল মালিশে আবেশে ঢলে আসছে চোখ, ও শ্যামল
এ নামটি মা রেখেছেন আজ ও আমার  মা জীবিত আমি ধন্য  আজও প্রণাম  করার পর মা আমার কপালে স্নেহ চুম্বন
করেন, মায়ের  আদরে বাঁদরের মতন তেল মাখাতে মাখতেই সজাগ হয়ে মাকে দুই  হাতে মায়ের  গলা জড়িয়ে বললাম
ফিসফিস করে কানের মুখ এনে বললাম, " মা ও মা শোন না সুবোধের মতন বালক হবো। কি করে হবো মা?

জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ বৃদ্ধ মানুষের প্রতি বিশ্বাস সন্মান বন্ধুত্ব ভালোবাসা জন্য  এবং নারীদের স্বাধিকার লড়াই
রয়েছি পাশে। নারীদের প্রতি দৈনন্দিন  অসম্মান ধর্ষন  নির্যাতন অত্যাচার অসহ্য হিংস্র আক্রমনে নগ্ন সমাজের  পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ বর্বরচিত  আবহমান কালের বিরুদ্ধেই আমার কলম ধারন।প্রতিবাদী কবিতা
২২/১১/১৬

বাংলাদেশের এক কবির লেখা

অহংকার
ফিরোজ মোল্লা

আমি মুসলিম, তাই আমার এতো অহংকার -
আমি হিন্দু, তাই আমার হীরের মত ধার-
আমি খ্রিস্টান, তাই আমার সিংহের হুংকার-
আমি বৌদ্ধ, তাই আমার হাতে খাবি তোরা মার,
সমাজে মরছে মানুষ নির্বিচারে-
এ-দায় বল কার  ?
আমার কত অহংকার।

শোন হে ধর্ম নেতা, ছাড় তোর নিতিকথা
অসহায়ের কাতারে গিয়ে দেখলি কিছু ? 
কষ্ট আর নির্যাতন, ছাড়েনি আজ তাদের পিছু।
তবুও তুই শান্তি বিলাস-
সুযোগ পেলে আসর মিলাস,
টাকার কাছে সবই তোদের মিথ্যা বলা-
মুর্খ্য জনে বুঝে কি আর তোদের এতো চলাকলা?
ধর্মটাকে পুঁজি করে খাবি কত আর?
সমাজে মরছে মানুষ নির্বিচারে-
এ-দায় বল কার?
আমার কত অহংকার।

বি:দ্র:- কবিতাটি, আমার রচিত - ২০১৭ প্রকাশ কাল, প্রিয় কবি" বই থেকে সংক্ষিপ্ত করে  এখানে দেওয়া হল।তোমার মঙ্গল কামনা করছি মা

নারীর প্রেম  ও মরণ

বাঁশিওয়ালা শ্যামল  সোম

আমার সুদীর্ঘ জীবনে
বহু নারীর বন্ধুত্বের সংস্পর্শে
এসে তাঁদের শরীর হীন
ভালোবেসে প্রকৃত অর্থে  বন্ধু
মতো গভীর ভাবে মিশে তাঁরা
যখন মনে করেন এই
বন্ধুত্বের মধ্যে কোন ছলনা বা
পাশবিক,  যৌনতা নেই
তখন সেই নারী খোঁজে
পিতার মতো বৃক্ষের মতো জনকে,
সেই বৃদ্ধ  বৃক্ষের ছায়ায়
খোঁজে নিশ্চিন্ত নিরাপদ আশ্রয়।
মানুষ যাকে  নারী  তাঁর
দুঃখ শোকে যন্ত্রনা কষ্ট বেদনা
তাঁর প্রেমিকের কথা তাঁর
নিজের  অনুভূতি  অভিজ্ঞতা,
তাঁর মনের গোপন কথা যা
নিজের  স্বামী  প্রেমিক বা
ঘনিষ্ঠ  বান্ধবীদের কখন বলে না,
কিন্তু  জননী ভগ্নী
আমার আদরের নাতনীরা
উজার করে বলে হালকা
হয়ে হাঁফ ছেড়ে  আশ্বাস পায়,
আমার কাঁধে মাথা রেখে
কাঁদে, আশ্রয় পেয়ে আঁকড়ে
জড়িয়ে ধরে আমাকে
বাপ বেটি মতো হু হু করে 
কাঁদি কাঁদতে ভালোবাসি।
অভিজ্ঞতা থেকে বলছি
কোন নারী যখন ভালোবাসে
তখন সে তাঁর দেহ মন,
প্রাণ  স্বীয় সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে
এক আত্মা হয়ে বিলীন হয়ে
যায় তাঁর প্রেমিকের সাথে
প্রেমে  অন্ধ হয়ে যাবে কখন
পুরুষের ছলনা কামনা করছি
এমন কি শারীরিক মিলনে বা
জোর পূর্বক ধর্ষণে শেষে
আনন্দে মেতে ওঠে,
এমন দেখা গেছে
অন্তর্গত দেহে ভ্রুণ
জন্ম  নেয়, এদিকে তখন
ঐ বিপদের সম্মুখীন যখন নারী
পুরুষ  লম্পট  প্রেমিক  দায়িত্ব 
এড়াতে উধাও  হয়ে যায়।
থানার পুলিশ করলে অস্বিকার
করে নয়তো ভিডিওটা
ইন্টারনেট  এ সেই যৌন সম্পর্ক
প্রচার করতে  উদ্ধত হবো।
এই ভাবেই চলে যৌন শোষণ,
তবু নারী উন্মুক্ত করে দেয়
হৃদয়ে সকল কপাঠ  উন্মুখ হয়ে
এক বিন্দু  শিশির কনা
ঝরে পড়ুক বৃষ্টি শব্দে দেহে
সুখের শিহরণ
না মরণ?
মেঘ কন্যা তুমি 
আকাশের বুকে ভেসে
আমার কাছে এসো,
মেঘমালা কে সঙ্গে
নিয়ে  মেঘে কোলে
ভেসে পৌঁছে  যাবো
সে এক স্বপন পুরের দেশে।
তুমি আছো তোমার স্বাধিকারে
তোমার চোখেই
আনন্দ বৃষ্টি হয়ে ঝরুক।


স্বাগতম সুপ্রভাতে কল্যান হোক তোমার পারিবারিক জীবন।

কল্পতরু  আমার প্রাণের ঠাকুর

শ্যামল  সোম

ডুব ডুব রূপ সাগরে আমার মন
তলা তল পাতাল খুঁজলে পবি
পাবি রে প্রেম রত্ন ধন।
ওরে খোঁজ খোঁজ খোঁজ
খুঁজলে পাবি হৃদি মাঝে বৃন্দাবন
দীপ দীপ দীপ জ্ঞানের  বাতি
জবাবে হৃদে অনুক্ষণ।

জীবনের যাত্রা পথে যিনি যুগ যুগান্তর ধরে বাউল প্রেমিকের বেশে এসে আজীবন  কল্পতরু বৃক্ষের
মতন যে  স্মরণাগত, শুদ্ধা ভক্তি, সম্পূর্ণ ভাবে আত্মনিবেদন করে যে যা চেয়েছেন কৃপা করেছেন তিনি।
শিশু গদাই মধ্যে ইষ্ট  দর্শন লাভ হওয়ার পরে সেই  কামার পুকুরে বয়স্ক চিনু শাঁখারী উঁই ঢিপির উপরে বসিয়ে
নিজের হাতে গাঁথা  ফুলের মালা গদাই গলায় পরিয়ে ফুল বেলপাতা দিয়ে পুজো করে ছিলেন।
ধাত্রী মাতা ধনি কামারিনী উপনয়নের সময় তাঁর হাত হতে প্রথম ভিক্ষা নিয়ে ধাত্রী  মায়ের মনোবাঞ্ছা
পূর্ণ করেন।
পরবর্তী  কালে কালে বহু বছর ধরে বহু লোককে কৃপা করেছিলেন।
স্বামী জী লিখছেন আমার প্রভুর MY  Master  তাঁর আধ্যাত্মিক খুবই  উচ্চ  মার্গে অধিষ্ঠিত, যে তিনি
কৃপা করে A  Glance  একবার যদি ঐশ্বরিক দৃষ্টিতে তাকাতেন তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তির চৈতন্য লাভ হতো।
মদ্যপ  অভিনেতা কালি প্রাসাদ  স্ত্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কৃপায় বিশ্ব  জননী শ্রী শ্রী সারদা মাতা ঠাকুরানী ঠাকুরের
পুজো ফুল বেলপাতা অর্পণ  করেন কালি প্রসাদ এর স্ত্রী হাতে, তিনি চৈতন্য  লাভ করেন।
ঠাকুরের ভৈরব,  মদ্যপ নাট্য জ্যোতিষ্ক  গিরিশ ঘোষ ঠাকুরের কৃপায় পরম ভক্ত  হয়ে চৈতন্য লাভ করেন।
বহু শতশত মানুষের কৃপা লাভের অমৃত কথা এই সল্প  পরিসরে সম্ভব নয়।
সুদূর সিন্ধু  দীন দয়াল
বাংলাদেশের মহা গৃহ ভক্ত নারায়ণ গঞ্জ  এর কাছেই নাগ মহাশয় পরবর্তী কালের ঠাকুরের কৃপায়
সাধু নাগ মশায়ের বসত বাড়িতে পুজিত হচ্ছেন দেখে দু চোখে জলে ভরে গেল।
অশ্বিনী দত্ত নেতৃত্ব স্থানীয়,  উত্তর ভারতের বিশিষ্ট পন্ডিত  গৌর শাস্ত্রী
ঠাকুর প্রশ্ন  কঅঅরেন, " আচ্ছা গৌর, বৈষ্ণব চরণ যে একে, ( নিজেকে দেখিয়ে)  অবতার বলে ?" অ

গৌর- শুনে চুপ করেই  ভাবছেন - - ঠাকুর শিশুর মতন তাকিয়েই আছেন
গৌর শাস্ত্রী  রেগে বলেন  " ভুল বলেছেন "
ঠাকুর ভয় ভয় ইতস্তত বোধ করছেন।
গৌর--"  ও ছোট করে বলে, আপনি হচ্ছেন  যাঁহার শক্তি স্বরূপ পরম ব্রক্ষ্মান্ড সৃষ্টি পরম ব্রহ্ম সেই শক্তি থেকে
যুগে যুগে বিভিন্ন যুগে অবতার আবির্ভূত  হয়েছেন সেই শক্তির আধার স্বয়ং আপনি।
ঠাকুর  বালকের বিস্ময়ে  বিস্মিত ।

16st অগস্ট 1886  মহা প্রয়াণ  পূর্বে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন।

1st ফাস্ট জানুয়ারী 1886 রবিবার আমোদ আহ্লাদ  এর দিনে শ্রী রামকৃষ্ণ প্রাণের ঠাকুরের কাছে
বহু গৃহী ভক্তের  সমাগম হয়েছে, বহুদিন অসুস্থতা জন্য  ঠাকুরের দর্শনে বঞ্চিত  আজ এসেছেন
ঠাকুরের দর্শনের  আশায়।
প্রভু   মযয় গুলাম  মযয় গোলাম মেয় গোলাম তেরা, তুই দিওয়ান তু দিওয়ান মেরা।

সে কাশীপুর বাটিতে প্রথম দেখতে হরিশ  মুস্তাফি  তাঁকে বুক স্পর্শ করতেই আনন্দ ধারা বহে যাচ্ছে
দোষ চোখ বেয়ে

কেমন লেখাটি হচ্ছে গো কৃষ্ণা

Tuesday, 22 November 2016

পাগলীরে মন চায়

বিভাগ- কবিতা

পাগলীরে মন চায়

বাঁশিওয়ালা  শ্যামল সোম

আমার এ ফেরারী মন
স্বপ্না তোকেই খোঁজে
সারাক্ষণ, ক্ষণিকের
দেখা এত ভালোলাগা
তৃষ্ণার্ত চোখ অপলক
মনের মুকুরে তোর মুখ।
যদিও ভীষণ অসুখ এখন
তুই সুখে আছিস যখন
শুনবো এ পৃথিবী ছেড়ে
চলে যেতে কোন ক্ষোভ
রবে না, তাই আক্ষেপ
নিয়েই না গেলে হবে না
তোর সঙ্গে দেখা হলো না।
আকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার
ছিলো না তো ছলনা, বন্যা
ভাসিয়ে নিয়ে দূরে যাস না।
কাব্যিক মন তোর কাব্যের
মায়াজালে জড়িয়ে আমাকে
দুই বাহু ডোরে বন্দি করো না।
" পৃথিবীর  আমারে  চায়
রেখো না বেঁধে আমায়
ছেড়ে দাও ছেলে দাও প্রিয়া।

Friday, 18 November 2016

হারিয়ে গেছে মন

সকাল থেকেই মন নেইতো মনে
সকল কাজেই খেই হারিয়েছিল
সব ব্যাপারেই কেমন যেন উদাসীন।
ভোর হতেই প্রাত ভ্রমণে বেড়িয়েছি
উদ্যানের শিশির ভেজা ঘাসে বিন্দু
বিন্দু হীরক কণা জ্বলজ্বল করছে
দেখে মনে হলো কি আশ্চর্য কেটেছে
বেলা এই জীবনের গোধূলির লগ্নে
ভোরের সূর্যোদ্বয়ের রাঙা আকাশে
দিকে তাকিয়ে ভাবি কোন সে শৈশবে
সোমেশ্বরী নদীর দাদুর উৎসুক চোখে।
কোথায় হারিয়ে গেলো আমার বুড়ো মন
এ বাংলার বিভিন্ন জেলার খুঁজি বীরভূমের
অজয় নদীর ধারে কেঁনদুলি মেলায়
বাউলের পৌষমেলায় শান্তি নিকেতনে।
পুরুলিয়ার শবরদের সাঁওতাল নৃত্যে তালে
তালে পা ফেলে ফেলে খুব সাবধানেই
খুঁজছি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া মন।
এই মেয়ে তুই কি চুরি করেছিস  আমার
মন, কেড়ে  নিয়ে লুকোচুরি খেলছিস
ধন্যি মেয়ে বটে নিশ্চয়ই তুই নেত্রকোনার
ও মেয়ে  দে তুই দোহাই তোর  ফিরিয়ে
দে মা, মাফ করে দে আর কক্ষচ্যুত
হবো  না রে  "মন তুই ফেলে এসেছিস
মন মনরে আমার,"  আর গাইবো না।

Wednesday, 16 November 2016

আদরের ছোট বোনের জন্য

আমার আদরের নাতনীকে
ভালোবেসে উৎসর্গিত  এ কবিতা।

ভালবেসে নীল কন্ঠ  আজ

বাঁশিওয়ালা

ভালোবাসা
দুরন্ত ঝড়ের মতন
ভালোবাসার নদী
পদ্মার  তুফান
দুই কূল পারিবারিক
এওর জীবন
সামাজিক,
ধার্মিক পারস্পরিক
কলোহ বিদ্বেষ 
অন্তরদ্বন্দ নির্মাণ
এত প্রতিকূলতা
মাঝেও প্রেমের
বন্যার স্রোতে পাইলে
এসে পাগলি
তুই  নেত্রকোন
থেকে ঢাকা হয়ে এই
লন্ডনের হিথরো
বিশাল বিমান বন্দরে
নির্দৃষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট
লাউঞ্জে দাঁড়িয়েছি,
দূর নক্ষত্রের ক্ষীণ
আলো প্রকাশে মন
প্রাণ  উৎফুল্ল তোকে
দেখেই এ কম্পন।
আমার কাছে
বিমানে উড়ে  আসার
ক্লান্ত শরীর মনে
চাপা ক্ষোভ জেট ল্যাগ।
তোকে বিমর্ষ বিষন্ন
ক্রন্দন রক্তচোখে এ
শুষ্ক মলিনতা, নত মুখ,
ট্রলি ঠেলে আসছিস
এগিয়ে উৎসুক চোখে
খুঁজছিল আমাকে
ভয়ার্ত কালো হরিণীর
চোখেচোখ পড়তেই
ভূমিকম্প স্পন্দন
আলোড়িত দুজনার মন।
কাছেই এসেই গভীর 
আলিঙ্গন পরস্পরে
দু জনের চোখ হতেই
অবিশ্রান্ত  জল প্রপাত।
আক্রান্ত  ভালোবাসায়
সিক্ত আমার হৃদয়।
" তুমি সত্যিই  এতো ভালোবাসা ?
" মৃদু হাস্য
মুখে," ওরে  পাগলী 
ভালোবাসা নিত্তি মেপে,
প্রেমের মুহূর্তে মাহাত্ম্য 
অত কী হিসেব কষে হয় ?
জীবনে হঠাৎই  যখন
পাগলের মত 
আসে এক্কেবারে
সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসায়।
সমুদ্রের ঢেউ প্রচন্ড
বেগে তেড়ে এসে আবর্তিত
ঢেউয়ে ঘূর্ণাবর্তে উঠেছিল বিষ,
" আমি জেনে শুনে বিষ
করেছি পাণ প্রাণের
আশা ছেড়ে
সে ভালোবাসার বিষ করেছি পাণ।"
পাগলী স্বপ্নের রাজকন্যা
নীল পরী চলন্ত গাড়িতে
আগুন ঊষসী উষ্ণ দেহ
স্পর্শ, আলিঙ্গনে কামার্ত
পাগলীর উত্তপ্ত  আগ্রাসী
চুম্বনের সমৃদ্ধ  অতীতের
সে  স্মৃতি পঞ্চাশ বছরের
পরও এ চলচ্চিত্রায়ান।

মাফ করবেন আমায়

বাঁশিওয়ালা

কেন এমন হয়
জানি এ অন্যায়
অনুচিত উন্মাদনা
মনের কোনে কেন
ঐ চোখে রেখেছি
চোখ, পিছু ফিরে
তাকিয়েই মুহূর্ত
মনে মনে হয়েছিল
খুব চেনা চেনা
শুধুই অচেনা মতন
তাকিয়েই পলকেই
ফিরেই গিয়েছিলে
আকাশে গোধূলির
রঙে রঙে রাঙিয়ে
দিয়েছিল পঞ্চাশ
বছর আগের মন।

আজও আমার হৃদয় প্রেমের  অপেক্ষায়

শ্যামল  সোম

লাবণ্য  তোমার প্রেমের গান শুনে
প্রেমে পড়েছিলাম পঞ্চাশ বছর আগে,
আজন্ম প্রেমিক আমি, আমার আগ্রাসী
প্রেমে সমূলে নির্মূল করতে চেয়েছিলাম
সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে পালাতে চাইলে,
তুমি কান্নায়  ভেঙে জড়িয়ে ধরেছিলে- -,
মাফ চাইলে সামাজিক পারিবারিক
সমস্যার সমাধানের চলে গেলে চিরতরে।
চুয়াত্তর বছরেও তোমাদের প্রেমের অপেক্ষায়।
নয়নে নয়নে আপন মনে যে চোখের  ভাষায়
প্রেমের বহিঃপ্রকাশ হবে, সে মেঘবালিকার
প্রতীক্ষায় রইলাম মৃত্যুর পরশের পূর্ব পর্যন্ত।
পেমের পূণবাসন পূর্বাভাস নাই বা হলো একত্র
বসবাস, নয়নে নয়নে প্রেমের স্পর্শে শিহরণ
জাগে তোমার কাব্যিক শব্দের তীক্ষ্ণ বাক্য বাণে।

তুমিই আমার কবিতা

বাঁশিওয়ালা শ্যামল সোম

শতসহস্র গোলাপ
ফুলের ভালোবাসায়
ভরিয়ে দিলেম
তোমাদের সকলেরই হৃদয়।
তুমিই আমার কবিতা
অসামান্য লিখন শৈলীর
জন্য মুগ্ধ হলাম
অভিনন্দন জানাই।
বুকভরা প্রেমে পাহাড়
শ্যামল  সোম
আমিও পাহাড়ের মত
বুকের গভীরে লুকিয়ে
রেখেছিলাম তোমাকে
অনেক আদরের,
তুমি ঝর্ণা ঝর ঝর ঝরলে,
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে অশ্রু
ঝর্ণা বর্ষণে নদী হলে নারী।
ঠিক বলেছ তুমি আমার কবিতা
প্রেমের সম্পর্ক বোধহীন
যারা তাঁরাই স্বাধীন আজ
ছন্নছাড়া ভাগ্য হীন।
অসামান্য  লিখেছেন।
" মন কেড়ে নিয়ে পাগলী
পালালি,যে যাওয়ার
প্রেমের বাঁধন
ছিড়ে চলে যায়।
জীবনানন্দ দাশের লেখা,
সুচেতনা ঐ খানে যেও নাকো তুমি
ঐ যুবকের সাথে।অভিনন্দন রইল।

এক বনলতা সেন এর খোঁজে আছি।

ভালোবাসা চাই

বাঁশিওয়ালা

মানুষ, মানসীর ভালোবাসার খোঁজে
গ্রামে গঞ্জে বন্দরে শহরের পথে পথে
প্রান্তরে, কখন ঐ গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দাহে
রাতে বর্ষণ মুখরিত রিমঝিম ঘণ বর্ষায়,
শরৎ এ নীলাকাশে শ্বেতমেঘের ভেলায়।
হেমন্তের ঘ্রাণ ভেসে আসে এঘাসে শয্যায়,
জীর্ণ বিবর্ণ পাতা ঝরে যাওয়া শীতার্ত রাতে।
ঘুম নেই চোখে, পলকে তাকে দেখে প্রেমে
ব্যর্থ হয়ে, পঞ্চাশ বছর আগে ভালোবেসে
জীবনের সখ আহ্লাদ কর্ণফুলীতে  স্রোতে
বহমান নদীর ভাঙন প্রতিরোধ ভালোবাসার
খোঁজে ফেরারী মন তোমাকেই চায়, এ অন্যায়?

আমার আদরের নাতনীকে
ভালোবেসে উৎসর্গিত  এ কবিতা।

ভালবেসে নীল কন্ঠ  আজ

বাঁশিওয়ালা

ভালোবাসা
দুরন্ত ঝড়ের মতন
ভালোবাসার নদী
পদ্মার  তুফান
দুই কূল পারিবারিক
এওর জীবন
সামাজিক,
ধার্মিক পারস্পরিক
কলোহ বিদ্বেষ 
অন্তরদ্বন্দ নির্মাণ
এত প্রতিকূলতা
মাঝেও প্রেমের
বন্যার স্রোতে পাইলে
এসে পাগলি
তুই  নেত্রকোন
থেকে ঢাকা হয়ে এই
লন্ডনের হিথরো
বিশাল বিমান বন্দরে
নির্দৃষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট
লাউঞ্জে দাঁড়িয়েছি,
দূর নক্ষত্রের ক্ষীণ
আলো প্রকাশে মন
প্রাণ  উৎফুল্ল তোকে
দেখেই এ কম্পন।
আমার কাছে
বিমানে উড়ে  আসার
ক্লান্ত শরীর মনে
চাপা ক্ষোভ জেট ল্যাগ।
তোকে বিমর্ষ বিষন্ন
ক্রন্দন রক্তচোখে এ
শুষ্ক মলিনতা, নত মুখ,
ট্রলি ঠেলে আসছিস
এগিয়ে উৎসুক চোখে
খুঁজছিল আমাকে
ভয়ার্ত কালো হরিণীর
চোখেচোখ পড়তেই
ভূমিকম্প স্পন্দন
আলোড়িত দুজনার মন।
কাছেই এসেই গভীর 
আলিঙ্গন পরস্পরে
দু জনের চোখ হতেই
অবিশ্রান্ত  জল প্রপাত।
আক্রান্ত  ভালোবাসায়
সিক্ত আমার হৃদয়।
" তুমি সত্যিই  এতো ভালোবাসা ?
" মৃদু হাস্য
মুখে," ওরে  পাগলী 
ভালোবাসা নিত্তি মেপে,
প্রেমের মুহূর্তে মাহাত্ম্য  
অত কী হিসেব কষে হয় ?
জীবনে হঠাৎই  যখন
পাগলের মত 
আসে এক্কেবারে
সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসায়।
সমুদ্রের ঢেউ প্রচন্ড
বেগে তেড়ে এসে আবর্তিত
ঢেউয়ে ঘূর্ণাবর্তে উঠেছিল বিষ,
" আমি জেনে শুনে বিষ
করেছি পাণ প্রাণের
আশা ছেড়ে 
সে ভালোবাসার বিষ করেছি পাণ।"
পাগলী স্বপ্নের রাজকন্যা
নীল পরী চলন্ত গাড়িতে
আগুন ঊষসী উষ্ণ দেহ
স্পর্শ, আলিঙ্গনে কামার্ত
পাগলীর উত্তপ্ত  আগ্রাসী
চুম্বনের সমৃদ্ধ  অতীতের
সে  স্মৃতি পঞ্চাশ বছরের
পরও এ চলচ্চিত্রায়ান।

চিরসাথী চন্দ্রানী

গত কাল সারারাত শাহাবাগে
কাছেই  উদ্যানে উলঙ্গ শব হয়ে
শুয়েছিলাম হীম ঝরা নরম ঘাসে।
নিরবিচ্ছিন্ন  আলোকিত জ্যোৎস্না
আকাশে খুব কাছে ছিল রূপসী চাঁদ
আচ্ছন্ন অস্থির হৃদয়ের গোপন ফাঁদ।
পূর্ণিমায় যুবতী রূপসা নদীর জোয়ারে
নগ্ন দেহে অনন্ত কামনার বাসনা জাগে ?
বিশাল চাঁদের আলোয় আলোকিত
উদ্বেলিত শৃঙ্খলিত হৃদয় কাছে চায়
তোমায়, উদ্ভ্রান্ত পরিশ্রান্ত পরিব্রাজক মন
তোমার কোলে মাথা রেখে ক্ষণিকের
বিশ্রাম নেওয়ার প্রবল আগ্রহী  হই কেন
এই শেষ বিদায়ের বিষন্ন গোধূলি বেলায় ?

তোমার একান্তই  আপন
বাঁশিওয়ালা
আমার ভীষণ পছন্দের
এক কবির প্রতি উৎসর্গিত

তুমিই আমার কাব্য দেবী

বাঁশিওয়ালা

তুমিই  মনের মানুষ
আমার এ মনেই
রয়েছো, তোমাকে
নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে
আমার যথা সর্বস্ব,
নিঃশেষ নির্বিচারে
দেওয়া জন্য তীর্থের
কাক হয়ে তোমার
বাগানে শ্বেত করবী
গাছের ডালে অনন্ত
কাল আছি, তোমার
অপেক্ষায় বহুকাল।
কাঙ্খিত সে প্রেমের
যে ভালোবাসায়
বন্যায় ভাসিয়ে
নিয়ে যাবে কল্পলোকে।
অসামান্য তোমার
কাব্যের স্বপ্নের
সীমানায়।

সমুদ্রের  সৈকতে

শ্যামল  সোম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে
পঞ্চাশ আগে বসেছিলাম 
এই বালুকা বেলায়,
তোর সাথে ফেলে আসা
যৌবনে বড় সাধ ছিল রে
মায়াবতী তোর  সাথে,সমুদ্রে
ঢেউয়ের উপরে চোড়ে, তোকে
বুকের করে সাঁতার কাটার
পর স্নান করবো, অপেক্ষায়
মায়া তোর সাথে, প্রতীক্ষিত
আমি, পঞ্চাশ বছর হতাশায়,
হায় ! কিনতু তুই আজও এলিনা রে ।