মা মাগো কেন পাই না তোমাকে ?
স্বাগতম সুপ্রভাতে আজ
এই দুরাত্মাদের দূর্নীতির পাকে
ভারতবর্ষের অসংখ্য সীমাহীন
আপামর জনগণের আপন
পাপে মৃত্যু অনিবার্য কারণ
অন্যায় যে করে আর অন্যায়
যে সহে তবুও দগ্ধ শরীর ঐ
কালো বাজারী ফাঁকি দিয়ে
ইনকামট্যাক্স পাহাড় ঐ
কালো টাকাজ্বলে উঠল যখন ঠিক
সেই সময় তোমার আমার কন্যা
যে পালিয়ে গিয়েছিল প্রেমিক
রাজকুমারী সাথে সে কি এখন
গতর খাটে এদেশে না বিদেশে ?
না !
প্রেমের আগুনে প্রেমিকা বধু হত্যা ,
অর্ধ নগ্ন শরীর ঝুলিয়েছেন কারা শ্বশুর
লোকজন গা দিয়েছে ঢাকা আত্মগোপন,
যারা আত্মহনন বলে পুলিশ থানা জানালেন,
হায়রে আমার স্বদেশ কোথাও কি কোন
ভাবেই নিরাপদ নয় নারী,
তবে বারে বারে প্রতারিতা
অসহ্য অত্যাচারে নির্যাতনে,
ধর্ষনের পরে জামিনে ধরষকের
সেই ধর্ষিতাকেই ফের ধর্ষন !
মাঝে মাঝে দৈনিক দৈনন্দিন জীবনে
এই ধর্ষনে কি পাওয়া যায় সুখ,
সারি সারি সামনে দাঁড়ানোর
অপরাধীদের মুখ।
কেন অপরাধীদের গ্রেফতার নয়
পালানোর অজুহাত দেখা মাত্র
গুলি করে মারো সমূলে শেষ করো
একশো বিশ কোটি জন সংখ্যা
নির্বোধ মানুষ বা পশু অধমকে
খতম করো, খতম করো,
কালো ভেঙে দাও
বহু বছরের একের পর এক
স্লোগান নি আর, মেশিনগানে
খুলি দাও উড়িয়ে দাও পুড়িয়ে।
ইনসাফ ইনসানের ইনসানিয়াত
চাই কে বলেছিলেন কালোবাজারীদের
রাস্তার ল্যাম্প পোস্টে ঝোলাবো?
সর্বহারার সাথে মিছিলে পতাকা
ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে সমবেত গণসংগীত
পঁচাত্তর বছরে বছরে শুনছি।
এবার কোর্টে হলফনামা দিয়ে
সার্থক সমার্থক সদর্থক হোক
সাফল্যের সাথে নির্মূল করো।
কবিতার সুভাষ মুখার্জির
সেই বৈপ্লবিক কবিতা " দিন
এসে গেছে ভাইরে আগাছা উপড়ে ফেলবার!"
হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান
উদ্বেলিত প্রাণ, " মানুষ মানুষের জন্য
একটু সহানুভূতি পেতে পারে না ?"
উনিসশো চৌষট্টি ইডেনে বিশ্ব যুব উৎসবে
ভুপেন্দ্র হাজারিকা গেয়েছিলেন।
শত কন্ঠ শিল্পীর গান " ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম
আমরা চলেছি সেই সূর্য এর দেশে !"
আমরা সবাই গিয়েছিলাম উদাত্ত কন্ঠে
1964 সেই যৌবনে, " অনশন বন্দি ওঠোরে জাগি"
" আহ্বানে চলে মুক্তির সেনাদল"
পরিজন হলে দেব এক নদী রক্ত
রক্তের অক্ষরে লেখা হবে ইতিহাস!
" আমরা এনেছি রাঙা প্রভাত "
সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম ষাট বছর,
হায়, মা মাগো দিন আসে কৈ ?
মা মাগো তুই মা তোর খড়্গ
এর আঘাতে তীব্রতর আঘাতে
শয়তানের ছিন্ন মুন্ডু মালা গলায় পড় জননী।
No comments:
Post a Comment