জননীদের স্বাধিকারের জনযুদ্ধে আহ্বাণে সাড়া দিন।
শ্যামল সোম
আদিম প্রস্তর যুগে গোষ্ঠীর সাথে গোষ্ঠীর সংঘর্ষে
বিজয়ী বাকল বসনে লুটপাট করতো গৃহপালিত পশু
পৈশাচিক উল্লাসে পরাজিত গোষ্ঠীর পশুরমত জোর
পূর্বক টানতে নিয়ে যেতো, যে পুরুষের অধিকার ছিল
সে জননী, ভগ্নী, কন্যা প্রতি ঝাঁপিয়ে পশু পাশবিকতা।
আজও একবিংশ শতাব্দীতে ডিজিটাল ওয়াইল্ড মুঠোয়
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশান্তরে নির্যাতন নারী আর্তনাদ
হাহাকার ক্রন্দন নয় আর হাতে হাতে তুলে কলমের হাতিয়ার।
" আমাদের সংগ্রাম চলছে, প্রয়োজন হলে দেব এক নদী রক্ত !
"ক্ষমা কর জননী মনে পড়ে তোমায়
শ্যামল সোম
জননীর কথা অমৃত সমান, মায়ের তিন সন্তানের মধ্যেই আমিই প্রথম, মাত্র ষোল বছর বয়েসে পুত্র 1945 সালে তখন ও মেয়েরা পুতুল খেলতে, জননীর আমাকে পুতুলের কখন আদরে আদরে চুম্বনে বিব্রত বোধ করতাম, মায়ের ডাক নাম ছিলো খুকি সবাই মতো আমিও খুকি বলে ডাকতাম সবাই আপত্তি করতো মা রুখে দাঁড়াতে আমার ছেলে আমাকেও যে নামে ইচ্ছে ডাকবে তোমরা বলার কে ঠাকুরদা ঠাকুরমা, দিদা দাদামশাই প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় নিশ্চিত ছিল কেউ আর কোন
কেউ কিছু বলতে সাহস পেতো না বংশে প্রথম নাতি মা বলতেন সাত রাজার ধন মানিক আমার।
তুই করে মাকে বলতাম আমি মা নেওটা Mothers child
বাবা --"ওর পড়াশোনা কিছুই হবে না, ( শোভা নাম ধরে ডাকতেন না অবশ্য লেখার জন্য লিখলাম,)
এই তোমার জন্য শ্যামল এর কিছু হবে ভিখারী হবে ঘুরবে।"
পিতৃদেব ঈশ্বর সমান তাঁর ভবিষ্যত বাণী কি বিফলে যায় সে ছিল 1950 সাল আজ 2016 আজও পথে পথে
ফিরছি ভালোবাসার জন্য গেয়ে গান " সবারে বাসরে ভালো নহিলে মনের কালো ঘুজবে নারে। এ সব গান বোধ সব মায়ের শিক্ষা,
শৈশবের আমার কাছে বসেই শিক্ষা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণ পরিচয় পাঠে অক্ষর জ্ঞানের আমার সনমূখে জ্ঞানের অপার ভান্ডার দ্বার উন্মোচিত হলো বিস্ময়ে পড়লাম জীবনের উপলব্ধি সত্য কথা বলবে, সবাই সঙ্গে ভালো ব্যবহার
মনোযোগ দিয়ে পড়বেপিতা মাতাকে শ্রদ্ধা সন্মান করতে হবে সুবোধ মতো হতে হবে। সুবোধ অতি ভালো ছেলে। সবাই সুবোধকে ভালোবাসে সুবোধের বিনম্র ব্যবহার শ্রদ্ধাশীলতা শিষ্টাচার বিনয়ের জন্য পাড়া প্রতিবেশী সবাই সুবিধে ভালোবাসে।
বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজেও ভীষণ মাতৃ ভক্ত ছিলেন
পর মাকে একদিন বললাম, মা ওমা শোন না মা আমার গায়ে শীতের রৌদ্দুর বসে তেল মাখাচ্ছেন বছর পাঁচেক বয়স1950 সাল মায়ের কোলে বসেই মায়ের হাতের কমল স্পর্শে তেল মালিশে আবেশে ঢলে আসছে চোখ, ও শ্যামল
এ নামটি মা রেখেছেন আজ ও আমার মা জীবিত আমি ধন্য আজও প্রণাম করার পর মা আমার কপালে স্নেহ চুম্বন
করেন, মায়ের আদরে বাঁদরের মতন তেল মাখাতে মাখতেই সজাগ হয়ে মাকে দুই হাতে মায়ের গলা জড়িয়ে বললাম
ফিসফিস করে কানের মুখ এনে বললাম, " মা ও মা শোন না সুবোধের মতন বালক হবো। কি করে হবো মা?
জরাগ্রস্ত জরাজীর্ণ বৃদ্ধ মানুষের প্রতি বিশ্বাস সন্মান বন্ধুত্ব ভালোবাসা জন্য এবং নারীদের স্বাধিকার লড়াই
রয়েছি পাশে। নারীদের প্রতি দৈনন্দিন অসম্মান ধর্ষন নির্যাতন অত্যাচার অসহ্য হিংস্র আক্রমনে নগ্ন সমাজের পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ বর্বরচিত আবহমান কালের বিরুদ্ধেই আমার কলম ধারন।প্রতিবাদী কবিতা
২২/১১/১৬
বাংলাদেশের এক কবির লেখা
অহংকার
ফিরোজ মোল্লা
আমি মুসলিম, তাই আমার এতো অহংকার -
আমি হিন্দু, তাই আমার হীরের মত ধার-
আমি খ্রিস্টান, তাই আমার সিংহের হুংকার-
আমি বৌদ্ধ, তাই আমার হাতে খাবি তোরা মার,
সমাজে মরছে মানুষ নির্বিচারে-
এ-দায় বল কার ?
আমার কত অহংকার।
শোন হে ধর্ম নেতা, ছাড় তোর নিতিকথা
অসহায়ের কাতারে গিয়ে দেখলি কিছু ?
কষ্ট আর নির্যাতন, ছাড়েনি আজ তাদের পিছু।
তবুও তুই শান্তি বিলাস-
সুযোগ পেলে আসর মিলাস,
টাকার কাছে সবই তোদের মিথ্যা বলা-
মুর্খ্য জনে বুঝে কি আর তোদের এতো চলাকলা?
ধর্মটাকে পুঁজি করে খাবি কত আর?
সমাজে মরছে মানুষ নির্বিচারে-
এ-দায় বল কার?
আমার কত অহংকার।
বি:দ্র:- কবিতাটি, আমার রচিত - ২০১৭ প্রকাশ কাল, প্রিয় কবি" বই থেকে সংক্ষিপ্ত করে এখানে দেওয়া হল।তোমার মঙ্গল কামনা করছি মা
নারীর প্রেম ও মরণ
বাঁশিওয়ালা শ্যামল সোম
আমার সুদীর্ঘ জীবনে
বহু নারীর বন্ধুত্বের সংস্পর্শে
এসে তাঁদের শরীর হীন
ভালোবেসে প্রকৃত অর্থে বন্ধু
মতো গভীর ভাবে মিশে তাঁরা
যখন মনে করেন এই
বন্ধুত্বের মধ্যে কোন ছলনা বা
পাশবিক, যৌনতা নেই
তখন সেই নারী খোঁজে
পিতার মতো বৃক্ষের মতো জনকে,
সেই বৃদ্ধ বৃক্ষের ছায়ায়
খোঁজে নিশ্চিন্ত নিরাপদ আশ্রয়।
মানুষ যাকে নারী তাঁর
দুঃখ শোকে যন্ত্রনা কষ্ট বেদনা
তাঁর প্রেমিকের কথা তাঁর
নিজের অনুভূতি অভিজ্ঞতা,
তাঁর মনের গোপন কথা যা
নিজের স্বামী প্রেমিক বা
ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের কখন বলে না,
কিন্তু জননী ভগ্নী
আমার আদরের নাতনীরা
উজার করে বলে হালকা
হয়ে হাঁফ ছেড়ে আশ্বাস পায়,
আমার কাঁধে মাথা রেখে
কাঁদে, আশ্রয় পেয়ে আঁকড়ে
জড়িয়ে ধরে আমাকে
বাপ বেটি মতো হু হু করে
কাঁদি কাঁদতে ভালোবাসি।
অভিজ্ঞতা থেকে বলছি
কোন নারী যখন ভালোবাসে
তখন সে তাঁর দেহ মন,
প্রাণ স্বীয় সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে
এক আত্মা হয়ে বিলীন হয়ে
যায় তাঁর প্রেমিকের সাথে
প্রেমে অন্ধ হয়ে যাবে কখন
পুরুষের ছলনা কামনা করছি
এমন কি শারীরিক মিলনে বা
জোর পূর্বক ধর্ষণে শেষে
আনন্দে মেতে ওঠে,
এমন দেখা গেছে
অন্তর্গত দেহে ভ্রুণ
জন্ম নেয়, এদিকে তখন
ঐ বিপদের সম্মুখীন যখন নারী
পুরুষ লম্পট প্রেমিক দায়িত্ব
এড়াতে উধাও হয়ে যায়।
থানার পুলিশ করলে অস্বিকার
করে নয়তো ভিডিওটা
ইন্টারনেট এ সেই যৌন সম্পর্ক
প্রচার করতে উদ্ধত হবো।
এই ভাবেই চলে যৌন শোষণ,
তবু নারী উন্মুক্ত করে দেয়
হৃদয়ে সকল কপাঠ উন্মুখ হয়ে
এক বিন্দু শিশির কনা
ঝরে পড়ুক বৃষ্টি শব্দে দেহে
সুখের শিহরণ
না মরণ?
মেঘ কন্যা তুমি
আকাশের বুকে ভেসে
আমার কাছে এসো,
মেঘমালা কে সঙ্গে
নিয়ে মেঘে কোলে
ভেসে পৌঁছে যাবো
সে এক স্বপন পুরের দেশে।
তুমি আছো তোমার স্বাধিকারে
তোমার চোখেই
আনন্দ বৃষ্টি হয়ে ঝরুক।
স্বাগতম সুপ্রভাতে কল্যান হোক তোমার পারিবারিক জীবন।
কল্পতরু আমার প্রাণের ঠাকুর
শ্যামল সোম
ডুব ডুব রূপ সাগরে আমার মন
তলা তল পাতাল খুঁজলে পবি
পাবি রে প্রেম রত্ন ধন।
ওরে খোঁজ খোঁজ খোঁজ
খুঁজলে পাবি হৃদি মাঝে বৃন্দাবন
দীপ দীপ দীপ জ্ঞানের বাতি
জবাবে হৃদে অনুক্ষণ।
জীবনের যাত্রা পথে যিনি যুগ যুগান্তর ধরে বাউল প্রেমিকের বেশে এসে আজীবন কল্পতরু বৃক্ষের
মতন যে স্মরণাগত, শুদ্ধা ভক্তি, সম্পূর্ণ ভাবে আত্মনিবেদন করে যে যা চেয়েছেন কৃপা করেছেন তিনি।
শিশু গদাই মধ্যে ইষ্ট দর্শন লাভ হওয়ার পরে সেই কামার পুকুরে বয়স্ক চিনু শাঁখারী উঁই ঢিপির উপরে বসিয়ে
নিজের হাতে গাঁথা ফুলের মালা গদাই গলায় পরিয়ে ফুল বেলপাতা দিয়ে পুজো করে ছিলেন।
ধাত্রী মাতা ধনি কামারিনী উপনয়নের সময় তাঁর হাত হতে প্রথম ভিক্ষা নিয়ে ধাত্রী মায়ের মনোবাঞ্ছা
পূর্ণ করেন।
পরবর্তী কালে কালে বহু বছর ধরে বহু লোককে কৃপা করেছিলেন।
স্বামী জী লিখছেন আমার প্রভুর MY Master তাঁর আধ্যাত্মিক খুবই উচ্চ মার্গে অধিষ্ঠিত, যে তিনি
কৃপা করে A Glance একবার যদি ঐশ্বরিক দৃষ্টিতে তাকাতেন তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তির চৈতন্য লাভ হতো।
মদ্যপ অভিনেতা কালি প্রাসাদ স্ত্রী শ্রী রামকৃষ্ণ কৃপায় বিশ্ব জননী শ্রী শ্রী সারদা মাতা ঠাকুরানী ঠাকুরের
পুজো ফুল বেলপাতা অর্পণ করেন কালি প্রসাদ এর স্ত্রী হাতে, তিনি চৈতন্য লাভ করেন।
ঠাকুরের ভৈরব, মদ্যপ নাট্য জ্যোতিষ্ক গিরিশ ঘোষ ঠাকুরের কৃপায় পরম ভক্ত হয়ে চৈতন্য লাভ করেন।
বহু শতশত মানুষের কৃপা লাভের অমৃত কথা এই সল্প পরিসরে সম্ভব নয়।
সুদূর সিন্ধু দীন দয়াল
বাংলাদেশের মহা গৃহ ভক্ত নারায়ণ গঞ্জ এর কাছেই নাগ মহাশয় পরবর্তী কালের ঠাকুরের কৃপায়
সাধু নাগ মশায়ের বসত বাড়িতে পুজিত হচ্ছেন দেখে দু চোখে জলে ভরে গেল।
অশ্বিনী দত্ত নেতৃত্ব স্থানীয়, উত্তর ভারতের বিশিষ্ট পন্ডিত গৌর শাস্ত্রী
ঠাকুর প্রশ্ন কঅঅরেন, " আচ্ছা গৌর, বৈষ্ণব চরণ যে একে, ( নিজেকে দেখিয়ে) অবতার বলে ?" অ
গৌর- শুনে চুপ করেই ভাবছেন - - ঠাকুর শিশুর মতন তাকিয়েই আছেন
গৌর শাস্ত্রী রেগে বলেন " ভুল বলেছেন "
ঠাকুর ভয় ভয় ইতস্তত বোধ করছেন।
গৌর--" ও ছোট করে বলে, আপনি হচ্ছেন যাঁহার শক্তি স্বরূপ পরম ব্রক্ষ্মান্ড সৃষ্টি পরম ব্রহ্ম সেই শক্তি থেকে
যুগে যুগে বিভিন্ন যুগে অবতার আবির্ভূত হয়েছেন সেই শক্তির আধার স্বয়ং আপনি।
ঠাকুর বালকের বিস্ময়ে বিস্মিত ।
16st অগস্ট 1886 মহা প্রয়াণ পূর্বে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন।
1st ফাস্ট জানুয়ারী 1886 রবিবার আমোদ আহ্লাদ এর দিনে শ্রী রামকৃষ্ণ প্রাণের ঠাকুরের কাছে
বহু গৃহী ভক্তের সমাগম হয়েছে, বহুদিন অসুস্থতা জন্য ঠাকুরের দর্শনে বঞ্চিত আজ এসেছেন
ঠাকুরের দর্শনের আশায়।
প্রভু মযয় গুলাম মযয় গোলাম মেয় গোলাম তেরা, তুই দিওয়ান তু দিওয়ান মেরা।
সে কাশীপুর বাটিতে প্রথম দেখতে হরিশ মুস্তাফি তাঁকে বুক স্পর্শ করতেই আনন্দ ধারা বহে যাচ্ছে
দোষ চোখ বেয়ে
কেমন লেখাটি হচ্ছে গো কৃষ্ণা
No comments:
Post a Comment