ভালবেসে নীল কন্ঠ আজ
বাঁশিওয়ালা
ভালোবাসা দুরন্ত ঝড়ের মতন
ভালোবাসার নদী পদ্মার তুফান
দুই কূল পারিবারিক এওর জীবন
সামাজিক, ধার্মিক পারস্পরিক
কলোহ বিদ্বেষ অন্তরদ্বন্দ নির্মাণ
এত প্রতিকূলতা মাঝেও প্রেমের
বন্যার স্রোতে পাইলে এসে পাগলি
তুই নেত্রকোন থেকে ঢাকা হয়ে এই
লন্ডনের হিথরো বিশাল বিমান বন্দরে
নির্দৃষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট লাউঞ্জে দাঁড়িয়েছি,
দূর নক্ষত্রের ক্ষীণ আলো প্রকাশে মন
প্রাণ উৎফুল্ল তোকে দেখেই এ কম্পন।
আমার কাছে বিমানে উড়ে আসার
ক্লান্ত শরীর মনে চাপা ক্ষোভ জেট ল্যাগ।
তোকে বিমর্ষ বিষন্ন ক্রন্দন রক্তচোখে এ
শুষ্ক মলিনতা, নত মুখ, ট্রলি ঠেলে আসছিস
এগিয়ে উৎসুক চোখে খুঁজছিল আমাকে
ভয়ার্ত কালো হরিণীর চোখেচোখ পড়তেই
ভূমিকম্প স্পন্দন আলোড়িত দুজনার মন।
কাছেই এসেই গভীর আলিঙ্গন পরস্পরে
দু জনের চোখ হতেই অবিশ্রান্ত জল প্রপাত।
আক্রান্ত ভালোবাসায় সিক্ত আমার হৃদয়।
" তুমি সত্যিই এতো ভালোবাসা ? " মৃদু হাস্য
মুখে," ওরে পাগলী ভালোবাসা নিত্তি মেপে,
প্রেমের মুহূর্তে মাহাত্ম্য অতকী হিসেব কষে হয় ?
জীবনে হঠাৎই যখন পাগলের আসে এক্কেবারে
সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসায়।
সমুদ্রের ঢেউ প্রচন্ড বেগে তেড়ে এসে আবর্তিত
ঢেউয়ে ঘূর্ণাবর্তে উঠেছিল বিষ,
" আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পাণ প্রাণের
আশা ছেড়ে সে ভালোবাসার বিষ করেছি পাণ।"
পাগলী স্বপ্নের রাজকন্যা নীল পরী চলন্ত গাড়িতে
আগুন ঊষসী উষ্ণ দেহ স্পর্শ, আলিঙ্গনে কামার্ত
পাগলীর উত্তপ্ত আগ্রাসী চুম্বনের সমৃদ্ধ অতীতের
সে স্মৃতি পঞ্চাশ বছরের পরও এ চলচ্চিত্রায়ান।
No comments:
Post a Comment