Tuesday, 28 May 2019

স্বপ্ন নিহত

স্বপ্ন  নিহত

শ্যামল সোম

1964 সালে ভাগ হয়ে গেলো পার্টি  বাম ও দক্ষিণ  অপর এক দল চরম পন্থী গ্রাম দিয়ে
শহর ঘিরে শ্রেণী শত্রু নিধন, কৃষক শ্রমিক সর্বহারা
বিপ্লব সংগ্রামী খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের বিশাল  মিছিল ও সমাবেশ  1966 সালে
1st May, আন্তর্জাতিক শ্রমিক  May  দিবসে  কোলকাতায় ধর্মতলায়   মনুমেন্ট পাদদেশে
ভারতবর্ষে নূতন এক পার্টি প্রতিষ্ঠিত হলো।
অনিক প্রসিদ্ধ  প্রেসিডেন্ট সি কলেজের মেধাবী ফিজিস্ক এর ছাত্র নবসংগঠন  সম্পাদক
নিজেদের দলের মিছিলের উপরে উগ্র আক্রমণ আহতের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো।
সামন্য  আহতদের কোলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  ডাক্তারি পড়ছে ছাত্র ছাত্রীরা
সেবা শুশ্রূষা করছেন।
বার বার শ্লোগান  উঠছে , দুনিয়ার মজদুর কৃষকেরা এক হও নকশাল বাড়ি জিন্দাবাদ।
বিভিন্ন  নেতা  কানু সান্যাল সন্তোষ রানা, দক্ষিণ ভারতে র
জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেন সবাই আগামী দিনে বিপ্লবের স্বপ্ন  দেখতে থাকেন।
ক্রেন্দয় কমিটি থেথে  চারু মজুমদার বেড়িয়ে গিয়ে  শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন।
অনিক ভট্টাচার্য  জলপাইগুড়ির  ছেলে কিশোর বয়সে ঐ আনদোলনে রয়্যালিটি  ক্লাস
করে মার্কস বাদে, মাও বাদ মাওসেতুঙ লেখা রেডবুক অমোক বিশ্বাসে  অটল রয়েছে
এক ধনী পরিবারের মেধাবী সন্তান বাবা জোতদার
সার ব্যবসায়ে  হোল সেলার বৈভব অবশ্যই সম্পদশালী অনীক প্রেসিডেন্সী কলেজে
নিজের খরচ পাতি ঢিউশান করে চালায়, তাছাড়া দুর্দান্ত রেজাল্ট এর জন্য স্টাইফেন
পায়,

মেডিক্যাল কলেজ ডাক্তারি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী অনুসূয়া বাসু  এক ঘরোয়া মিটিংয়ে
অনীকের  ইতিহাস ভৌগলিক মার্কস বাদে গভীর জ্ঞান এবং যুক্তি উপস্থাপন করে বক্তব্য
শুনে অনুসূয়া  মুগ্ধ হয়ে আলাপ পরিচয়  ধীরে ধীরে ভালোলাগা ভালোবাসা গড়ে উঠে।
অনীক এম এস সি পরীক্ষার শেষে বিদেশে যাওয়ার নাম করে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছে।

অনুসূয়া ডাক্তারি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিজের পরিবার থেকে আলাদা হয়ে
এক মাত্র তাদের ভালোবাসার সন্তান সূর্যা কন্যা শিশু  নিয়ে  প্রহর  দিন যাপন করছে
একদিকে অনীকের ফেরার প্রতীক্ষায়  অন্য দিকে ডাক্তারি  প্র্যাকটিশ  শিশুকন্যার
প্রতিপালন  পার্টি জন্য গরীবদের বিভিন্ন বস্তিতে  গিয়ে সদলবলে  সবাইর দেহ পরীক্ষা করা।

সর্বহারা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম লক্ষ লক্ষ মানুষ শরণার্থী তাঁদের নিয়ে  
মিছিলে মিছিলে পুলিশের বাধা রাস্তা অবরোধ করে রাখে স্বপ্ন  দেখে সে।

সতী না অসতী

সতী না অসতী

শ্যামল সোম

দোলা চমক উঠলো পুকুর ঘাটে স্নান সেরে উঠে দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধ নগ্ন
পরনে শুধু ছাপা শাড়ি, সতের বছর বয়সে পুরুরের স্পর্শ দেহ আবেগে
থরথর কাঁপছে, মনুদা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে মনুদার শরীরের ঘ্রাণ
দোলা সারা অঙ্গে অঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে দিল, মনু দোলাকে ঘুরিয়ে নিয়ে ঘণ
আলিঙ্গনে চুম্বনে চুম্বনে বারবার শিহরিত বিহ্বল দোলা জড়িয়ে ধরে বুকে।
ঝোপের আড়ালে দুজনে  লুকিয়ে অনেকটা সময় পেড়িয়ে গেলো, দোলা
শড়ি পরে সারা শরীরে মাদকতাময় আবেশে আচ্ছন্ন হয়ে ঘরে ফিরছে, মা
বাপ নেই মাসীর সংসারে দাসীর মতন গায়ে গতরে খেটে দুবেলা খেতে পায়।
ইদানিং মেসো নজর ভালো নয়, মাঝে মধ্যে গায়ে হাত বুলোয়, সাঁটিয়ে যায়,
একদিন ভোর রাতে মনুদার সাথে পালালো রানাঘাটের অজ পাড়াগাঁ থেকে
কোলকাতা শহরে মনুদা বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে কালীঘাটের মন্দিরে সিঁথিতে
সিঁদুর পরিয়ে দিলো মনুদা সস্তা সিল্কের শাড়ি ঝুটো মুক্তর হার পরে দোলা
রাঙা মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো মনুদা যেন রাজ্য জয় করেছে, হৈ চৈ
হোটেলে মাংসো ভাত খেয়ে সবাই এলো বস্তির ঐ ছোট্ট ঘরে চৌকির উপরে
নতুন বিছানায় গোলাপে পাপড়ি ছড়ানো ছিটানো, দেখে দোলার ভালো লাগলো।
বাসর রাতে টিনের জানালা দিয়ে  জ্যোৎস্নায় আলোয় অভাগী দোলা মনুর আদরে
আদরে গলে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করে, মনুকে
" মনুদা কোলকাতায় গেরেজে কাজ করেও
আমার মতন হতভাগ্য মেয়েকে বিয়ে করলে কেন গো,  তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?

দোলা তোকে অনেক অনেক ভালোবাসি ।

দু বছর না যেতেই ভালোবাসার সংসারে দুর্ভাগ্য সর্বনাশা  কাল গ্রাস করলো,
ভীষণ এক accident  মনু মনা মন্ডল কোলকাতা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ব্যাকুল হয়ে দোলা অপেক্ষায় রয়েছে ও টি
সামনে অপারেশন থিয়েটারে কাঁটা ছেঁড়া চলছে
এক অজানা আশঙ্কায় দোলা ভাবছে কি আছে কপালে না না ভাবতে পারছে না,
তাই এখন শুধু মা কালির নাম করে ডাকছে ব্যাকুল হয়ে ।

বাংলাদেশে একটু ঠাঁই চাই।

বাংলাদেশে একটু ঠাঁই চাই

শ্যামল সোম

সেই সব শৈশবের স্মৃতিময় দুঃস্বেপ্নর
রাত জ্বলেছে ঘর আগুন আগুন জ্বলে
আগুন গ্রামের ঘরে ঘরে পিদীম নিভে
গেছে, শোনা গেছে মিছিলে লড়কে লেঙ্গে
পাকিস্তান জাগো ইনসান ইনসাফ চাই শান্তি
চাই, চাই  রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি বলো  নাড়ায় 
নাড়ায়ে তকদির ------ অকবর নড়ে উঠলো
পায়ে তলার মাটি বিধ্বস্ত চোখে সর্ষে ফুল,
প্রাণের ভয়ে কচু বনে লুকিয়ে হরিনাম জপ
দেখত পেলেই কাফেরকে দাও  এক কোপ।
সাতশো বছরের শিয়া শূণ্যি বিরোধ চললেও
থাকলেও নিজস্ব পবিত্র স্থান দেশ  চাই চাই।
চলো, দখল করো জমি জরু গরু পানি ঘাস
দুধ দেয় কুরবানী করা যায় প্রকাশ্যে মাঠে
ঈদগাড়ের মাঠে শত লোক দেখতে জমে যায়।
ফতোয়া জারি করলেন তিনিই মহান সেই নেতা
উনশো ছেচল্লিশ সালেষ কর Direc Action
দেশে ভাগের আগেই ক্ষমতা মসনদে লড়াই
ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আলোচনা গোপনে চলে,
দাঙ্গা শুরু হয়ে গেলো কোলকাতায় হাওড়ায়।
কিন্তু  আশ্চর্য পাঞ্জাব বাংলা ছাড়া অন্যান্য
কোন প্রদেশে এই দাঙ্গার আগুন জ্বলে নাই।
আমাদের পরিবার গভীর রাতের অন্ধকারে
ঐ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে গ্রামে ভালো পড়শি
বড় নৌকা পাল তুলে হাল ধরে বৈঠা বেয়ে
হরি হরি নাম স্মরণ করে যাত্রা শুরু হলো,
সূর্যোদ্বয় প্রাক্কালে রাঙা হয়ে উঠছে আকাশ।
কালের ইতিহাসের পাতায় জ্বলন্ত প্রমাণ আছে
গঙ্গা পদ্মা নদীতে বহু জল বহে গেছে ভাষা
বাংলা ভাষা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় শুরু থেকেই
মনোমালিন্য শুরু হয়ে ছিলো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
শিল্প নেই, শাসন শোষন, প্রতিবাদ প্রতিরোধে গড়ে
তোলেন তিনি আজ বাংলাদেশের জাতীয় পিতা।
সংগ্রাম  একনদী রক্ত রঞ্জিত হয়েছে বুড়ি গঙ্গায়,
তিরিশ লক্ষ শহীদ হয়েছিলেন তিন লক্ষ মা ,
বোন কন্যা ধর্ষণ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন
সেই শিয়া সম্প্রদায়ের শাসন কি পৈশাচিক প্রভু
সুলভ তৎকালিন  পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে
আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়ে জেলে আটক 
ধরে কয়েদ চরম দুর্ভোগে মধ্যে সাহসী মুক্তি যোদ্ধা
নৌকো চড়ে যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন স্বার্বভৌম
বাংলাদেশে দেশ গঠনে বিশ্ব স্বাস্থ্য শিল্প উন্নয়ন পথে,
নাগরিকের দেশ ভক্তি দেশপ্রেম এই মনোবৃত্তি 
বাংলাদেশে পৃথিবীর মানচিত্রে  আজ শীর্ষে রয়েছে।
এ আমার একান্ত এক মাত্র প্রার্থনা ঠাঁই দাও ঠাঁই চাই।

Monday, 27 May 2019

চিরন্তন অভাগার গল্প

চিরন্তন অভাগার গল্প

পারু কৈশোরের খেলার সাথী তুই
লুকোচুরি খেলার সময় মেঘলা দিনে
কালো হয়ে আকাশের নিচে ঐ গাছে
বাজ পড়লো ঝলসে গেলো সেই বৃক্ষ।
হঠাৎ বাজ পড়ার আওয়াজ তুই ভয়ে
আমাকে জড়িয়ে ধরে খুব  কাঁপছিলি।
চোখে জল মুছিয়ে বলি, আমি দেবদাস
তোকে আমৃত্যু কখন কাঁদতে দেব না।
আশঙ্কা ছিল মিলন হলো না রে পারু !
তোর বিয়ে হয়ে গেলো পাল্কী চড়ে তুই
শ্বশুর বাড়ি গেলি সানাই সুরে এ বেহাগ।
প্রেমে ব্যর্থতা যৌবনে মদ্য পানে তৃষ্ণা তৃপ্ত
না হয়ে বাঈজী কোঠিতে নাচ গানে শান্ত নই,
কোলকাতার বারদুয়ারীতে এখন মদ্যপ পাগল।

আমার প্রশ্ন

আমার প্রশ্ন

শ্যামল সোম

দুর্ভাগ্য আমাদের এমন
দেশে ভারতে জন্ম এখন
রাতে শুনি মেয়ের কান্না
বুকফাটা আর্তনাদ হায়না
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় নারীদেহ
নারী মাত্র কি ভোগ্য পণ্য,
জননী যে তিনি স্মরণীয়,
ভুলে যায় ওঁর ক্রন্দন ধ্বনি
ভালোবাসে ঐ কি পৌরুষ ?
এ নারী নাকি নরকের দ্বার
ধর্মের বিধান না পুরুষের
আধিপত্যে তন্ত্র যন্ত্র অহং !
অহমিকা অহংকার দাম্ভিক
বৈষম্য মূলক এই আচরণ,
কেন অনন্ত কাল আবরণে।
কুসংস্কারের ধর্মেরনামে যত্ন
হীন মনোবৃত্তি শিকার হচ্ছে,
একবিংশতি যুগেও চলছে
অবক্ষয় ব্যভিচার নির্যাতন
নারী কতকাল লাঞ্ছিতা হবে?

প্রিয় কবি আকাশ পত্র সাহিত্য

প্রিয় কবি আকাশ

সংকলন  শ্যামল সোম

আজ প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে তুমি ফিরবে
ফিরবে কথা দিয়ে তুমি কোলকাতায় চলে গেলে
মাঝে দু এক বছর নিয়মিত ফোন করতে এখন
তোমার মোবাইলে ফোন শোনা যায় রং নম্বর!
চিঠি লিখবো ঠিকানো বার বার চেয়ে ও দিলে না।
কত বৈচিত্র্যময় তোমার জীবন কাব্য জগতে তুমি
উজ্বল জ্যোতিস্ক কালপুরুষ তোমার বৃত্তে নক্ষত্ররা
সুন্দরী তরুণী তোমার শ্যাম বর্ণ গ্রিক দেবতার সুঠাম
স্বাস্থ্যবান দীর্ঘকায় দেহ দৈহিক মৃদুভাষি নম্র বিনয়ী
অন্তরে অন্তরে রক্তের গভীরে প্রথিত রয়েছে  ঔদ্ধত্য
অহংকারী   ৌরুষ  দীপ্যমান প্রেমিক সুলভ আচরণ
তোমার হৃদয়ের কাছাকাছি এসে  প্রেমে পড়েছিলাম,
তোমার ভালোবাসা না থাক প্রশ্রয় হয়তো মজা করেই
প্রেমের স্বভাব সুলভ আচরণ না অভিনয় বলবো না,
তোমার দুচোখে স্বপ্ন ভাসতে দেখেছিলাম, তোমার
ঘন আলিঙ্গনে তোমার লোমশ বুকে কান পেতে সমুদ্রের
ঢেউয়ের গর্জন হাহাকার চিৎকার প্রচন্ড ঠান্ডায় শীতের
রাতে বাহিরে তোষার পাত লন্ডনে ডিসেম্বরে কম্বলে ঢাকা
আমার নগ্ন শরীর কাঁপতে  কাঁপতে তোমাকে ভালোবেসে
না যৌন আকর্ষণে যুগলে চুম্বনে সন্তরণে শরীরের মোহে
পড়ে  ভেসে গেলাম,স্বপ্নে  ভাসছি লন্ডন বি বি সি বার্তা
বিভাগে কর্ম রতা লমবা ছুটি নিয়ে পালালাম তোমার সাথে।
তখন বাহ্য ঞ্জান শূণ্য পরিপূর্ণ তোমার প্রেমে দিশাহারা ব্যাকুল,
দুজনে শুয়ে শুয়ে তাকিয়ে পরস্পরের চোখে তন্দ্রা জড়ানো
গাড়ি থেকে মোটেলে কাঠের ঘরে হট আবহাওয়া  শীতাতপনিয়ন্ত্রিত
হোটেলে নিশি যাপন সুখের স্বপন বেলা বাড়তে বরফ সড়িয়ে
গাড়ি চালিয়ে অজানা গন্তব্য স্কটল্যান্ড ওয়েলস কত ইংল্যান্ড
গ্রামে গ্রামে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছি রাত জেগে তুমি লিখছো
TRUST OF MY LOVE এ উপন্যাসের মূল চরিত্রে নায়িকা
ROSHI আমি সাহিত্যিক জ্ঞানী সাংবাদিক লেখকের জীবনে
আমি এসেছিলাম তোমার ভালোবাসার দান তোমার ঔরুষজাত
তিন বছর আমার ভীষণ প্রিয় কন্যা সন্তান নিলি SINGLE MOTHER
পরিচয় বড় হয়ে উঠবে না না এ দেশে পিতৃ পরিচয় জরুরী নয়।
তাছাড়া আমি চাই না গো দক্ষিণ্য চাই যেখান দাম্পত্য জীবন নেই।
তোমার প্রকাশকের ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য চিঠি লিখছি।
আজ নিজের পরিশ্রমে অধ্যাবসায়ে  আমি এখন বি বি সি বার্তা
বিভাগে সহকারী সম্পাদক পদ পেতে সক্ষম হয়েছি এক বন্ধু তিনি
এনভায়রনমেন্ট সাইনস বিজ্ঞানী উনি আমার মেয়েকে দত্তককন্যা
কোর্ট চেষ্টা করছিলেন আমি বারণ করলাম she is my child.
আমার মতন সৌভাগ্য  জননী কজন আছেন ভারতবর্ষে?

তোমার অতীতের নীলাঞ্জনা

পূনঃশ্চ ---- শোকাচ্ছন্ন এক শোকার্ত বার্তা পাঠিয়েছেন প্রকাশক-- আকাশ সেনগুপ্ত তিন বছর আগে
কার accident মারা গেছেন  কোলকাতায় এয়ারপোর্টে কাছে। উনার লন্ডন হিথরো
এয়ারপোর্টে ফ্লাইট ছিল সেই রাত্রি ।

নীলাঞ্জনা হাতে চিঠি নিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছে, নিলি ছোট্ট হাতে চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলছে
আধ আধ স্বরে--- Don't cry mamy I love you mum

আত্মজার সন্ধানে ( একক অভিনয় )

আত্মজার সন্ধানে      ( একক অভিনয় )

শ্যামল সোম

দুর্ভাগ্য আমার গিন্নি লাবণী মারা গেছেন পনের বছর হলো
তখন আমাদের একমাত্র কন্যা মিলি তিন বছরের কম বয়সে
বিপত্নীক অনেকেই বলে ছিলেন পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে বিবাহ
করতে না না আমি কাজে মেয়ে আর এক মাসীর সাহায্য মিলিকে
স্যার বড় করে তুলছিলাম, ঐ টুকুমা মরা মরা মেয়ে কি প্রচন্ড জেদ,
আমাকে স্নান করাতে হবে আমার হাতে ছাড়া খাবে না এই দুবছর
আগেও আমাকে জড়িয়ে এক বিজানায় ঘুমোতো।
বিশ্বাস করুন স্যার আমাকে আআআমাকে ভীভীষন ভাভালোবাসতো।
আমি আজ তিনদিন ধরে এই থানাতে রাতদিন হত্যে দিয়ে পড়ে আছি।
তিন আগে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলো না মিলি, মিলির মোবাইল ফোন
অফ রয়েছে।
রাতেই আপনাদের থানায় এফ আই আর লেখালাম, আত্মীয় স্বজন মিলির
বন্ধু বান্ধবীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো ঐদিন সে কলেজে যায় নি।
লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের, মিসিং স্কোয়ারড তে কমপ্লেন করে দরখাস্ত
লালবাজারের ডায়রি করলাম।
স্যার আজ আমি ভীষণ ক্লান্ত, মা মরা মেয়ে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।

আপনি স্যার আমাকে একটু সাহায্য করুন আজ এতদিন হয়ে গেলো মিলির
কোন খোঁজ পেলাম না।

না না না কি বলছেন মিলি মিলি ড্রাগ নিতো

না না না মিলি কোলকাতার নামি কলেজে কমপিউটার সাইন্স নিয়ে পড়তো
মিলি excellent results সব সেমিস্টারে।

না না না কি বলছেন আপনি মিলি কোকেন ইয়াবা চরস না না আপনাদের কোন ভুল হচ্ছে!

না না মানে বিজনেসের কাজে ভারতবর্ষে অনেক প্রদেশে যেতে হয়, সব সময় যেতে হতো।
রোজ ফোন করতাম,

না না এ কার ছবি ড্রাগ খেয়ে এরা কি করছে  ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ এই ধরণের অসভ্যতা অশ্লীল

কি এই ভিডিও ছবিতে আমার মেয়ে মিলি রয়েছে

হাঁ হাঁ এই তো আমার বাড়ির ড্রইংরুম ঐ তো মিলি আহ্ আহ্ আহ্ ভগবান জন্তু জানোয়ারের মতন

আমার এত আদরের মেয়ে না কে কে একি ছিঃ ছিঃ ছিঃ

এই ধরণের ভিডিও তুলে আমার মেয়েকে ব্ল্যাক মেল করতে ?

আপনারা খোঁজা পেয়ে সৌভিক হাঁ মিলির সাথেই পড়তো ওকে গ্রেফতার করেছেন

কি আশ্চর্য কেন
স্যার স্যার একটু জল দিন

আহ্ আহ্

না না অবিশ্বাস্য  সৌভিক কি বলছেন মিলি মিলি ড্রাগ খাওয়া অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

কোন কোন হাসপাতাল স্যার স্যার একটু জল দিন দিন

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে শেষে এই হাসপাতালে এসে এ কি
শুনলাম ?
শেষে হাসপাতালে--?

Sunday, 26 May 2019

উষ্ণতা খোঁজে নারীর হৃদয় ( প্রবন্ধ )

উষ্ণতা খোঁজে নারীর হৃদয়       ( প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখনে মার্জনা করবেন)

শ্যামল সোম

গতকাল বর্ধমানে কেতুগ্রামের মাত্র
উনত্রিশ দিনে শিশু কন্যা নিহত হলো
মা বাপের বঁটির আঘাতে  আঘাতে,
পরপর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার
জন্য নিরন্তর বধুঁ হত্যা, নারী নির্যাতন
ও ধর্ষণ, গণধর্ষ, প্রতিক্ষণে ক্রোধ
থেকে দুর্দান্ত আক্রোশ কেন তোমাকে
নারী বিদ্রোহী করে না গো মামণি।
প্রেম ভালোবাসায় স্বপ্ন  দেখো শব্দের
অক্ষরে অক্ষরে কত নারী তুমি
আজীবন আকাশ কুসুম ছবি,

প্রেমের ফুল ফুটো যখন মৃগনাভি হরিণী
তন্বী তরুণী উজ্বল পূর্ণিমায় জোছনা
মেখে গায়ে গোপনে অভিসারের যায়।
বিবাহের প্রতিশ্রুতি পেয়ে রাঙা হয়ে উঠছে
শরীর তোমার সহবাসে গর্ভবতী
তখন পুলিশ, কোর্ট তীক্ষ্ম প্রশ্নবান,
অতীশ প্রাণ শেষে আত্মহনন প্রসঙ্গ উঠে।
কেন বারবার নারী সর্বনাশের পথে পা
বাড়ায় ভালোবাসার ছোঁয়ায় বাসনায়
না যেন কামনায়, নারীদের শৃঙ্খলিত
জীবনে নিজস্ব যৌণ আকাঙ্খা  অপরাধ,
পাপ প্রয়োজনে জন সমূখে  আগুনে
পোড়াও বা পারার ছুঁড়ে হত্যা করো।
নারী কি নরকের দ্বার না জননীর চরণ স্বর্গভূমি?
যে নারী লাঞ্ছিতা, প্রতারিতা, বিবাহ বিচ্ছিন্ন, 
তালাক বা ডিভোর্সি অথবা
অথবা মতে বিবাহের পর  স্বামী বিদেশে
কর্মরত তিনি থাকেন তাঁর নিজের মতন,
নারীর হৃদয়ে প্রেম জাগে যৌবনে জাগে
কি যৌণ আকাঙ্খা, পরকীয়া প্রেমে কি
প্রেম ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কি উষ্ণতা
খোঁজে নারীর হৃদয় ?
কে জানে কতশত
গন্ধর্ব  বিবাহ গোপন ঘটে চলে পরিনতি
কি ভ্রূণ নারী শিশু হত্যা  কে দেবে উত্তর
উদাসীন নির্লিপ্ত নীরব ভাগ্য পরিহাস
ভেবে প্রতারণার ফাঁদে শুধুই দীর্ঘশ্বাস
আকাশকুসুম কল্পনা প্রেমের কবিতা
হয়ে যায় হৃদয়ে গহীন গহ্বরে ব্যথা বেদনা
নৈরাশ্য বিষাদমাখা হতাশায় নিমজ্জিত
হয়ে যায় কি নারীর হৃদয় ?
কে জানে না না আমি  তর্কে যাব না।

কবি তোমাকেই ভালোবাসি

কবি তোমাকেই ভালোবাসি

শ্যামল সোম

কবি তোমাকেই পাশে চাই, যদি
পাই কাব্যে আকাশে হই শঙ্খচিল,
তোমার আমার মনের এত মিল।
নূর তুমি তো আমার অনুপ্রেরণা
ওগো কবি আলো আলোক পর্ণা
তুমি আমার কাব্যময়তায় স্বপ্না।
কখন দুরন্ত সেই অগ্নিকন্যা বিপ্লবী
বিদ্রোহী  সাহসের নির্ভীক শিল্পী
ব্যক্তিত্ব অধিকারিনী কাব্য বন্যা।
অমর ভালোবাসার ছোঁয়ায় হৃদয়ে
কাঁপন তোমার কাব্যে নিশি যাপন।
বৈচিত্র নতুনত্ব লিখন মুগ্ধ এ মন
অভিমানে রাগে সেতার ঝংকারে
হৃদয়ের তন্ত্রী বাজে পিলু বাহারে
সুরে সুরে বাজে পায়ের ঐ নূপুর
কাছে নেই তুমি বিষাদচ্ছন্ন এ সুর,
চাপা দীর্ঘশ্বাস হতাশায় নিমজ্জিত
কাব্যময়তায় গুনমুগ্ধ হলাম কবি।

ছড়া ও অনু কবিতা

আগুনে অক্ষরে ছড়া

শ্যামল সোম

ভালোবাসাবাসি ঢঙী সেজে কাছে আসি
ঠমকে ঠমকে চমকে চমকে দুলে উঠে ফুল
ব্যাকুল পাওয়ার আশায় ভালোবাসার ভুল
ভালোবেসে ফেঁসে গেলে জ্বালা দংশনে হুল।
প্রেমে প্রতারিতা লাঞ্ছিতা গলাতে দাও ফাঁসি।

পাঞ্চালী পঞ্চ কথা আমার কাব্য গাঁথা,
ভোরের আকাশে তুমি যে গো শুকতারা
তোমাকে ভালোবেসে আজ দিশেহারা।
নদী ! স্বপন দেখো নাকি ?
নির্জন এ সন্ধ্যায় একাকী ?

অনি কবিতা

শ্যামল সোম

মনে পড়ছে মনে পড়ছে পড়ছে মনে
নীলাঞ্জনা তোমাকে মনে পড়ছে ক্ষণে,
ক্ষণে কত ভালোবেসে এ দেহে গুঞ্জনে,
অনুরোরণে শিহরিত হয়েছিলাম দুজনে।

বাকরুদ্ধ ছিলেন কি কবি কাজি নজরুল
আমাদের দেশেভাগ ছিল কি কোন ভুল ?

শ্যামল সোম

অমর  বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর
শুভ জন্মদিনে শতসহস্র প্রণাম ও শ্রদ্ধা নিবেদনা,
আজ এই শুভশপথ নেওয়ার  দিনে রক্তের অক্ষর,
লিখে যাবো সৌভাত্রীন্ব সৌহাদ্য  সম্প্রীতি সাক্ষর,
সমব্যথী সহমর্মিতা ভালোবাসায় গড়ে নূতন বাংলা।
কবি লিখেছিলেন, " একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমানের "
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক অবক্ষয় দুঃসময় সবই কি ম্লান?
" আমি সেইদিন হবো শান্ত যবে উদপীরিতে খর্গ কৃপান--"
সাম্প্রতিক সময়ে নারী প্রতি নিয়ত নির্যাতনে বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।

তোমার বজ্রপাতের শব্দে প্রাঞ্জল ভাষায়
সমস্যা হোক অবসানে মনুষ্যত্বষবোধ জাগায়
তোমার অসাধারণ অনবদ্য তীক্ষ্ম তলোয়ার
ত্রিশূল বল্লম হাতিয়ার তীর ধনুক শব্দবানে
ক্ষত বিক্ষত হোক সমাজে লম্পট যত ধর্ষক।

হায় হায় কাঁদল মন
যার জন্যে পাগলু
পাগলি সব ভুলে
চলে গেলো যুবকের
সাধে কোমর জড়িয়ে
পাগলি জূঁই ফুলের মত
ছিলে হঠাৎ কি হলো
বুড়ো বলে বাতিল করে
পাগলি পালালো ইয়ার
দোস্তের তুমি সুন্দরী
কাঁশবনের কি করছো ?
হায় হায় মরি লজ্জায়,
প্রকাশ্যে খোলা আকাশের
তলে তৃন শয্যায় উন্নীত উন্মুখ
পরস্পরের সাথে এতদূর থোড়াই
কেয়ার  হাটখোলা বেআব্রু বেশ
তোমার এতেই যদি এত নুনমরিচ
ভালোবাসা সুখ সন্তুষ্ট করতে পারে,
আমি না হয় নিলাম বিদায় bye bye
এখন আমি এমন একটা মধুর পাগলি
পাই কৈ, এই তুই আমার পাগলি হবি ?
আয় না চল মেলায় যাই, এই তো নে না
দু হাতে লাল সবুজ রঙের রেশমি চুড়ি
বড় আয়না, হাতির দাঁতে কাঁকন রতন
হার, বাণিজ্য তো হলো বিরিয়ানি খাওয়া
আর কি আছে চাওয়া সার্কাসে দেখতে
দেখতে আমি বিস্মৃত হয়েছি হঠাৎ দেখি
নূতন পাগলি বেপাত্তা বেমালুম চলে গেল।
পাথর চাপা কপাল ভালোবাসার আশায়
আশায় আজও ঠিঁকে বহাল তবিয়াতে  আছি।

যদি পাই আমন্ত্রণ

শ্যামল সোম

আমি কত দিন অপেক্ষা করছি
সাম্প্রতিক সময়ে এই নদী ছুঁয়েছি,
পঞ্চাশ বছর আগে সিরাজগঞ্জের
আমার যাওয়া ভীষণ প্রিয় কবি মঞ্চে
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে কতদিনে
আগে সেই সাহিত্য সভায় যোগ দিতে।
তারপর কখন কেউ ডাকে নাই আমাকে
ফের তুমি যদি ডাকে বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে
তাঁর হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে পার হয়ে যাব
সেতু পেরোলেই সিরাজগঞ্জ এ চলে যাবো
হে নারী তোমাকে ভালোবেসে হবো পারাপার ।

তিথিকে প্রশ্ন

তিথিকে প্রশ্ন

শ্যামল সোম

দুর্ভাগ্য আমার ফেলে আসা শৈশবের
পূর্ব পাকিস্তান বাংলার শিকড়ের টান
উপড়ে ফেলে পালাতে পালাতে জান
বেঁচেছে মন পড়ে রয়েছে অধুনা স্থান
বাংলাদেশে ভালো মানুষের ভালোবাসা
টানে বা শিকড়ের সন্ধানে সেঁধিয়ে মাটির
গহ্বরে শৈশবে দিনগুলিতে ফেরা আনন্দে
বারবার ঘুরে ফিরে যাচ্ছি এই বর্ষার অরূপ
ভরা খাল বিলে লাল শালুক পদ্ম অনুরাগে
ফুঁটে থাকবে নদী উত্তাল স্রোত বয়ে যাবে !
বাংলাদেশে বারবার আসা যাওয়া ভিসা
মেয়াদ শেষ হলেই যত দ্রুত সম্ভব ফেরা,
তিথি বুড়ো বয়সে জরাজীর্ণ বৃদ্ধেকে স্থায়ী
থাকতে বলেছো ঠাট্টা করে তবু বলি মামণি
তিথি তুমিই বলো বুড়োকে কে থাকতে জননী
সবাই মিলে বলবেন " না না বিদেশীর ঠাঁই নাই !"
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছি মা মণি জননী
শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বসে পূর্ণিমা রাতে রজনী
জ্যোৎস্নায় চিকমিক জ্বলছে নদীর জলে স্নান
যে জলে জ্বলছে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ম্লান
মুখে বৃহত্তর বৃত্তে হৃদয়ের কাছাকাছি এসে সমৃদ্ধ,
হয়েছি রক্তিম সূর্যোদ্বয় প্রাক্কালে চলেছি প্রেমের
কাননের মালিনী শুভকাঙ্খী তিনি প্রিয় কবিতা।

তুই আমার আকাশ লীনা

তুই আমার আকাশ লীনা

শ্যামল সোম

অনু যদি এ বিচ্ছেদের বেড়া
কাঁটাতারের ওপারেই সংসারে
স্বামী পুত্র কন্যা ভরা পরিবারে
আমোদে আহ্লাদে রয়েছো তুমি।
তোমার আনন্দ উপভোগে হাসি
হাসি মুখে ফোনে বলি ভালোবাসি।
অকপটে স্বীকার করি কেন জ্বলে
পোড়া দগদগে ক্ষত বিক্ষত করে
তোমাকে কাছে চিরদিনের মতন,
না পাওয়া এতই নিষ্ঠুর যন্ত্রনা শত
শত এ যেন ঠিক বৃশ্চিক  দংশন।
মনে পড়ে যায় তোর ঠোঁটে চুম্বন
নব যৌবনের থরথর উত্তেজনায়,
তপ্ত দুটি দেহের ঢেউয়ের কম্পন।
হৃদয়ে অনুরোরণ, শরীরী উষ্ণতায়
সুখের সমুদ্রে ঢেউ আছড়ে ভাসায়,
ঘণ আলিঙ্গনে সুখ বৃষ্টি টপ টপ ঝরে।
ধেয়ে আসে অশনি সংকেত রাঙিয়ে
চোখ ওঠে ধ্বজা রক্তের বিনিময়ে রক্ত
চলে চুলোচুলি,বৃহত্তর স্বার্থে এ বিচ্ছেদ,
আজ পরস্পরের আছে শুধুই শরীর মন
প্রাণ খুলে ঝুলিয়ে রেখেছি মগডালে প্রেম ।

Sunday, 12 May 2019

আমার জননী

আজ বিশ্ব জননী দিবসে সকল নারীদের মর্মস্পর্শী হৃদয়ের অভিনন্দন ।

আমার জননী

শ্যামল সোম

মধুর আমার মায়ের হাসি মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে।
আমার মা মণি চোদ্দ বছর বয়সে পঁচাত্তর বছর আগে এক শীতার্ত
গভীর রাতে প্রসব বেদানায় কাতরাচ্ছেন, আমি ভূমিষ্ঠ না হওয়ার
জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি, মঙলা মাসী অভিজ্ঞ দাই ঘুরিয়ে অবশেষে
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চিৎকার করে কেঁদে উঠে পরতিবাদ জানালাম।
কিশোরী জননীর ম্লান অসহায় হাসি আলোয় পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে
ক্লান্ত শরীরে শুয়ে স্তন দান করছেন, স্বপ্নিল স্বপ্নের প্রথম  পুত্র সন্তান,
মহান স্রষ্টা প্রভুর দান, পরম যত্ন করে খাওয়া নো সনান করানো নানা
সেবায়, নিজেকে  নিয়োজিত রেখে স্বামী বড় পরিবারের সদস্যদের
সেবায় সুখী গৃহকোন সংসারে শান্তি নিকেতনে আনন্দের আমন্ত্রণে
আমার মা মণি জননী জন্য আজ ও  মায়ের জন্য কাঁদে আমার হৃদয়।,,,,,

দরিদ্র পরিবারের ভোর হতেই ঘর দোর পরিস্কার  করা, বাসন মাজা
উঠানে ঝাঁট দেওয়া, গোয়াল ঘরে গরুদুটির পরিচর্যা করা ছয় ভাই
বোনকে ডেকে তুলে পরিস্কার করা, গরুর দুধ মুড়ি আম বা কলা দেওয়া
ছোট বোনকে খাওয়ানো, বাপের জন্য চা তৈরী করা, শশুড়ের সেবা করা।
পাকশালায় কাঠের আগুনে রান্না করা একা হাতেই যাবতীয় কাজ কর্ম।
আমাদের পড়াশোনা করতে বাধ্য করা, বাপের সনান হলে হাতের কাছে
জামা কাপর রুমাল ব্যাগে টিপিন কৌট তে দুপুরের খাবার সাজিয়ে দেওয়া।
বাবাকে ভাত মাছর ঝোল ভাজা ভুজি দিয়ে  খেতে দেওয়া কারখানায় যাওয়ার
সময় কাছে থাকা।
আমাদের স্নান করার জন্য তাগাদা দেওয়া স্কুলে যাওয়ার আগে খাওয়ানো,
টিপিন কৌটতে রুটি তরকারি সাজিয়ে দেওয়া, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে  দেওয়ে।
বেলা হলে ছোট দুটি ভাই বোনকে সনান করানো খাওয়ানো, পরিচর্যা করা।
বেলা হলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নিজে সনান করা, ঘরের লক্ষী পটে 
কাছে আলপোনা আঁকা ফুল বেলপাতা  দিয়ে নিজে  রান্না ঘরে এক কোন বসে
দুমুঠো খাও। ছোট ভাই বোনকে ঘুম পাড়ানো । বিকেল থেকেই  শুরু হয় কাজ
আর কাজ, এ ভাবে জীবন যাপন প্রতি নিয়ত জীবন সংগ্রাম করে চলা।