আজ বিশ্ব জননী দিবসে সকল নারীদের মর্মস্পর্শী হৃদয়ের অভিনন্দন ।
আমার জননী
শ্যামল সোম
মধুর আমার মায়ের হাসি মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে।
আমার মা মণি চোদ্দ বছর বয়সে পঁচাত্তর বছর আগে এক শীতার্ত
গভীর রাতে প্রসব বেদানায় কাতরাচ্ছেন, আমি ভূমিষ্ঠ না হওয়ার
জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি, মঙলা মাসী অভিজ্ঞ দাই ঘুরিয়ে অবশেষে
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চিৎকার করে কেঁদে উঠে পরতিবাদ জানালাম।
কিশোরী জননীর ম্লান অসহায় হাসি আলোয় পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে
ক্লান্ত শরীরে শুয়ে স্তন দান করছেন, স্বপ্নিল স্বপ্নের প্রথম পুত্র সন্তান,
মহান স্রষ্টা প্রভুর দান, পরম যত্ন করে খাওয়া নো সনান করানো নানা
সেবায়, নিজেকে নিয়োজিত রেখে স্বামী বড় পরিবারের সদস্যদের
সেবায় সুখী গৃহকোন সংসারে শান্তি নিকেতনে আনন্দের আমন্ত্রণে
আমার মা মণি জননী জন্য আজ ও মায়ের জন্য কাঁদে আমার হৃদয়।,,,,,
দরিদ্র পরিবারের ভোর হতেই ঘর দোর পরিস্কার করা, বাসন মাজা
উঠানে ঝাঁট দেওয়া, গোয়াল ঘরে গরুদুটির পরিচর্যা করা ছয় ভাই
বোনকে ডেকে তুলে পরিস্কার করা, গরুর দুধ মুড়ি আম বা কলা দেওয়া
ছোট বোনকে খাওয়ানো, বাপের জন্য চা তৈরী করা, শশুড়ের সেবা করা।
পাকশালায় কাঠের আগুনে রান্না করা একা হাতেই যাবতীয় কাজ কর্ম।
আমাদের পড়াশোনা করতে বাধ্য করা, বাপের সনান হলে হাতের কাছে
জামা কাপর রুমাল ব্যাগে টিপিন কৌট তে দুপুরের খাবার সাজিয়ে দেওয়া।
বাবাকে ভাত মাছর ঝোল ভাজা ভুজি দিয়ে খেতে দেওয়া কারখানায় যাওয়ার
সময় কাছে থাকা।
আমাদের স্নান করার জন্য তাগাদা দেওয়া স্কুলে যাওয়ার আগে খাওয়ানো,
টিপিন কৌটতে রুটি তরকারি সাজিয়ে দেওয়া, স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়ে।
বেলা হলে ছোট দুটি ভাই বোনকে সনান করানো খাওয়ানো, পরিচর্যা করা।
বেলা হলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নিজে সনান করা, ঘরের লক্ষী পটে
কাছে আলপোনা আঁকা ফুল বেলপাতা দিয়ে নিজে রান্না ঘরে এক কোন বসে
দুমুঠো খাও। ছোট ভাই বোনকে ঘুম পাড়ানো । বিকেল থেকেই শুরু হয় কাজ
আর কাজ, এ ভাবে জীবন যাপন প্রতি নিয়ত জীবন সংগ্রাম করে চলা।
No comments:
Post a Comment