বাংলাদেশে একটু ঠাঁই চাই
শ্যামল সোম
সেই সব শৈশবের স্মৃতিময় দুঃস্বেপ্নর
রাত জ্বলেছে ঘর আগুন আগুন জ্বলে
আগুন গ্রামের ঘরে ঘরে পিদীম নিভে
গেছে, শোনা গেছে মিছিলে লড়কে লেঙ্গে
পাকিস্তান জাগো ইনসান ইনসাফ চাই শান্তি
চাই, চাই রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি বলো নাড়ায়
নাড়ায়ে তকদির ------ অকবর নড়ে উঠলো
পায়ে তলার মাটি বিধ্বস্ত চোখে সর্ষে ফুল,
প্রাণের ভয়ে কচু বনে লুকিয়ে হরিনাম জপ
দেখত পেলেই কাফেরকে দাও এক কোপ।
সাতশো বছরের শিয়া শূণ্যি বিরোধ চললেও
থাকলেও নিজস্ব পবিত্র স্থান দেশ চাই চাই।
চলো, দখল করো জমি জরু গরু পানি ঘাস
দুধ দেয় কুরবানী করা যায় প্রকাশ্যে মাঠে
ঈদগাড়ের মাঠে শত লোক দেখতে জমে যায়।
ফতোয়া জারি করলেন তিনিই মহান সেই নেতা
উনশো ছেচল্লিশ সালেষ কর Direc Action
দেশে ভাগের আগেই ক্ষমতা মসনদে লড়াই
ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আলোচনা গোপনে চলে,
দাঙ্গা শুরু হয়ে গেলো কোলকাতায় হাওড়ায়।
কিন্তু আশ্চর্য পাঞ্জাব বাংলা ছাড়া অন্যান্য
কোন প্রদেশে এই দাঙ্গার আগুন জ্বলে নাই।
আমাদের পরিবার গভীর রাতের অন্ধকারে
ঐ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে গ্রামে ভালো পড়শি
বড় নৌকা পাল তুলে হাল ধরে বৈঠা বেয়ে
হরি হরি নাম স্মরণ করে যাত্রা শুরু হলো,
সূর্যোদ্বয় প্রাক্কালে রাঙা হয়ে উঠছে আকাশ।
কালের ইতিহাসের পাতায় জ্বলন্ত প্রমাণ আছে
গঙ্গা পদ্মা নদীতে বহু জল বহে গেছে ভাষা
বাংলা ভাষা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় শুরু থেকেই
মনোমালিন্য শুরু হয়ে ছিলো, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
শিল্প নেই, শাসন শোষন, প্রতিবাদ প্রতিরোধে গড়ে
তোলেন তিনি আজ বাংলাদেশের জাতীয় পিতা।
সংগ্রাম একনদী রক্ত রঞ্জিত হয়েছে বুড়ি গঙ্গায়,
তিরিশ লক্ষ শহীদ হয়েছিলেন তিন লক্ষ মা ,
বোন কন্যা ধর্ষণ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন
সেই শিয়া সম্প্রদায়ের শাসন কি পৈশাচিক প্রভু
সুলভ তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে
আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়ে জেলে আটক
ধরে কয়েদ চরম দুর্ভোগে মধ্যে সাহসী মুক্তি যোদ্ধা
নৌকো চড়ে যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন স্বার্বভৌম
বাংলাদেশে দেশ গঠনে বিশ্ব স্বাস্থ্য শিল্প উন্নয়ন পথে,
নাগরিকের দেশ ভক্তি দেশপ্রেম এই মনোবৃত্তি
বাংলাদেশে পৃথিবীর মানচিত্রে আজ শীর্ষে রয়েছে।
এ আমার একান্ত এক মাত্র প্রার্থনা ঠাঁই দাও ঠাঁই চাই।
No comments:
Post a Comment