Friday, 30 November 2018

ছুটতে ছুটতে আমি ক্লান্ত

ছুটতে ছুটতে  আমি ক্লান্ত প্রাণ এক

শ্যামল সোম

অতি বড় গুছুনি সে না পায় ঘর
অতি বড় সুন্দরী যে না পায় বর।
ঘর দোর সাজিয়ে গুছিয় রাখা,
বাপের সংসারে মা মাসি এত শাখা
প্রশাখা হাত বাড়িয়ে টেনে আদর
আদরে অস্থির চঞ্চল হরিণী ভাদর
কুকুর গুলো  ঐ অল্প বয়েসে চাদর
চাপা দিয়ে দম বন্ধ হয়ে কেঁদে উঠি।
সেই যে শৈশবেই কান্না হলো শুরু,
স্কুলে পার্কে মেলার ভীড়ে দুরু দুরু
বুকে হাহাকার হাহুহুতাশ খাঁ খাঁ শুষ্ক
কৈশোরে লাঞ্ছনা নির্যাতন পশুমনস্ক
মুখে আই লভ ইউ বলে সব লুটেরা।
কলেজে পড়ার সময় ভালো লাগল
তাকে বয়সে বড় সুপুরুষ সুমিষ্ট স্বর
চোখের পাতায় চুমু খেতে খেতে বলে
" তোমার মায়াবী চোখে সমুদ্রের ঝড়
সেদিন গোধূলি লগ্নে প্রথম তোমাকে
দেখেই পড়ে গেছি এএক নদী গভীরে
প্রেমে উদভ্রান্ত বন্য উদ্দাম নৃত্য আনন্দে
সেই ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে ছুটে
ছুটতে ছুটতে এসে  ট্রেনে উঠলাম চলেছি
অজানা অচেনা কত শত মানুষের চলেছি
শহর থেকে শহরে এ বন্দরে বিপন্ন জীবন।

বিনিদ্র রাত জাগে তারাদের সাথে নারীর মননে কথন

বিনিদ্র রাত তারাদের সাথে  নারী মনের কথন

শ্যামল সোম

আমার এ চোখের পানিতে দিয়ছি বাঁধ,
যৌবনের আগেই ঘুচেছে সখ আহ্লাদ।
কাক ডাকা ভোরে ঘুম চোখেই নিয়ে ঝাঁটা
খক খক কেসে শাশুড়ির গালি দেন কাঁটা-
হয়ে থাকি ভয়  ভয়ে স্বামী ঘুম থেকে উঠে,
এসে চুলের মুঠি ধরেন যখন গলার টুটি
টিপে ধরলে চোখে দেখি সরেস হলুদ ফুল,
বাপ কৈশোরে আপদ বিদায়ী এ বিয়ের ভুল।
পনের বছরে বিয়ে পর থেকেই গাভিন হলাম
পাঁচ বাচ্চা দুটো গেল মরে,খাটুনিতে বেসামাল।
পান থেকে চুন ঘসলে বিছানায় শুয়ে ঘুমলে
ডান্ডা উঁচিয় তেড়ে এলো দাঁতাল শুয়োরের হুল,
চাঁদের আলোয় চিত করে ফেলে উৎখাত মূল।
বেদনায় ডাক ছেড়ে কাঁদবো তার ও উপায় নেই
কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ভয়ে সেই,
থেকেই লেখালেখি শুরু তাও সে ছদ্ম নাম আশা,
উঠোনে এসেই দেখি আমার এক টুকরো আকাশ,
জ্যোৎস্নায় আলোয় থৈ থৈ উঠোনে সনসন বাতাস,
নিভৃতে গোপনে লিখি আমার মনের কথন প্রকাশ,
আমার বুকের মাঝে ব্যথা বেদনা তবু ভালোবাসা।

স্বপ্নময় সূর্যোদ্বোয়ের ভোরে

স্বপ্নময়  সূর্যোদ্বয়ের ভোরে

শ্যামল সোম

অলকানন্দা মন্দাকিনীর
সঙ্গম স্থলে কর্ণপ্রয়াগে,
প্রাতে তোমাকে মানস নেত্রে
স্বপ্নে স্বর্ণ স্তনে শব্দের
চুম্বনে চুম্বনে রক্তাক্ত ঠোঁট,
রক্ত ঝরছে কাব্য পাঠে
শিশির ভেজা উষ্ণ শয্যায়।
কবিতার সাথে আশৈশব প্রেম,
" জল পড়ে, পাতা নড়ে " !
ছন্দে অছন্দের বাহুল্য হীন।
আমি বেকুবের মতন কবিতা
তোমাকে গভীর আলিঙ্গনে
জড়িয়ে ধরে আদরে
আদরে, কাব্যিক এ মন
তোলে তুফান কবিতার
উত্তপ্ত দেহে করে লেহণ।
পৌরুষ  উড্ডীন অহংকারে
প্রোথিত বৃক্ষের চারা শুকায়।
অতৃপ্ত কবিতার চাপা কান্না
প্রতিধ্বনি শুনি নপুংসক হৃদয়ে।
শব্দের লহরী স্রোতে বহমান
যৌনবতীদের আমন্ত্রণে বিনম্র
প্রত্যাখান এ ক্রুদ্ধ নারীদের
উন্মুক্ত বসনে নগ্ন যৌন
আক্রমনে সমবেত প্রয়োগে
কবিতার ধর্ষনে বিহ্বল 
নিষ্ফল লিখন প্রয়াস।
অরণ্যে  পদ্ম যোনিতে
বিশৃঙ্খল বাক্যের
বিন্যাসে অক্ষরের বীর্য
পাতে অলকানন্দা স্রোতে  
ভাসে স্ফূর্তির অস্ফুট কাব্যের ভ্রূণ।

আজ চলেছে সতীদাহ

আজ চলেছে সতীদাহ

শ্যামল সোম

বিবাহের আগে পরে দাও দাও যৌতুক পণ,
দেখে শুনে হলে আগে প্রেমের প্রলয় প্লাবন,
প্রেমের সুবাস ঠিক রজনীগন্ধা ফুলের মতন।
বাসি ফুল কে রাখতে চায় রঙিন সখের ঘরে
সাজানো সংসারে নিত্য নতুন বউ, এ যদি মরে।
চালাও প্রহার নির্যাতন লাঞ্ছনা প্রবঞ্চনা প্রতারণা
যতদিন না করে সোনামণি ফুলবানু না আত্মহনন।
শিক্ষিত অশিক্ষিত গ্রাম্য নারী শহরে বিদূষী প্রেয়াসী
সদা জাগ্রত নারী কল্যাণ স্বাধিকার আদায়ে সাহসী
সাহসিকতা নারীর নজির নেই, বঁধু হত্যা নারী প্রলয়,
ঝড়ের কবলে ভালোবাসার ভুলের মাসুল দেয়  নির্দয়।
মর্ম স্পর্শকাতর মন মানসিক ভাবে মৃত্ সে এ  জীবনে
নারীর জীবন যন্ত্রনা  স্বপ্ন প্রেমে হারিয়ে মৃত্যুর আলিঙ্গনে
অপমানে অবহেলায় অপেক্ষায় রয়েছে কাব্য এই প্রাঙ্গণে।
দেশে দেশে  কত শত আইন সাংবিধানিক অধিকার নারী
কত কমিটি  সুরক্ষা কন্যা  সন্তান  আগামী কালের স্নেহময়ী
একবিংশে  জননী সেই জননী, বঁধু হত্যা কি সতীদাহ মৃন্ময়ী ,
মন্দিরে চিন্ময়ী  সতী মাতা পূজিতা আজ নারী শিশু ধর্ষিতা ,
আগুনে পুড়িয়ে মারার নানা কৌশলে কত সব পারদর্শিতা।
সাম্প্রতিক সামাজিক অবক্ষয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ
গড়ে তুলতে হবে, এ আমাদের সামাজিক দায় দায়িত্ব বোধ।

Friday, 23 November 2018

ভালোবাসার চেনা অচেনা মানুষ

ভালোবাসার চেনা অচেনা মানুষ

শ্যামল সোম

দাদুর আশীর্বাদে রুপোর থালা বাটিতে মানিক ভট্টাচার্য মুখে ভাত হয়েছিল, নিষ্ঠাবান পরম বৈষ্ণব গুরু বংশে জন্ম ।

হুগলি আরাম বাগে বিশাল জমিদারি তিন মোহলা বিশাল বাড়ি এই বাড়ির সংলগ্ন একটি পুকুর বাগান এক ধার বাগানের ভেতরে

রাধা মানবের মন্দির । হাজারো মানুষের ভীড় লেগে যায় শ্রী কৃষ্ণ এর জন্ম অষ্টমী  বিশাল অনুষ্ঠানে বহু শিষ্য  শিষ্যা

সমাগম হয়। রাতে পালা গান নৌকা বিলাস, শ্রী রাধীকার মানভঞ্জন, গালা গাইতে এসেছেন নবদ্বীপ এর বিখ্যাত

স্নামধন্যা বৈষ্ণবী বিষ্ণুপ্রিয়া লাবণ্যময়ী যুবতী অসাধারণ সুমিষ্ট গলায় ফুলের গয়নায় স্বয়ং রাধারানি সেজে

পদাবলী কীতৃন পালা গান শ্রীমতীর মানভঞ্জন গান গাওয়া চলছে।

কিন্তু প্রেম ভালোবাসায় ভরিয়ে প্রাণ মন কেঁড়ে নিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ রাধারানি অথচ একমাত্র এ বংশের শেষ একমাত্র

পুত্র সন্তান অসম্ভব ভালো পড়া শোনায়  কোলককতার মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি এস ও নিউরো সার্জারি

এম এস পাশ করেই  আর  জি কর হাসপাতালে কাজ করছে।

ফতেমা সঙ্গেই আলাপ হওয়ার পর থেকেই ফতেমা সহমর্মিতা সহানুভূতি শীলা অসাধারণ ভালোবাসায়--

দুজনে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ার সময় ফাতেমা হক মিতালির   প্রেমে পড়ে যায়।

মানিক ভট্টাচার্য খবর পেয়েছেন মহান প্রভু শ্রীকৃষ্ণ এই জন্মদিনে জন্ম অষ্টমী দিনেই  পার্ক সার্কাস

এক বিশাল বাড়িতে ফতেমা অরফে মিতালি বিয়ে করতে আসছেন মানিক ভট্টাচার্য একমাত্র পুত্র দিলীপ ভট্টাচার্য,

নিষ্ঠাবান বৈষ্ণব পরিবারের একজন বংশের  নাতি স্বর্গে বাতি দেবেন কিন্তু নূতন পরিচয় নিষ্ঠাবান বৈষ্ণব পরিবার

থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এখন লতিফ সিদ্দিকী দুলাহ বর  সেজে এসেছে ইমাম সাহেব  বিবাহ কবুল দিয়ে বিবাহ হলো খাতায় কবুলনামা লেখা হলো।

লতিফ এবার ফতেমাকে নিয়ে চলে যাবে তার দুই হাজার স্কোয়ার ফিটের Intiar Desingner দিয়ে সুনদর  সাজানো Flat এ Slat Lake এ।

বছর কড়ি পড়ে মানিক ভট্টাচার্য  যখন জীবনের শেষ অধ্যায় এসে বিধ্বস্ত লিভার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত মরণ শিয়রে দাঁড়িয়েছে।
হঠাৎ বৃন্দাবন থেকে এসেছেন নিজের একমাত্র পুত্র দিলীপ ভট্টাচার্য ধর্মান্তরিত হয়ে এখন লতিফ সিদ্দিকী ও

বৌমা ফতেমা ও এষা সিদ্দিকী শেষবারের মতন দেখতে মরণকালে মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে রক্তের অমোক টানে এসেছেন বৃন্দাবন থেকে ।

জাতের উদ্ধৃত  উর্ধে কি আত্মজ সন্তান ?

( দিলীপ ভট্টাচার্য থেকে ধর্মান্তরিত হওয়ার নাম ছিলো লতিফ সিদ্দিকী  --- --

বৌমা ফতেমা  নামাযপাটি  বিছিয়ে সন্ধ্যা কালিনন নামায পাঠ করছিলেন । নামায পাঠ শেষ করে, হঠাৎ
মানিক ভট্টাচার্য  ফতেমা তার শ্বশুর মশাইয়ের কাজে মহিলার সাথে কথা বলার আওয়াজ পেয়ে বাহিরের ঘরে এসে এত বছর পর
শ্বশুর  মশাই সামনে দেখে বিহ্বল হয়ে যায়।

কে কে যাই ! ( আজ বিশ বছর পরে হঠাৎ শ্বশুর মশাই দেখে হতবাক ) আববু জান বাবা বাবা বাবা ( কাঁদতে কাঁদতে  চোখের জল ফেলে। )

বার বার দেখা করে ক্ষমা চাইতে যাওয়া সেই বিরল মূহুর্তে কথা মনে পড়ে যায়, উনি ফিরেয়ে দিয়ে ছিলেন ওঁনার পায়ের তলায় লুটিয়ে পড়েও )

মানিক ভট্টাচার্য  ( ধর্ম নিষ্ঠ বিলক্ষণ বৈষ্ণব  ব্রজ ধাম বৃন্দাবন  থেকে বিশ বছর পর আজ দেখা করতে এসেছেন।

বহু বছর আগে  একমাত্র মাতৃহারা পুত্র  সন্তান দিলীপ ভট্টাচার্য যাকে খুব যত্ন করে

অল্প বয়সে বিপত্নীক হওয়ার পরও বিবাহ করেন নাই, মাতৃ স্নেহে  মানুষ করেছেন মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি

পড়িছেন, পরে ঐ কলেজে ছাত্রী মুসলিম কন্যাকে বিয়ে করে দিলীপ ভট্টাচার্য থেকে  লতিফ সিদ্দিকী

এর প্রেমে পড়ে বাবার অমতে বিয়ে দিলীপ ভট্টাচার্য সিনিয়র  নিউরো সার্জন ভীষন ভালো ছাত্র এখন  এই লতিফ সিদ্দিকী হয়ে ফতেমাকে, বিবাহ করার জন্য ছেলের  সাথে সম্পর্ক রাখেন নি )

ফতেমা মিতালি নিয়ে দিলীপ বহুবার গিয়েছিল, তিনি সব সময়ই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

" বাবা বাবা এত দিন পরে এলে, কতবার গেছি আপনার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো দেখা করো নি,
আমি মুসলিম ধর্মান্তরিত হয়ে আপনার ছেলে আমাকে বিয়ে করার জন্য আপনি ভীষণ রেগে গেছিলেন !

মানিক ভট্টাচার্য -- " আমার এখন আর সময় নেই মা মাগো আমাকে ক্ষমা কর ! ধর্ম নিয়েই আজ আছি পরম বৈষ্ণব আমি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু স্বপ্নে  দেখা দিয়ে বলছেন সকল ধর্ম সমান, যত মত তত পথ।
গীতার কথা সকল ধর্ম এর ইস্ট পূজিত হই আমি মহান স্রষ্টা প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি কল্যাণ  হোক তোদের।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান মহাপ্রভু বিধর্মী হরিদাস পরম ভক্ত ছিলেন।

আজ আমি লিভার ক্যান্সার  রোগে আক্রান্ত হয়ে আছি মুম্বাই টাটা  মেমোরিয়াল এর ডাঃ এস এম নাজমুল

হক বলে দিয়েছেন আর একমাস আয়ু, মা লিভার ক্যান্সার মারা যাবো। জীবনে চা মদ সিকরেট খেলাম না।

অথচ আমি লিভার ক্যান্সার মারা যাবো।

মিতালি --- না না এভাবে বলো না আমি আপনার জনয দোয়া করবো, আলাদা করে নামায পড়বে খোদা মেহেবান সব ঠিক হয়ে যাবে, বাবা ।

মানিক ভট্টাচার্য--- মিতালি ও এখন তুই তো ফতেমা ! আমি চলে যাবো বাহিরে বিকাশ গাড়িতে অপেক্ষা করছে আমাকে বৃন্দাবনে রাতের ট্রেনে নিয়ে যাবে !

ফতেমা মিতালি ---  ওহ্ বিকাশ বুঝি দেখা করবে না, বিকাশ আমাদের দুজনের প্রিয় বন্ধু ছিলো, কিন্তু আমার
আর আপনার ছেলের বিবাহ মেনে নিতে পারে না।

মানিক ভট্টাচার্য--- না না তা কেন যা না তুই গিয়ে ডেকে নিয়ে আয় বিকাশ নিশ্চয়ই আসবে।

বিকাশ  অত বড় বিশাল কোম্পানি I.B.M.চাকরি করতো, যাদবপুরের  PASS OUT তার পর STATES

MASACHUST  UNIVERSITY PROFESSOR সব ছেড়ে চলে এলো আমাদের

বৃন্দাবনে আশ্রমে  মঠে জয়েন করলো  বিকাশ জোর করে আমার মরা

আগে তোদের সাথে দেখা করাতে নিয়ে এলো।

তা হাঁরে আমার নাতনি  ইশা সিদ্দিকি  নাতনি কোথায় সে মা ?

বাবা আমি যাই বিকাশকে ডেকে আনি নাতনিকে পাঠিয়ে দিচ্ছি গান শোনেন ! মিতালি চলে যায়  বাহিরে।

Back ground গান মহিলা কন্ঠে কৃষ্ণ ভজনের সাথে তালে তালে মানিক ভট্টাচার্য এর নাতনি অপরূপ সাজে

ইশা রাধা সেজে ঘাগড়া পড়ে গানে তালে তালে নাচছে।

নেপথ্যে পারভিন সুলতানা গলায় মীরার ভজন " অব গুনচিত ন  ধরো চায়ে তো পার করো ! "

মানিক ভট্টাচার্য  আপন হৃঢ় চেতন চৈতনবোধে ভালোবাসায়  দু চোখ বহে যায় অশ্রু নদী

Wednesday, 21 November 2018

আকাশ পথে দেখা

আকাশ পথে দেখা

শ্যামল সোম

লন্ডন হিথরো  বিমানবন্দর মিলিকে দেখেছিলাম  বছর দশেক পরে আশ্চর্য , মেদ বিহীন
স্বাস্থ্য কোমর পেট ছিপছিপে,এখন যৌবন সর্বাঙ্গে তন্বী তরুণী উচ্ছল প্লেন ঢুকে Excicutip
Class কাছে এগিয়ে এসে জড়িয়ে  ধরলো মিলি  তন্বী তরুণী উচ্ছাসে ভেসে গেলো,
" সোম তুই বুড়ো হয়ে গেলি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সেই, আমি  কেমন আছি দেখ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
দশ বছর আগে আমাকে দেখেছিলি "

" মিলি তুই চির যৌবনা উর্বশী রূপসী যখন দেখি প্রেমে পড়ে যাই। "

ইউ  Hipocrate Layer সোম আজও মনে আছে Marriage  Registere  অফিসে যাদবপুরের বন্ধু বান্ধবীদের
পাঁচ ঘন্টা তোর জন্য মালা নিয়ে প্রথম বেনারসি শাড়ি পড়ে অপেক্ষায় রয়েছি সবাই কত জমা করছে, শেষে
মজা দুচোখে নদী বহে যাবে ভাবতে পারিনিরে আজও জানি না কি হয়েছিল সোম ?

নারীদের স্বপ্নাকাশে হারিয়ে যাই আমি

নারীদের স্বপ্নাকাশে হারিয়ে যাই  আমি

শ্যামল সোম

শব্দ নূপুর পরা পায়ে পায়ে তালে
পুষ্প  চয়নে নয়নে অভিলাষ জ্বলে,
হৃদয়ের স্পন্দনে সুখের হয় স্বপন
নানা রঙের রঙিন এ ফুলের মতন।
স্নিগ্ধ মননে কাব্য মাধুর্যের  অম্লান
প্রেম সৌরভে আকুলতা নীলাকাশ,
শতসহস্র নক্ষত্রের  তারাদের সাথে
ব্যথা বেদনা নৈরাশ্য বিপন্ন সংঘাতে
স্বপ্ন  নিহত হয়, নদী মরে প্রতিনিয়ত।
কৈশোর উত্তীর্ণ যৌবনে লাবণ্যময়ী
নারীদের অবুঝ মনের ছোঁয়ায় সই,
প্রণয় প্রেম নিত্য নতুন ছন্দে কাব্য,
স্বপ্নাকাশে নীল দিগন্তের  নীলিমায়
নীল আকাশে তুমি অরুন্ধতী বর্ণময়।
তোমার স্বপ্নিল কাব্য স্রোতে  হারিয়ে
যাই, কাব্যিক বিন্যাসে ছন্দময়তায়
শত কবির কাব্য মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে যাই,
বন্ধু এই স্বপ্নাকাশে ডানা মেলে উড়ল
দিয়েছি প্রাণের মানুষদের পেয়েছি লিখনে।

নারীর ভালোবাসার কাঙাল আমি

নারীর ভালোবাসার কাঙাল আমি

শ্যামল সোম

একমুঠো ভালবাসা তুমি দাও !
সাগরে অতলে ডুব দিয়ে চাও
যদি পারিজাত ফুল দেবো এনে,
স্বর্গের উদ্যানে এখানে ওখানে 
ঠিক খুঁজে পেয়ে সাজাবো রতনে।
এক আঁচল ভালবাসা ঢেলো যতনে
সেই ভালোবাসার নদীতে অবগাহনে,
স্নান সেরে উঠে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে,
দেখি কাজলের আঁকা আঁখি জড়িয়ে,
রয়েছে হৃদয়ের স্পন্দনে গুঞ্জরিত সুর
হে নারী চরণে বাজে প্রতিধ্বনিত নূপুর।
এক আঁচলা ভালবাসা যদি কখন পাই
জন্ম জন্মান্তর প্রেমে পড়ে খোলা চুল তাই
মুখ ডুবিয়ে ঘ্রাণে প্রেমের স্পর্শে ভুলে যাই,
রাজ পাঠ সিংহাসন থেকে উঠে দেখি নয়ন
সংসারের হাল ছেড়ে অরণ্য পুষ্পের কানন।
হেমন্তর সাথে হৈমন্তী শুক্লাদ্বাদশী রাত্রি যাপন
এ এক আশ্চর্য রূপকথার কাব্য পদ্ম স্বপন।
তুমি প্রেমময়ী ঝর্ণা ঝরে পড়ছো ভালবাসায়
তোমার ভালোবাসার বৃষ্টি স্নাত হয়ে মগ্নতায়।
এ কাঙালকে ভালোবেসে করেছো গো ধন্য
তোমার প্রতীক্ষায় যুগ যুগ ধরে রয়েছি অনন্য।

Thursday, 15 November 2018

তোমার চলে যাওয়া

তোমার চলে যাওয়া

শ্যামল সোম

তিন মাস হয়ে গেলো তোমার চলে যাওয়া
তবু আজও গত বিগত বিবাহিত জীবনের
কত কথাই মনে যায়, আমাকে প্রতিদিন  তুমি
নিজের হাতে  চা তৈরি, কাজের রান্না করা
খাবার টেবিলে এনে রাখতে নিজের হাতে খেতে
দিতে এগিয়ে আসতে  এক হাতে লাঠি থালা অন্য
হাতে নিয়ে সকালে দুপুরে বিকেলে রাতে অসুস্থ
শরীরেও তোমার বিবাহিত জীবনে এত যত্ন করে
কেন বাঁচিয়ে রাখলে, আমি অসুস্থ অবস্থায় একাই
হাসপাতালে ভর্তি , তুমি  না খাওয়া দাওয়া ঘুম নেই।
তোমার চলে যাওয়া মেনে পারছি না, স্মৃতি রোমন্থন,
প্রাত্যহিক প্রাত ভ্রমণ করে ফিরে এসে  দুজনে একসাথে
বারান্দায় বসে এক সঙ্গে চা পান, শরীরের যত্ন নেবে কত
বলতে, যত্ন  নেওয়ার জন্য তোমার কাছে কত কথাই বলে
যেতে, অথচ তুমি নিয়মিত ওষুধ খেতে না হয়তো
সবাই প্রতি অভিমান, লেখা লিখি ছাই প্যাশ কত
কাগজ নষ্ট হয়েছে, সকালে জল খাবার খেতে
তোমার ডাকাডাকি দুপুরে রাতেও খাওয়ানোর জন্য
কত সধাসাধি কত স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে সেদিনের ছবি।
জানো গো হঠাৎ সাতের দিন দুজনেই অসুস্থ অবস্থায়
হাসপাতালে বড় কেবিনে দুটো বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছো
চোখের সামনে হাই সুগারে চিকিৎসার বাহিরে চলে গেলে।
তাসের ঘরের মতো আছড়ে পড়ে ভেঙে গেলো সংসার,
ফার্নিচার কিছু দুই ছেলের বাড়িতে এলো তোমার বিয়েতে
তোমার বড় ঘাটে  একা বড় ছেলের কাছে আছি এখন।
বাদবাকি ফার্নিচার সমেত ঐ Flat ভাড়া দিয়েছে  তোমার
শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে, গয়না ভাগ হয়ে গেছে বেলা শেষে
সমস্ত আমার পাণ্ডুলিপি, আর এত বছরের কেনা পাওয়া
হাজার খানেক বই পুরোনো কাগজ দরে বিক্রি করে দিয়েছে।
মুক্তি তুমি তো বলতে কোন কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যাবে না
আমাকে দোষারোপ করে বলতে," জিনিষপত্র উপরে এত মায়া--
ভালো না, ছেলেরা জানে যে বাপ মা চিরদিনের নয়, মায়া ত্যাগ
করতে, যাওয়া আসা দেখা সাক্ষাত খোঁজ খবর নেওয়া ওদের
সক্ষম হয় না, বিশাল দায়িত্ব নিয়ে Corporates  Sector hardship.
এদিকে আমি  যেন আমার ভীষণ প্রিয় সন্তান বড় ছেলে তবু কেন মনে হয়
আরো কতদিন পরবাসে থাকবো একা একা রয়েছি মৃত্যুর প্রতীক্ষায়  গো।

Tuesday, 13 November 2018

ওগো মেয়ে তোমার বাড়ি কোথায়?

ওগো মেয়ে তোমার বাড়ি কোথায় ?

শ্যামল সোম

নারীর যদি কখন স্বামী মারা যায়, বা
তাড়িয়ে দেয়, চল আইন আদালতে
মামলা মোকদ্দমা চরৈ বতে বিতর্ক,
কোর্ট কাছারির বছর ঘুরতে থাকো।
বর যদি ছেড়ে চলে যায়, পরকীয়ায়
বা তালাক দেয় বাচ্ছাদের নিয়ে জননী
কোথায় ফিরবে সে শেষ কে জানে?
এ যে ভাবনা সভাবত আসে কেন তা
বলতে পারবো না, আমি করি অন্যায়,
এই পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের উপেক্ষিত।
অনেকেই করে উপহাস,এ যেন পাগল
বেফাঁস কথা বলেছি পাগলামি বলে,
অহংকারি নারীর আবার নিজের বাড়ি ?
চারটি সন্তান সংসার গয়না পেয়ে শাড়ি,
দু বেলা খাওয়া দাওয়া কাজ সেরে রাতে
স্বামীর সোহাগে আদরে গলে গলে সুখ।
অসুখ করলে দাওয়াই হাসপাতাল মরলে
চল্লিশ দিন শোক পালন শ্রাদ্ধশান্তি খরচ।
এতেও সন্তুষ্ট না হলেই  কিছু করার নেই,
মেয়ে মানুষের জীবন দহন বা আত্মহনন।
অথবা সাহস করে কলম সৈনিক হওয়ার
প্রবণতা লক্ষ্য করে কলম হাতিয়ার লেখেন
নারী আপন মনের ব্যথা বেদনা নৈরাশ্যের
অন্ধকারে থেকে কাব্য লিখনে স্বপ্ন  আলোয়
আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে নারীর মন প্রাণ।

কণকাঞ্জলি কন্যা দান

কণকাঞ্জলি কন্যা দান

শ্যামল সোম

বাইশে শ্রাবণ মেঘের ঘনঘটা অজানা অশনি সংকেত । কালো মেঘে ছেয়ে গেলো দুপুরের আকাশ, বিকেলে
ঘণ কালো মেঘ চলে গিয়ে, ঝল মল নানা রঙের রঙিন হয়ে উঠলো গোধুলির আকাশ।
রমেন বাবুর একটি মাত্র কন্যা সন্তান নীলা নীলাঞ্জনা সুন্দরী স্মার্ট,উচ্চ শিক্ষিতা সুন্দরী যুবতী তন্বী তরুণী উচ্ছল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশুকে আলাপ পরিচয়ে তার নিজস্ব বুটিক নাম দিয়েছে **  কাদম্বরী *** দুর্দান্ত আধুনিকতা
মোড়কে পুরনোকে নতুন ছন্দে ফিরিয়েছেন দোকানে শোভা পাচ্ছে তার নিজস্ব স্বকীয় বৈশিষ্ট্য  old and Modern
blending. নীলা এই বুটিকে সব কিছুই তার নিজস্ব শৈল্পিক নান্দনিক বিন্যাসে গড়ে তুলেছে, এই শোরুম তার সন্তান
মতন প্রিয়।
নীলা নিজে ডিজাইন করে, পোষাকের নারী পুরুষদের।

চার বছর FASION DESGINE COURSES COMPLETE করেছে। এটা তার প্যাশন ও প্রফেশনাল মনোবৃত্তি।
সহজে অনেকেই ভুল করে কাছে আসতে চায়, ভালোবাসা ছাড়া জীবনে অনেক কিছু করার আছে তাই সুন্দর ভাবে এড়িয়ে যায়।

ফেশান ডিজাইনার হিসেবে নাকডাক হচ্ছে, দুম করে বিয়ে করে কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে না, বাড়ির একমাত্র
কন্যা সন্তান ডাক্তার বাবা চান ডাক্তার জামাই, মা কলেজে পড়ান তিনি পছন্দ করেন প্রফেসর জানাই।

অবশেষে বিয়ে করলো চার বছর  কোর্টশিপ পরে ঐ সৌভিক বাসু সফ্টওয়ার কোম্পানির সি ই ও গাড়ি পশ এলাকায় FLAT একাই থাকে আমোদে আহ্লাদে দুর্দান্ত জিম জয়েন করছে বহুদিন অসম্ভব সুন্দর চেহারা,
বিবাহ আসরে দুজনকে নম দম্পত্তি একসঙ্গে দেখে অনেকেই বললো, THEY ARE MADE FOR EACH OTHER.
আগুন সাক্ষী রেখে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ সাত পাক ঘোরা, কুসুম ডিংঙে, কুনকে দিয়ে  একটা
বেনারসি শাড়ি মাথা ঢেকে বেতের নয় রূপোর কুনকে দিয়ে সিঁদুর পড়ানো, কুলো সাজিয়ে বরণ।
খই পোড়ানো ঐ যজ্ঞ আগুনে নব দম্পত্তি একসঙ্গে জোড়া এবং কনের পরনের বেনারসি আঁচলের
সাথে গাঁটছড়া, বাসরে হৈ হুললর গান মজা হরেক রকম হলো।
পরদিন আশীর্বাদে পর্ব শেষ হলে নীলার মা রিনি আঁচল পেতে দাঁড়ালেন নীলা সুরভিকে সাথে চিরদিনের মতন মায়া স্নেহে বন্ধন ছিন্ন করে এক কুনকে চাল পেছনে মায়ের আঁচলে ফেলে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে স্টিকের সাথে চলে গেলো।

কি এমন ঘটল বছর না ঘুরতেই  সাজহীন বিষন্ন বিষাদে আচ্ছন্ন মন খারাপ নিয়ে হঠাৎ বাবা ডাক্তার রমেন মামণি রিনির কাছে ফিরে এলো কেন কি ব্যাপার হলো হঠাৎ অতর্কিতে গল্পটি  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন সিনেমা হলে।

Monday, 12 November 2018

তাঁকে যে নামে ডাকো, একমাত্র স্রষ্টা প্রভু তিনিই

তাঁকে যে নামেই ডোকো, একমাত্র স্রষ্টা প্রভু তিনিই

শ্যামল সোম

কেউ কারো নয় কেউ কারো নয় কেউ কারো নয় ---
যে যার সে তার নিজের আপন সে নিজের যে হয়।
এ দুনিয়ায় কে কার তুমি আমার না আমি তোমার ?
ফানুস হাউইবাজি আতসবাজি রংমশাল জ্বলে উঠলো
আলোয় আলোয়, আলোময় ঐ আলোকিত স্বপ্নলোক,
প্রেম নিত্য নতুন ছন্দে ফেরে ভালোবাসা ঢঙে রঙে শোক
মান অভিমান বেল জূঁই ফুলের মতন তুমিই আনন্দলোক।
বেলা শেষে, ঝরা ফুল এ দৈনন্দিন জীবনের পথে সম্মুখীন,
বয়েসে ভারে দারিদ্র্যতা আর্থিক মানসিক, স্বাস্থ্য সুস্থ কঠিন,
বিপর্যয় বিধ্বস্ত হয়ে বিবর্তনে হারিয়ে যায় হৃদয়ে এক ঝড়ে,
কি প্রেম ভালোবাসা প্রিয়া, ঈশ্বর জ্ঞানে তাঁকেই  প্রণাম করে,
মহাণ স্রষ্টা প্রভুর কাছে এ প্রার্থনা করি চরণে আশ্রয় যেন পাই
নিতে চাই জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমার একান্ত আশা তাই।

নারীর অভিশপ্ত জীবন দহন

নারীর অভিশপ্ত জীবন দহন

শ্যামল সোম

নারীদের একা একা সন্তান প্রতিপালন সেবা যত্ন
ও স্বজন সংসার নানা কাজে কর্মে সন্তুষ্ট করতে,
দিনরাত চলে পরিশ্রম, মনের দোসর নেই সমব্যথী
কেউ নেই, বুকের মধ্যে যত চেপে রাখা শত গোপন,
কথা শত দূঃখ যন্ত্রনা মন ভোলাবার  সান্তনা দেবার
কেউ নেই,সবাই হাস্যাস্পদ ঠাট্টা করে বন্ধু নয় এরা,
" কেন এত কস্ট হচ্ছে গো বুকে মাঝে ব্যথা বেদনা,
হলে গো জুড়াবে কোথায় বলো, সহমর্মিতা সহানুভূতি,
প্রকাশে অনীহা এড়িয়ে যায় সকলে, ভালোবাসা বিহীন
ছলে বলে দেহে দখল চায়, বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে সে এসে
সমবেদনা ভানে মোহময় মায়াময় কাব্যময়তায় ঐ জালে
মশাল জ্বলন দহনে এদের চরিত্রে সন্দেহ কৌশলে ফাঁদে
নানা লালসা অভীপ্সা নানা প্রলোভন উন্মাদ প্রলয় বলে,
পাপের প্লাবন বাঁধ ভাঙা বন্যা স্রোতে  দখল নেবো সব।
তখন বস্তি বা সুরম্য অট্টালিকা সাজানো  ঘরে খাল পারে
নষ্ট মেয়েদের যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুমুঠো ভাতের
জন্য আঁধারে জীবন, এই সামাজিক অবক্ষয়ে নৈরাশ্যের
অন্ধকারে এ প্রাণ নিমজ্জিত বহু নারীর আকাঙ্খা প্রেমের
স্বপ্ন পুরণ হয় না,অভিশপ্ত জীবনের অন্তরালে নারীর হৃদয়,
প্রয়াসী মন অবসরে বিনিদ্ররাতে নীরবে নিভৃতে অশ্রুমোচন।
লক্ষ লক্ষ  প্রবাসী বিদেশে কর্ম রত বহু স্বামী স্ত্রী উপোসী ক্ষণ
দেহ ও মন ছুঁয়ে যায় কাব্য প্রেমে পড়ে স্বপ্নের রঙিম  অক্ষরে,
অক্ষরে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কাব্যময়  বাঙ্ময় অলংকরণ।