ভ্রূণ এ প্রেমের অঙ্কুর
শ্যামল সোম
রীতা- হ্যালো সুজিত
সুজিত - how are you baby my pretty darling.
রীতা -- I have some talks it's urgent!
সুজিত -- what's happened with you baby ?
রীতা---- really I'm scared,
সুজিত -- unblieble ? you are so dared you are !
রীতা--- I conceived!
সুজিত --- you have conceived as you legend talented.
রীতা -- please be serious, I'm pregnant !
সুজিত -- congratulations best of luck dear baby.
রীতা-- এখন রসিকতার সময় নয় সুজিত দায়িত্ব নিতে হবে ?
সুজিত --- দায়িত্ব তোমার নেওয়া উচিত ছিলো ? এত পড়াশোনা, কত বড়ো চাকরি !
But you are nagnining like a poor village girl, women are convinced so you have taken not care to avoid unwanted pregnancy ?
রীতা --- হ্যালো হ্যালো আজ এত দিনের ভালোবাসার অঙ্কুর আমাদের সুজিত দায়িত্ব নাও গো চলো আমরা বিয়ে করি
সুজিত --- হ্যালো কি বললে বিয়ে ইয়ে ? তোমাকে হা হা you are joking? Dot' kidding with me.
রীতা --- হ্যালো কি বলছো একটি নারী কখন এ অবস্থায় তার মানসিক অবস্থা বোঝো !
সুজিত --- Listen in future don't disturbed me, কার কি মাল আমাকে দায়িত্ব নিতেই হবে ?black mailing ? তোমার তো অনেকের সঙ্গেই শোওয়াবসা ছিলো !
রীতা --- ছিঃ ছিঃ ছিঃ এই ধরণের কথা All right তুমিও আমাকে বিরক্ত করবে না I breakup with you.
সুজিত -- thanks a lot টাকার দরকার হলে বলো। বাই
রীতা ----- মোবাইল ফোন বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে।
আজ তিনদিন রীতা স্নান খাওয়া অফিস যাওয়া বন্ধ করে ঘরে ভাবছে !
তিন বছরের সুজিতের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলতে দুজনে পরসপরের কত কাছে এসে ছিল আজ সব শেষ।
ছোট বেলাতে বাবার মৃত্যু একা মা বালুর হাটে কত কস্ট করে রিতাকে তিনি মানুষ করেছেন
এখন চাকরি করে একা কোলকাতায় Flat নিয়ে কাজের মাসি আজ তিনদিন ফিরে গেছে ।
হঠাৎই সোমেন এসে হাজির অনেক বার কলিং বেল বেজে উঠলো দরজা খুলতেই ধমক
" তোর কি ব্যাপার বুঝতেই পারছি না মোবাই বন্ধ রীতা রীতা কি হয়েছো তোর। এমন চেহারা অসুস্থ ফোন করিস না কেন রে "
" সোমেন তুই এখন যা "
" না যাবো না ! "
" সুজিত ফোন করেছিল?"
দোহাই ঐ নাম করিস নি সোমেন
"কেন কি হয়েছে রীতু দশ বছরের আমাদের বন্ধুত্ব ।
রীতা সোমেনের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদতে থাকে ! সোমেন রিতাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে শোনে সব কথা শেষে
বললো " আমি রীতু তোকে ভালো বাসি !আমি তো আছি বন্ধু তোর তোর সব দায়িত্ব আমার।
রীতার বুকে গভীরে নদীর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ ওঠে।দেশভাগে হারিয়ে যাওয়া খুকুমা
শ্যামল সোম
আমার সাধের বাড়ী নাই,
কীর্তন খোলা নদীর ধারে
ছিল আমার পৈত্রিক বাড়ীর
ভিতর পানে পুকুর পুকুরের
জলে হাঁস,লাল শালুক ফুল,
পদ্ম পাতায় শিশির বিনিদ্র রাতে
টুপটাপ বাড়ীর সামনে বাগান
নারকেল গাছের ঘেরা, ফুলের
পরে প্রজাপতি সব রঙ বেরঙের
রাঙা গোলাপ ফুলে ভ্রমরের
চুম্বনে মধুপান মৌমাছির গুঞ্জন।
ময়না দোয়েল পাখীর সে গান
টিয়া, শত চড়ুই পাখীর ঐ কলতান।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিফলনে
বহুযুগ পরেও আলোড়িত আমার
এই হৃদয়ে আনন্দে অশ্রু ঝরে।
হঠাৎই সত্তর বছর আগের এক
দামকা ঝরে এলো মেলো প্রাণ,
যম দূত কালো মেঘের হানাদার
লন্ড ভন্ড, লুঠ হয়ে গেল কন্যা,
ভগ্নী জননী ভয়াবহ আর্তনাদ।
কীর্তন খোলা নদীর বন্যায় গেল
ধ্বসে সাজানো সংসার ছারখার।
এ নদীর আগ্রাসন সর্বস্ব লুঠ পাঠ
বাংলা নদীর ভাঙনের সে কলঙ্কিত
ইতিহাসের সাক্ষী ঐ যে বটবৃক্ষের-,
নীচে স্থান পাই যদি মরনের সাথেই
বসবাসের বাসনায় ও মেয়ে তুই বল,
বৃষ্টিস্নাত গোধূলির রঙে রাঙানো ঐ
আকাশের তলায় কি আমার ঠাঁই হবে
না ? মরণের আগে শরণার্থী শিবিরে,
পরবাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ বাসনা নেই,
আমার বাড়ী নেই, বাংলাদেশ ঠাঁই পাই কৈ?
No comments:
Post a Comment