Thursday, 1 November 2018

ভালোবাসার চেনা অচেনা মানুষ গলপ শ্রুতি নাটক

ভালোবাসার চেনা অচেনা মানুষ

শ্যামল সোম

দাদুর আশীর্বাদে রুপোর থালা বাটিতে মানিক ভট্টাচার্য মুখে ভাত হয়েছিল, নিষ্ঠাবান পরম বৈষ্ণব গুরু বংশে জন্ম

হুগলি আরাম বাগে বিশাল জমিদারি তিন মোহলা বিশাল বাড়ি এই বাড়ির সংলগ্ন একটি পুকুর বাগান এক ধার

রাধা মানবের মন্দির । হাজারো মানুষের বীর লেগে যায় শ্রী কৃষ্ণ এর জন্ম অষ্টমী  বিশাল অনুষ্ঠানে বহু শিষ্য  শিষ্যা

সমাগম হয়। রাতে পালা গান নৌকা বিলাস, শ্রী রাধীকার মানভঞ্জন, গালা গাইতে এসেছেন নবদ্বীপ এর বিখ্যাত

স্নামধন্যা বৈষ্ণবী বিষ্ণুপ্রিয়া লাবণ্যময়ী যুবতী অসাধারণ সুমিষ্ট গলায় ফুলের গয়নায় স্বয়ং রাধারানি সেজে

পদাবলী কীতৃন পালা গান শ্রীমতীর মানভঞ্জন গান গাওয়া চলছে।

কিন্তু প্রেম ভালোবাসায় ভরিয়ে প্রাণ মন কেঁড়ে নিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ রাধারানি অথচ একমাত্র এ বংশের শেষ একমাত্র

পুত্র সন্তান অসম্ভব ভালো পড়া শোনায়  কোলককতার মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি এস ও নিউরো সার্জারি

এম এস পাশ করেই  আর  জি কর হাসপাতালে কাজ করছে।

ফতেমা সঙ্গেই আলাপ হওয়ার পর থেকেই ফতেমা সহমর্মিতা সহানুভূতি শীলা অসাধারণ ভালোবাসায়--

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ার সময় ফাতেমা হক মিতালির  প্রেমে পড়ে যায়।

ঠাকুর দাদা মানিক ভট্টাচার্য খবর পেয়েছেন মহান প্রভু শ্রীকৃষ্ণ এই জন্মদিনে জন্ম অষ্টমী দিনেই  পার্ক সার্কাস

এক বিশাল বাড়িতে ফতেমা অরফে মিতালি বিয়ে করতে আসছেন মানিক ভট্টাচার্য একমাত্র পুত্র দিলীপ ভট্টাচার্য

নিষ্ঠাবান বৈষ্ণব পরিবারের একজন বংশের  নাতি স্বর্গে বাতি দেবেন কিন্তু নূতন পরিচয় নিষ্ঠাবান বৈষ্ণব পরিবার

থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এখন লতিফ সিদ্দিকী দুলাহ বর  সেজে এসেছে ইমাম সাহেব টিক্কা মামুদ সাহেবের কাছে

বিবাহ কবুল দিয়ে

ফতেমা নিয়ে চলে যাবে তার হাজার স্কোয়ার ফিটের Intiar Desingner দিয়ে সুনদর  সাজানো Flat  Slat Lake এ।

বছর কড়ি পড়ে মানিক ভট্টাচার্য  যখন জীবনের শেষ অধ্যায় বিধ্বস্ত ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত মরণ শিয়রে দাঁড়িয়ে

হঠাৎ বৃন্দাবন থেকে এসেছেন নিজের একমাত্র পুত্র দিলীপ ভট্টাচার্য ধর্মান্তরিত হয়ে এখন লতিফ সিদ্দিকী ও বৌমা ফতেমাও  নাতনি এষা সিদ্দিকীকে শেষবারের মতন দেখতে মরণকালে মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে রক্তের অমোক টানে এসেছেন

বৃন্দাবন থেকে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মানিক ভট্টাচার্য বাপ মা মরা নাতিকে ক্ষমা করতে না শুধুমাত্র মায়া ত্যাগ করতে

না পারার জন্য হঠাৎ এসেছেন।

জাতের উদ্ধৃত  উর্ধে কি আত্মজ সন্তান কে জানে যে যেমন মানেন।

( দিলীপ ভট্টাচার্য থেকে ধর্মান্তরিত হওয়ার নাম ছিলো লতিফ সিদ্দিকী  --- --

বৌমা ফতেমা  নামাযপাটি  বিছিয় বৈকালিক  কালিন নামায পাঠ শেষ করে উঠছেন।

কে কে যাই ! ( আজ বিশ বছর পরে হঠাৎ শ্বশুর মশাই দেখে হতবাক ) আববু জান বাবা বাবা বাবা ( কাঁদতে কাঁদতে 

বার বার দেখা করে ক্ষমা চাইতে যাওয়া সেই বিরল মূহুর্তে কথা মনে পড়ে যায়, উনি ফিরেয়েদিয়ে ছিলেনপায়ের তলায় লুটিয়ে পড়ে )

মানিক ভট্টাচার্য  ( ধর্ম নিষ্ঠ বিলক্ষণ বৈষ্ণব  ব্রজ ধাম বৃন্দাবন 

থেকে বিশ বছর পর আজ দেখা করতে এসেছেন।

আগে মিতালি একমাত্র মাতৃহারা কন্যা সন্তান যাকে খুব যত্ন করে

অল্প বয়সে বিপত্নীক হওয়ার পরও বিবাহ করেন নাই, মাতৃ স্নেহে  মানুষ করেছেন মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার

পড়িছেন, পরে ঐ কলেজে ছাত্রী মুসলিম কন্যাকে বিয়ে করে দিলীপ ভট্টাচার্য থেকে  লতিফ সিদ্দিকী

এর প্রেমে পড়ে বাবার অমতে বিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিউরো সায়েন্স  বিভাগের সিনিয়র ছাত্র এই

দিলীপ ভট্টাচার্য নূতন নামকরণ লতিফ সিদ্দিকীকে বিবাহ করার জন্য বিশিষ্ট শিল্পপতি শামীম আহমেদ সাহেব হিন্দু ছেলে তাঁর অমতে  বিবাহ করার জন্য মেয়ে সাথে সম্পর্ক রাখেন নি )

ফতেমা মিতালি

বাবা বাবা আপনি এত দিন পরে এলেন, কতবার গেছি আপনার সঙ্গে

কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো দেখা করো নি লতিফকে বিয়ে করার জন্য তুমি ভীষণ রেগে গেছিলেন !

মানিক ভট্টাচার্য

আমার এখন আর সময় নেই মা মাগো আমাকে ক্ষমা কর ! ধর্ম নিয়েই আজ আছি পরম বৈষ্ণব আমি

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু স্বপ্নে  দেখা দিয়ে বলছেন গীতার কথা সকল ধর্ম এর ইস্ট পূজিত হই আমি

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্ম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান মহাপ্রভু বিধর্মী হরিদাস পরম ভক্ত ছিলেন।

আজ আমি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে আছি মুম্বাই টাটা  মেমোরিয়াল এর ডাঃ এস এম নাজমুল হক

বলে দিয়েছেন আর একমাস আয়ু লিভার ক্যান্সার মারা যাবো। জীবনে চা মদ সিকরেট খেলাম না।

অথচ আমি লিভার ক্যান্সার মারা যাবো।

মিতালি --- না না এভাবে বলবেন  না আমি আপনার আলাদা করে নামায পড়বে খোদা মেহেবান সব ঠিক হয়ে যাবে ।

মানিক ভট্টাচার্য--- মিতালি,  ফতেমা ! আমি চলে যাবো বাহিরে ডাইভার  গাড়িতে অপেক্ষা করছে
আমাকে বৃন্দাবনে যাওয়ার ট্রেনে বসি দেব।

আপনি বসুন আমি আপনার নাতনিকে পাঠিয়ে দিচ্ছি এই বলে  মিতালি চলে যায়

Back ground গান মহিলা কন্ঠে কৃষ্ণ ভজন ইশা রাধা সেজে ঘাগড়া পড়ে গানে তালে তালে নাচছে।

" প্রভু অব গুনচিত ন ধরো চায়ে তো পার করো "

অপার বিস্ময় স্বপ্নময় তন্ময়তা চোখে দেখে এ যেন স্বয়ং  শ্রী রাধা দর্শন হলো মানিক ভট্টাচার্য আপন চৈতন্য মহাপ্রভুর বানী।

No comments:

Post a Comment