যুদ্ধ শেষে শোক
শ্যামল সোম
মুক্তি যুদ্ধের শেষে আজ
সহযোদ্ধারা কেউ কেউ নিহত
মুক্তি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল
কেউ কেউ ভয়ংকর আহত,
বাঙালির এ মানবতাবাদী
ছাত্রদলের আন্দোলনে
উত্তাল দেশ থেকে দেশান্তরে,
চলে শহর থেকে বন্দরে,
জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে
নদীর ঘাটে নৌকা নিয়ে,
মুক্তির সেনাদল, কত শত
সহস্র নারী লড়াইয়ে ময়দানে,
বাঙালির স্বপ্নে বাংলাদেশ
লড়াই করে ছিনিয়ে নিতে হবে।
" আমাদের সংগ্রাম চলছে,
জনতার সংগ্রাম চলছে, কাব্যে
সমবের গানে, " আমার ভাইয়ের
রক্তে রাঙানো একুশে
ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি ?"
" আমার সোনার নোলক হারিয়ে শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি
খুঁজি সারা বাংলাদেশে ----
মায়ের সোনার নোলক না নিয়ে
ঘরে ফিরবো না ! "
বহমান জনতার স্রোতে ভেসে
আসছে জন সমুদ্রে গর্জন,
জনতার সংগ্রাম চলছে,
প্রয়োজনে হলে দেবো
এক নদী রক্ত " পৃথিবীর বিভিন্ন
যুদ্ধের ইতিহাসে বিরল
এ যুদ্ধে তিরিশ লক্ষ মানুষ নিহত,
তিন লক্ষ নারী কিশোরী যুবতী
বৃদ্ধা মুক বধির নির্যাতিতা।
কেউ কেউ আজও কত
স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে
সে দিনের অগ্নি
কোনের মানুষ জীবন
জনতার সেই মূহুর্তে সাক্ষী বেঁচে
কেউ কেউ, বাংলাদেশের
সীমান্তে এপারের শত দীর্ঘশ্বাসে
অনেকেই বলেছিলো
আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখার বিলাস।
মুক্তি যুদ্ধের যোদ্ধাদের অস্ত্র
রসদ বহে নিয়ে যাচ্ছে কিশোর
তরুণ, সেদিনে প্রজন্মের
জীবনের ঝুঁকি নিরাপত্তায় হীনতা
ঘরের শত্রুর বিশ্বাসঘাতকতা
বাহিরের সুশিক্ষিত সৈন্যবাহিনী
বিরুদ্ধে এস, এল, আর,
আধুনিক আগ্নেয় অস্ত্র সাথে দৈনন্দিন
মোকাবিলা করতে সক্ষম
হয়েছে একমাত্র বাংলাদেশি প্রেম।
অসতর্কতার ঝাঁপিয়ে পড়তে
পারে ডাক্তারি ছাত্র সংগঠন গড়ে
মেডিকেল টিম নানা রকমের
সাহায্য করতে সুচিকিৎসা করতো।
দেশ,মাতৃ ভাষার সংগ্রাম শুরু হয়
উনিশশো বাহান্ন,থেকে চলতো,
উনিশশো একাত্তর সালে আঠারো
ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে আজও ?
No comments:
Post a Comment