তোমার চলে যাওয়া
শ্যামল সোম
তিন মাস হয়ে গেলো তোমার চলে যাওয়া
তবু আজও গত বিগত বিবাহিত জীবনের
কত কথাই মনে যায়, আমাকে প্রতিদিন তুমি
নিজের হাতে চা তৈরি, কাজের রান্না করা
খাবার টেবিলে এনে রাখতে নিজের হাতে খেতে
দিতে এগিয়ে আসতে এক হাতে লাঠি থালা অন্য
হাতে নিয়ে সকালে দুপুরে বিকেলে রাতে অসুস্থ
শরীরেও তোমার বিবাহিত জীবনে এত যত্ন করে
কেন বাঁচিয়ে রাখলে, আমি অসুস্থ অবস্থায় একাই
হাসপাতালে ভর্তি , তুমি না খাওয়া দাওয়া ঘুম নেই।
তোমার চলে যাওয়া মেনে পারছি না, স্মৃতি রোমন্থন,
প্রাত্যহিক প্রাত ভ্রমণ করে ফিরে এসে দুজনে একসাথে
বারান্দায় বসে এক সঙ্গে চা পান, শরীরের যত্ন নেবে কত
বলতে, যত্ন নেওয়ার জন্য তোমার কাছে কত কথাই বলে
যেতে, অথচ তুমি নিয়মিত ওষুধ খেতে না হয়তো
সবাই প্রতি অভিমান, লেখা লিখি ছাই প্যাশ কত
কাগজ নষ্ট হয়েছে, সকালে জল খাবার খেতে
তোমার ডাকাডাকি দুপুরে রাতেও খাওয়ানোর জন্য
কত সধাসাধি কত স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে সেদিনের ছবি।
জানো গো হঠাৎ সাতের দিন দুজনেই অসুস্থ অবস্থায়
হাসপাতালে বড় কেবিনে দুটো বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছো
চোখের সামনে হাই সুগারে চিকিৎসার বাহিরে চলে গেলে।
তাসের ঘরের মতো আছড়ে পড়ে ভেঙে গেলো সংসার,
ফার্নিচার কিছু দুই ছেলের বাড়িতে এলো তোমার বিয়েতে
তোমার বড় ঘাটে একা বড় ছেলের কাছে আছি এখন।
বাদবাকি ফার্নিচার সমেত ঐ Flat ভাড়া দিয়েছে তোমার
শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে, গয়না ভাগ হয়ে গেছে বেলা শেষে
সমস্ত আমার পাণ্ডুলিপি, আর এত বছরের কেনা পাওয়া
হাজার খানেক বই পুরোনো কাগজ দরে বিক্রি করে দিয়েছে।
মুক্তি তুমি তো বলতে কোন কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যাবে না
আমাকে দোষারোপ করে বলতে," জিনিষপত্র উপরে এত মায়া--
ভালো না, ছেলেরা জানে যে বাপ মা চিরদিনের নয়, মায়া ত্যাগ
করতে, যাওয়া আসা দেখা সাক্ষাত খোঁজ খবর নেওয়া ওদের
সক্ষম হয় না, বিশাল দায়িত্ব নিয়ে Corporates Sector hardship.
এদিকে আমি যেন আমার ভীষণ প্রিয় সন্তান বড় ছেলে তবু কেন মনে হয়
আরো কতদিন পরবাসে থাকবো একা একা রয়েছি মৃত্যুর প্রতীক্ষায় গো।
No comments:
Post a Comment